actor – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sat, 01 Jan 2022 12:33:42 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png actor – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Anirban Bhattacharya: অনির্বাণের হাত ধরেই দর্শক জানবে ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ https://ekolkata24.com/entertainment/actor-anirban-bhattacharyas-new-movie-is-a-vallabhipur-rupkatha Sat, 01 Jan 2022 12:33:05 +0000 https://ekolkata24.com/?p=17494 বায়োস্কোপ ডেস্ক: ২০২২-এর প্রথম দিনেই সিনেপ্রেমীদের জন্য আনন্দ সংবাদ! ওয়েব প্ল্যাটফর্ম জয় করে এবার ছবি পরিচালনা করতে চলেছেন বঙ্গললনাদের হার্টথ্রব অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya)। ‘মন্দারের’ অভাবনীয় সাফল্যের পর এ বার তিনি বলবেন রাজপরিবারের রূপকথা!

ছবির নাম ‘বল্লভপুরের রূপকথা।’ পরিচালনায় পা দিয়ে অনুরাগীদের এ ভাবেই চমকে দিচ্ছেন তিনি। এ বারে তাঁর পছন্দ, নাট্যকার বাদল সরকারের জনপ্রিয় নাটক ‘বল্লভপুরের রূপকথা’। এই নাটককেই ছবির আদলে বদলে নিচ্ছেন । প্রযোজনায় এসভিএফ।

প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকে জানা গিয়েছে, এই ছবির পটভূমিকায় কৌতুকে মোড়া ভৌতিক গল্পই । বল্লভপুর রাজবাড়ির শেষ বংশধরের অদ্ভুত কাহিনি ‘বল্লভপুরের রূপকথা’য় উঠে আসবে। প্রায় ভেঙে পড়া রাজবাড়ির বাসিন্দা মাত্র দু’জন। রায় রাজবংশের শেষ বংশধর ভূপতি রায়। আর তার উত্তরাধিকারী মনোহর।এদিকে ‘রাজবংশ’-এর দুই বাসিন্দাই এক গলা ঋণে ডুবে। সেই উপায়ও তাদের নেই যে সম্পত্তি বিক্রি করে দেনা মেটাবে। তাদের জীবন তা হলে চলে কী করে? প্রযোজনা সংস্থার দাবি, এটাই গল্পের মোক্ষম মোচড়।

নতুন বছরে ছবির প্রথম ঝলক প্রকাশ্যে এসেছে । প্রায় নাটকের পোস্টারের আদলে তৈরি এই ঝলক বলছে, আকাশে ক্ষয়াটে চাঁদের নিভু নিভু আলো, ভাঙা রাজবাড়ি, ফাঁকা মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি, পুরনো দিনের কামান– সব মিলিয়ে ছবি ঘিরে ইতিমধ্যেই বেশ গা ছমছমে আবহ তৈরি হয়ে দিয়েছে।

অভিনেতা অভিনেত্রীদের নাম প্রকাশ্যে না এলেও সঙ্গীত পরিচালনায় থাকছেন শুভদীপ গুহ ও দেবরাজ ভট্টাচার্য। চিত্রনাট্যের জন্য কলম ধরেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য নিজে এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকারী প্রতীক দত্ত। ক্যামেরা সামলাবেন সৌমিক হালদার।

]]>
Amitabh Bachchan: লিজেন্ডস লিগ ক্রিকেটের অ্যাম্বাসেডর বিগ-বি https://ekolkata24.com/sports-news/actor-amitabh-bachchan-is-the-ambassador-of-legends-league-cricket Thu, 09 Dec 2021 10:00:28 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14216 Sports desk: ওমানে টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে হতে চলা লিজেন্ডস লিগ ক্রিকেটের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হল অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) নাম।

অভিষেক মজুমদার লিজেন্ডস লিগ ক্রিকেটের ভাইস প্রেসিডেন্ট সামাজিক মাধ্যমে এই নিয়ে পোস্ট, “বড় ঘোষণা!

