Durand Cup: খরা কাটাতে আত্মবিশ্বাসী মহামেডান স্পোর্টিং

স্পোর্টস ডেস্ক: আগামীকাল, বৃ্হস্পতিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খেলতে নামছে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব৷ বিপক্ষে গোকুলাম কেরালা এফসি। কেরালার এই ক্লাব গত বছরেও ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সাদা-কালো…

Mohammedan Sporting Club

স্পোর্টস ডেস্ক: আগামীকাল, বৃ্হস্পতিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খেলতে নামছে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব৷ বিপক্ষে গোকুলাম কেরালা এফসি। কেরালার এই ক্লাব গত বছরেও ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

সাদা-কালো শিবির ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ১৯৪০ সালে প্রথমবার। ভারত তখন পরাধীন, ইংরেজ উপনিবেশ কায়েম।ব্রিটিশ রেজিমেন্ট দল রয়্যাল ওয়ার্কশিয়র রেজিমেন্টকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথম বার ডুরান্ড ট্রফি নিজেদের ক্লাব তাঁবুতে তুলে আনে। মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব মোট তিন বার ডুরান্ডের ফাইনালে পৌছলেও মাত্র ২ বারই ট্রফি জিতেছে। ২০১৩ সালে তারা সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন হয়৷

১৩৩ বছরের প্রাচীন এই ফুটবল টুর্নামেন্ট বিশ্বের তৃতীয় পুরনো ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্যে অন্যতম। ইংলিশ এফ এ কাপ এবং স্কটিশ এফ এ কাপ বিশ্বের প্রাচীন ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্যে পড়ে।

Mohammedan Sporting Club

মহামেডান কোচ আন্দ্রে চের্নিসভ ডুরান্ড কাপ শুরু হওয়ার আগে থেকেই বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। স্থানীয় দল হিসেবে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব একমাত্র ডুরান্ড কাপে অংশ নিচ্ছে,তাই প্রত্যাশাও আকাশ ছোঁয়া। এই নিয়ে ব্ল্যাক প্যান্থার্সের রাশিয়ান কোচ জানিয়েছেন,”প্রতিটি খেলা এবং প্রতিটি টুর্নামেন্টে চাপ থাকে। ভক্ত এবং ক্লাবের ব্যবস্থাপনা আমাদের কাছ থেকে জয় আশা করে। আমরা এই বিষয়ে খেলোয়াড়দের সাথে অনেক কথা বলি এবং তারা এর জন্য প্রস্তুত।”

প্রস্তুতিতে কোনও খামতি ছিল না এবং ফুটবলারেরা গোটা টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরাটা নিঙড়ে দিয়ে কোয়াটার ফাইনাল স্টেজে উঠে এসেছে তা সাদা কালো শিবিরের কোচ আন্দ্রে চের্নিসভের বক্তব্যকেই তুলে ধরে। মহামেডান কোচের সাফ কথা গোটা মরশুম নিয়ে তিনি এখনই কোনও চিন্তা ভাবনা করছেন না। এখন ফোকাস শুধুই ডুরান্ড কাপ।

Mohammedan Sporting Club

কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন,মোহনবাগান ক্লাব মাঠ এবং কল্যাণী স্টেডিয়াম এই তিন ভেন্যুতে চলতি ডুরান্ড কাপ আয়োজিত হচ্ছে। ১৮৮৮ সালে হিমাচল প্রদেশের সিমলায় ডুরান্ড কাপ প্রথম আয়োজিত হয়। প্রথম বার ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রয়্যাল স্কটশ ফুসিলারস।২-১ গোলে তারা হারিয়েছিল হাইল্যান্ড লাইট ইনফ্রেন্টিকে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দেশবিভাগের সময়ে এবং ভারত -চীন যুদ্ধের সময়ে ডুরান্ড কাপ সাময়িক ভাবে স্থগিত করা হয়েছিল।

ব্রিটিশ শাসনে বিদেশ সচিব মরটিমার ডুরান্ডের নামে ডুরান্ড ফুটবল টুর্নামেন্ট সোসাইটি এই ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু করে। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী এই টুর্নামেন্টের দায়িত্বতে। ১৯৪০ সালে ডুরান্ডের ভেন্যুতে বদল আসে এবং তা দিল্লীতে আয়োজিত হতে শুরু করে।

ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিগত সময়ে।দুই আর্চ রাইভাল ১৬ বার করে ডুরান্ড ট্রফি নিজেদের ক্লাব তাঁবুতে তুলে এনেছে। সবথেকে বেশি ২৮ বার ডুরান্ড কাপ ফাইনাল খেলেছে সবুজ মেরুন শিবির। ডুরান্ডে সবথেকে বড় ব্যবধানে জয় এসেছে ১৮৮৯ সালে,হাইল্যান্ড লাইট ইনফ্রেন্টি ৮-১ গোলে হারিয়েছিল সিমলা রাইফেলসকে(দ্বিতীয় পাঞ্জাব ভলেন্টিয়ার্স রাইফেল কুপর্স)। আগামীকাল দুপুর ২ টোর সময়ে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খেলতে নামবে গোকুলাম কেরালা এফ সি’র বিরুদ্ধে।