গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্যের কাছে জানাতে চাওয়া হয়েছিল আসন্ন আইএসএলে এসসি ইস্টবেঙ্গল দলে চমক কি হতে চলেছে। ফুটবলের পরিভাষায় ‘লাস্ট লাইন অফ ডিফেন্স’ বলতে গোলকিপারকেই বলা হয়। সেই গোলকিপার লাল হলুদ শিবিরের অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেন, “আসন্ন আইএসএলে ‘সারপ্রাইজ প্যাকেজ’ হয়ে উঠতে পারে চিমা (ড্যানিয়েল চিমা চুকুউ)। ” কেন? উত্তরে বলেন, “ও যদি পরিবেশের সঙ্গে তাড়াতাড়ি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে, তা হলে সবচেয়ে বড় চমক হয়ে উঠতে পারে। আমি ওকে যতটুকু দেখেছি আর আইএসএল নিয়ে আমার যতটা অভিঞ্জতা রয়েছে, তাতে করে বলতে পারি, ও খুবই ভাল ফুটবলার, সঙ্গে খেলাটা বোঝেও খুব ভাল। “
বিগত ৮০’দশকে নাইজিরিয়া থেকে চিমা ওকোরি কলকাতার ফুটবলে পা রেখেছিলেন। তিন বছর মহমেডান স্পোর্টিংয়ের হয়ে খেলেন, এরপর ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে ফেলেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ মোহনবাগানের হয়ে সার্ভিস দিতে দেখা গিয়েছে চিমাকে। কিন্তু হঠাৎ করেই কলকাতাকে গুডবাই জানিয়ে চার বছরের জন্য ইউরোপের বিভিন্ন ক্লাবে ফুটবল পায়ে খেলতে দেখা যায় চিমাকে। ১৯৯৭’এ ফিরে আসা মোহনবাগানে, টানা ১৯৯৯ পর্যন্ত সবুজ মেরুন জার্সিতে সবুজ গালিচায় শাসন করে খেলেন।
কলকাতার তিন প্রধানে সমর্থকদের প্লাসরেট (চিমা,চিমা,চিমা…) বাড়িয়ে তোলা নাইজেরীয় স্ট্রাইকার চিমা ওকোরির ধূসর স্মৃতিতে নতুন করে ফুল ফোটাতে এখন লাল হলুদে নতুন চিমার আগমন। টুর্নামেন্ট শুরর আগেই গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য’র এই মন্তব্য নিশ্চিত ভাবে লাল হলুদ সমর্থকদের আইএসএল নিয়ে ক্রেজ শতগুণ বাঁড়িয়ে তুলবে।
]]>আরও পড়ুন কলকাতা লিগে নেই ইস্ট-মোহন, বাংলার ফুটবল বাঁচাতে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ আইএফএ কর্তারা
তারপরেই আইএসএলেরই আরেক গোলরক্ষক অমরিন্দর সিংকে দলে নিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। ফলে এএফসি কাপের প্রথম তিন ম্যাচে অ্যান্তোনীয় হাবাসের দলে জায়গা হয় নি অরিন্দমের। দলের শেষ প্রহরীর দায়িত্ব সামলেছেন অমরিন্দর। ফলে দল ছেড়েছিলেন অরিন্দম। জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে এসসি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) পথেই পা বাড়ালেন তিনি।
আরও পড়ুন শুভ ঘোষ-আদিল খানকে দলে নিয়ে চমক দিল এসসি ইস্টবেঙ্গল
আরও পড়ুন মোহনবাগানেই আছি জানিয়ে দিলেন প্রবীর দাস
মোহনবাগান ছাড়ার পর থেকেই তাঁর ভবিষ্যতের দল নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। তাঁর ভবিষ্যতের ক্লাব হিসেবে উঠে এসেছিল একাধিক নাম। শোনা গিয়েছিল তিনি কেরালা ব্লাস্টার্স কিংবা মুম্বই সিটি এফসিতেও যেতে পারেন। অন্যদিকে অরিন্দম মোহনবাগান ছাড়ার পরেই তাঁকে সই করাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু শ্রী সিমেন্ট তাঁর সঙ্গে একবছরের চুক্তির প্রস্তাব দেওয়ায় সমস্যা হচ্ছিল অরিন্দমের পক্ষ থেকে। চুক্তির অঙ্ক নিয়েও দুপক্ষের মধ্যে মতভেদ ছিল। অবশেষে সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিলেন তিনি।
Big Breaking : Arindam Bhattacharya has signed for SC East Bengal.
