anjali – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Mon, 11 Oct 2021 14:49:05 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png anjali – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Durga Puja 2021: ভিন রাজ্যে গিয়েও সহজে দেওয়া যাবে মহাষ্টমীর অঞ্জলি https://ekolkata24.com/uncategorized/durga-puja-2021-anjali-of-mahasthami-can-be-easily-given-even-if-you-go-to-another-state Mon, 11 Oct 2021 14:49:05 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7318 নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: সোমবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো। তবে দুর্গাপুজোয় বহু বাঙালি পরিবার ভিন রাজ্যে ভ্রমণে গিয়ে থাকেন। আজকাল বেশিরভাগ মানুষেরই সময় কম। কারণ অফিস বা ব্যবসায় সেভাবে ছুটি মেলে না। তাই পুজোর ছুটিতে তাঁরা বাইরে ঘুরে আসতে চান। কিন্তু ভিন রাজ্যে গেলেও সেখানেও মিলবে অঞ্জলি দেওয়ার সুযোগ। এখন প্রশ্ন হল কোন কোন রাজ্যে গেলে মহাষ্টমীর অঞ্জলিতে দিতে কোন অসুবিধে হবে না বাঙালি পর্যটকদের।

বাংলা ছাড়াও দিল্লি, মহারাষ্ট্র, অসম, ওড়িশা, ঝাড়খন্ড, বিহারেও রীতিমতো দুর্গাপুজো হয়। এই সব রাজ্যে বেড়াতে গেলে অঞ্জলি দেওয়ার সমস্যা হবে না। অর্থাৎ বাইরে ঘোরাও হবে, আবার দেওয়া হবে মহাষ্টমীর অঞ্জলি। এমনকী চাইলে দেবীর ভোগ খেতেও পারবেন।

বাংলার পরেই ধুমধাম করে দুর্গা পুজো হয় দিল্লিতে। বিশেষ করে দিল্লির বাঙালি পাড়া হিসেবে পরিচিত চিত্তরঞ্জন পার্কে গেলে কারও মনেই হবে না কলকাতার বাইরে আছেন। এখানে রীতিমতো অঞ্জলি দিতে পারবেন। এমনকী উদ্যোক্তাদের বলে রাখলে ভোগের অভাব হবে না। যদি বাঙালি খাবার খাওয়ার ইচ্ছে হয় তবে চিত্তরঞ্জন পার্ক সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর বাঙালি রেস্তোরাঁ আছে। যারা দুর্গাপূজার জন্য বিশেষ মেনু তৈরি করে।

দিল্লির পর অসমেও রীতিমতো দুর্গাপুজো হয়ে থাকে। এই রাজ্যে গেলেও ঘোরার পাশাপাশি অঞ্জলি দিতে কোন সমস্যা হবে না। আসামের গুয়াহাটি, তেজপুর, দিসপুরের মত জায়গায় প্রচুর দুর্গাপুজো হয়। সুন্দর সুন্দর প্রতিমা। রয়েছে পুজোর বিশেষ আয়োজন। যথেষ্ট নিষ্ঠুর সঙ্গেই পুজো হয় অসমের বিভিন্ন এলাকায়। তাই অসম বেড়াতে গিয়ে অঞ্জলি কোনওভাবেই মিস হবে না। বাঙালি খাবার, না সেটা মিস করবেন না।

আমরা এখনও অনেকেই বলি বাঙালিদের দ্বিতীয় বাড়ি হচ্ছে বেনারস বা কাশী। যেখানে বাঙালি থাকবে সেখানে দুর্গাপূজা হবে না, এটা কি ভাবা যায়। তাই কাশীতে যথেষ্ট ধুমধামের সঙ্গে দুর্গোৎসব পালিত হয়। কাশিতে পৌঁছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি যেকোনও পুজো প্যান্ডেলে গিয়ে মহাষ্টমী, মহানবমীর অঞ্জলি দিতে এতোটুকু সমস্যায় পড়বেন না পর্যটকরা। কাশীতে গেলে উপরিপাওনা হল দশেরা। এখানে দুর্গাপুজোর পাশাপাশি ধুমধামের সঙ্গে দশেরা পালিত হয়।

