স্পোর্টস ডেস্ক: হেড কোচ ইগর স্তিম্যাচের কোচিং’এ অষ্টম বারের জন্য ভারত সাফ কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, নেপালের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে জিতে। এবার হেড কোচ ইগর স্তিম্যাচের কাছে পাখির চোখ ভারতীয় যুব দলকে AFC U23 এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন করানো।
ইগর স্তিম্যাচ ভারতী সিনিয়র ফুটবল দলের হেড কোচ হিসেবে প্রথম ট্রফি জিতেছে সদ্য সাফ কাপ ২০২১। এবার তার মিশন AFC U23 এশিয়ান কাপ কোয়ালিফাই করা যুব ভারতীয়দের সঙ্গে নিয়ে। AFC U23 এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ খেলতে যুব ভারতীয় দল বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পৌছে গিয়েছে।
AFC U-23 এশিয়ান কাপ টুর্নামেন্টে যোগ্যতা অর্জনের জন্য ভারতকে তিনটে ম্যাচ খেলতে হবে। ২৪ অক্টোবর ম্যাচ রয়েছে ওমানের বিরুদ্ধে। ২৭ অক্টোবর ইউএই’র বিরুদ্ধে এবং ৩০ অক্টোবর কিরগিজিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলবে ভারতীয় যুব দল।
“প্রত্যেক দেশেরই প্রতিভাবান তরুণ এবং অনূর্ধ্ব -২৩ খেলোয়াড় যারা ইতিমধ্যে নিজের দেশের হয়ে সিনিয়র পর্যায়ে খেলছে, এবং আমরাও তাই। কিন্তু আমাদের এই দলে ভারসাম্য খুঁজে বের করতে হবে,” এমনই মত হেড কোচ ইগর স্তিম্যাচের।
“আমাদের জন্য ভালো বিষয় হল আমাদের এখানে ইতিমধ্যেই এই দলের কয়েকজন খেলোয়াড় যারা জাতীয় দলের অংশ ছিল, এবং আবহাওয়া কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে সচেতন এবং ভক্তদের প্রত্যাশাও কি সেটাও জানা , বলেন ইগর স্তিম্যাচ। সঙ্গে এও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য সবসময় একই, বাইরে গিয়ে প্রতিটি ম্যাচ জিততে হবে। কিন্তু এটা নির্ভর করে কতটা পূর্ণ শক্তি নিয়ে আমরা বিপক্ষের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হয়ে বিপক্ষ দলের শক্তি সম্পর্কে তথ্য জোগার করছি।”
“আমি এই ছেলেদের সাথে অনেক বেশি করে জড়িয়ে আছি। খেলোয়াড়েরা যারা আমাদের বেঞ্চে রয়েছে, তাড়া অতিরিক্ত শক্তি জোগাচ্ছে। তারা বয়সে তরুণ এবং তাদের সাথে কাজ করা অনেক সহজ। আমাদের তাদেরকে বুঝতে হবে যে বয়সে তারা তরুণ, আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে দ্রুত তাদের শেখার সাথে সাথে তাদের তৈরি করতে পারি,” এমনটাই জানিয়েছেন হেড কোচ ইগর স্তিম্যাচ। ভারতীয় যুব দল ২১ তারিখ,বৃ্হস্পতিবার অনুশীলনে নামবে।
গোটা সাফ কাপ টুর্নামেন্টে অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর ভারত কোন ম্যাচ হারেনি। বাংলাদেশকে ১০ জনে পেয়ে ১-১ গোলে ড্র এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র, সাফ কাপে ভারতের হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর হেড কোচ ইগর স্তিম্যাচের ফুটবল বোধ নিয়ে নানা বিতর্ক দানা বেধেছিল। কিন্তু নেপালের বিরুদ্ধে সুনীল ছেত্রীর করা একমাত্র গোলে ভারত আশা জিইয়ে রাখে। আর মালদ্বীপের বিরুদ্ধে ৩-১ গোলে জিতে ভারত সাফ কাপের ফাইনালে চলে যায়। এরপর ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে ভারত সাফ কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়,অষ্টম বারের জন্য।
মালদ্বীপে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর ধীরজ সিং, সুরেশ সিং, লেলেংমাওয়িয়া রালতে, জ্যাককসন সিং এবং রহিম আলীর মতো ফুটবলারেরা ব্যাঙ্গালুরুতে U-23 দলে যোগ দিয়েছিল। AFC U-23 এশিয়ান কাপ টুর্নামেন্টে যোগ্যতা অর্জনের জন্য ২৮ জন ফুটবলারকে শিবিরে ডাকা হয়। এর মধ্যে সাহিল পানওয়ার ছাড়া বাকি সবাই বেঙ্গালুরুতে রিপোর্ট করেছেন। ওড়িশা এফসির মেডিকেল রিপোর্ট অনুসারে, সাহিল এখনও চোট লেগে ভুগছেন এবং তাই কোয়ালিফায়ারদের স্কোয়াড থেকে ছিটকে গিয়েছে।
AFC U-23 এশিয়ান কাপ টুর্নামেন্টে যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচে ২৩ জন ফুটবলার হলেন
গোলকিপার: ধীরাজ সিং, প্রভুসুখন সিং গিল, মহম্মদ নওয়াজ।
ডিফেন্ডার: নরেন্দ্র গহলট, অ্যালেক্স সাজি, হরমিপাম রুইভা, অসীশ রাই, সুমিত রাঠি, আকাশ মিশ্র।
মিডফিল্ডার: সুরেশ সিং, অমরজিৎ সিং, লেলেংমাওয়িয়া, জ্যাককসন সিং, দীপক টাংরি, রাহুল কেপি, কোমল থাতাল, নিখিল রাজ, ব্রাইস মিরান্ডা, প্রিন্সটন রেবেলো।
ফরোয়ার্ড : বিক্রম প্রতাপ সিং, রহিম আলী, রোহিত দানু, অনিকেত যাদব।
হেড কোচ: ইগর স্তিম্যাচ।