তাই এখানে আসে! দ্য লিজেন্ড। অফ লিজেন্ডস, গ্লোবাল আইকন, দ্য ম্যান নিজে, দ্য ওয়ান অ্যান্ড অনলি অমিতাভ বচ্চন লিজেন্ডস লীগ ক্রিকেটে লিগ অ্যাম্বাসাডর হিসেবে যোগ দিয়েছেন।”

Amitabh Bachchan is the ambassador of Legends League cricket

ইতিমধ্যেই লিজেন্ডস লিগ ক্রিকেটের ভাইস প্রেসিডেন্ট সামাজিক মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছেন,”আমরা গর্বের সাথে ঘোষণা করছি যে ওমান লিজেন্ডস লিগ ক্রিকেটের উদ্বোধনী মরসুমের আয়োজক হবে, প্রাক্তন তারকা খেলোয়াড়দের জন্য একটি সুপার লিগ। গেমের GOATs দ্বারা বিনোদনের জন্য প্রস্তুত হন!🤩
এই মরসুমে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড সহ অন্যান্য ক্রিকেট দেশের কিংবদন্তিরা উপস্থিত থাকবেন।

📆: জানুয়ারী 2022
📍আল আমেরাত, ওমান ক্রিকেট স্টেডিয়াম
#হায়াক্রিকেট #লিজেন্ডসলীগক্রিকেট #ওমান #টি২০।”
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি থেকে ওমানের আল আমেরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে প্রথমবার লিজেন্ডস লিগ ক্রিকেট শুরু হতে চলেছে।
ওমান ক্রিকেটকে লিজেন্ডস লিগ ক্রিকেটের আনুষ্ঠানিক আয়োজক হিসেবে ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত।

ওমানের মাসকটের আল আমিরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে 2022 সালের জানুয়ারিতে উত্তেজনাপূর্ণ এবং প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলার মাঠে সারা বিশ্ব থেকে ক্রিকেটের কিংবদন্তিদের ফিরিয়ে আনার জন্য উন্মুখ।

বিবেক খুশালানি LLC চেয়ারম্যান, রমন রাহেজা CEO LLC, ওমান ক্রিকেটের সভাপতি পঙ্কজ খিমজি এবং ওমান ক্রিকেটের অন্যান্য পদাধিকারীদের এই লিগের সঙ্গে জড়িত। সূত্রে খবর ম্যাচ চলাকালীন ওমানের মাসকটের আল আমিরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামের তাপমাত্রা প্রায় 17-18 ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে এবং 15-20 কিমি ঘন্টা বেগে একটি মনোরম হাওয়া এবং আদ্রতা থাকতে পারে প্রায় 60%।

<

p style=”text-align: justify;”>লিজেন্ডস লিগ ক্রিকেট বোর্ডের কমিশনার নিযুক্ত জয়েছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার তথা প্রাক্তন ভারতীয় হেডকোচ রবি শাস্ত্রী।ভারতীয় ক্রিকেটের ফিটনেস সংস্কৃতি পরিবর্তনের অন্যতম মুখ
ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ফিজিওথেপিস্ট এবং বিসিসিআই’র জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ফিজিও অ্যান্ড্রু লিপার্সকে লিজেন্ডস লিগ ক্রিকেটে স্পোর্টস সায়েন্সের পরিচালক হিসাবে জড়িত আছেন।

]]>
Rabi Ghosh: বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলেন বাবা, ফিরে আসেন অভিনেতা হয়ে https://ekolkata24.com/offbeat-news/special-report-about-actor-rabi-ghosh Wed, 24 Nov 2021 08:42:29 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12204 বিশেষ প্রতিবেদন, কলকাতা: স্কুলে পড়ার সময় থেকেই নাটকে অভিনয়ের হাতেখড়ি। তারপর যখন কলেজে ভর্তি হলেন তখন বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তুললেন ‘বন্ধুমন’ নামে একটি নাটকের দল। মহড়া দিতেন আশুতোষ কলেজের ছাদে। কিন্তু, বাবা জীতেন্দ্রনাথ তা একেবারেই পছন্দ করতেন না। প্রায়ই স্ত্রী জ্যোৎস্না রানীকে বলতেন, “ অভিনয় কইরা সময় নষ্ট করে ক্যান ? তোমার পোলারে কয়া দিও ওই চেহারায় অভিনয় হয় না। সে ছিলো দুর্গাদাস বাঁড়ুজ্যে, হিরোর মতন চেহারা।”

