বিশেষ প্রতিবেদন: তিনি ভারতের নাম বিশ্ব মঞ্চে উজ্জ্বল করেছেন। তিনি এই বছরের অলিম্পিকে ভারতের সোনার ছেলে। এবার তিনিই হয়ে উঠলেন বাংলার দুর্গাপুজো মণ্ডপের বিষয়।
সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন নীরজ। যোগ দিয়েছিলেন তাহাদের কথা নামে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে।।নীরজের মুখ থেকে তাঁরই জীবনের অজানা কাহিনী শুনেছিক শহর। কি করে জ্যাভলিন থ্রো তে আসলেন তিনি? সাফল্যের পিছনে রহস্য কি ? পরিবারের অবদান কতটা? হরিয়ানার কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসার গল্প? আগামী দিনের লক্ষ্য?
এরকম একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন নীরজ। সঙ্গে কব্জি ডুবিয়ে খেয়েছিলেন। শুরুতে লুচি, আলুর দম, ডাল। তারপর ভাত, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, ইলিশ, মটন কষা। শেষপাতে জলভরা সন্দেশ, নলেন গুড়ের আইসক্রিম, মিষ্টি দই। কিন্তু তা বলে তিনি যে বাংলার পুজোর থিম হয়ে উঠবেন তা ভাবা যায়নি। এমনটাই করেছে গিধনি স্পোর্টিং ক্লাব। তাঁদের থিম, টোকিও অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী নীরজ চোপড়া।
মণ্ডপের সামনেই জ্যাভলিন ছোঁড়ার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। পিছনে মূল মণ্ডপ। সেটি পুরোটাই এবারে ভারতের অলিম্পিক কীর্তি নিয়ে। ছেলে ও মেয়েদের হকি থেকে শুরু করে বক্সিং, ভরোত্তলনের মডেল তৈরি করা হয়েছে। উপরে অলিম্পিকের লোগো। মণ্ডপের ভিতরে ভারতের খেলার দুনিয়ায় পুরনো কীর্তি, তালিকায় কপিল দেবের বিশ্বজয় থেকে শুরু করে অলিম্পিকে ভারতের সোনা জয়ের ছবি।
বিভিন্ন আর্ট ফর্ম নিয়ে কাজ হয় দুর্গাপুজোয় কিন্তু স্পোর্টস নিয়ে কাজ প্রায় হয় না বললেই চলে। সেদিক থেকে এই মণ্ডপ অন্য বার্তা দিয়েছে তা বলা যেতেই পারে।