আরও পড়ুন #BharatBandah: ত্রিপুরায় বনধে সফল মানিক, বাংলায় বিফল সূর্য-সেলিম
পরে একটি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যায়, মাটিতে পড়ে থাকা ওই ব্যক্তির (মৃত) উপর লাফাচ্ছেন অসম পুলিশের এক চিত্রগ্রাহক। পরে অবশ্য ওই চিত্রগ্রাহককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার ওই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামল বাংলাপক্ষ।

বাঙালি হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই তারা সাড়া বাংলা জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাপক্ষের সদস্যরা। গান্ধী জন্ম জয়ন্তীতেও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার চিনার পার্ক সংলগ্ন সলুয়া বাজারে একটি পথসভা ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে তারা। সংগঠনের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন শীর্ষ পরিষদের সদস্য অমিত সেন ও উত্তর ২৪ পরগনা শহরাঞ্চল জেলার সম্পাদক পিন্টু রায়, জেলা কমিটির সদস্য সায়ন মিত্র এবং অন্যান্য সদস্যরা। কর্মসূচিটি পালন করা হয় সলুয়া বাজারে অবস্থিত ভারতীয় সেনার আসাম রেজিমেন্টের ট্রানজিট শিবিরের সামনে। উক্ত সভা থেকে তারা বাঙালি হত্যার বিরুদ্ধে সুবিচার চেয়ে আওয়াজ তোলে।
]]>আরও পড়ুন: মমতাও হেরেছেন বলেই আবার ভোটে লড়ছেন, এন্টালিতে প্রিয়ঙ্কার হার প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ তথাগতর
ফলে জিততে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ভোটপ্রচার দেখে ইতিমধ্যেই বোঝা গিয়েছে, প্রেস্টিজ ফাইটে কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে মরিয়া তিনি। ভবানীপুরের গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। কলকাতা হাই কোর্টের অ্যাডভোকেট প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। ২০১৪ সালে মোদী ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছিল বিরোধীরা। ক্ষমতায় এসেছিল এনডিএ সরকার (NDA)। সেবছরেরই আগস্টে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। শুরুতেই দলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করেছেন। ছ’বছর পর, ২০২০ সালের আগস্টে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার (বিজেওয়াইএম) সহ-সভাপতি করা হয়।

এতকিছুরই পরেও প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল শুভেন্দু অধিকারী নন। সেরকমভাবেই সিপিআইএমের শ্রীজীব বিশ্বাসও মীনাক্ষী গোস্বামী নন। ফলে আপাতদৃষ্টিতে লড়াই যথেষ্টই সহজ তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে। যদিও তাতে কোনভাবেই আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ তৃণমূল নেত্রী থেকে শুরু করে দলের তৃণমূল স্তরের কর্মীরাও। ভবানীপুরে ভোটারদের মন জিততে মরিয়া প্রত্যেকে। ভবানীপুরের বেশ কিছু ওয়ার্ডে অবাঙালি ভোটারের সংখ্যা বেশী। চলতি বিধানসভা ভোটেও ওই ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। ফলে ওই ওয়ার্ডে স্বভাবতই মনো্যোগ বাড়িয়েছে জোড়াফুল শিবির। সেখানেই পোস্টার পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে। বাংলার বদলে হিন্দি ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে ওই পোস্টারে, গোটা বিষয়টাই হিন্দিভাষী ভোটারদের কথা মাথায় রেখে।
গর্গকে নিয়ে ইয়ার্কি মেরো না, ও হারভার্ডে বাসন মেজেছে।
একা দাঁড়িয়ে ফুচকা বিক্রি করছে, এমন কোনো বিহারী ফুচকাওয়ালার তেঁতুল জলের হাঁড়ি এক ঘুষিতে ভেঙে দিতে পারে !
ওর পিছনে বড় বড় বাংলাদেশী মৌলবীরা আছে ! https://t.co/IQzfr5edrq— Tathagata Roy (@tathagata2) September 23, 2021
সেই ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে বাংলাপক্ষের গর্গ চট্টোপাধ্যায়কে ওই হিন্দিতে লেখা পোস্টার খুলতে আহ্বান জানিয়েছিলেন অভিজিত বসাক নামের জনৈক নেটনাগরিক। তা শেয়ার করেই বাংলাপক্ষের প্রতিষ্টাতা-সদস্য গর্গ চট্টোপাধ্যায়কে ঠুঁকলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। তিনি লিখেছেন, “গর্গকে নিয়ে ইয়ার্কি মেরো না, ও হারভার্ডে বাসন মেজেছে। একা দাঁড়িয়ে ফুচকা বিক্রি করছে, এমন কোনো বিহারী ফুচকাওয়ালার তেঁতুল জলের হাঁড়ি এক ঘুষিতে ভেঙে দিতে পারে! ওর পিছনে বড় বড় বাংলাদেশী মৌলবীরা আছে!”