অভিনয়ের এমনই পোকা ছিলেন যে বাড়ি থেকে তাকে বের পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছিলো। তবে মায়ের সমর্থন ছিলো পুরোপুরি। তাই তিনি সামনে এগুতে পেরেছিলেন। ভাগ্যিস মা-র সমর্থন ছিলো নইলে বাংলা চলচ্চিত্র এতো শক্তিশালী চরিত্র – অভিনেতা পেতো না। মহড়া সেরে গভীর রাতে বাড়ি ফিরতেন , চুপি চুপি , যাতে বাবা টের না পান । জীবনের কী সমাপতন ! মঞ্চে অভিনয়ের ঠিক পাঁচদিন আগে বাবা চলে গেলেন । মায়ের কাছে বললেন ছেলে‚ তাঁর দলের অনেক দেনা-কর্জ । শো বাতিল হলে মুশকিল । কালাশৌচের মধ্যেই প্রথম মঞ্চাবির্ভাব । অভিনয়ের প্রতি এই নিখাদ নিবেদন বজায় ছিল জীবনের শেষদিন অবধি । তখন তিনি প্রতিষ্ঠিত । আচমকা মৃত্যু ছোট বোন তপতীর । তার কয়েক ঘণ্টা পরে মঞ্চে বেদম হাসির নাটক ” কনে বিভ্রাট ” দেখে কেউ আঁচও করতে পারেনি সদ্য বোনকে হারানো রবি ঘোষের মনের মধ্যে কী ঝড় বয়ে যাচ্ছে — সে যেন ছিল নিজের সঙ্গে নিজের প্রতি হাস্যকর অভিনয় ! তিনি অভিনেতা নয়, কমেডিয়ান নয় বরং চরিত্রাভিনেতা হিসেবে নিজেকে সব সময় পরিচয় দিতেন। বলতেন যেকোনো চরিত্রই ফুটিয়ে তোলা একজন চরিত্রাভিনেতার কাজ।

রবি ঘোষ তাঁর অভিনয়ের গুরু বলে মানতেন চার্লি চ্যাপলিনকে। যে চ্যাপলিন বলেছিলেন, “Actors search for rejection. If they don’t get it they reject themselves.” এখন আর কমেডিয়ানদের যুগ নেই। সারা বছরে হয়তো গুটিকয়েক কমেডি ছবি মুক্তি পায়। একটিও বক্স-অফিস সাফল্য নয়। অনেকবছর আগে অনীক দত্তের ‘ ভূতের ভবিষ্যৎ ’ রমরমিয়ে চলেছিল বটে। তাও হাতেগুনে ওই একটিই। এখনকার কমেডি বাংলা ছবি জোর করে কাতুকুতু দিয়ে লোক হাসায়। কিন্তু রবি ঘোষকে কেউ ভোলেনি। ‘দ্য রিয়্যাল হিরো’ – কে ভুলে যাওয়া সহজ নয়। শুধু বডি – বডি করে না কাটিয়ে পড়াশোনাও করেছেন নিজের মতো। তাঁর পড়াশোনা, বিশ্বের বিভিন্ন ছবি দেখা কত সমৃদ্ধ, সবকিছুই বোঝা যাবে রবি ঘোষের বিভিন্ন সাক্ষাৎকার শুনলে বা পড়লে । ভাগ্যিস তিনি অভিনয়ে এলেন ! নাহলে এই ক্ষুদ্র জীবন নতুন দর্শনের ভ্রমণে ঘুরতে পারতেন না।

Special report about actor Ravi Ghosh

বিশ্বখ্যাত পরিচালক – অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন বলেছিলেন, “ To truly laugh, you must be able to take your pain, and play with it.” তারপর আরও বলেছিলেন, “ Life is a tragedy when seen in close-up, but a comedy in long-shot.” — এই অমোঘ সমস্ত কথাগুলির সঙ্গে দৃশ্যত মানিয়ে যায় আমাদের প্রত্যেকের পছন্দের এক অভিনেতার নাম — তিনি হলেন রবি ঘোষ ! পুরো নাম রবীন্দ্রনাথ ঘোষদস্তিদার । আক্ষরিক ও ব্যবহারিক দু দিক দিয়েই মধ্যবিত্ত বাঙালির পক্ষে খুব ভারী নাম । সংক্ষেপ করে নিয়েছিলেন । বাদ পড়েছিল ইন্দ্র‚ নাথ ও দস্তিদার । যেটুকু ছিল সেটুকু ছোট‚ উচ্চারণেও সুবিধে — ছোট হলেও সে নামের ওজন ও অভিঘাত দুইই বড় সাঙ্ঘাতিক । কয়েক দশক ধরে বাংলা ছবিতে সে নামের ‘ কী দাপট ‘ ! জন্ম পূর্ববঙ্গে ১৯৩১-এর ২৪ নভেম্বর ! আজ সেই উপলক্ষে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলী !

