এদিন বৈঠকের শুরুতে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী (prahlad joshi) বলেন, এতদিন সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীরা থাকতেন না। সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত থাকার এই নিয়ম মোদীই চালু করেছিলেন। কিন্তু বিশেষ কাজ থাকায় আজ তিনি এই বৈঠকে থাকতে পারলেন না। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলেও জোশী জানান।
জোশীর ওই কথায় কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, তাঁরা আশা করেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে মোদী থাকবেন। কারণ কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল-সহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর কাছে জানার ছিল। সেই সুযোগ আর হল না। এদিনের বৈঠকে প্রায় সবকটি বিরোধী দলই দ্রব্যমূল্য ও জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, পেগাসাস কাণ্ড, করোনার নতুন স্ট্রেনের মোকাবিলা-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছেন।
আজকের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ আরও কয়েকটি রাজ্যের নেতারা সীমান্তে বিএসএফের এলাকার পরিধি বাড়ানোর বিষয়টি উত্থাপন করেন। এদিন সর্বদলীয় বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেন আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জয় সিং। সঞ্জয়ের অভিযোগ, তিনি কৃষকদের দাবি মত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলােন। কিন্তু সরকার পক্ষ তাঁকে কথা বলতে দেয়নি। তাই এই বৈঠকে থাকার কোনও অর্থ হয় না। এরপরই সঞ্জয় সভা থেকে বেরিয়ে যান।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য এবং লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বিনিয়োগের বিষয়ে সরকারের বক্তব্য জানতে চান। বৈঠকে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে আইন করার জন্যও সরকারের কাছে অনুরোধ জানান।
বৈঠক শেষে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জোশী জানান, তাঁরা বিরোধীদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ পেয়েছেন। সরকার সেগুলি নিয়ে সভায় আলোচনা করতে প্রস্তুত। বিরোধীরা সংসদ চালাতে ও গঠনমূলক আলোচনা করতে সরকারকে সাহায্য করবে বলে তাঁদের আশা।
]]>তবে বিদেশমন্ত্রকের সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে, আফগানিস্তানে তালিবান (Taliban) নিয়ন্ত্রণের পর নয়াদিল্লি খুবই ধীরে চলো নীতি নিয়েছে। যদিও ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশ বার্তা দিতে শুরু করেছে তালিবানকে। তাদের বার্তায় এসেছে সমর্থন ইঙ্গিত।
Briefed the Floor Leaders of all political parties today on Afghanistan.37 leaders from 31 parties attended. Thank them all.
There is longstanding national sentiment on Afghanistan. Therefore there is national concern now at developments.We are gathered with a national spirit.
— Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) August 26, 2021
দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বিরোধী দলের নেতৃত্বের দীর্ঘ আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী আফগান পরিস্থিতি তুলে ধরেন। ব্যাখ্যা করেন পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে। বিরোধী নেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ অন্যান্য দলগুলির নেতৃত্ব ছিলেন।
আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তালিবানদের একপ্রকার মান্যতা দিয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন জানিয়েছেন এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রক একমাত্র তালিবান। আর বিকল্প নেই। পুতিনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ টেলিফোনিক আলোচনার পরেই সর্বদলীয় বৈঠক স্থির হয়।
]]>আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তালিবানদের একপ্রকার মান্যতা দিয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন জানিয়েছেন এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রক একমাত্র তালিবান। আর বিকল্প নেই।
পুতিনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ টেলিফোনিক আলোচনার পরেই সর্বদলীয় বৈঠক স্থির হয়েছে। বৈঠকে বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট জানতে চাইবে বিরোধী দলগুলি।
গোটা বিশ্ব মুখিয়ে আফগান ইস্যুতে ভারতের ভূমিকার দিকে। রাজনৈতিক জীবনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে আফগান তালিবান ইস্যুর উপর সিদ্ধান্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ।
]]>রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানাচ্ছে, আফগানিস্তানে এখন তালিবানই নিয়ন্ত্রক, এই বাস্তবতা মানছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তবে ক্রেমলিন চায় আফগানিস্তানে যেন দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হোক।
এদিকে পুতিনের ইঙ্গিতপূর্ণ সমর্থন আসতেই কাবুলে তালিবান জঙ্গি নেতৃত্বের মধ্যে উল্লাস ছড়ায়। রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের অন্যতম চিন ও রাশিয়া ক্রমে নিকট হচ্ছে তালিবানের।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আফগান ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুজনের মধ্যে দীর্ঘ টেলিফোনিক আলোচনা তৈরি করেছে বিশ্বজোড়া কৌতূহল। আন্তর্জাতিক মহলের প্রশ্ন ভারত কি আফগানিস্তানে সরকার গড়তে চলা তালিবানকে সমর্থন দেবে ?