বেশ কয়েকবছর ধরেই ‘পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির অধিকার রক্ষায়’ পথে নামছে বাংলাপক্ষ। দিনকয়েক আগেই কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে অবাঙালি ব্যবসায়ীদের ‘হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে। মজা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এই সংগঠনকে শাসকদলের (পড়ুন তৃণমূল কংগ্রেস) বি টিম বলেও কটাক্ষ করে। আবার অন্যদিকে এই সংগঠনের বিক্ষোভের পরেই WBSEDCL (West Bengal State Electricity Distribution Company), পোস্টাল বিভাগের পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক হয়েছে বাংলা। ইংরেজি না জানার অভিযোগে বরখাস্ত করা কর্মীদেরও পূনর্বহাল করা হয়েছে কাজে। ফলে তথাগত রায়ের মন্তব্য এবং তাতে গর্গ চ্যাটার্জী, বাংলাপক্ষকে টেনে আনায় দ্বিধাবিভক্ত সোশ্যাল মিডিয়া।
]]>
CBSE বোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ী সিলেবাস হওয়ায় এর রাজ্যর বোর্ডের ছাত্রছাত্রীরা প্রবল সমস্যায় পড়ে। একই সঙ্গে প্রচুর অর্থ খরচ করে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ভর্তি হতে হয়। যা সাধারণ পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে সম্ভব হয় না। প্রান্তিক পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা NEET প্রবেশিকা পরীক্ষা চালু হওয়ার পর থেকে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখাই ছেড়ে দিয়েছে। তাদের হয়েই পথে নামা হয়েছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
বাংলাপক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি বলেন, “আমরা চাই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের মতো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বাংলার বিধানসভায় বিল এনে বাংলার মাটিতে NEET বাতিল করে দিন। তিনি বলুন NEET নার্সিংও বাংলায় চালু হতে দেব না। বাংলার সব বাঙালি শুনতে চায়, অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। বাংলাপক্ষ তাদের হয়ে লড়ছে। সর্বভারতীয় স্তরে সমস্ত অহিন্দি জাতি এক হয়ে লড়ছে। আমরা NEET ধ্বংস করবোই।”
সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “NEET চালুর আগের বছর যেখানে ডাক্তারি আসনে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের মধ্যে ৭৫%-ই ছিল বাংলা মাধ্যমের, সেখানে NEET চালু হওয়ার বছর বাংলা মাধ্যম থেকে মাত্র ৭% পড়ুয়া ডাক্তারি আসনে ভর্তির সুযোগ পায়। NEET বাংলার জেলার মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের মেধাবী বাঙালী পড়ুয়াদের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ধ্বংস করছে। এই NEET বাংলা সহ সকল অহিন্দি রাজ্যের রাজ্য-বোর্ড ধ্বংসের চক্রান্ত।” বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস, মনন মন্ডল, অমিত সেন সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্বও এই সভায় উপস্থিত থেকে অবিলম্বে NEET বাতিলের দাবি জানান। এই প্রতিবাদ কর্মসূচীর দায়িত্বে ছিলেন কলকাতার সম্পাদক অরিন্দম চ্যাটার্জী।

সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে রাজ্য বোর্ডের ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় জেলা থেকে চিকিৎসক হওয়ার সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। তার ফলে আগামী দিনে জেলার হাসপাতালে চিকিৎসক পাওয়ার তীব্র সংকট তৈরি হবে। এছাড়াও রাজ্য বোর্ডের ছাত্রছাত্রীদের ডাক্তারি পরার সুযোগ কমের আরেকটি কারণ পশ্চিমবঙ্গে ডাক্তারিতে ভর্তির ক্ষেত্রে ডোমেসাইল-বি নীতি। এর ফলে যে কেউ খুব সহজে তার অভিভাবকরা পশ্চিমবঙ্গে কর্মসূত্রে বসবাস করছেন এমন সার্টিফিকেট নিয়ে এসে ভর্তি হয়ে যান। কিন্তু অন্য রাজ্যে ডোমেসাইল-বি নীতি চালু না থাকার ফলে সেইসব রাজ্যের বাংলার ছেলেমেয়েরা ডাক্তারিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় না। ফলে রাজ্যের মেডিকেল কলেজে ডাক্তারিতে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে ডোমেসাইল-বি নীতি বাতিল করার দাবিও তোলা হয়।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু সরকার সেই রাজ্যে মেডিকেল NEET বাতিল করার জন্য বিধানসভায় বিল পাস করেছে। অন্য কিছু রাজ্যও এই নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে।