আপাদমস্তক দক্ষিণ কলকাতার মহিম হালদার স্ট্রিটের বাসিন্দা । পড়তেন ভবানীপুরের সাউথ সাবার্বান স্কুলে । তারপর আশুতোষ কলেজ । বিজ্ঞান শাখায় পড়ছেন । বাবার আশা‚ ভবিষ্যতে ভদ্রস্থ চাকরি বাঁধা । কিন্তু ছেলেও মন বন্ধক দিয়ে দিয়েছেন থিয়েটারের কাছে । সেই সময় মাস্‌ল ফুলিয়ে, ছাতি চওড়া করে সিনেমায় ‘হিরো’ হওয়ার চল ছিল না। সুন্দর মুখ আর শক্তিশালী অভিনয়েই প্রত্যেকে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে নিজের জাত চেনাতেন। তিনি একলব্য হলে তাঁর দ্রোণাচার্য উৎপল দত্ত । কলেজে পড়তে পড়তে শরীরচর্চা করতেন । পাখির চোখ — মঞ্চে অভিনয় ।

অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় ১৯৫৯ সালে তার ‘আহ্বান’ চলচ্চিত্রে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের জন্য রবিকে যুক্ত করেন। কিন্তু, রবির জীবনের মোড় ঘুরে যায় তপন সিনহার ‘গল্প হলেও সত্যি’- তে অভিনয়ের পর। ছবিতে এক চাকরের ভূমিকায় অভিনয় করলেও তিনি হয়ে উঠেছিলেন মূল চরিত্র। তপন সিনহার ‘ গল্প হলেও সত্যি ‘ – তে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি সবার নজরে আসেন। যদিও পূর্বেই মঞ্চে উৎপল দত্তের ‘অঙ্গার’ নাটকে তাঁর অনবদ্য অভিনয় দেখেছিলেন পরিচালক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় এবং বড় পর্দায় প্রথম সুযোগ দেন তিনি — ১৯৫৯ সালে ‘ আহ্বান ‘ ছবি । নায়ক অনিল চট্টোপাধ্যায়‚ নায়িকা সন্ধ্যা রায়‚ সঙ্গে নবাগত রবি ঘোষ । ১৯৬৮ সালে সত্যজিৎ রায় নির্মিত ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ চরিত্রে তার অভিনয় চলচ্চিত্রজগতে একটি মাইলফলক। বাঘা চরিত্রে অভিনয় করে অভিনয় শিল্পটিকেই এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান তিনি।

‘গল্প হলেও সত্যি’, ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘অভিযান’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ‘হীরক রাজার দেশে’, ‘পদ্মানদীর মাঝি’, ‘বসন্ত বিলাপ’, ‘কাপুরুষ ও মহাপুরুষ’ ছবিগুলিতে একের পর চুটিয়ে অভিনয় করে নিজের জাত চিনিয়ে ছিলেন ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা রবি ঘোষ। নায়কোচিত চেহারা না হলেও সে যুগের বাংলা ছবির সমস্ত পরিচালকের প্রিয়পাত্র ছিলেন রবি। তাঁর হাত ধরেই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কত কত সফল অভিনেতা ও অভিনেত্রী এসেছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে ! ১৯৫৩ সালে কলকাতা ব্যাঙ্কশাল কোর্টে চাকরি শুরু করলেও ১৯৬১-তে সেই পাট চুকিয়ে পাকাপাকি ভাবে অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নেন রবি ঘোষ। অভিনয়ের সঙ্গে এতটাই একাত্ম হতেন যে যখনই কোনো নতুন মুখের দরকার পড়েছে তখনই এগিয়ে এসেছেন। ‘আকাশ কুসুম’-এর জন্য মৃণাল সেনের কাছে শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়কে, ‘মহানগর’এর জন্য জয়া ভাদুড়িকে, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’- র জন্য সত্যজিত রায়ের কাছে শমিত ভঞ্জ ও শুভেন্দুকে নিয়ে গিয়েছেন।

