স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতীয় জোরে বোলার এস শ্রীসন্থ (Sreesanth) আইপিএলে স্পট ফিক্সিং কাণ্ড নিয়ে শেষ পর্যন্ত নিজের নীরবতা ভঙ্গ করলেন। ২০১৩ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) স্পট ফিক্সিং কাণ্ড প্রকাশ্যে আসে। এই কাণ্ডের সঙ্গে নাম জড়ায় শ্রীসন্থ সহ অঙ্কিত চৌহান এবং অজিত চাণ্ডিলার।এই ঘটনার জেরে এই তিন ক্রিকেটারের ক্রিকেট কেরিয়ারের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
শ্রীসন্থ এক সাক্ষাৎকারে নিজের নীরবতা ভেঙে মুখ খুলতে গিয়ে বলেন,’এই ঘটনা নিয়ে এটাই প্রথম সাক্ষাৎকার, যেখানে আমি কিছু বিষয় শেয়ার করবো বিষয় বোঝানোর জন্য।বিষয়টা এরকম যে এক ওভারে ১৪ অথবা বেশি রান খরচ করতে হবে।আমি ৪ বলে ৫ রান দিয়েছিলাম। কোন নো বল,কিংবা কোন ওয়াইড বল এমনকি আইপিএলে মহ্নর গতিতে বল পর্যন্ত করিনি।আমি আমার পায়ের আঙুলে ১২ টি সার্জারি করার পরেও ১৩০ কিলোমিটারের বেশি জোরে বল করেছিলাম।
এই প্রসঙ্গে খোলসা করতে গিয়ে শ্রীসন্থ জানিয়েছেন,চোট মুক্ত হয়ে তিনি ভারতের জাতীয় দলে কামব্যাকের প্রতি মনোযোগী ছিলেন। শ্রীসন্থ বলেন,’আমি ইরানি ট্রফির ম্যাচ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দিকে ফোকাসড ছিলাম, যাতে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে আমরা সিরিজ জিততে পারি।আমরা তাড়াতাড়ি যাচ্ছিলাম এবং সেপ্টেম্বরে বলের মুভমেন্ট দুরন্ত হয়ে থাকে।আমার লক্ষ্য ছিল ওই সিরিজে খেলা। এমন চিন্তাভাবনার মধ্যে থাকা ব্যক্তি কেন ১০ লাখ টাকার জন্য এমন কাজ কেন করবে?আমি বড় কথা বলতে চাইনা,কিন্তু আমি যখন পার্টি করতাম ওই সময়ে বিল ২ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে যেতো। ‘
শ্রীসন্থ আরও বলেন যে,আমি বিল পেমেন্ট করতাম নিজের কার্ডের মাধ্যমে।আমি কখনই নগদে (ক্যাশ) বিল পেমেন্ট করিনি। এরই সঙ্গে তিনি বলেন,শুভাঙ্কাক্ষীদের প্রার্থনার তাকে এই সঙ্কট থেকে মুক্ত হতে সহায়তা করেছে।
শ্রীসন্থ’র কথায় ‘বিল পেমেন্ট তিনি নিজের কার্ডের মাধ্যমে করতেন।যদি আমার কাছে এত পরিমাণ নগদ অর্থ থাকতো তাহলে আমি তা উড়িয়ে দিতাম।আমি ওই সময়েও সাধারণ মানুষের সঙ্গে জুড়ে থাকতাম। আমি জীবনে সকল সময়ে সহায়তা করে এসেছি এবং বিশ্বাস করে এসেছি।আমি অনেককে সহায়তা করেছি এবং তাদের সকলের প্রার্থনা আমাকে এইসব কিছুর থেকে বের করে এনেছে।আমাকে শুধু এটুকুই জিঞ্জাসা করা হয়েছিল,দুই বল, পাঁচ রান,দুই বল বাকি আছে।আমি সেসব কি করে দিয়ে দেবো,যা আমি সপে দিয়েছি?কখনই নয়।’শ্রীসন্থ’র ওপর থেকে নিষেদ্ধাঞ্জা উঠে যাওয়ার তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে মন দেন। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ ফর্ম্যাটের হাত ধরে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে আসেন।