নিউজ ডেস্ক: এতদিন দেশের ক্রীড়া জগতের সর্বোচ্চ সম্মান ছিল রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কার। দেশের ক্রীড়া জগতে অবদানের জন্য যা পেয়েছেন তাবড় তাবড় ক্রীড়াব্যক্তিত্বরা। এবার নাম বদলে গেল সেই পুরস্কারের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করলেন, যে রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কার এবার থেকে “মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার” নামে পরিচিত হবে।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমি মেজর ধ্যানচাঁদের নামে খেলরত্ন পুরস্কারের নাম রাখার জন্য দেশের নাগরিকদের কাছ থেকে অনেক অনুরোধ পেয়েছি। তাদের মতামতের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। তাদের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে খেলরত্ন পুরস্কারকে মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার বলা হবে! জয় হিন্দ!”
১৯৯১-১৯৯২ সালে প্রথম দেওয়া হয় রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কার। প্রথমবার এই পুরস্কার পেয়েছিলেন দাবা কিংবদন্তি বিশ্বনাথন আনন্দ। এছাড়াও লিয়েন্ডার পেজ, শচীন টেন্ডুলকার, ধনরাজ পিল্লাই, পুল্লেলা গোপীচাঁদ, অভিনব বিন্দ্রা, অঞ্জু ববি জর্জ, মেরি কম এবং রানী রামপাল এই পুরস্কার পেয়েছেন।
ধ্যানচাঁদ ও হকি এই শব্দ দুটি সমার্থক। ধ্যানচাঁদের সতীর্থ এবং পাকিস্তান হকির অন্যতম রূপকার আলি ইক্তিদার শাহ্দারা বলে গেছেন- Cricket may affectionately recall its Grace, Hobbs and Bradman, and soccer its Matthews and Puskas, but hockey has one and only one Dhyan Chand, incomparable and unique.
ধ্যানচাঁদের জন্মদিন ভারতে পালিত হয় জাতীয় ক্রীড়া দিবস হিসাবে। কিন্তু ভারতের এই সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ প্রায় উপেক্ষিতই থেকেছেন চিরকাল। ২০১৩ সালে ভারতরত্নের জন্য ক্রীড়া দপ্তর তার নাম সুপারিশ করলেও তৎকালীন ইউপিএ সরকার শচীন তেণ্ডুলকারকে বেছে নেন। ধ্যানচাঁদ নিজেও জানতেন এই উপেক্ষার কথা। তাই মৃত্যুশয্যায় শুয়ে তিনি বলেছিলেন- When I die, the world will cry, but India’s people will not shed a tear for me, I know them.” তাকেই এবার সম্মান জানালো কেন্দ্রীয় সরকার।
যদিও খেলাধুলায় আজীবন কৃতিত্বের জন্য দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার ধ্যানচাঁদ পুরস্কার নামে পরিচিত। এছাড়াও ২০০২ সালে নয়াদিল্লির জাতীয় স্টেডিয়ামের নামকরণ হয় ধ্যানচাঁদ জাতীয় স্টেডিয়াম।