নিউজ ডেস্ক: অনেকদিন বেড়াতে যাননি? ঘরবন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত হন। পাহাড়ি গ্রাম লাচুং থেকে ঘুরে আসুন। উত্তর সিকিমের ৯৬০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই গ্রাম। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে পর্যটকদের সতর্ক থাকা উচিৎ। পশমের পোশাক সব সময় গায়ে চাপানো থাকলে ঠাণ্ডা লাগার সম্ভাবনা কম।
লাচুং আপনার ভ্রমণের ঠিকানা হতে পারে দু’দিনের জন্য। লাচেন নদী এবং লাচুং নদী দেখার মতো। এই দুই নদী তিস্তা নদীতে গিয়ে মিশেছে। দেখলে মন ভরে যাবে। সবুজের কোলে ছবির মতো সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম লাচুং। পাহাড়ের মধ্যে সাজানো ধূপীগাছের সারি। যারা নির্জন জায়গা ভালোবাসের তাঁদের অল্প সময়েই প্রিয় হয়ে উঠবে।
গ্যাংটক থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১২৫ কিলোমিটার। এখানে নেপালি, ভুটিয়া এবং লেপচা ভাষার চল বেশি। লাচুং শব্দের অর্থ ‘ছোট গমনোপযোগী অঞ্চল’। লাচুঙে আছে একটি কার্পেট বুনন কেন্দ্র। লাচুং থেকে সহজেই যাওয়া যায় ইয়ুমথাং ভ্যালিতে। এই উপত্যকা শীতের সময় বরফে ঢেকে যায়। সেই সময় ইয়ুমথাং হয়ে ওঠে পর্যটনপ্রেমীদের মুক্ত বিচরণক্ষেত্র।
লাচুংয়ের অধিকাংশ অধিবাসীই লেপচা এবং তিব্বতীয়। ১৮৫৫ সালে বিখ্যাত ভ্রামণিক জোসেফ ডালটন হুকার দ্য হিমালয়ান জার্নালে লাচুংকে সিকিমের ‘ছবির মতো গ্রাম’ হিসেবে আখ্যা দেন। লাচুঙের কাছে ফুনিতে স্কিইং করার ব্যবস্থা আছে। দুদিনের জন্য বেড়াতে গেলে ভালই লাগবে।