বিশেষ প্রতিবেদন: একটা পূজো মণ্ডপ আর তার ছত্ৰছায়াতেই তৈরি হল ১৬টি ক্লাবের দুর্গা। যা মহালয়ার আগে পাড়ি দিল মণ্ডপের পথে। এভাবেই একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে উৎসব মহোৎসবে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ নিল চোরবাগান সার্বজনীন।।
আজ থেকে প্রায় ৩ মাস আগে একটা ছোট্ট পরিকল্পনা আজ মহীরুহের রূপ নিয়েছে। শহরের ১৬ টি ক্লাবের মাতৃ মূর্তি গড়ার দায়িত্ব নিয়েছে চোরবাগান। এই বছর চোরবাগানের পুজোর পরিকল্পনা “ছত্রছায়া” এবং চোরবাগান এই করোনা পরিস্থিতিতে সত্যিই ছত্রছায়া হয়ে উঠতে পেরেছে।
লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হয় পুজো উদ্যোক্তাদের। চোর বাগানের মণ্ডপ হয়ে ওঠে যেন কুমোরটুলি। নয় নয় করে তেরোটি প্রতিমা তৈরি হয় একই ডিজাইন একই আদল এবং একই জায়গায়। নিজেদের প্রতিমার পাশাপাশি অন্যদেরও। যার পোশাকি নাম দশাঙ্গনে দশভুজা। প্রতিমা তৈরির দায়িত্বে শিল্পী বিমল সামন্ত।
টাকা না থাকলে পুজোয় সমস্যা যাদের তাদের মধ্যে লটারি করে বেছে নিয়ে তাদের পাশে চোরবাগান সর্বজনীন। ১০১ টাকার বিনিময়ে এক-একটি প্রতিমা দিচ্ছে চোরবাগান সর্বজনীন। এই তালিকায় রয়েছে ফ্রেন্ডস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন, ২) সারথী, ৩) বেলেঘাটা নবালয় সংঘ ক্লাব, ৪) আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র ক্লাব, ৫) মধ্য কলকাতা বিশ্বকল্যাণ সর্বজনীন, ৬) মা আগমনী সংঘ, ৭) আদি কাম্বুলিটোলা ও শ্যামবাজার স্ট্রিট সর্বজনীন দুর্গৎসব, ৮) ভবানীপুর কিশোর সংঘ, ৯) দুর্গাপুজা বিএল ব্লক কমিটি, ১০) বেলেঘাটা সরকার বাজার বিবেকানন্দ সংঘ। এছাড়াও তিনটি বিশেষ পুজো উদ্যোগকে দেওয়া হচ্ছে প্রতিমা। আরো তিনটে ক্লাবকে আর্থিক সাহায্য। বিশেষভাবে নির্বাচিত পুজোগুলি হল, ১) কলকাতার যৌনপল্লি এলাকার দুর্বারের পুজো, ২) মেদিনীপুরের ক্লাব ভীমেশ্বরী যুব ছাত্র সংঘ, ৩) ২৮ নং পল্লি মহিলাবৃন্দ।
এছাড়া যে সকল পুজো ১০০০১/- টাকা করে পেয়েছেন, ১) পানশিলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি, ২) তালবাগান আদিবাসীবৃন্দ, ৩) ২১ নং কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের। উৎসব হোক সবার। সেই বার্তা নিয়েই ছত্রছায়া হয়ে দাঁড়িয়েছে চোরবাগান সর্বজনীন।