সিনেমা দেখেন কিন্তু রবি ঘোষকে পছন্দ করেন না – এমন তো হতেই পারে না। ‘ বাঘা বাইন ’ আসলে রবি ঘোষ বরিশালের বাঙাল , যদিও বড় হয়েছেন কলকাতায়। জীবনের বড় অংশ জুড়েই আছে তাঁর সিনেমার গুরু সত্যজিৎ রায়, নাটকের গুরু উৎপল দত্ত ও কমলকুমার মজুমদার। চকলেটের লোভ দেখিয়ে জয়া ভাদুরিকে নায়িকা হতে রাজি করিয়েছিলেন রবি ঘোষ। বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে বিশেষ প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তবে বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে তিনি সবচেয়ে পরিচিত তার হাস্যরসাত্মক চরিত্র রূপায়নের জন্য। চলচ্চিত্র ছাড়াও তিনি বাংলা নাট্যমঞ্চ এবং টেলিভিশন তথা ছোট পর্দায় অভিনয় করেছেন। রবি ঘোষের অভিনয়ের বিশেষ বৈশিষ্ট্যই ছিল হাস্যরসের মাধ্যমে সামাজিক রূঢ় বাস্তবিক ঘটনাগুলিকে দর্শকের সামনে উপস্থাপন করা। অভিনয়ের আন্তরিকতা ও সংবেদনশীলতা তাঁর প্রতিটি চরিত্রকে নতুন আঙ্গিকে হাজির করেছিল। আজীবন বাংলা ছবির ‘কমেডিয়ান’ তকমা পেলেও তিনি ছিলেন এক অসাধারণ চরিত্র অভিনেতা !

অথচ পর্দায় যতই তিনি একজন কমেডিয়ান অভিনেতা হোন না কেন, বাস্তবে ব্যক্তি হিসেবে ছিলেন সম্পূর্ণ বিপরীত। যিনি সময় পেলেই ‘রামকৃষ্ণ কথামৃত’ পড়তেন। পরচর্চা পরনিন্দা একবারে না-পসন্দ। ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন সাঙ্ঘাতিক সিরিয়াস । প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী অনুভা গুপ্ত প্রয়াত হয়েছিলেন ১৯৭২-এ । তার ১০ বছর পরে বিয়ে বৈশাখী দেবীকে । এক বন্ধুর বাড়িতে প্রথম আলাপ । প্রথম দর্শনে বৈশাখী দেবী নাকি খুব হেসেছিলেন তাঁকে দেখে । পরে নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন বৈশাখী দেবী । আলাপের মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে বিয়ে । যখনই মজার সংলাপ শোনার আব্দার করতেন উল্টোদিক থেকে জবাব আসতো — কেন ! আমি কি জোকার ?

বাইরের কেউ না থাকলে কাজের লোকেদের, ড্রাইভার গণেশকে বসিয়ে রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ শোনাতেন। যে জন্য বহুবার বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন, জীবনের শেষ মুহূর্তটি পর্যন্ত তাতেই নিবিষ্ট করেছিলেন, তার নাম ‘অভিনয়’। বরিশালের এ হেন কুলীন বাবুটি হলেন রবি ঘোষ।

পাঁচের দশকে (১৯৫০-’৫১) ‘সাংবাদিক’ নাটক দিয়ে পথ চলা শুরু। উৎপল দত্তের পরিচালনায় এই নাটকে মাত্র তিরিশ সেকেন্ডের অভিনয় দেখে সে দিন মৃণাল সেন বুঝেছিলেন রবি ঘোষ কত বড় অভিনেতা। সাউথ সাবারবান মেন স্কুল – এ পড়াকালীন নাটকের মহড়া দিতেন বন্ধুদের ছাদে। সহপাঠী অভিনেতা তরুণ চট্টোপাধ্যায় সঙ্গে থাকতেন। ভবানীপুর আশুতোষ কলেজের নৈশ বিভাগে বি কম- পড়ার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চায় মন দেন। কলেজই বন্ধুত্ব হয় সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এঁরই পরামর্শে পৌঁছে যান উৎপল দত্তের নাটকের দল ‘লিটল থিয়েটার গ্রুপে’। ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৫৯ — উৎপল দত্তের পরিচালনায় মিনার্ভা থিয়েটারে লিটল থিয়েটার গ্রুপ নিবেদিত ‘অঙ্গার’ নাটকের প্রথম শো।

সেদিন থেকে শেষ শো পর্যন্ত অভিনয় করেছিলেন তিনি। এই নাটকের জন্য ‘উল্টোরথ’ পুরস্কার পান। নাছোড় অভিনেতা-পুত্রের অভিনয় দেখার দিন ঠিক করেছিলেন শেষ পর্যন্ত বাবা জীতেন্দ্রনাথ। কিন্তু বিখ্যাত ‘অঙ্গার’ নাটকে ছেলের অভিনয় আর দেখা হয়নি। ২৫ ডিসেম্বর মারা যান তিনি। ‘অঙ্গার’ নাটকে সনাতনের ভূমিকায় একজন ছোটোখাটো চেহারার মানুষ খনি থেকে উঠে উচ্চ স্বরে বলে উঠেছিলেন ‘ আমি একজন ভূতপূর্ব লোক ’ ‑ যাঁরা সেই কন্ঠস্বর শুনেছিলেন তাঁরা আজীবন ভুলতে পারেননি।

