Elizabeth Báthory: রূপ-সৌন্দর্য ধরে রাখতে কুমারীদের খুনের রক্তে স্নান করত এই মহারানী

নিউজ ডেস্ক: ইতিহাসের পাতায় যদি আমরা উল্টে দেখি, তাহলে অনেক গল্প এবং রহস্য লুকিয়ে রয়েছে৷ যা সামনে এলে মানুষ আঁতকে উঠবে। ঠিক এমনই একটি ঘটনা…

Maharani Elizabeth Báthory

নিউজ ডেস্ক: ইতিহাসের পাতায় যদি আমরা উল্টে দেখি, তাহলে অনেক গল্প এবং রহস্য লুকিয়ে রয়েছে৷ যা সামনে এলে মানুষ আঁতকে উঠবে। ঠিক এমনই একটি ঘটনা যা শুনে রীতিমত শিঁউরে উঠবেন আপনিও। এক মহারানী, যার দুষ্কর্মের গল্প শুনে রীতিমতো আতঙ্কে ভুগবে যে কেউ ৷

এই মহারানী ছিল সে কালের সিরিয়াল কিলার৷ এমনিতে আপনি নিশ্চয়ই অনেক সিরিয়াল কিলারের বিষয়ে শুনেছেন, যারা একের পর এক বিভিন্ন ধরনের হত্যা করেছে৷ তবে এই মহারানীর কাণ্ড শুনলে আপনি কেঁপে উঠবেন। অবিবাহিত মেয়েদের খুন করে, তাদের রক্ত দিয়ে স্নান করত এই মহারানী।

হাঙ্গেরিতে বসবাস করতেন মহারানী এলিজাবেথ ব্যাথোরি (Elizabeth Báthory)৷ এলিজাবেথ ব্যাথোরিকে ইতিহাসে সবথেকে ভয়ানক মহিলা সিরিয়াল কিলারের নামে পরিচিত৷ ১৫৮৫ সাল থেকে ১৬১০ সালের মধ্যে এলিজাবেথ প্রায় ৬০০-র বেশি মেয়েদের হত্যা করেছিল। হত্যার পরে সেই মেয়েদের রক্ত দিয়ে স্নান করেছে। বলা হয়, এলিজাবেথকে এক তান্ত্রিক উপদেশ দিয়েছিল নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখতে অবিবাহিতা মেয়েদের মেরে তাদের রক্ত দিয়ে স্নান করতে হবে। তান্ত্রিকের এই উপদেশ মহারানীর যথেষ্ট পছন্দ হয়েছিল।

আরও জানা যায, এলিজাবেথের এই কর্মকাণ্ডে তার সঙ্গ দিত তার তিন পরিচারক। তার এই অপরাধের ষড়যন্ত্রে এই তিনজন মদদাতা ছিল। এলিজাবেথের বিয়ে ফেরেঙ্ক নৈডেস্ডি সঙ্গে হয়েছিল। এই ব্যক্তি তুর্কিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হাঙ্গেরির ন্যাশনাল হিরো ছিলেন।

মহারানী মেয়েদেরকে নিজের শিকার বানানোর জন্য একটি বড় জাল তৈরি করেছিলেন৷ মহারানী আশপাশের গ্রামের গরিব মেয়েদেরকে অনেক বেশি টাকায় কাজে রাখত। মেয়েরা যখন রাজমহলে আসত, সেই সময় তাদেরকে নিজের শিকার বানাত এই মহারানী।

আরও জানা যায়, এই এলাকায় যখন মেয়েদের সংখ্যা কমতে থাকে তখন সমাজের উচ্চশ্রেণির পরিবারের মেয়েদেরকে টার্গেট করা শুরু করল এই মহারানী৷ হাঙ্গেরির রাজা যখন এই বিষয়ে জানতে পারল তখন সে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন৷ এই ঘটনার তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা যখন এলিজাবেথের মহলে পৌঁছায় সেখানে গিয়ে তারা চমকে ওঠেন। তদন্তকারীরা এলিজাবেথের রাজমহল থেকে অসংখ্য মেয়েদের কঙ্কাল উদ্ধার করে।

১৬১০ সালে এলিজাবেথকে তার এই জঘন্য অপরাধের জন্য গ্রেফতার করা হয়৷ এই কুকর্মের জন্য তাকে মৃত্যুদণ্ড না দেওয়া হলেও, তাকে তার নিজের মহলের একটি কামরায় বন্দী বানিয়ে রাখা হয়েছিল। এই বন্দিদশায় চার বছর পর ২১ আগস্ট ১৬১৪ সালে মৃত্যু হয় মহারানী এলিজাবেথ ব্যাথোরির ।