অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভাতের মাড় ফেলা যায়। ভাত ঝরঝরে করতে ভালোভাবে মাড় ঝরিয়ে নেন সকলেই। এছাড়াও ভাতে জমে থাকা মাড় দীর্ঘদিন খেলে, মোটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ভাত থেকে মাড় আলাদা করেই, সেই মাড় ফেলে দেন অনেকেই। কিন্তু জানলে অবাক হবেন ত্বক এবং চুলের যত্নে ভাতের মাড়ের ভূমিকা অপরিসীম। তাই এবার থেকে ভাতের মাড়কে না ফেলে কাজে লাগান। চলুন এক নজরে জেনে নেওয়া যাক ত্বক ও চুলের যত্নে ভাতের মাড়ের ব্যবহার।
১) আপনার ত্বকে র্যাশ বা চুলকানির সমস্যা থাকলে, এখন থেকে ভাতের মাড়কে আপন করুন। প্রতিদিন জলের সঙ্গে ভাতের মাড় মিশিয়ে স্নান করুন। এতে চুলকানি ও র্যাশ এর পাশাপাশি ত্বকের জ্বালা ভাব থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে।
২) ভাতের মাড় ঠাণ্ডা করে তুলো দিয়ে ত্বকের ব্রণ আক্রান্ত অংশে লাগান। সপ্তাহে প্রতিদিন ৩ বার এইভাবে ত্বকের যত্ন নিন। এতে খুব সহজেই ব্রণ ও ফুসকুড়ির মতো সমস্যা দ্রুত সেরে যাবে।
৩) প্রথমে ভাতের মাড় ঠাণ্ডা করুন। এবারে খানিকটা জল মিশিয়ে পাতলা করে নিন। শ্যাম্পু করার পর চুলে এই মাড় ব্যবহার করুন। ৫ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যায় এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর। এছাড়াও এতে চুল গোড়া থেকে মুজবুত হয়।
৪) অনেকেরই রোদে কাজ করে ত্বকে ট্যান পড়ে। ভাতের মাড় ট্যান পড়া ত্বকের পক্ষে খুবই উপকারী। নিয়মিত ভাতের মাড় ত্বকের ট্যান পড়া স্থানে ব্যবহার করুন। এতে খুব সহজেই ত্বকের ট্যান-এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
৫) ভাতের মাড় ঠাণ্ডা করে তাতে সামান্য জল মিশিয়ে নিন। এবারে তুলো দিয়ে নিয়মিত এই মাড় ত্বকে ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের জেল্লা বাড়বে ও ত্বক সতেজ থাকবে। এর পাশাপাশি ত্বকের হাইপারপিগমেন্টেশন এবং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া ঠেকাতে ভাতের মাড় অত্যন্ত কার্যকরী।
৬) চোখের তলায় ডার্ক সার্কেল থাকলে, ভাতের মাড় খুবই কার্যকরী। দিনে ৪ বার ত্বকের ডার্ক সার্কেলের জায়গায় ভাতের মাড় ব্যবহার করুন। কাজ করবে ম্যাজিকেরমতো। ত্বকের কালচে ভাবও দূর হবে।