ওঁর জীবনের অন্যতম প্রেরণা ছিলেন স্ত্রী অনুভাদেবী। অনুভা যখন একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী, তখন রবি ঘোষ একজন স্ট্রাগলিং অভিনেতা। অথচ কী সুন্দর ভাবে একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ‘অঙ্গার’ নাটকের অভিনয় দেখে পরিচালক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় ‘কিছুক্ষণ’ ও তপন সিংহ ‘হাঁসুলিবাঁকের উপকথা’র জন্য ডাকেন। আর থেমে থাকতে হয়নি। তপন সিংহ তো রবিকে শুধু কমেডিয়ান হিসাবে দেখতেন না, দেখতেন চরিত্রাভিনেতা হিসাবে। তাঁর কথায়, “গোটা ভারতবর্ষে রবির মতো অসামান্য ক্ষমতাসম্পন্ন চরিত্রাভিনেতা বাস্তবিক খুঁজে পাওয়া কঠিন। ” ‘হাঁসুলিবাঁকের উপকথা’র পরেই প্রস্তাব আসে সত্যজিত রায়ের ‘অভিযান’-এর জন্য।

‘হাঁসুলিবাঁকের উপকথা’ ছবি করার সময় থেকে অনুভাদেবীর সঙ্গে সম্পর্কের শুরু। সেই সময় রবি ঘোষ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অনুভাদেবীর সেবায় সুস্থ হয়ে ওঠেন। নানা টানাপোড়েনের মধ্যে বিয়ে করলেও ১৯৭২-এ স্ত্রীর অকাল মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন রবি ঘোষ। প্রায় বছর দেড়েক অভিনয় জগত থেকে সরে ছিলেন। ফিরে আসেন ‘গুপি গাইন বাঘা বাইন’- এর মাধ্যমে। এর এক দশক পরে, ১৯৮২-তে বৈশাখীদেবীকে বিয়ে করেন। ৪৭ নম্বর মহিম হালদার স্ট্রিটের বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন গলফ গ্রিনের ফ্ল্যাটে।

সময়ের ব্যাপারে খুব পাংচুয়াল ছিলেন রবি ঘোষ। ‘ঠগিনী’ শ্যুটিং-এ একদিন নির্দিষ্ট সময় পার করে ফ্লোরে এলেন। লাঞ্চের সময় জানালেন, মাকে দাহ করে এলেন, তাই দেরি। কর্তব্যপরায়ণ, দিলখোলা, আড্ডাবাজ, খাদ্যরসিক, বহুমুখী প্রতিভাধর অভিনেতা ছিলেন রবি ঘোষ। শুধু তা-ই নয়, রবি ঘোষ ছিলেন একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ। এখানে তাঁর সম্পর্কে তাপস সেনের মূল্যায়নটি মনে রাখার মতো। তাঁর কথায়, “ বহু মানুষের নানা সমস্যায় রবি যে সাহায্য করেছিল তা তাদের সূত্রেই জানতে পারি। শুধু বড় শিল্পী নয়, তিনি ছিলেন একজন খাঁটি মানুষ। ” লোকে বলতো, ‘রবি ঘোষ মানেই একাই একশো’। পরিচালক তপন সিংহ তাই বলেছিলেন, “গোটা ভারতবর্ষে রবির মতো অসামান্য ক্ষমতাসম্পন্ন চরিত্রাভিনেতা বাস্তবিক খুঁজে পাওয়া কঠিন। রবি ঘোষকে আমি সেই অর্থে কখনও কমেডিয়ান হিসেবে দেখিনি।” ” ওই চেহারার চোখদুটোই কথা বলে ! ” যেমনটি বলেছিলেন সত্যজিৎ রায়।

রবির অভিনয় সম্পর্কে একটা খাঁটি কথা বলেছিলেন উত্তমকুমার : “ আমরা হয়তো জাঁকিয়ে কিছু করার চেষ্টা করছি, আর রবি হয়তো কয়েক সেকেন্ড থেকে এমন একটা কিছু করবে যে ও গোটা দৃশ্যটা টেনে নিয়ে বেরিয়ে যাবে, লোকে হেসে গড়িয়ে পড়বে ”। আর বলিউডের প্রখ্যাত পরিচালক হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন,“ সব অভিনেতা, সব শিল্পী সব সময় আমার কাছে একশোয় একশো পায় না। রবি পেয়েছিল। ”

