বিশেষ প্রতিবেদন: প্রায় ৪৫০০মিটার বা তার উপরের উচ্চতায় ফোটে এই ফুল। বলা হয় হিমালয়ান ফুলের রাজা। ফুটে ওঠার দৃশ্য দেখতে পেলে জানবেন আপনিই এই বিশ্বের সবচেয়ে সৌভাগ্যবান মানুষ। নাম ব্রহ্মকমল।
ব্রহ্মকমলের পাপড়িগুলি সম্পূর্ন প্রস্ফুটিত হয় সূর্যাস্তের পর। ফুটতে সময় লাগে প্রায় ২ ঘন্টা। প্রস্ফুটিত অবস্থায় থাকে প্রায় ১ ঘন্টা। তারপরেই তা আবার বন্ধ করে পাপড়ি। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এর মাঝে কোনও এক সময়ে হিমালয়ের কোলে যখন ধীরে ধীরে সূর্য ডোবে তখন ফোটে ব্রহ্মকমল। এই দৃশ্য নিজের চোখে দেখতে পাওয়াকেই সৌভাগ্যের বলে মনে করা হয়।
উত্তরাখন্ড রাজ্যের ”স্টেট ফ্লাওয়ার” হিসাবে গন্য করা হয় ব্রহ্মকমলকে। পুরাণ মতে, বিষ্ণুর নাভি থেকে এই ফুলের জন্ম এবং এই ফুলের মধ্যে স্বয়ং ব্রহ্মা বিরাজমান। ফোটার দৃশ্য দেখতে পাওয়া মানে দেব দর্শন। সন্ধ্যা ৭-৮ টা থেকে এর ফোটা শুরু হয়, রাত ১১-১২ টার মধ্যে ফোটা সম্পূর্ণ হয়ে যায়। পরদিন সকালে ফুল ফের মূর্ছা যায়। শাস্ত্রে এর ৬১টি প্রজাতির কথা পাওয়া যায়।
এটা প্রধানত হিমালয়ের ফুল। উত্তরাখণ্ড, সিকিম, হিমাচল- প্রদেশ, কাশ্মীরে এই ফুল পাওয়া যায়। এটি জগতের সৃষ্টি কর্তা ব্রহ্মাজীর ফুল, তাই ব্রহ্মকমল। শিব, মা নন্দা দেবীর ও এ ফুল খুব প্রিয়। এই ফুল ফোটা দেখলে নাকি মানুষের মনের ইচ্ছা পূরণ হয়। বহু পৌরাণিক গল্প আছে এই ফুলকে নিয়ে।ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স, হেমকুন্ট সাহিব, বাসুকি তাল, রুদ্রনাথ মন্দির পথে এই ফুলের দেখা মেলে।
<
p style=”text-align: justify;”>অনেকে সকালে শুকিয়ে যাওয়া ফুলটাকে নিয়ে ঘরে ঢোকার দরজায় টাঙিয়ে রাখে। এতে কোন নেগেটিভ এনার্জি ঘরে ঢুকতে পারে না বলে মানুষের বিশ্বাস। এছাড়াও এর অনেক ঔষধি গুণ ও আছে।
ব্রহ্মকমল এর এক এক জায়গায় এক এক রকম নাম। উত্তরাখণ্ডে একে বলে ব্রহ্মকমল, হিমাচলে দুলহাম্বুল। কাশ্মীরে গলগল, দুধফুল হিমাচলপ্রদেশে। শ্রীলঙ্কাতে কাদুফুল আর জাপানে গীকা ভীষণ।