বাংলার পাশের বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডে প্রচুর দুর্গাপূজা হয়। কারণ এই তিন রাজ্যে বাঙালির সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাই পুরী ঘুরতে গিয়ে দুর্গাপুজো কখনওই মিস হবে না। পাশাপাশি বিহার ও ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যকর জায়গাগুলিতে গেলেও দুর্গাপুজো উপভোগ করতে কোনও অসুবিধা নেই।

সবশেষে আসা যাক দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বইয়ের কথায়। মুম্বইয়ে বাঙালির অভাব নেই। একসময় বহু বাঙালি এখান থেকে পুজোর সময় নিজেদের রাজ্যে ফিরতে পারতেন না। সে কারণেই তাঁরা মুম্বইয়ে পুজো চালু করেছিলেন। তাই মুম্বইয়ে ঘুরতে গিয়ে দুর্গাপুজোর অঞ্জলি দিতে কোনও সমস্যা নেই। পাশাপাশি মুম্বাইয়ের পুজো প্যান্ডেলগুলিতে খাওয়া-দাওয়ার এলাহী আয়োজনও থাকে। পুজোর চারদিন বাঙালি খাবারের অভাব নেই। বিরিয়ানি থেকে পায়েস সব কিছুই মিলবে মুম্বইয়ে। উপরি পাওনা হিসেবে হয়তো কোন প্যান্ডেলে দেখা হয়ে যেতে পারে আমির খান, সলমান খান বা করিণা কাপুরের সঙ্গেও।

]]>
নারীশক্তি: মা মজুর খেটে পিতৃহারা পাঁচ ছেলেমেয়েকেই পুলিশের উর্দি পরালেন https://ekolkata24.com/offbeat-news/women-power-four-real-sisters-sunita-ranjeeta-anjali-kunti-of-up-who-became-police-constables-in-uttar-pradesh Mon, 06 Sep 2021 09:53:38 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=3987 নিউজ ডেস্ক: উত্তর প্রদেশের মথুরা সীমান্তে আছনেরা জেলার আগ্রার ছোট্ট গ্রাম রায়পুরা আহির। এই গ্রামের বীরেন্দ্র সিংয়ের পরিবারের সব থেকে বড় লড়াই ছিল প্রতিকূলতার মধ্যেও বেঁচে থাকা৷  কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে শিক্ষা লাভ এবং সাফল্য পাওয়ার বড় উদাহরণ হয়ে দাঁড়াল এই পরিবার৷ শৈশবে বাবাকে হারানো পাঁচজন প্রকৃত ভাই-বোন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কনস্টেবল হল৷ তারমধ্যে চারজনই মেয়ে৷

ইউপির কয়েকটি পরিবারের মধ্যে এমন একটি পরিবার, যাদের শিশুরা চরম দারিদ্র্য দেখেছে৷ তারপরেও দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করেছে। দেখেছে সাফল্যের মুখ৷ একে অপরকে অনুসরণ করে চার বোন এবং এক ভাই ইউপি পুলিশে যোগ দিয়েছেন। এই বোনদের মধ্যে একজন এখন অবশ্য পুলিশ কনস্টেবল পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন৷ পুলিশের চাকরি ছেড়ে শিক্ষকতা করছেন৷

