Durga Puja 2021: ভিন রাজ্যে গিয়েও সহজে দেওয়া যাবে মহাষ্টমীর অঞ্জলি

নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: সোমবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো। তবে দুর্গাপুজোয় বহু বাঙালি পরিবার ভিন রাজ্যে ভ্রমণে গিয়ে থাকেন। আজকাল বেশিরভাগ মানুষেরই…

Anjali of Mahastami

নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: সোমবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো। তবে দুর্গাপুজোয় বহু বাঙালি পরিবার ভিন রাজ্যে ভ্রমণে গিয়ে থাকেন। আজকাল বেশিরভাগ মানুষেরই সময় কম। কারণ অফিস বা ব্যবসায় সেভাবে ছুটি মেলে না। তাই পুজোর ছুটিতে তাঁরা বাইরে ঘুরে আসতে চান। কিন্তু ভিন রাজ্যে গেলেও সেখানেও মিলবে অঞ্জলি দেওয়ার সুযোগ। এখন প্রশ্ন হল কোন কোন রাজ্যে গেলে মহাষ্টমীর অঞ্জলিতে দিতে কোন অসুবিধে হবে না বাঙালি পর্যটকদের।

বাংলা ছাড়াও দিল্লি, মহারাষ্ট্র, অসম, ওড়িশা, ঝাড়খন্ড, বিহারেও রীতিমতো দুর্গাপুজো হয়। এই সব রাজ্যে বেড়াতে গেলে অঞ্জলি দেওয়ার সমস্যা হবে না। অর্থাৎ বাইরে ঘোরাও হবে, আবার দেওয়া হবে মহাষ্টমীর অঞ্জলি। এমনকী চাইলে দেবীর ভোগ খেতেও পারবেন।

বাংলার পরেই ধুমধাম করে দুর্গা পুজো হয় দিল্লিতে। বিশেষ করে দিল্লির বাঙালি পাড়া হিসেবে পরিচিত চিত্তরঞ্জন পার্কে গেলে কারও মনেই হবে না কলকাতার বাইরে আছেন। এখানে রীতিমতো অঞ্জলি দিতে পারবেন। এমনকী উদ্যোক্তাদের বলে রাখলে ভোগের অভাব হবে না। যদি বাঙালি খাবার খাওয়ার ইচ্ছে হয় তবে চিত্তরঞ্জন পার্ক সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর বাঙালি রেস্তোরাঁ আছে। যারা দুর্গাপূজার জন্য বিশেষ মেনু তৈরি করে।

দিল্লির পর অসমেও রীতিমতো দুর্গাপুজো হয়ে থাকে। এই রাজ্যে গেলেও ঘোরার পাশাপাশি অঞ্জলি দিতে কোন সমস্যা হবে না। আসামের গুয়াহাটি, তেজপুর, দিসপুরের মত জায়গায় প্রচুর দুর্গাপুজো হয়। সুন্দর সুন্দর প্রতিমা। রয়েছে পুজোর বিশেষ আয়োজন। যথেষ্ট নিষ্ঠুর সঙ্গেই পুজো হয় অসমের বিভিন্ন এলাকায়। তাই অসম বেড়াতে গিয়ে অঞ্জলি কোনওভাবেই মিস হবে না। বাঙালি খাবার, না সেটা মিস করবেন না।

আমরা এখনও অনেকেই বলি বাঙালিদের দ্বিতীয় বাড়ি হচ্ছে বেনারস বা কাশী। যেখানে বাঙালি থাকবে সেখানে দুর্গাপূজা হবে না, এটা কি ভাবা যায়। তাই কাশীতে যথেষ্ট ধুমধামের সঙ্গে দুর্গোৎসব পালিত হয়। কাশিতে পৌঁছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি যেকোনও পুজো প্যান্ডেলে গিয়ে মহাষ্টমী, মহানবমীর অঞ্জলি দিতে এতোটুকু সমস্যায় পড়বেন না পর্যটকরা। কাশীতে গেলে উপরিপাওনা হল দশেরা। এখানে দুর্গাপুজোর পাশাপাশি ধুমধামের সঙ্গে দশেরা পালিত হয়।

বাংলার পাশের বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডে প্রচুর দুর্গাপূজা হয়। কারণ এই তিন রাজ্যে বাঙালির সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাই পুরী ঘুরতে গিয়ে দুর্গাপুজো কখনওই মিস হবে না। পাশাপাশি বিহার ও ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যকর জায়গাগুলিতে গেলেও দুর্গাপুজো উপভোগ করতে কোনও অসুবিধা নেই।

সবশেষে আসা যাক দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বইয়ের কথায়। মুম্বইয়ে বাঙালির অভাব নেই। একসময় বহু বাঙালি এখান থেকে পুজোর সময় নিজেদের রাজ্যে ফিরতে পারতেন না। সে কারণেই তাঁরা মুম্বইয়ে পুজো চালু করেছিলেন। তাই মুম্বইয়ে ঘুরতে গিয়ে দুর্গাপুজোর অঞ্জলি দিতে কোনও সমস্যা নেই। পাশাপাশি মুম্বাইয়ের পুজো প্যান্ডেলগুলিতে খাওয়া-দাওয়ার এলাহী আয়োজনও থাকে। পুজোর চারদিন বাঙালি খাবারের অভাব নেই। বিরিয়ানি থেকে পায়েস সব কিছুই মিলবে মুম্বইয়ে। উপরি পাওনা হিসেবে হয়তো কোন প্যান্ডেলে দেখা হয়ে যেতে পারে আমির খান, সলমান খান বা করিণা কাপুরের সঙ্গেও।