স্পোর্টস ডেস্ক: ১৩০ তম ডুরান্ডের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে এফসি গোয়া বনাম বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচেও যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এটিকের সঙ্গে মোহনবাগান ক্লাবের মার্জার ভাঙার দাবিতে সবুজ মেরুন সমর্থকেরা পোস্টার লাগালেন #Break The Merger। এদিনের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ১ মিনিটের মাথায় শিভাশক্তির করা গোলে ১-০ এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু এফসি।
অবশ্য এই লিড বেশিক্ষণ বজায় ছিল না। এফসি গোয়া দুরন্ত কামব্যাক করে ম্যাচে ফিরে আসে। ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় দেভেন্দ্র’র করা গোলে ১-১ গোলের সমতায় ফিরে আসে গোয়ার দলটি।ম্যাচের প্রথমার্ধে এফসি গোয়া গোলের লিড বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল,কিন্তু খুব বাজে ভাবে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে।
ডুরান্ডের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের প্রথমার্ধে ১-১ গোলে স্কোরলাইন থেকে সেকেন্ড হাফে দুই দলই গোলের ব্যবধান বাড়াতে তেড়েফুঁড়ে খেলতে শুরু করে।ম্যাচের ৭২ মিনিটে এফসি গোয়ার হয়ে ২-১ গোলের লিড দেয় রিদিম। কিন্তু এবারও এফসি গোয়া গোলের লিড ধরে রাখতে পারেনি। ১০ মিনিটের মাথায় বেঙ্গালুরু এফসি শিভার গোলে ২-২ গোলের সমতায় ফিরে আসে। ম্যাচের ৯০ মিনিট ২-২ গোলের স্কোরলাইন ছিল।
এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু ১২০ মিনিটে কোনও দলই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। নিজেদের ডিফেন্সকে জমাট করে রাখে দুই দল। ফলে ২-২ গোলের সমতায় ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ ট্রাইবেকারে গড়ায়।
রুদ্ধশ্বাস ট্রাইবেকারে শুট আউটে এফসি গোয়া১-১ বেঙ্গালুরু এফসি গোলের পর দুই দলই গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে পেনাল্টি শ্যুটে।এরপর যথারীতি দুই দলই ট্রাইবেকারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৬-৬ গোলের স্কোরলাইন দাঁড় করায়। এরপর এফসি গোয়া স্কোরলাইন ৭-৬ লিড নেয়।কিন্তু এরপরেই ঘটে অঘটন, শেষে ট্রাইবেকারে বেঙ্গালুরু এফসি গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে বসতেই এফসি গোয়া ডুরান্ড কাপ ফাইনালের টিকিট পকেটে পুড়ে ফেলে। ডুরান্ডের ফাইনালে ৩ অক্টোবর সন্ধ্যে ছটার সময়ে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মুখোমুখি হবে এফসি গোয়া।