করোনা বাধা কেটে মহাকাশ-মহাসাগরে ভারতের ‘বিজয় রথ’ ছুটছে

বিগত ২ বছর ধরে চলা করোনা অতিমারীর কারণে থমকে গিয়েছে যেন জনজীবন। একটু ধাতস্ত হতেই একের পর এক করোনার ঢেউ, নতুন নতুন ভেরিয়েন্ট মানুষের দৈনন্দিন…

বিগত ২ বছর ধরে চলা করোনা অতিমারীর কারণে থমকে গিয়েছে যেন জনজীবন। একটু ধাতস্ত হতেই একের পর এক করোনার ঢেউ, নতুন নতুন ভেরিয়েন্ট মানুষের দৈনন্দিন জীবন যেন আরও দুঃসহ করে তুলেছে। এদিকে এই অতিমারীর কারণে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ISRO) কাজও অনেক কম হয়েছে তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন চেয়ারম্যান কে শিবন। তিনি বলেছেন যে গত বছর লকডাউনের কারণে ইসরোকে সরকারের নির্দেশিকা এবং নিয়ম অনুসরণ করে সমস্ত ক্রিয়াকলাপের গতি হ্রাস করতে হয়েছিল। যদিও ইসরোর তরফ থেকে আশ্বাসবাণী দেওয়া হয়েছে যে চলতি বছরে বেশ কয়েকটি অভিযান ভারতবাসী তথা বিশ্ববাসীকে ‘উপহার’ দেবে সংস্থা। যেমন

গগনযান মিশনঃ
ভারতীয় মহাকাশ মিশন কর্মসূচি ২০২২ সালে ‘গগনযান’ মিশনের মাধ্যমে শুরু হবে এবং বছরের শেষে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা দুটি মানববিহীন মিশনও উৎক্ষেপণ করবে। ভারত সরকার আরও বলেছে যে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা শুক্র মিশন, সৌর মিশন এবং মহাকাশ স্টেশন নির্মাণের কাজ শুরু করবে। যদিও কোভিড মহামারীর কারণে ভারতের মহাকাশ কর্মসূচিতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে, তবে এই বছর ভারত আরও অনেক মিশন পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছে ইসরো। গগনযান মিশনের মাধ্যমে যে কোনও ব্যক্তি পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে ভ্রমণ করতে পারবেন। ৫০০ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান এই মিশনের সঙ্গে জড়িত।

ইসরো-সিএনইএস-এর যৌথ মিশনঃ
ইসরো-সিএনইএস-এর যৌথ মিশন ‘তৃষ্ণা’র কাজ চলছে। দেশের বিখ্যাত বিজ্ঞানী সিভান ইসরোর ওয়েবসাইটে লিখেছেন, ‘আমি ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির আগে অর্থাৎ ১৫ আগস্ট, ২০২২-এর আগে প্রথম প্রহরীবিহীন মিশন চালু করার নির্দেশ দিয়েছি। এই মিশন সম্পর্কিত সমস্ত দল এই সময়সীমা পূরণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। আমি নিশ্চিত যে আমরা এই লক্ষ্য অর্জন করব।’

সমুদ্রযান মিশনঃ
গগনযান মিশন ছাড়াও ইসরো সমুদ্র অনুসন্ধান শুরু করেছে এবং আগামী কয়েক বছরে মহাকাশ ও সমুদ্রে ভারতের প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী হবে। এই মিশনের আওতায় একটি মানববাহী সাবমেরিন তৈরি করা হবে। এই প্রকল্পের নাম ‘সমুদ্রয়ন।’ ইসরোর চেয়ারম্যান আরও জানান, পৃথিবী বিজ্ঞান মন্ত্রকের অধীনে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজি এর আগে ৫০০ মিটার জলের গভীরতা রেটিং-এর জন্য একটি মানববাহী সাবমেরিন সিস্টেম তৈরি ও পরীক্ষা করেছিল।