ওপরের দুটি বিখ্যাত চলচ্চিত্র ছাড়াও তিনি একে একে তিনি সত্যজিৎ রায়ের অভিযান (১৯৬২), মহাপুরুষ (১৯৬৫), অরণ্যের দিনরাত্রি (১৯৭০), হীরক রাজার দেশে (১৯৮০), গুপী বাঘা ফিরে এলো (১৯৯১), আগন্তুক (১৯৯১) প্রভৃতি ছবিতে অভিনয় করেন। তিনি ‘নিধিরাম সর্দার’ নামে একটি চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেন। ১৯৭০ সালে তিনি ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও অংশ নেন। গৌতম ঘোষ পরিচালিত বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘পদ্মা নদীর মাঝি’-তেও অভিনয় করেন রবি ঘোষ।
এসবের বাইরে রবি ঘোষ অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে ‘বসন্ত বিলাপ’(১৯৭৩), ‘পদি পিসির বার্মি বাক্স’ (১৯৭২), ‘ধন্যি মেয়ে’ (১৯৭১), ‘বালিকা বধূ’ (১৯৬৭), ‘কাল তুমি আলেয়া’(১৯৬৬),
‘স্বপ্ন নিয়ে’(১৯৬৬), ‘মোমের আলো’ (১৯৬৪), হাঁসুলীবাঁকের উপকথা (১৯৬২) প্রভৃতি।
প্রায় অর্ধশত বছরের অভিনয় জীবনে তিনি প্রায় একশর মতো ছবিতে কাজ করেছেন।

‘অভিযান’-এ ট্যাক্সি ক্লিনার, ‘জন অরণ্য’- এ ‘মিস্টার মিত্র’, ‘গল্প হলেও সত্যি’- তে ধনঞ্জয়, ‘পদ্মা। কলম ধরেছিলেন রবি। লিখেছিলেন দশটি কৌতুক নকশা। ১৯৯৭-এর বইমেলায় প্রকাশিত হল তাঁর ‘হাসতে যাদের মানা’। বইমেলার ইতিহাসে স্মরণীয় ১৯৯৭। সে বছরই বিধ্বংসী আগুনে মেলা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। তিনদিনের মাথায় ফের শুরু হয়েছিল মেলা। কিন্তু সেই বইমেলা বাঙালির জীবনে আরও একটি বিষাদময় ঘটনার জন্য স্মরণীয়। তাঁর বই প্রকাশিত হল, আর তিনিও চলে গেলেন। মেলা চলাকালীনই ৪ ফেব্রুয়ারি হঠাৎই প্রয়াত হলেন রবি ঘোষ। তাঁকে হারিয়ে তাঁর সঙ্গী ‘গুপী গাইন’ তপেন চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, “ শনিবার জুটি ছিলাম, রবিবার একা হয়ে গেলাম। ”

]]>
টি-২০ বিশ্বকাপে মজে বলিউডের শাহেনশা অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন https://ekolkata24.com/entertainment/bollywoods-shahenshah-actor-amitabh-bachchan-is-funny-in-t20-world-cup Sat, 06 Nov 2021 19:40:09 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10570 Sports Desk: টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার১২ নক আউটে রবিবার মুখোমুখি হচ্ছে নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। চলতি বিশ্বকাপে ভারত সেমিফাইনালে খেলবে কিনা তা চূড়ান্ত হয়ে যাবে রবিবাসরীয় মেগা ডুয়েলে।

এবার এই মেগা ডুয়েলের আচ এসে পড়লো ভারতের বলিউডে। বলিউডের শাহেনশা অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন সামাজিক মাধ্যমে নিউজিল্যান্ড বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া পোস্ট করেছেন।

পোস্টে বিগ ‘বি’ অমিতাভ বচ্চন লেখেন, “T 4088- T20 ICC বিশ্বকাপে আগামীকাল NZ বনাম AFG খেলার ফলাফল যাই হোক না কেন ..