Welcome HOME Arindam
#JoyEastBengal #SCeastBengal #EBRP pic.twitter.com/SRLGpXFFtM
— EAST BENGAL the REAL POWER (EBRP)
(@EBRPFC) September 6, 2021
কয়েকদিন আগেই কার্যত পয়েন্ট অফ নো রিটার্নের ইঙ্গিত দিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে স্পোর্টিং রাইট ফিরিয়ে দিয়েছিল লগ্নিকারী সংস্থা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের চুক্তি নিয়ে সমস্যা মিটে গিয়েছে। আর তার পরেই দল গড়ার কাজে নেমে পড়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। দলবদলের ব্যাপারে লাল-হলুদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন, সেই নিষেধাজ্ঞাও তারা তুলে নিয়েছে।
#teamaikya #ChhilamAchiThakbo #WeAreSCEB #JoyEastBengal #IndianFootball #TorchBearers pic.twitter.com/MY915qY3PF
— 𝐋𝐚𝐥 𝐇𝐨𝐥𝐮𝐝 𝐀𝐢𝐤𝐲𝐚 (@EB_LHA) September 6, 2021
মহম্মদ রফিক, শঙ্কর রায়, মির্শাদ, জেজে, অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়রা গত মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। সাইড ব্যাকে খেলা হীরা মণ্ডলকেও সই করিয়েছে দল। শুভ ঘোষ-আদিল খান-রোমিও ফার্নান্দেজরাও ইতিমধ্যে সই করে ফেলেছেন। এবার অরিন্দমকে দলে নিয়ে চমক দিল শতাব্দীপ্রাচীন ইস্টবেঙল (East Bengal)।
]]>
গতবার তেকাঠির তলায় সবুজ-মেরুনের অন্যতম ভরসা ছিলেন অরিন্দম ভট্টাচার্য (Arindam Bhattacharya)। ফাইনালে তাঁর ভুলে মোহনবাগান গোল খেলেও গোটা টুর্নামেন্টেই ধারাবাহিকতা দেখিয়েছিলেন এই বাঙালি গোলরক্ষক৷ গোল্ডেন গ্লাভসও উঠেছিল তাঁর হাতেই।
কিন্তু তারপরেই আইএসএলেরই আরেক গোলরক্ষক অমরিন্দর সিংকে দলে নিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। ফলে এএফসি কাপের প্রথম তিন ম্যাচে অ্যান্তোনীয় হাবাসের দলে জায়গা হয় নি অরিন্দমের। দলের শেষ প্রহরীর দায়িত্ব সামলেছেন অমরিন্দর। শোনা গিয়েছিল, লোনে লাল-হলুদে আসতে পারেন তিনি। প্রণয় হালদারকেও প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল অফিসিয়ালরা৷ কিন্তু এই মূহুর্তে দু’জনেরই লাল-হলুদে আসার সম্ভাবনা কার্যত নেই বললেই চলে।
মোহনবাগান ছেড়ে জামশেদপুর এফসিতে যোগ দিয়েছেন প্রণয় হালদার। দলে সু্যোগ পেয়ে না পেয়ে ইতিমধ্যেই মোহনবাগান ছেড়েছেন অরিন্দম। যদিও লাল-হলুদে আসার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীন।
হাতে সময় কম, ৩১ আগস্ট দলবদলের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। হাতে মাত্র ৫ দিন সময়, তার আগেই দলগঠন সম্পূর্ন করতে হবে লাল-হলুদকে। নয়তো বড় অঙ্কের ট্রান্সফার ফি দিয়ে অন্য দল থেকে ফুটবলার নিতে হবে। যদিও নতুন ফুটবলার নেওয়ার ব্যাপারে প্রাথমিক কাজ কিছুটা সেরে ফেলেছেন ক্লাব অফিসিয়ালরা। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ফুটবলারকে প্রস্তাব দিয়েছেন ক্লাবের তরফ থেকে। মহম্মদ রফিক, শঙ্কর রায়, মির্শাদ, জেজে, অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়রা গত মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে চুক্তি করা হচ্ছে।
দলবদলের ব্যাপারে লাল-হলুদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন, বৃহস্পতিবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। ফলে নতুন ফুটবলার সই করাতে আর কোনও বাধা রইল না এসসি ইস্টবেঙ্গলের সামনে।
]]>