agreement – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Fri, 13 Aug 2021 04:32:24 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png agreement – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 জানতে চায় ভারত: আজব চুক্তি উপেক্ষা করে কেন ‘রিপাবলিক ভারত’ ছাড়তে চাইছেন কর্মীরা? https://ekolkata24.com/uncategorized/india-wants-to-know-why-workers-want-to-leave-republic-bharat-ignoring-the-strange-agreement Fri, 13 Aug 2021 04:32:24 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=2329 বিশেষ প্রতিবেদন: ২০১৯ সালে চালু হয়েছিল টিভি নিউজ চ্যানেল রিপাবলিক ভারত। এডিটর ‘বিতর্কিত’ অর্ণব গোস্বামী। চ্যানেল শুরু করার প্রথম দিন থেকেই বিতর্ক এবং রিপাবলিক মিডিয়া নেটওয়ার্ক যেন সমার্থক হয়ে গিয়েছে। যদিও, বিতর্কের বেশিরভাগ অংশই অর্ণবকে ঘিরে। ‘রিপাবলিক ভারত’ চ্যানেল শুরুর প্রথম থেকেই অ্যাঙ্কর সুচরিতা কুক্রেতিকে নিজেদের চ্যানেলে আনতে বদ্ধপরিকর ছিলেন অর্ণব গোস্বামী। কিন্তু সুচরিতার তৎকালীন চ্যানেল, ইন্ডিয়া টিভি ‘রিপাবলিকে’ আসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাঁর চুক্তিতেও লেখা ছিল, সুচরিতা কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী মিডিয়া সংস্থায় যোগ দিতে পারবে না। এই ‘আজব চুক্তি’র বিরুদ্ধে রিপাবলিক আদালতে যায়৷ ইন্ডিয়া টিভি মামলা হেরে যায়। সুচরিতা কুক্রেতি ‘রিপাবলিক ভারতে’ যোগ দেন।

তারপর প্রায় দু’বছর কেটে গিয়েছে। এই দু’বছর পর রিপাবলিক মিডিয়া নেটওয়ার্ক এবার ইন্ডিয়া টিভির পথেই হাটতে শুরু করেছে৷ যদিও, এবার শুধু অন্য চ্যানেল থেকে কর্মী ভাঙানোই নয়, নিজেদের চ্যানেলে কর্মীদের কার্যত ‘বন্ডেড লেবারে’র কায়দায় রেখে দেওয়ার জন্য রীতিমতো ভয়ঙ্কর শর্তের চুক্তিপত্রে সই করতে বাধ্য করছে।

মে মাসের শেষের দিকে রিপাবলিক সমস্ত কর্মচারীদের একটি নতুন চুক্তি পাঠায়। চুক্তিপত্রে রিপাবলিক মিডিয়া নেটওয়ার্ক একটি কঠোর শর্ত দেয় যে, কমপক্ষে ১০ জন কর্মচারী সই করবেন না বলে বেঁকে বসেন। চুক্তিপত্রে প্রাক্তন কর্মচারীদের দেখানো হয়েছিল কার্যত ‘বন্ডেড লেবার’ হিসেবে। শুধু তাই নয়, যারা চুক্তিপত্রে সই করেননি, মে মাস থেকে তাদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রিপাবলিকের এক প্রাক্তন কর্মচারী জানিয়েছেন, “কোভিডের কারণে বাড়ি থেকে কর্মরত কর্মীদের কাছে ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে রিপাবলিক কর্তৃপক্ষ চুক্তিপত্র পাঠিয়েছিল। অর্থাৎ নতুন চুক্তিপত্রে আমাদের সই করাতে ম্যানেজমেন্ট এতটাই উৎসাহী ছিল। চ্যানেলের এই অদ্ভুদ আচরণে আমরা অনেকেই দ্বিধায় পড়ে যাই, সই করিনি। যারা সই করেননি, তাদের মে মাসের বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমি পদত্যাগ করাকে আরও ভাল বিকল্প বলে মনে করেছি।” এই ভদ্রলোক ছাড়াও আরও ন’জন কর্মী একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷ যাদের মধ্যে চারজন আবার চ্যানেলের প্রাইমটাইম সম্প্রচার চালাতেন।

রিপাবলিক ভারতের শুরু থেকে চ্যানেলের সঙ্গে জড়িত আরেক কর্মী বলেছেন, “আমাদের সামনে দুটি রাস্তা ছিল। আমরা হয় চুক্তিতে রাজি হয়ে বন্ডেড লেবার হতে পারি অথবা পদত্যাগ করে চলে যেতে পারি। আমার হাতে চাকরি না সত্ত্বেও আমি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চুক্তিতে এমন শর্তের কথা বলা ছিল, যা মানা যায় না।”