]]>আরও পড়ুন মালদহের কলেজে চাকরিতে বাধ্যতামূলক হিন্দি, প্রতিবাদে পথে বাংলাপক্ষ
CBSE বোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ী সিলেবাস হওয়ায় এর রাজ্যর বোর্ডের ছাত্রছাত্রীরা প্রবল সমস্যায় পড়ে। একই সঙ্গে প্রচুর অর্থ খরচ করে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ভর্তি হতে হয়। যা সাধারণ পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে সম্ভব হয় না। প্রান্তিক পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা NEET প্রবেশিকা পরীক্ষা চালু হওয়ার পর থেকে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখাই ছেড়ে দিয়েছে। তাদের হয়েই পথে নামা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। কয়েকদিন আগেই বাংলাপক্ষের আন্দোলনের পরে বাংলা ভাষায় পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হয়েছে WBSEDCL-এ। একইভাবে এবারও তাদের আন্দোলন সফল হবে বলে আশা বাংলাপক্ষের সদস্যদের।
সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে রাজ্য বোর্ডের ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় জেলা থেকে চিকিৎসক হওয়ার সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। তার ফলে আগামী দিনে জেলার হাসপাতালে চিকিৎসক পাওয়ার তীব্র সংকট তৈরি হবে। এছাড়াও রাজ্য বোর্ডের ছাত্রছাত্রীদের ডাক্তারি পরার সুযোগ কমের আরেকটি কারণ পশ্চিমবঙ্গে ডাক্তারিতে ভর্তির ক্ষেত্রে ডোমেসাইল-বি নীতি। এর ফলে যে কেউ খুব সহজে তার অভিভাবকরা পশ্চিমবঙ্গে কর্মসূত্রে বসবাস করছেন এমন সার্টিফিকেট নিয়ে এসে ভর্তি হয়ে যান। কিন্তু অন্য রাজ্যে ডোমেসাইল-বি নীতি চালু না থাকার ফলে সেইসব রাজ্যের বাংলার ছেলেমেয়েরা ডাক্তারিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় না। ফলে রাজ্যের মেডিকেল কলেজে ডাক্তারিতে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে ডোমেসাইল-বি নীতি বাতিল করার দাবিও তোলা হবে।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু সরকার সেই রাজ্যে মেডিকেল NEET বাতিল করার জন্য বিধানসভায় বিল পাস করেছে। অন্য কিছু রাজ্যও এই নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে।
]]>আরও পড়ুন বিজেপির ষড়যন্ত্রের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে পথে নামল বাংলাপক্ষ
‘বাংলার মাটিতে বাঙালিকে বেদখল করার চেষ্টা করছে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার। সেই লক্ষ্যেই উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য ঘোষণা করার দাবি তুলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। একইভাবে জঙ্গলমহলকেও আলাদা রাজ্য ঘোষণার দাবি তুলেছে পদ্মশিবির।’ মালদহের নারায়ণপুরে গনি খান চৌধুরী ইন্সটিট্যুট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনলজির সামনে বিশাল মিছিল করে এবং ডেপুটেশন দিয়ে তারই প্রতিবাদ জানাল বাংলাপক্ষ।

মালদহের নারায়ণপুরে গনি খান চৌধুরী ইন্সটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনলজির সামনে বাংলাপক্ষর মিছিল।
আরও পড়ুন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ISIS জঙ্গি শামীমা এখন ফ্যাশন পোশাকে, লন্ডনে ফিরতে মরিয়া
বাংলাপক্ষর কর্মসূচীর দিন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কলেজে বাঙালি ছাত্রছাত্রীদের আসতে নিষেধ করা হয় বলে অভিযোগ এই সংগঠনের। কলেজ কর্তৃপক্ষও ডেপুটেশন নিতে প্রাথমিকভাবে অস্বীকার করলেও পরে তারা ডেপুটেশন গ্রহন করে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘এলাকার জমিহারা বাঙালি পরিবারের সদস্যরাও এই জমায়েতে যোগ দেয়।’