ইউপি পুলিশ কনস্টেবল ভাইবোনদের বড় বোন সুনীতা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথপোকথনে জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের কঠিন সংগ্রাম এবং তাঁর ভাই-বোনদের সাফল্যের পুরো গল্প বর্ণনা৷ যা অনেকের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক৷ যাদের ছোটবেলাতেই পিতৃহারা হতে হয়েছে এবং কঠোর পরিশ্রম করার পরিবর্তে, তারা ভাগ্যকে অভিশাপ দিতে থাকে।

sunita ranjita anjali dhiraj

সুনীতা কনস্টেবল, পুলিশ লাইন বেরেলি
এই পুলিশ কনস্টেবল ভাইবোনদের মধ্যে বড়৷ সুনিতা ২০১৬ সালে ইউপি কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল। বিবিএ পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ করা সুনীতা অতীতে বেরেলি জেলার কিলা থানায় কর্মরত৷ এখনও বরেলি পুলিশ লাইন্সে কর্মরত।

রঞ্জিতা: প্রথমে কনস্টেবল, এখন শিক্ষক
দ্বিতীয় বোন রঞ্জিতা৷ বিএড এবং বিএসসি ডিগ্রি পেয়েছেন৷ তাঁর দুই ছোট বোন কুন্তি এবং অঞ্জলির সঙ্গে ২০১৯ সালের ইউপি পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করেন। রঞ্জিতা ইউপির মালওয়া থানায় পোস্টিং পেয়েছিলেন। পুলিশ কনস্টেবল হওয়ার পরও তিনি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি অব্যাহত রাখেন। সম্প্রতি তিনি শিক্ষক নিয়োগে নির্বাচিত হন এবং পুলিশ কনস্টেবল থেকে পদত্যাগ করেন। বর্তমানে শিক্ষক প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

অঞ্জলি এবং কুন্তী কনস্টেবল, হুসাইনগঞ্জ
তৃতীয় ও চতুর্থ বোন অঞ্জলি এবং কুন্তীও৷ তাঁরাও বড় বোনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ২০১৯ সালের ইউপি পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা পাস করেছে। অঞ্জলি ইন্টার এবং কুন্তী বিএ প্রথম বর্ষ পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন৷ এই দুই বোনই বর্তমানে ফতেহপুর জেলার হুসাইনগঞ্জ থানায় কর্মরত। এটি তাঁদের প্রথম পোস্টিং।

ধীরাজ পিএসি’তে প্রশিক্ষণরত
চার বোন ছাড়াও সম্প্রতি তাঁদের ভাই ধীরাজও সফল হয়েছে। তিনি পিএসি’তে কনস্টেবল পদে নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি পিএসিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ধীরজ বিএ দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনার সময়ই এই সাফল্য পেয়েছেন৷

বড় বোন সুনীতা জানান, ২০০২ সালে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁদের বাবা মারা যান৷ তাঁর মৃত্যুর খবরও এক সপ্তাহ পরে তাঁদের পরিবার পেয়েছিল। দুর্ঘটনার পরিচয় না পাওয়ার পর পুলিশ তাঁদের বাবার মৃতদেহ দাহ করেছিল। এরপর সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে পরিবার তাকে পোশাকের মাধ্যমে চিহ্নিত করে৷।

স্বামীর মৃত্যুর পর মা মছলা দেবী সাত সন্তানের দেখাশোনা করেন। স্বামীর মৃত্যুর সময় ছোট মেয়ে অঞ্জলির বয়স ছিল মাত্র ১০ মাস। সুনীতার বয়স ছিল আট বছর, রঞ্জিতা ছয় বছর, কুন্তী দুই বছর, ধীরজ চার বছর, দ্বিতীয় ভাই সুধীর কুমারের বয়স ছিল ১৪ বছর। বড় বোন শশীর বিয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের বাবা৷

সুনীতা জানান, তাঁদের কিছু জমি আছে। এছাড়াও তাঁর বাবার মৃত্যুর পর তারা মহিষ পালন শুরু করেন। গবাদি পশু এবং কৃষিকাজের মাধ্যমে মাছলা দেবী সব ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করিয়েছেন৷ প্রত্যেকই সফল করেছেন৷ সুনীতা এবং তাঁর বোনরা তাঁদের মাকে সবচেয়ে বড় শক্তি বলে মনে করেন৷

]]>