Abdul Kader Siddique – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Wed, 15 Dec 2021 18:43:13 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Abdul Kader Siddique – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Bangladeh 50: পাকিস্তানের আতঙ্ক কিংবদন্তি গেরিলা বাঘা সিদ্দিকী দিলেন সরস্বতী পুজোর চাঁদা https://ekolkata24.com/uncategorized/when-legendary-bangaldesh-guerrilla-commander-tiger-siddique-lived-in-bardhaman Wed, 15 Dec 2021 18:43:13 +0000 https://ekolkata24.com/?p=15035 প্রসেনজিৎ চৌধুরী: নাম তাঁর ‘টাইগার’। দুনিয়া জুড়ে যত গেরিলা যুদ্ধের কাহিনী আছে তার অন্যতম এক তারকা। এহেন অকুতোভয় টাইগার ওরফে বাঘা সিদ্দিকী তাঁর বাহিনী পাকিস্তানি সেনার কাছে আতঙ্কের কারণ ছিলেন। পাক সেনা হোক বা কমান্ডাররা মনে প্রাণে চাইত যদি আত্মসমর্পণ করতেই হয় তাহলে টাইগারের কাছে নয়, এর চেয়ে ভারতীয় সেনা অনেক ভালো। অন্তত তারা যুদ্ধবন্দি আইনে মেরে ফেলবে না। মুক্তিযোদ্ধা বাঘা সিদ্দিকীর হাতে পড়লে যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হবে। তাঁর এই ভয়াবহ রূপ বিশ্বজুড়ে আলোচিত। যেভাবে তিনি পাক সেনাদের মারতেন সেই ছবি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে তীব্র আলোড়ন ফেলেছিল।

গেরিলা কমান্ডার বাঘা সিদ্দিকীর আসল নাম আবদুল কাদের সিদ্দিকী। বাঘের মতো হিংস্র হামলায় পটু তাই নাম হয় ‘বাঘা’। মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর উপলক্ষে এই প্রতিবেদনে বাঘা সিদ্দিকীর একটি বিরল মুহূর্ত তুলে ধরা হলো।

Tiger-siddique

বাঁ-দিকে মুক্তিযুদ্ধে ভয়ঙ্কর রূপ, ডানদিকে বর্ধমানের শ্রীপল্লীর বাড়িতে টাইগার

ফিরে যাওয়া যাক মুক্তিযুদ্ধের সময়ে:
৫০ বছর আগের কথা। তখন পূর্ব পাকিস্তানে চলছিল পাক শাসন থেকে মুক্তির সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধ। সেই যুদ্ধে বাংলাদেশি মুক্তিবাহিনীর একটি সমান্তরাল গেরিলা দল ‘কাদেরিয়া বাহিনী’। ১৯৭১ সালের এই মুক্তিযুদ্ধে বাঘা সিদ্দিকীর বাহিনী পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে সংগঠিতভাবে প্রত্যাঘাত শুরু করে। টাঙ্গাইল থেকে শুরু হয়েছিল সেই হামলা। মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকায় প্রথম ভারতীয় সেনার তৎকালীন মেজর জেনারেল গন্ধর্ব সিং নাগরার পাশাপাশি বাঘা সিদ্দিকী তাঁর বাহিনী নিয়ে ঢুকেছিলেন। বাংলাদেশ তৈরির পর তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করেন। উপাধি পান ‘বঙ্গবীর’।

এই বাড়িতে থাকতেন বাঘা সিদ্দিকী। ছবি: আব্দুস সবুর।

এহেন বাঘা সিদ্দিকীকে বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। সেনা অভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে খুনের পর প্রত্যাঘাতের সুযোগে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছিলেন বাঘা সিদ্দিকী। ১৯৭৫-১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এই প্রবাস পর্বের দীর্ঘ সময় কেটেছিল বর্ধমান শহরে। বর্তমানে পূর্ব বর্ধমান জেলার সদর শহর বর্ধমান।

এক বিরল মুহূর্তের বাঘা সিদ্দিকী:
বর্ধমানের অতি পরিচিত সাংবাদিক আব্দুস সবুর। তিনি শহরের ‘নতুন চিঠি’ সাপ্তাহিক সংবাদপত্রের সঙ্গে যুক্ত। আব্দুস সবুর তখন তরুন। তিনি বলেছেন, একদিন ক্লাবের সবাই মিলে সরস্বতী পুজোর চাঁদা তুলতে বেরিয়েছি। সদরঘাট রোডের পৌরসভা কসাইখানার কাছে যে বাড়িতে বাঘা সিদ্দিকী থাকতেন সেখানে গেলাম। উনি আমাদের দেখে বেরিয়ে এলেন। আমি বললাম ক্লাবের সরস্বতী পুজো কিছু চাঁদা দিন। উনি বললেন, কেন দেব না। বলেই দু টাকা দিলেন। তখনকার দিনে দু টাকা মানে বিরাট।

abdur-sabur

সাংবাদিক আব্দুস সবুর

সাংবাদিক আব্দুস সবুরের স্মৃতিতে আজও ভাসে কিংবদন্তি গেরিলা যোদ্ধা বাঘা সিদ্দিকীর সেই চেহারা। তিনি বলেছেন, ছয় ফুট লম্বা, ধবধবে ফর্সা হাসি হাসি মুখ। উনি হাসতে হাসতে সরস্বতী পুজোর চাঁদা দিলেন। আমি বললাম রশিদে কী লিখব? বাঘা সিদ্দিকী বললেন, মা’য়ের পুজো তাই মা’কে দিলাম লিখে দাও।

