#Haunted House
নতুন শহরে বাড়ি কিনেছেন নব দম্পতি। আনন্দে কাটছে দিন, কিন্তু কয়েকদিন পরেই ছন্দপতন। গোটা বাড়ির পরিবেশটাই কেমন যেন অস্বস্তিকর, অস্বাভাবিক। সবসময়েই মনে হয়, নিজেরা ছাড়াও ঘরের ভেতর রয়েছে আরও কেউ, বা কয়েকজন। হঠাৎ করেই কেউ একজন দেখলেন (বেশিরভাগ সময় স্ত্রী’ই দেখেন) জানলার অন্যপ্রান্ত থেকে কেউ তাকে দেখছে। দৌড়ে ঘরের ভেতরে গেলেন তিনি। নাহ, কেউ নেই।
হলিউড কিংবা বলিউড (এখানে বিশ্বাসযোগ্যতার মাত্রা অল্প কম), অনেক ভুতুড়ে সিনেমার চিত্রনাট্যই এরকম হয়। কিন্তু শুধুমাত্র রুপোলী পর্দাই নয়, এরকম ভুতুড়ে বাড়ি বা অভিজ্ঞতার নিদর্শন বাস্তবেও পাওয়া যায়।
মন্টে ক্রিস্টো (Monte Christo), অস্ট্রেলিয়া
মন্টে ক্রিস্টো অস্ট্রেলিয়ার ভুতুড়ে জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম।বাড়ির প্রথম মালিক ছিলেন ক্রিস্টোফার ও এলিজাবেথ ক্রলে। তাদের এক পরিচারিকা ব্যালকনি থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। বিছানায় আগুন ধরে মারা গিয়েছিল বাড়ির একটা বাচ্চা ছেলে। একটা ছোট্ট মেয়ে সিঁড়ি থেকে পড়ে মারা গিয়েছিল। মন্টে ক্রিস্টোর বর্তমান মালিন মিস্টার ও মিসেস রায়ান। তাঁদের দাবি, অস্বাভাবিক অনেক কিছুই ঘটে এ বাড়িতে।
বোর্গভ্যাটনেট কটেজ (Bourgevanvet Cottage), সুইডেন
বোর্গভ্যাটনেট উত্তর সুইডেনের একটা ছোট্ট গ্রাম। সেখানকার একটা কটেজে ঘটে অদ্ভুত সব ঘটনা। কটেজটিতে এখন একটা রেস্তোরাঁ চালু আছে। আছে রাতে থাকার ব্যবস্থাও। কেউ পুরো এক রাত এখানে থাকতে পারলে, তাকে সাহসিকতার প্রমাণ হিসেবে সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়!
হোয়াইট হাউস (White House), আমেরিকা
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউস। কড়া পাহারা থাকে গোটা এলাকা জুড়ে। অথচ বিভিন্ন সময়ে এই হোয়াইট হাউসের বাসিন্দারাই দাবি করেছেন, এ বাড়িতে নাকি ভূতের উপদ্রব আছে। হোয়াইট হাউসের ভূতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সেদেশের প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ভূতকে।
ভানগড় ফোর্ট (Bhangar Fourt), ভারত
ভারতের ভানগড় কেল্লাকে বলা হয় এশিয়ার সবচেয়ে ভুতুড়ে জায়গা। এই কেল্লা তৈরি করেছিলেন রাজা মাধো সিং। জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হলেও রাতের অন্ধকারে কেল্লার ভেতরে প্রবেশ নিষিদ্ধ। স্থানীয়রা বলেন, রাতে অনেকেই কেল্লার ভেতরে ঢুকেছেন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ ফিরে আসেননি।