নিউজ ডেস্ক: কলকাতার তিনটি ডাকনাম আছে। ‘তিলোত্তমা’, ‘City Of Joy’ আর ‘ফুটবলের মক্কা’। এই তৃতীয় নামটির সঙ্গে চরম উন্মাদনার ময়দানের আবেগ জড়িয়ে। যে আবেগের বশে ১৩০ তম ডুরান্ড কাপ (Durand Cup ) টুর্নামেন্ট তেতে উঠেছে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের (Mohammedan sporting) কারণে।
যতই প্রতিপক্ষ হোক মহামেডান তবু মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা চাইছেন রেশমি কাবাব সৌরভে মাতোয়ারা হবেই যুবভারতী। টালিগঞ্জ অগ্রগামী বা অন্যান্য ক্লাব সমর্থকরাও গলা ফাটাচ্ছেন। ময়দান জুড়ে কলরব ‘জান জান মহামেডান’।
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীনতম ফুটবল টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপ শুরু হয়েছিল ১৮৮৮ সালে। আর মহামেডান ক্লাবের প্রতিষ্ঠা হয় ১৮৯১ সালে। সেই অর্থে প্রাচীনতম ক্লাব হিসেবে প্রাচীনতম টুর্নামেন্টে আছে সাদা-কালো জার্সির ‘ব্ল্যাক প্যান্থার্স’ দল। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও ভারত ভাগের কারণে এই টুর্নামেন্ট ১৯৪১-১৯৪৯ সাল পর্যন্ত বন্ধ ছিল।
প্রথম ভারতীয় দল হিসেবে স্বাধীনতার আগেই ১৯৪০ সালে ডুরান্ড কাপ জয়ের চিরকালীন নজির মহামেডানের। সেই ইতিহাসে ১১ জন ভারতীয় ব্রিটিশ দল ‘Royal Warwickshire Regiment’ কে ২-১ গোলে পরাজিত করেন। সেদিন ফুটবল মক্কা কলকাতা পাগলের মতো উল্লসিত হয়েছিল। সুদূর নিজামশাহী হায়দরাবাদে আতশবাজির ঝলক লেগেছিল।
ডুরান্ড কাপ দ্বিতীয়বার মহামেডানের দখলে আসে ২০১৩ সালে। ২-১ গোলে পরাজিত হয় ওএনজিসি। তৃতীয়বার ডুরান্ড আনতে মরিয়া মহামেডান। প্রতিপক্ষ এফসি গোয়া (FC Goa) দল। ফুটবল মক্কা কলকাতার একটাই ইচ্ছা রেশমি কাবাবের খোশবাই যেন হয়।