প্রধানমন্ত্রী মোদী আফগানিস্তান ইস্যুতে ২৬ অগাস্ট বৃহস্পতিবার সকালে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর জানিয়েছেন, বৈঠকে লোকসভা ও রাজ্যসভার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
আফগানিস্তানের টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারতের উপর আর্থিক চাপ বিরাট। কারণ বিদেশে ভারতের সর্বাধিক বিনিয়োগের খাতায় আফগানিস্তান অন্যতম। বিদেশমন্ত্রক জানাচ্ছে, আফগানিস্তানে পরিকাঠামো নির্মাণে ভারত ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। আসন্ন তালিবান সরকারের আমলে আফগানিস্তানে সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক অবস্থান কী হবে, তা নিয়েও সর্বদলীয় বৈঠকে আলোচনা হবে।
সরকারে বিজেপি। তালিবান যখন ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত প্রথমবার আফগানিস্তানে জঙ্গি নাশকতার সরকার কায়েম করেছিল সেই সময় ঘটেছিল কান্দাহার বিমান অপহরণের মতো মারাত্মক ঘটনা। ১৯৯৯ সালের সেই ঘটনার সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। চাপের মুখে জঙ্গি নেতা মাসুদ আজহারের মুক্তির বিনিময়ে ভারতীয় যাত্রীদের জীবন বাঁচানো হয়।
ভারতে এখন এনডিএ সরকার। ক্ষমতার কেন্দ্রে বিজেপি। আফগানিস্তানে ফের তালিবান নিয়ন্ত্রণ শুরু। ফলে বাজপেয়ী জমানার সঙ্গে মোদী জমানার কূটনৈতিক অবস্থান নিয়েও চলছে আলোচনা।
মোদীর আহ্বানে সর্বদলীয় বৈঠকে সরকারপক্ষ বিজেপি ছাড়া বিরোধীদের মধ্যে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, সিপিআইএম, সিপিআই সহ বিভিন্ন দল থাকবে। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা থাকছে। তিনি কী বার্তা দেবেন মোদীকে সেটি বিশেষ আলোচিত। তেমনই জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে। কারণ তালিবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গি সংগঠনগুলি তৎপরতা বেড়েছে।
তবে এই ধরণের আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সিপিআইএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বার্তা বিশেষ গুরুত্ব দেয় কেন্দ্র। ইউপিএ বা এনডিএ যে কোনও সরকারের আমলেই বিদেশ সংক্রান্ত নীতির উপর বারবার সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সূক্ষ্ম সমালোচনা করেন ইয়েচুরি।
কংগ্রেস কী বার্তা দেয় তাও লক্ষ্যনীয়। ইউপিএ আমলেই আফগানিস্তানে বড়সড় বিনিয়োগের সূত্রপাত হয়। ফলে রাহুল গান্ধীর অবস্থান নিয়েও চলছে আলোচনা।
এদিকে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে এখনও অনেক ভারতীয় আটকে রয়েছেন। তাদের ফিরিয়ে আনতে দিল্লি থেকে কাবুল পর্যন্ত বিশেষ বিমান পরিষেবা চালু করেছে সরকার।
]]>