Sports desk: প্রথম ম্যাচে জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে ড্র ও দ্বিতীয় ম্যাচ হাইভোল্টেজ ডার্বিতে শোচনীয় হারের ধাক্কা সামলে দুদিনের মাথায় নিজেদের জয়ের ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনাটাই ছিল চ্যালেঞ্জ এসসি ইস্টবেঙ্গলের কাছে।
মঙ্গলবার তিলক ময়দানে তাদের সামনে ওডিশা এফসি বনাম এসসি ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের ফলাফল অতি বড় লাল হলুদ সমর্থককেও লজ্জায় মুখ ঢেকে রাখতে হবে। ম্যাচের ফলাফল ওডিশা এফসি ৬-৪ এসসি ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের প্রথমে ডাচ খেলোয়াড় ড্যারেন সিডোলই করা গোলে লিড নেয় এসসি ইস্টবেঙ্গল।
কিন্তু, মাঝমাঠে বোঝাপড়ার অভাব আর দুর্বল রক্ষণ দুই’র মিশেলে প্রতিবেশী রাজ্যের দলের কাছে বিধ্বস্ত লাল হলুদ শিবির। ‘ব্যাক টু ব্যাক’ পাঁচ গোল ওডিশা এফসির, খেল খতম। মহা ডার্বি ম্যাচের হতশ্রী পারফরম্যান্স এখনও লাল হলুদ শিবিরের অন্দর মহলে তাড়া করে বেরাচ্ছে বোঝা গেল এদিনের ম্যাচের রেজাল্টে।
প্রথম ৪৫ মিনিটের পরে ওডিশা এফসি এগিয়ে ছিল ৩-১ গোলে। কিন্তু হেক্টর রোডাসের জোড়া গোল ও প্রাক্তন সবুজ-মেরুন তারকা হাভিয়ে হার্নান্ডেজের অসাধারণ গোলে পিছিয়ে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। গোটা ৯০ মিনিটে ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে খুবই আগোছালো ফুটবল খেলেছে লাল হলুদ শিবির। গতবার আইএসএল টুর্নামেন্টে সকলের পিছনে থাকা ও সদ্য বেঙ্গালুরু এফসি’কে হারিয়ে আসা ওডিশাকে এফসিকে বেশ চনমনে লেগেছে এদিনের ম্যাচে।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই পরিবর্তনের পথে হাটে, ফলে ম্যাচের ছবিতে বদলে আসে। একদিকে ওডিশা স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড আরিদাই সুয়ারেজ রীতিমতো ঝড় তুলে দু’গোল করেন। অন্য দিকে, ড্যানিয়েল চিমা নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে জোড়া গোল করে দলকে পাল্টা লড়াইয়ের ট্র্যাকে নিয়ে আসেন।
লাল-হলুদ শিবিরের রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে নামা আর এক তরুণ খেলোয়াড় সেম্বয় হাওকিপও দুর্দান্ত একটি গোল করে দলকে অক্সিজেন জোগান দেয়। কিন্তু কোনও সময়ই প্রতিপক্ষ ওডিশা এফসি হাল ছেড়ে দেয়নি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চালিয়ে যেতে থাকে এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে। ফলে কলকাতার দল ম্যাচে কখনই নিশ্চিত ছিল না লিড নিয়ে। শেষ পর্যন্ত গত মরশুমের শেষ ম্যাচের স্মৃতি ফিরিয়ে ৬-৪ গোলে ম্যাচ জেতে ওডিশা এফসি, এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। ম্যাচের শেষ ১৩ মিনিটে ব্যাক টু ব্যাক পাঁচ গোল হয়। শেষ তিন মিনিটে হয় তিনটে গোল।
লজ্জা সঙ্গে একরাশ হতাশা আর ক্ষোভ লাল হলুদ সমর্থকদের মধ্যে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে থেকেই লাল হলুদ শিবিরে চুক্তি জট আইএসেলের প্রস্তুতিতে বড় ধাক্কা। ওই সময়ে ঘর গোছানোর পালার বদলে বিতর্ক আর কানাঘুষো নিয়েই কচকচানি। পরে প্রস্তুতি ম্যাচে খামতি না থাকলেও, প্রস্তুতি ম্যাচ আর টুর্নামেন্ট চলাকালীন ম্যাচের টেম্পারমেন্ট আলাদা, তা সকলেই বোঝে, অথচ বুঝেও না বোঝার ‘ভণিতা’ আগামী আইএসএলের ম্যাচে কতটা প্রভাব ফেলে, দল জয়ের ট্র্যাকে ফিরে আসে কিনা এমন সুক্ষ আশা করা যেতেই পারে,কেননা সবে তিন ম্যাচ হয়েছে। হাইভোল্টেজ ডার্বির শোচনীয় পরাজয়ের পরেও এসসি ইস্টবেঙ্গলের কাছে একটা জয় পুরো টিমের টেম্পারমেন্ট ফিরিয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।