আরও পড়ুন বাংলাপক্ষের দাবি মেনে WBSEDCL-এ বাধ্যতামূলক হল বাংলা ভাষার পরীক্ষা
প্রতিবাদে উপস্থিত ছিলেন বাংলাপক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আজ আমরা সহজ পাঠ পড়াতে এসেছিলাম। বাঙালির দাবি না মানলে বাংলাপক্ষ কঠিন পাঠ পড়াবে।” এই প্রতিবাদে অংশ নিতে কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, হাওড়া, কলকাতা থেকেও বাংলাপক্ষর প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। উপস্থিত ছিলেন বাংলাপক্ষর মালদা জেলা সম্পাদক মোহম্মদ রাফিক আহমেদ, মালদা বাংলাপক্ষর পর্যবেক্ষক শোয়েব আমিন প্রমুখ।
]]>আরও পড়ুন অন্য অম্বিকেশ: এবার মমতাকে খুনের হুমকি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের
মিছিল শেষে একটি পথসভা করে বাংলাপক্ষর তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাঙালি-বিরোধী ষড়যন্ত্র, বাঙালি ছাত্র-অধ্যাপক সাসপেন্ড ও বহিস্কার, সর্বক্ষেত্রে হিন্দি রাজ্যের কর্মী ও অধ্যাপক নিয়োগ, বিশ্বভারতীর কর্মী-অধ্যাপক পদগুলি বাঙালি-শূন্য করা, বিশ্ববিখ্যাত পৌষমেলা বন্ধ করে দিয়ে ভূমিপুত্রদের জীবিকাহীন করা এবং ক্রমাগত রবীন্দ্রচেতনা বিরোধী তথা বাঙালি বিরোধী কাজের তাঁকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।’
পথসভায় গর্গ চট্টোপাধ্যায় জানান, “বাঙালি ও বিশ্বভারতীর মাঝে কোন দিল্লীর দালালকে বরদাস্ত করা হবেনা। আমাদের ঘরের মেধাবী প্রতিবাদী ছাত্রছাত্রীদের বহিস্কার করে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আগুন নিয়ে খেলছে। বিশ্বভারতী দিল্লীতে না, বিহারে না, গুজরাটে না, রাজস্থানে না, বিশ্বভারতী বাংলায়। বিশ্বভারতী বাঙালির। দিল্লীর হাত থেকে মুক্ত করে বাংলা ও বাঙালির কাছে হস্তান্তর করার লড়াইয়ের নাম বাংলাপক্ষ। বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক, কর্মচারী ও আশ্রমিকদের পাশে আছে বাংলাপক্ষ। অবিলম্বে উপাচার্য পদত্যাগ না করলে বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করা হবে। দিল্লীর দালাল উপাচার্য ও তার টিমকে কিন্তু বাংলার ৯ কোটি বাঙালি ঘিরে আছে।”

অন্যদিকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। ইতিমধ্যেই হাই কোর্টের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা আরও বাড়াতে হবে। ক্যাম্পাসের ৫০ মিটারের মধ্যেও কোনও বিক্ষোভ চলবে না। শান্তিপূর্ণ অবস্থান চলতে পারে, তবে চলবে না মাইক বাজিয়ে স্লোগান দেওয়া। একইসঙ্গে সুনিশ্চিত করতে হবে উপাচার্যের নিরাপত্তাও। এখন থেকে ক্যাম্পাসে ৩ জন নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন থাকবে সর্বক্ষণ।
]]>
File Picture
আরও পড়ুন বিজেপির বাংলা ভাগ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বাংলাপক্ষের সমাবেশ
এবার রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার (West Bengal State Electricity Distribution Company) পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক হল বাংলা ভাষার পরীক্ষা। যা নিজেদের দীর্ঘ ৩ বছরের লাগাতার আন্দোলনের জয় হিসেবেই দেখছে বাঙালির হয়ে কথা বলা এই সংগঠন। বাংলাপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ‘রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার (WBSEDCL) উচ্চ বেতনের চাকরিতে বহিরাগতদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে আমরা দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিবাদ আন্দোলন করে আসছি। অন্যান্য রাজ্যের উদাহরণ তুলে ধরে আমরা পরীক্ষায় বাংলা ভাষায় লিখিত ও মৌখিকের দাবি করেছিলাম। সম্প্রতি সংস্থার চাকুরির বিজ্ঞাপনে আমরা লক্ষ্য করি ৫ নম্বর বাংলা ভাষার লিখিত ও ১৫ নম্বর মৌখিক পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। এর ফলে বাংলার ভূমিসন্তানরা চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবে বলেই আমরা আশা করছি। সেই সঙ্গে পরবর্তীকালে ২৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক করার দাবি জানাচ্ছি।’
