স্পোর্টস ডেস্ক: একদিন আগেই উজবেকিস্তানের নাসাফ এফসির কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছে এটিকে মোহনবাগান। এএফসি কাপের ইন্টারজোনাল সেমিফাইনালে ছ’গোল খেয়ে টুর্নামেন্ট অভিযান শেষ করেছে তারা। কিন্তু তার পরদিনই অন্য ফর্মে শহরের আরেক প্রধান। বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) গতবারের চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম কেরালা এফসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে। মার্কাস জোসেফ 88 মিনিটের মাথায় ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন।
আরও পড়ুন: এএফসির টিকিটে শুধুই Mohun Bagan, ATK উধাও হওয়ায় উচ্ছ্বসিত সবুজ-মেরুন সমর্থকরা
আরও পড়ুন: নাসাফে নাজেহাল ATK Mohun Bagan, হাফডজন গোল খেয়ে শেষ AFC Cup অভিযান
পিছন থেকে খেলে, সাদা কালো শিবিরের কোচ আন্দ্রে চের্নিশভের উচু বলে পাস বাড়ানোর টার্গেট বারে বারে ধাক্কা খাচ্ছিল। কারণ, গোকুলাম ডিফেন্সে থাকা বউবা আমিনো, ক্যারিবিয়ান ফরোয়ার্ডকে লক্ষ্য করে লম্বা বল এবং ক্রস খুঁজতে একটু অসুবিধা হয়েছিল।
চলতি ডুরান্ডে তিন ম্যাচে হারের যন্ত্রণা নিয়ে ব্ল্যাক প্যান্থার্সেরা টগবগ করে ফুটছিল জয়ের মুখ দেখার জন্যে। ৪০ মিনিটের মাথায় গোকুলামের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। এরপর বল পেয়ে প্রতি আক্রমণে উঠে আসে মহমেডান। এই প্রতি আক্রমণে উঠে আসায় গোকুলামের ডিফেন্স লাইন কেঁপে ওঠে। প্রতি আক্রমণের ঢেউ সামলাতে পারেনি গতবারের ডুরান্ড চ্যাম্পিয়নরা। এই সুযোগে দুরন্ত গোল করেন মার্কাস জোসেফ। মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ১-০ গোলে এগিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মোহনবাগানের শিল্ড জেতা ছাড়াও ১৯১১ সালে আরও দু’টি ঘটনা ঘটেছিল
আরও পড়ুন: ATK-নাম মোছার দাবিতে এবার বিক্ষোভের পথে সবুজ-মেরুন জনতা
এরপর গোকুলাম এফসিও গোলের সমতায় ফিরে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু গোলের লকগেট খুলতে পারেনি। মহামেডানের জমাট ডিফেন্স ভেদ করতে বারে বারে ব্যর্থ হতে হয়। রেফারি শেষ বাঁশি বাজতেই কোয়ার্টার ফাইনালে দারুণ জয় ছিনিয়ে নেয় মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ডুরান্ডের সেমিফাইনালে পৌছে যায় সাদা কালো শিবির।