মনে রাখবেন.. আমরা টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্কোর করেছি; কেএল রাহুল দ্রুততম ৫০ রান করেন; এবং আমরা প্রতিপক্ষ দলকে পরাজিত করেছি, রেকর্ড 6+ ওভারে ..🇮🇳।”
টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার ১২ নক আউটে ভারত (India) স্কটল্যান্ডের (Scotland) বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে জিতেছে। ভারত (India) অধিনায়ক বিরাট কোহলি টসে জিতে ফ্লিডিং’র সিদ্ধান্ত নেয় নেট রান রেটে (NRR) ভালো পজিশনে থাকার জন্য।

ক্যাপ্টেন কোহলির এই সিদ্ধান্ত ক্লিক করেছে শুক্রবার স্কটল্যান্ডের (Scotland) বিরুদ্ধে। ভারত(India) নেট রান রেটে (NRR) এখন +1.62, আফগানিস্তান (Afganistan) +1.48, নিউজিল্যান্ড(New Zealand) +1.27। ভারত (India) নেট রান রেটে গ্রুপ দুই’তে ভালো পজিশনে।

Amitabh Bachchan

<

p style=”text-align: justify;”>৭ নভেম্বর নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) খেলা আফগানিস্তানের (Afghanistan)বিরুদ্ধে। এই ম্যাচে আফগানিস্তান (Afghanistan) যদি নিউজিল্যান্ডকে (New Zealand) হারিয়ে দেয়, তাহলে ভারতের (India) টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তায় কোনও বাধা থাকবে না। তাই গোটা টিম ইন্ডিয়া, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং দেশের ক্রিকেট ভক্তরা নিউজিল্যান্ড (New Zealand) বনাম আফগানিস্তান (Afghanistan) ম্যাচের রেজাল্টের দিকে তাকিয়ে, ৭ নভেম্বরের জন্য, “কি হয় কি হয়, কি জানি কি হয়…”

]]>
Ramlila: শ্রীরামচন্দ্রের নাম নিয়ে মঞ্চেই মারা গেলেন রামলীলার অভিনেতা https://ekolkata24.com/uncategorized/ramlila-actor-dies-calling-out-shree-ram-chandras-name Sat, 16 Oct 2021 17:50:44 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7947 অনলাইন ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা রাজেন্দ্র সিংহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রামলীলায় অভিনয় করার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। রামলীলায় অভিনয় করতে করতেই মঞ্চে মারা গেলেন ৬২ বছর বয়সী ওই অভিনেতা।

রামলীলায় রামচন্দ্রের বাবা রাজা দশরথের চরিত্রে অভিনয় করছিলেন ওই অভিনেতা বলে জানা গিয়েছে। রামচন্দ্রের নাম নিয়ে সংলাপ বলতে বলতেই মঞ্চে মৃত্যু হয় তার।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আফজলগড় জেলার ডিস্ট্রিক্ট কোয়াটার থেকে ৬৫ কিমি দূরের হাসানপুর গ্রামে। সেই অভিনেতা মঞ্চে অভিনয় করতে করতেই হঠাৎই হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে সূত্রের খবর। মৃত্যুর আগে মঞ্চে শেষবার তিনি রামের নাম করে চিৎকার করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেই সময় তার সহ অভিনেতারা তার চিৎকার শুনে তাকে ধরতে আসলে দেখেন যে মঞ্চেই মৃত্যু হয়েছে ওই অভিনেতার। সূত্র মাধ্যমে জানা গিয়েছে যে রাজেন্দ্র সিংহ বিগত কুড়ি বছর ধরে রামলীলায় দশরথের চরিত্রে অভিনয় করে চলেছিলেন।

রামলীলা উত্তরপ্রদেশের একটি জনপ্রিয় লোকশিল্প। বহু মানুষ দীর্ঘদিন ধরে রামলীলায় অভিনয় করেই তার জীবিকা নির্বাহ করেন। এমনভাবেই, বিগত কুড়ি বছর ধরে রামলীলায় অভিনয় করে সংসার চালাচ্ছিলেন রাজেন্দ্র সিংহ। তার কাছে রামলীলা কেবল অভিনয়ের একটি মাধ্যমই ছিলনা, ছিল বেঁচে থাকার এক পন্থা।

যে শ্রী রামচন্দ্রকে আদর্শ মেনে রামলীলার মঞ্চে প্রথমবারের মতো পদার্পণ, বৃহস্পতিবার সেই মঞ্চেই রামলীলায় অভিনয় করতে করতে শ্রী রামচন্দ্রের নাম স্মরণ করে জীবনের শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন রাজেন্দ্র। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তার সহ-অভিনেতারা। পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়রাও গভীরভাবে শোকাহত রাজেন্দ্র সিংহ এর মৃত্যুতে।

]]>