স্পোর্টস ডেস্ক: ‘শীত গ্রীষ্ম, বর্ষা ব্যারেটোই ভরসা।’ এভাবেই হোসে র্যামিরেজ ব্যারেটো মোহনবাগান ক্লাবের ঘরের ছেলে হয়ে উঠেছিলেন। বৃ্হস্পতিবার ব্যারেটো মোহনবাগান ক্লাবে আসেন। আধুনিকীকরণ করা হয়েছে মোহনবাগান ক্লাব তাঁবুর,ঘুরে দেখলেন। সঙ্গে ছিলেন সৃঞ্জয় বসু এবং দেবাশিস দত্ত সহ প্রমুখেরা।
শুধু তাই নয়, ১৯১১ সালের। ঐতিহাসিক আইএফএ শিল্ড খেলার সময়ে বাগান ফুটবলারেরা যে জার্সি পরে বিপ্লবের বিগুল তুলেছিল, সেই ঐতিহাসিক ‘রেট্রো কিট’ শরীরে পড়ে নিলেন।ব্রাজিলিয়ন হলেও,আদ্যোপান্ত মোহনবাগানী একথা এখন নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
১৯৯৯ থেকে ২০০৪ প্রথম পর্যায়ে ব্যারেটো ১৮০ ম্যাচে মোহনবাগান জার্সি গায়ে ১২৬ টি গোল করেন। দ্বিতীয়বার ২০০৬ সালে ফের ফিরে আসেন গঙ্গা পাঁড়ের ক্লাবে।ওই সময় থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সবুজ মেরুন জার্সি পড়ে দাপিয়ে খেলেছেন ‘সবুজ তোতা’,মোহনবাগান সমর্থকদের আদরের দেওয়া নাম। এই সময়ে ব্যারেটো ১৯১ ম্যাচে ১০২ টি গোল করেন। ২০০৬ সালে মাহিন্দ্রা ইউনাইটেডের জার্সি সরিয়ে রেখে সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে চাপান রেকর্ড পরিমাণ অঙ্কে,প্রায় ৬০ লাখ টাকা। ব্যারেটো মোহনবাগান জার্সি গায়ে শেষবারের জন্য মাঠে নামেন আই লিগে ২০২১ সালের ৬ মে এফসি পুনের বিরুদ্ধে।
জাতীয় লিগ তথা আই লিগে ব্যারেটো বাগানের হয়ে ৯৪ টি ম্যাচে ১০১ টি গোল করে পঞ্চম গোলদাতা হিসেবে এখনও তালিকায় বর্তমান। ফেডারেশন কাপের ইতিহাসের পাতা ওল্টালে দেখা যাবে এখানেও হোসে র্যামিরেজ ব্যারেটো ২৭ গোল শীর্ষে রয়েছেন। এদিন ব্যারেটো মোহনবাগান ক্লাবে এলেন,দেখলেন আর জয় করলেন অসংখ্য,অগণিত সবুজ মেরুন সমর্থকদের হৃদয়।