চুক্তিতে ঠিক কী আছে? যা রিপাবলিকের কর্মীদের মেনে নেওয়ার পরিবর্তে পদত্যাগ করতে বাধ্য করছে? এক কর্মী জানিয়েছেন, “পুরোনো চুক্তি ছিল আট পৃষ্ঠার। নতুন চুক্তিটি ৩০ পাতার। আমি প্রধানত ওদের তিনটি শর্তে আপত্তি জানাই। প্রথমত, নোটিশের মেয়াদ আগের ৪৫ দিন থেকে দুই মাসের পরিবর্তে ছ’মাস করা হবে। দ্বিতীয়ত, যদি আমি রিপাবলিক ছেড়ে যাই, তবে আমি এক বছরের মধ্যে কোনও রাইভাল বা প্রতিদ্বন্দ্বী টিভি চ্যানেল বা এমনকি ডিজিটাল আউটলেটেও কাজ করতে পারব না। তৃতীয়ত, যদি আমি আমার কাজের কারণে পুলিশ মামলার মুখোমুখি হই, তবে আমাকে সমস্ত আইনি খরচ নিজেকেই বহন করতে হবে। এটা একেবারেই অন্যায়।”

যেখানে একজন সাংবাদিকের কাছে বর্তমানে তিনটি রাস্তা। টিভি চ্যানেল, প্রিন্ট মিডিয়া বা ডিজিটাল আউটলেট। সেখানে রিপাবলিকের চুক্তি মানলে তাঁর হাতে রাস্তা থাকছে একমাত্র প্রিন্ট মিডিয়া, তাও যদি সেটি রিপাবলিকের রাইভাল মিডিয়া গোষ্ঠীর না হয়। ফলে রিপাবলিকের এই চুক্তি মানা সত্যিই অসম্ভব।

মামলায় জড়ালে নিজের আইনি খরচ নিজেকেই বহন করতে হবে। “কিন্তু একজন রিপোর্টার কতটা স্টোরি নিজের ইচ্ছায় কভার করেন, বিশেষ করে টিভিতে? বেশিরভাগই আউটপুট এডিটর যা বলে তাই করতে হয়। অনেক সময়, সাংবাদিককে সাক্ষাৎকারের জন্য প্রশ্ন এবং তাদের যে অ্যাঙ্গেল নিতে হবে তাও বলে দেওয়া হয়। ফলে যেখানে আমাদের কোনও সিদ্ধান্তই নেই৷ সেখানে আইনি ঝামেলায় ফাঁসলে আমরা কেনও খরচ দেব?” প্রশ্ন তুলেছেন পদত্যাগ করা এক কর্মী।

রিপাবলিক মিডিয়া নেটওয়ার্কের কর্মচারীদের নতুন চুক্তিতে সই করানোর জন্য এত তাড়া কেন? কিছু কর্মী চ্যানেলকে এই প্রশ্ন করলেও তাদের কোনও সদুত্তর দেওয়া হয়নি। যদিও তাদের সন্দেহ, টাইমস গ্রুপের নতুন হিন্দি নিউজ চ্যানেল ‘টাইমস নাও নবভারত’ শুরু হয়েছে৷ একসময় ‘Times Now’ থেকেই লোক ভাঙিয়ে রিপাবলিক ভালো মানের সাংবাদিকদের নিজেদের চ্যানেলে এনেছিল। এবার টাইমস গ্রুপও তাদের সঙ্গে একই কাজ করবে। ‘Times Now’ রিপাবলিকের পাঁচ-ছ’জনকে অফার দেয়৷ তার পরেই রিপাবলিক মিডিয়া গ্রুপ এই সিদ্ধান্ত নেন।

যদিও রিপাবলিক থেকে পদত্যাগ করা এক কর্মী টাইমস নাও’য়ের অফারকে ‘বোগাস’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “আমি যতদূর জানি, আমাদের চ্যানেল থেকে একজনই টাইমস গ্রুপে গিয়েছিল। রিপাবলিকের এই চুক্তির ফলে প্রাইমটাইমের টিমটা নষ্ট হচ্ছে, যারা চ্যানেলের টিআরপি এনে দিত।”

সংবাদ সুত্র: Newslaundry (মূল প্রতিবেদনটি Newslaundry থেকে নেওয়া৷ তারই অংশবিশেষ অনুবাদ করা হয়েছে)

]]>