প্রসেনজিৎ চৌধুরী: ওপারে আফগানিস্তান, এপারে পাকিস্তান। মাঝে রয়েছে এমন একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট যাকে ঘিরে ফুটবল মক্কা কলকাতা হয় সরগরম। ১৩১ তম বছরে পড়ে গিয়েছে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ফুটবল প্রতিযোগিতা। টুর্নামেন্টের উদ্বোধন হয়েছে কলকাতায়। উদ্বোধক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গোটা দুনিয়া
এখন তাকিয়ে আফগানিস্তানে। কারণ সেখানে ভয়াবহ তালিবান জঙ্গিরা আমেরিকার কূটকৌশলে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায়। এই গোষ্ঠীর নৃশংসতম ছবি ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত দেখেছে বিশ্ব। প্রকাশ্যে মাথা কাটাত তালিবান। তখনও তারা আফগানিস্তানের সরকারে।
ডুরান্ড রেখা: ওপারে তালিবানিস্তান, এপারে পাকিস্তান!
তালিবান কব্জায় যাওয়া আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে ২ হাজার ৪৩০ কিলোমিটার লম্বা সীমান্তরেখা। এটিই বিখ্যাত ডুরান্ড রেখা বা ডুরান্ড লাইন। তবে যখন এই সীমান্ত রেখা এঁকেছিলেন ব্রিটিশ সার্ভে অফিসার ব্রিটিশ আধিকারিক স্যার মর্টিমার ডুরান্ড তখন ছিল ব্রিটিশ দখলের ভারত- স্বাধীন আফগানিস্তানের সীমান্ত।
১৮৯৩ সালে আফগান শাসক আমির আব্দুর রহমান খানের সঙ্গে ব্রিটিশদের কূটনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ততদিনে আফগানিস্তানের সঙ্গে দুটি যুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল ব্রিটিশ ভারতের। আফগানিস্তানে কিছু করতে না পেরে সন্ধি করতে রাজি হয় ব্রিটিশরা। দ্বিতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধের পর তৈরি হয় ডুরান্ড সীমান্ত রেখা। সেই রেখা পেরিয়ে ফের যুদ্ধ হয় ১৯১৯ সালে। আফগানিস্তান স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
ডুরান্ড সীমান্ত রেখার সঙ্গেই মিশে আছে ডুরান্ড কাপ। ১৮৮৮ সালে স্যার ডুরান্ডের নামে এই ফুটবল প্রতিযোগিতা সিমলাতে প্রথম অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বয়স অনুসারে এশিয়ার সবচেয়ে পুরোনো ফুটবল প্রতিযোগিতা ও বিশ্বের তৃতীয় পুরোনো ও সচল প্রতিযোগিতা ডুরান্ড কাপ। প্রথম ভারতীয় দল হিসেবে মহমেডান স্পোর্টিং স্বাধীনতার আগেই ডুরান্ড জয়ী। সেও এক অনন্য নজির। সর্বাধিক জয়ী মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল।