২৪০ পাতার এই রহস্যময় বই আজও কেউ পড়তে পারেনি

নিউজ ডেস্ক: এই জগতে রহস্য ভরে রয়েছে। কিছু রহস্য ভেদ করতে সফল হয়েছে মানুষ৷ তবে কিছু রহস্য এখনও পর্যন্ত অজানা রয়ে গিয়েছে মানবজাতির কাছেও। ঠিক…

Mysterious Voynich Manuscript

নিউজ ডেস্ক: এই জগতে রহস্য ভরে রয়েছে। কিছু রহস্য ভেদ করতে সফল হয়েছে মানুষ৷ তবে কিছু রহস্য এখনও পর্যন্ত অজানা রয়ে গিয়েছে মানবজাতির কাছেও। ঠিক এমনই একটি রহস্য হল ২৪০ পাতার একটি বই। কথিত আছে, আজ পর্যন্ত কেউ এই বইটি পড়তে পারেনি।

ইতিহাসকারিরা বলছেন, এই রহস্যময় বইটি ৬০০ বছরেরও বেশি পুরনো। কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, বইটি ১৫ শতাব্দীতে লেখা হয়েছিল। এই বইটি হাতে লেখা হয়েছিল। কিন্তু কী লেখা হয়েছিল এবং কোন ভাষায় লেখা হয়েছিল, তা আজ পর্যন্ত কেউ বুঝতে পারেনি৷ বইটি আজ পর্যন্ত রহস্যময় হয়ে রয়ে গিয়েছে। বইটির ‘বায়োনিক ম্যানুস্ক্রিপ্ট’ নামে নামকরন করা হয়েছে। বইটিতে মানুষ থেকে নিয়ে গাছপালার একাধিক ছবি বানানো হয়েছে।

Mysterious Voynich Manuscript

‘বায়োনিক ম্যানুস্ক্রিপ্ট’ নামের এই বইটির সবথেকে অদ্ভুত বিষয় হল, বইটিতে এমন কিছু গাছপালার ছবি রয়েছে, যেগুলির পৃথিবীর গাছপালার সঙ্গে কোন মিল নেই। এই বইটির নাম ‘বায়োনিক ম্যানুস্ক্রিপ্ট’৷ ইতালির একটি বইয়ের ডিলার বিলফ্রিড বায়োনিকয়ের নামে নামকরণ হয়েছে। বলা হয় তিনি এই বইটি ১৯১২ সালে কিনে এনেছিলেন। কিন্তু তিনি কোন জায়গা থেকে বইটা কিনেছিলেন আজ পর্যন্ত বড় রহস্য।

Mysterious Voynich Manuscript

এই রহস্যময় বইটিতে অনেক পাতা ছিল, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই পাতাগুলি নষ্ট হচ্ছে। এই মুহূর্তে বইটিতে মাত্র ২৪০টি পাতা রয়েছে৷ এই বিষয়ে বেশি কিছু তথ্য খুঁজে পাওায়া যায়নি৷ কিন্তু এটা স্পষ্ট বোঝা যায় যে, বইটির কিছু শব্দ ল্যাটিন এবং জার্মান ভাষায় রয়েছে।

অনেকে বলে থাকেন, এই বইটি ইচ্ছাকৃতভাবে এইভাবে লেখা হয়েছে৷ যাতে কেউ পড়তে না পারে এবং এর রহস্যভেদ না হয়। তবে সেই রহস্যটা কী, সেটা শুধুমাত্র এই বইটির লেখকই হয়তো জানতেন। কিংবা আগামিদিনে হয়তো কেউ এই বইটিতে কী লেখা রয়েছে, সেই রহস্যভেদ করতে সফল হবে। এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।