নিউজ ডেস্ক: সদ্য টোকিও অলিম্পিক থেকে মহিলাদের বক্সিংয়ে ব্রোঞ্জ জিতে দেশে ফিরেছেন লাভলিনা বোর্গেহাই। আসামের মেয়ের পদক নিশ্চিত হওয়ার পরেই আনন্দে ভেসেছে তাঁর গোটা গ্রাম, গ্রামের রাস্তাও পাকা হচ্ছে বলে খবর। অল্পের জন্য পদক মিস করেছেন দেশের আরেক মহিলা বক্সার মেরী কম। ২০১২ সালে ব্রোঞ্জ জেতার পর এবারও পদক পেলে অনন্য নজির গড়তেন তিনি। মণিপুরের এই মেয়েকে নিয়ে গর্বিত গোটা দেশ। অন্যদিকে, ঠিক সেসময়েই বক্সিং রিং থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছেন আরেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন, রিতু।
আরও পড়ুন চোখের জলে বার্সেলোনা ছাড়লেন লিও মেসি
ইন্টার স্কুল বক্সিং প্রতিযোগীতায় দেশে সেরা হয়েছিলেন, নিজের জাত চিনিয়েছিলেন জাতীয় গেমসেও। তারপরেই অভাবের সংসারের হাল ধরতে ক্রমশ রিং থেকে দূরে চলে গেছেন তিনি। বর্তমানে সংসারের দায়িত্ব নিতে চন্ডীগড়ের সেক্টর ২২-এর শাস্ত্রী মার্কেটের পার্কিং লটে পার্কিং অ্যাটেনডেন্টের কাজ করছেন তিনি।
সাড়া জাগিয়ে শুরু করলেও ২০১৭ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে বক্সিং ছেড়ে দিতে বাধ্য হন তিনি। ২৩ বছর বয়সী রিতুর কথায়, “২০১৭ সালে আমার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর অসুস্থতার পর সংসারের দেখভালের দায়িত্ব নেয় আমার তিন ভাই। মোহালি, চন্ডীগড়ে দিনমজুর হিসেবে কাজ করে ওরা। কিন্তু তাতে সংসার না চলায় আমাকেও কাজে নামতে হয়। গত একবছর ধরে এই পার্কিং লটে কাজ করছি। আমার কাজ মূলত গাড়ি গুলির রসিদ সংগ্রহ করা, এর জন্য প্রতিদিন ৩৫০ টাকা করে পাই। সংসারের তাতে সাহায্য হলেও আমার মন পড়ে থাকে বক্সিং রিংয়েই। কিন্তু আমার কিছু করার নেই।”
অলিম্পিক সহ বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ভালো খেলে লাভলিনা, মীরাবাঈ চানু, পিভি সিন্ধু, রানি রামপালরা দেশের মানুষের বাহবা কুড়োচ্ছেন, ঠিক তখনই অন্য মেরুতে এই প্রাক্তন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। অবশ্য শুধু রিতুই নন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভাবের সঙ্গে লড়তে গিয়ে এভাবেই হারিয়ে যাচ্ছে বহু উঠতি প্রতিভা।