নিউজ ডেস্ক: গনগনি যদি রাজ্যের গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন (canyon) হয়, উত্তরবঙ্গেও রয়েছে ক্যানিয়ন। অ্যাডভেঞ্চার, প্রকৃতি দর্শনের ডুয়াল প্যাকেজ রয়েছে উত্তরবঙ্গে। একদমই অফবিট জায়গা হাতে অল্প সময় নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। নাম ইয়েলবং রিভার ক্যানিয়ন। যাকে উত্তরবঙ্গের লুকোনো ক্যানিয়নও বলা হয়।
উত্তরবঙ্গের নতুন অফবিট জায়গা বললেই এখন চলে আসে ইয়েলবং গ্রামের নাম। খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে রিভার ক্যানিয়ন এর জন্য। বর্ষাকালে জল বেশি থাকার জন্য ট্রাকিং করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। অক্টোবরের শুরু থেকে ট্রেকিং করা আবার সম্ভব হয়ে ওঠে, জায়গাটি এনজিপি থেকে যেতে প্রায় ৩ ঘন্টা সময় লাগে। দুই রাত তিন দিনের জন্য যদি ৩ থেকে ৫ জন হন তাহলে জন প্রতি খরচ হবে ৪৭০০ টাকা। এখানে তাঁবুতে থাকার এবং খাবার সুব্যবস্থাও রয়েছে।
কালিম্পং জেলার অন্তর্গত ইয়েলবং গ্রাম নামটা অচেনা। বাখরাকোট থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে এই গ্রাম । মেইন রোড থেকে ৪ কিলোমিটার জঙ্গল, ছোটো ছোটো ঝর্না ও পাহাড়ি পথ পেরিয়ে পৌঁছে যাওয়া ইয়েলবং গ্রামে । যাওয়ার পথে দেখা মিলবে রকমারি প্রজাপতি ও মথ এর দলের ভিড়।
প্রজাপতিরদের স্বর্গ ইয়েলবং। যেখানে ওদের সাথে নিয়ে কিছুক্ষণ চুপিসাড়ে গল্পও করা যায় আর ওদের ছুঁয়ে দেখা যায়। গ্রামের চারিদিক থেকেই পাহাড়ের উঁকি ঝুঁকি ও এবং ভিউ পয়েন্ট মনমুগ্ধকর । ইয়েলবং গ্রাম থেকে ক্যানিয়ন কেভের দূরত্ব প্রায় ৩-৪ ঘণ্টার। যেতে হয় ট্রেক করে ।
রুমটি নদীর ধার বরাবর পাথরের উপর দিয়ে পায়ের টাল সামলে হাঁটার অনুভূতি বলে বোঝানো খুবই কঠিন । অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের কাছে রুমটি নদী পেরিয়ে কেভে পৌঁছানো একটা চ্যালেঞ্জ । অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে ক্যানিয়ন কেভ টা আবার কি ? এটি ২ কিলোমিটার বিস্তৃত একটি নদীর সাথে গুহা, যেরকমটা হয়ত আমাদের পশ্চিমবঙ্গে আর সেরকম একটা নেই।
পাহাড়ী নদী তার আপন ছন্দে কখনো উত্তাল কখনো নিস্তরঙ্গ ঝিরিঝিরি হয়ে বয়ে চলেছে গুহার বুক চিরে। কেভে প্রবেশ করার পর নিজেকে খুঁজে পাবেন অন্য এক দুনিয়ায় । কেভের পথও বেশ চ্যালেঞ্জিং। নিজেকে মেন্টালি ও ফিজিক্যালি আগে থেকে তৈরি করে এই ট্রেকে আসা বাধ্যতামূলক ।
এছাড়া ইয়েলবং ক্যানিয়ন কেভের পাশে রাফটিং করার ও শেখার সুযোগ এবং উপযোগী জায়গা দুইই আছে । এডভেঞ্চার প্রেমীদের জন্য একেবারেই উপযোগী এই জায়গা আর শুনে কী হবে? ঘুরেই আসুন না।