মুক্তিযোদ্ধা বাঘা সিদ্দিকীর বর্ধমানে থাকার স্মৃতি এই শহরের বহুজনের কাছে উজ্জ্বল। তবে তাঁর এই বিরলতম মুহূর্তের গুটিকয়েক সাক্ষীর একজন সেদিনের তরুণ আজকের প্রৌঢ় আব্দুস সবুর।

মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তীর উপলক্ষে প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক মৈত্রী সম্পর্কেরও ৫০ বছর পালিত হচ্ছে। সাংবাদিক আব্দুস সবুর চান সুসম্পর্ক আরও গাঢ় হোক।

]]>
Bangladesh 50: ‘প্রিয় আবদুল্লাহ…আপনার দূত পাঠান’, চিরকুটে লিখলেন মেজর জেনারেল নাগরা https://ekolkata24.com/uncategorized/bangladesh-50-a-letter-writen-by-general-nagra-to-pakistani-general-neazi-is-a-symbol-of-psychological-war Wed, 15 Dec 2021 07:51:56 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14941 প্রসেনজিৎ চৌধুরী: সৈনিক জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অপেক্ষা করা সমীচিন নয়। পাকিস্তানি সেনার ঘেরাটোপে থাকা ঢাকা দখলের প্রথম গৌরবের হাতছানি। সবমিলে প্রবল মানসিক টানাপোড়েনে রয়েছেন ভারতীয় সেনার মেজর জেনারেল নাগরা। অপরপক্ষে তাঁর ‘বন্ধু’ এখন প্রতিপক্ষ ‘শত্রু’ পাকিস্তানি লেফট্যানেন্ট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি। যুদ্ধ দুজনকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। মাঝে একটি সেতু। বিখ্যাত মিরপুর ব্রিজ।

তৎকালীন সময়ে তো বটেই এখনও ঢাকা মহানগরীর অন্যতম একটি সেতু। এই সেতুর দুই মুখে পজিশন নিয়েছে দু পক্ষ। একদিকে ভারতীয় ও মুক্তিবাহিনীর যৌথ সেনা অন্যদিকে পাকিস্তানি সেনা।

Mirpur bridge dhaka

ঢাকার বিখ্যাত মিরপুর ব্রিজের পাকিস্তানের দিক থেকে গুলি বর্ষণ বন্ধ হয়েছিল। উত্তেজিত জেনারেল নাগরা ডেকে নিলেন তাঁর সহকারি অফিসারদের। তাঁর বাহিনীকে পুরো সহযোগিতা করছে কিংবদন্তি মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীর (বাঘা সিদ্দিকী) কাদেরিয়া বাহিনী।

৫০ বছর আগে মিরপুর সেতুতে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর টানা দুটো দিন ঘটেছিল সেই নাটকীয় মুহূর্তের প্রথম পর্বটি। এই সেতুর এক প্রান্ত থেকে পূর্ব পাকিস্তানের সেনা কমান্ডার নিয়াজির কাছে একটি চিরকুট পাঠিয়েছিলেন ভারতীয় সেনা কর্তা গন্ধর্ব সিং নাগরা।

Bangladesh liberation war Witness to surrender

কী লিখেছিলেন মেজর জেনারেল নাগরা?
“My dear Abdullah, I am here. The game is up, I suggest you give yourself up to me and I will take care of you, Nagra”
(প্রিয় আবদুল্লাহ, আমি এখন মিরপুর ব্রিজে। ঘটনার পরিসমাপ্তি হয়েছে। পরামর্শ হচ্ছে, আপনি আমার কাছে আত্মসমর্পণ করুন। সেক্ষেত্রে আমরা আপনাদের দেখাশোনার দায়িত্ব নেব, শীঘ্র আপনার প্রতিনিধি পাঠান। নাগরা)

নাগরা ও নিয়াজি পরস্পর পরিচিত। দুই দেশের দুই শীর্ষ সেনা কর্তা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ দুজনকে ঐতিহাসিক চরম মুহূর্তে টেনে এনেছিল।

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা ‘আমি বিজয় দেখেছি’ বইতে নাগরা ও নিয়াজির সম্পর্ক লিখেছেন এম আর আখতার মুকুল। তিনি তৎকালীন মুজিবনগর সরকার (প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার) এর তরফে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম কর্তা। তিনি লিখেছেন, ‘ বছর কয়েক আগে জেনারেল নাগরা যখন ইসলামাবাদে ভারকীয় দূতাবাসে মিলিটারি এট্যাচি হিসেবে চাকরি করতেন, তখন থেকে নিয়াজীর সঙ্গে তার পরিচয়’ (বানান অপরিবর্তিত)

<

p style=”text-align: justify;”>সেদিন নাগরার চিরকুট পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের সেনা কর্তা আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি (এ এ কে নিয়াজি)। ঢাকার পাক সেনা কার্যালয়ের সেই গুমোট ভয়ানক পরিবেশের বর্ণনা দিয়েছেন পাকিস্তানি আমলা সিদ্দিক সালিক তাঁর লেখা ‘Witness to surrender’ (আত্মসমর্পণের সাক্ষী) বইতে।
তিনি লিখেছেন, নাগরার বার্তা হাতে নিয়ে পড়ার পর নিয়াজির চেহারাটা ফ্যাকাশে হয়ে গেল। তিনি কোনও কথা না বলে চিঠিটা অন্যদের পড়তে দিলেন। সবাই বার্তাটা দেখলেন। মিনিট কয়েক জন্য সেখানে কবরের নিস্তব্ধব্ধতা নেমে এলো।

]]>