স্পোর্টস ডেস্ক: ১৩০ তম ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।৪-২ গোলে এফসি বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডকে হারিয়ে ফাইনালে সাদা কালো শিবির।
মহামেডানের হয়ে মার্কোস জোসেফ(৮),ফৈজল আলি(৩৭),ব্র্যান্ডন (১০৬) এবং নিকোলার পেনাল্টি থেকে গোল করে কালো চিতারা ডুরান্ড ফাইনালের আগে হুঙ্কার দিচ্ছে। এই জয়ের সঙ্গে গ্রুপ ম্যাচের মধুর প্রতিশোধ নিল মহামেডান। দীর্ঘ ৮ বছর পর এফসি বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডকে হারিয়ে ডুরান্ডের ফাইনালে।
কলকাতা ফুটবলের মক্কা তা ফের একবার প্রমাণিত হল আজকের সেমিফাইনাল ম্যাচ ঘিরে। ডুরান্ডে কলকাতার হয়ে খেলছে একমাত্র মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এদিনের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা মহামেডান ক্লাবের সমর্থনে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বসে গলা ফাটায়।অন্যদিকে মোহনবাগান সমর্থকেরাও যুবভারতীর গ্যালারিতে বসে মহামেডান ক্লাবকে সমর্থনের সঙ্গে#Break The Merger পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদ জানায়।
তবে যুবভারতীর পুরনো রোগ ফের একবার মাথা চাড়া দেয়,ম্যাচ শুরুর আগে।আলো বিভ্রাটে গোটা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন অন্ধকার হয়ে যায়।ফলে ম্যাচ শুরু হতে বিলম্ব হয়।ম্যাচ চলাকালীন ৯১ মিনিটে এফসি বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডের পেড্রো মানঝি লাল কার্ড দেখেন। ম্যাচ পেন্ডুলামের মতো ঘুরেছে বয়স যত গড়িয়েছে।ম্যাচের ৩৬ সেকেন্ডে পেড্রো মানঝির ১৮ গজ দূর থেকে নেওয়া জোরালো শট আর ৭৮ মিনিটে কিংশুক দেবনাথ এফসি বেঙ্গালুরুর হয়ে গোল করেন।মার্কোস মহামেডানকে ৮ মিনিটের মাথায় ১-১ গোলের সমতায় ফেরায়।ম্যাচের ৩৬ সেকেন্ডে ঝটিকায় পেড্রো মানঝির করা দুরন্ত গোল সাদা কালো শিবিরকে জোরালো ধাক্কা দেয়।
কিন্তু মহামেডান ম্যাচে দ্রুত কামব্যাক করে গোলের সমতায় ফিরে আসে।৩৭ মিনিটে মার্কোসের পাস থেকে ফৈজল গোল করে মহামেডানকে ২-১ লিড দেয়। ম্যাচের ৯০ মিনিটে স্কোরলাইন ২-২ গোল হওয়ার জন্য ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়।১০৬ মিনিটে ব্র্যান্ডন এবং ১০৯ মিনিটে এফসি বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডের রাভাননের হাত বল লাগলে রেফারি পেনাল্টির অর্ডার দেয়। নিকোলা মহামেডানকে পেনাল্টি শ্যুট আউটে ৪-২ গোলে ডুরান্ডের সেমিফাইনাল ম্যাচ জিতিয়ে ফাইনালের টিকিট পকেটে পুড়ে ফেলে।