Sports desk: ভারত-পাক ক্রিকেট ম্যাচ জাতীয় স্বার্থ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম’ বিরোধী। ক্রিকেট ও জঙ্গিবাদ এক মঞ্চে থাকতে পারে না। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন যোগগুরু বাবা রামদেব।
রবিবার সন্ধ্যায় দীর্ঘ সময় ঝুলে থাকার পর ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হতে চলেছে বাইশ গজে। বিশেষজ্ঞদের মতে ভারত-পাক ক্রিকেট ম্যাচের মতো এত উত্তেজনাপূর্ণ খেলা ক্রিকেটে আর হয় না। সর্বাধিক লাভবান ক্রিকেট ম্যাচ হয় দুই দেশের মধ্যে।
আর কয়েক ঘন্টা পরেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লড়াইয়ে নামতে চলেছে ভারত ও পাকিস্তান। দীর্ঘ কয়েক বছর পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে ভারত। উত্তেজনাপূর্ণ সেই ম্যাচ শুরুর আগেই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন যোগগুরু রামদেব। যোগগুরু পরিষ্কার জানালেন ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচ জাতীয় স্বার্থবিরোধী।
নাগপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেছেন রামদেব। কী কারণে তিনি এই মন্তব্য করেছেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। যোগগুরু বলেছেন, ক্রিকেট খেলা আর সন্ত্রাসের খেলা এই দু’টো কখনওই একসঙ্গে চলতে পারে না। পাকিস্তান যদি আমাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলবে বলে মনে করে তবে তাদের আচরণ বদলাতে হবে।
ইসলামাবাদ একদিকে জঙ্গিদের মদত দেবে, নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে জঙ্গিদের ভারতে অনুপ্রবেশে সাহায্য করবে, আবার আমাদের সঙ্গে খেলতেও চাইবে এ দু’টো কখনওই একসঙ্গে হয় না। যে দেশ এ ধরনের ভূমিকা পালন করে, যারা নিরন্তর অন্যের ক্ষতি করে চলে তাদের সঙ্গে খেলার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে খেলার সিদ্ধান্তকে দেশ বিরোধী বলা যেতেই পারে। আগে পাকিস্তান নিজেদের চরিত্র বদলাক। জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ করুক। জঙ্গি দমনে এগিয়ে আসুক। তারপর না হয় ওদের সঙ্গে খেলা যাবে।
জঙ্গিদের মদত দেওয়া পাকিস্তানের বরাবরের অভ্যাস। জঙ্গিরা কখনওই একটা নির্দিষ্ট দেশ ও কালের গণ্ডির মধ্যে আটকে থাকে না। পাকিস্তানের মদত পুষ্ট জঙ্গিরা শুধু ভারতের জন্য নয় গোটা বিশ্বের ক্ষেত্রেই বিপদজনক। তাই এমন একটি দেশের সঙ্গে খেলার কোনও দরকার নেই।
নাগপুরে থাকা রামদেবকে বলিউডের মাদক নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। এক প্রশ্নের উত্তরে রামদেব বলেন, বলিউডের যে সমস্ত তারকা গোটা দেশের তরুণ প্রজন্মের আদর্শ তাঁরাই মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছেন। এই সমস্ত তারকারাই তো মাদকের নেশাকে প্রকাশ্যে আনছেন। তাঁদের দেখেইতো দেশের তরুণ প্রজন্ম এগোবে। এই মাদকাসক্ত তারকাদের থেকে কী শিখবে দেশের নবীন প্রজন্ম। তাই বলিউড তারকাদের আচরণে আরও সংযত হতে হবে। মনে রাখতে হবে তাঁদের দেখেই শিখবে দেশের যুব সম্প্রদায়। তাঁরা যদি ভাল আচরণ করেন তবে যুব সম্প্রদায়ও সেটাই শিখবে। কিন্তু তাদের এই ঘৃণ্য আচরণ দেখে যুব সম্প্রদায় কী শিখবে? তাই বলিউড তারকাদের আরও সচেতন হতে হবে। তাঁরা সচেতন হলে সেটা দেশের পক্ষেই মঙ্গলের।