বহিরাগতদের হাত থেকে বাংলার বিদ্যুৎ দফতরে পুনর্দখল শুরু হয়েছে। বাংলা পক্ষর বিরাট জয়। বাংলা পক্ষর ৩ বছর টানা আন্দোলনের ফলে বিদ্যুৎ দফতরের চাকরি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথমবার বাংলা ভাষা পরীক্ষা। বাংলার নব-নিযুক্ত বিদ্যুৎমন্ত্রী ও বিদ্যুৎ দফতরের সকল বাঙালি কর্মীকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
— বাংলা পক্ষ Bangla Pokkho (@BanglaPokkho) August 25, 2021
বাংলাপক্ষের দাবি মেনে নিয়োগ পদ্ধতিতে বাংলা ভাষাকে যুক্ত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিদ্যুৎমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছে তারা। সংগঠনের পক্ষ থেকে এর আগে আন্দোলনের সময় কৌশিক মাইতি বলেছিলেন, “১০০ শতাংশ নিয়োগ অবাঙালিদের, এটা মেনে নেওয়া যায় না। এক জন ছাড়া বাকিরা আবার অন্য রাজ্যের বাসিন্দা। আমাদের রাজ্যের ছেলেমেয়েরা কী বানের জলে ভেসে এসেছে? বাংলায় কাজ আছে, বাঙালির কাজ নেই – এটা বাংলায় সব বেসরকারি-সরকারি সংস্থার মত বিদ্যুৎ দফতরেও বাস্তব ছিল। সব রাজ্য সরকারি চাকরি নিয়োগের আগে লিখিত বাংলা ভাষা পরীক্ষা পাশ করা বাধ্যতামূলক করতে হবে। অন্য সব রাজ্যে যে নিয়ম স্বাভাবিক, তা এখানেও সর্বক্ষেত্রে চাই। বাংলা কোনও ধর্মশালা নয়।”

গর্গ চট্টোপাধ্যায় জানান, “এই দাবিতে দীর্ঘ লড়াই হয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তর বাংলাপক্ষর উত্তর চব্বিশ পরগনা সাংগঠনিক জেলার আছে। এই জেলার সহযোদ্ধারা এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রত্যেক সহযোদ্ধা, সমর্থক ও যারা এই দাবির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, সকলকে রক্তজবা শুভেচ্ছা। আমরা বাঙালির চাকরির স্বার্থে লড়াই চালিয়ে যাব। বাঙালি হাসলেই আমাদের শান্তি। মাননীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ। জয় বাংলা।”
]]>উত্তর চব্বিশ পরগনা শিল্পাঞ্চল সাংগঠনিক জেলার শ্যামনগরে বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক কর্মসূচী হল আজ রবিবার। উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শিল্পাঞ্চল সাংগঠনিক জেলার পর্যবেক্ষক তথা বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদের সদস্য কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদের অন্যতম সদস্য বিখ্যাত চিকিৎসক ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস, শিল্পাঞ্চলের সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ সহ জেলা নেতৃত্ব।
বাঙালি অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নানা সাংগঠনিক কৌশল তৈরি ও সাংগঠনিক বিস্তারের লক্ষেই আজকের এই মিটিং হয়। কৌশিক মাইতি জানান, “আজ আমরা অর্জুন সিং এর বাড়ির সামনেই বাঙালিরা জড়ো হয়েছি। আমরা পাড়ায় পাড়ায় সংগঠন গড়ছি। বাঙালিরা জাগছে। চাকরি, বাজার, পুঁজি, এলাকা প্রতিটা ক্ষেত্রেই বাঙালির অধিকার ফিরয়ে আনবো। বহিরাগত দৌরাত্ম্য আগামীতে কমিয়ে দেওয়া হবে জয় বাংলা ওষুধ দিয়ে।”
অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, “আমি ডাক্তার, আমি রাস্তায় নামছি কারণ বাঙালি সর্বত্র বঞ্চিত হচ্ছে।” তাই সমাজের সর্বস্তরের বাঙালিকে তিনি লড়াইয়ে নামার আবেদন জানান।” গর্গ চট্টোপাধ্যায় জানান, “বাংলা পক্ষ ভারতে বাঙালির অধিকার আদায়ের জাতীয় সংগঠন। আমাদের ঘিরে বাঙালি স্বপ্ন দেখছে। আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। বাংলা পক্ষর বাঘছাপ পতাকা ঘরে ঘরে ওড়াতে হবে। বাঙালি ছেলেমেয়েদের চাকরি চাই, কাজ চাই, ব্যবসা চাই। আমরা ভোটের লড়াইয়ে নেই।” ইমতিয়াজ আহমেদ শিল্পাঞ্চলের বাঙালিকে সাহস করে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেন।
]]>