নিউজ ডেস্ক: টোকিও অলিম্পিকের আসরও ইহুদিবাদী ইস্যু মাথাচাড়া দিল৷ আর সেই কারণেই ইহুদিবাদী ইজরায়ালির প্রতিদ্বন্দ্বীকে এড়াতে নিজের ইভেন্ট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সুদানের জুডো খেলোয়াড় মহম্মদ আব্দুর রসুল। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত টোকিও অলিম্পিকে দুইজন অ্যাথলিট ইজরায়েলের প্রতিদ্বন্দ্বীকে এড়াতে অলিম্পিকের এই ইভেন্ট থেকে সরে দাঁড়ালেন।
ফিলিস্তিনের ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানাচ্ছে, সুদানের খেলোয়াড় আব্দুর রসুল পুরুষদের ৭৩ কেজি ওজন বিভাগে ইহুদিবাদী ইজরায়েলের প্রতিদ্বন্দ্বী তোহার বুটবুলের বিরুদ্ধে খেলায় অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার আলজেরিয়ার জুডো খেলোয়াড় ফেথি নুরাইন ইজরায়েলের একই খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে না খেলার সিদ্ধান্ত নেন। এরইমধ্যে নুরাইন আলজেরিয়ায় ফিরে গিয়েছেন। আজ, সোমবার সুদানের আব্দুর রসুলের সঙ্গে তার খেলার কথা ছিল।
অলিম্পিকের ইভেন্ট থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার মধ্যদিয়ে নুরাইন ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “অলিম্পিকে খেলার জন্য নির্বাচিত হতে তাদেরকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। কিন্তু এই খেলার চেয়ে ফিলিস্তিনি ইস্যুটি তার কাছে অনেক বেশি বড় বিষয় এবং এই সিদ্ধান্ত অপরিবর্তনযোগ্য।”
নুরাইনের কোচ আমর বিন ইয়াকলিফও বলেছেন, “আমরা এই খেলায় ভাগ্যবান ছিলাম না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী পড়েছে ইসরায়লি এবং এই কারণে আমরা নিজেদেরকে প্রত্যাহার করে নিয়েছি। আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
২০১৯ সালে টোকিওতে জুডো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও ইজরায়েলের খেলোয়াড় বুটবুলের বিরুদ্ধে তার ম্যাচ পড়েছিল এবং নুরাইন নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন। এছাড়া, ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে মিশরীয় খেলোয়াড় ইসলাম আল-শাহাবী ইসরায়লি প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে খেলতে অস্বীকার করেছিলেন৷