Ashok Bhattacharya – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Thu, 30 Dec 2021 17:13:15 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Ashok Bhattacharya – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 SMC Election: অশোকের শিলিগুড়ি ফর্মুলা ‘ফেল’, প্রতিপক্ষ ‘শিষ্য’ শংকর-ই ভরসা বিজেপির https://ekolkata24.com/uncategorized/smc-election-siluguri-ashok-bhattacharya-forumula-versus-bjp Thu, 30 Dec 2021 13:58:20 +0000 https://ekolkata24.com/?p=17192 News Desk: বিধানসভার ভোটে রাজনৈতিক গুরুকে পরাজিত করেছেন। তবে সৌজন্য কমেনি। আশীর্বাদ নিয়েই বিধানসভায় গিয়েছেন শংকর ঘোষ। বাম থেকে রাম হওয়া শিলিগুড়ির (SMC Election) বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের দাবি, এই শহরের পুরভোট বলে দেবে অশোকবাবুর ফর্মুলা ফেল করেছে।

বিজেপির দাবি, পুরনিগমের লড়াইয়ে পরিষেবা প্রাধান্য পায়, রাজনৈতিক তত্ত্ব নয়। বামপন্থী ও কংগ্রেস জোটের গত কর্পোরেশন বোর্ড পরিষেবা দিতে খামতি রেখেছিল। তার ফল মিলবে পুরভোটে। বিধায়ক শংকর ঘোষের দাবি, সিপিআইএম কোনও ফ্যাক্টরই নয় ভোটে।

শিলিগুড়ি কার? বিধানসভার ভোটে বিজেপির। আর পুরনিগম ভোটে? চতুর্মুখী লড়াইয়ে ভোটকাটাকাটির ফায়দা যে তুলতে পারবে তার দিকেই। এমনই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

কলকাতা পুরনিগমের মতো শিলিগুড়িতেও বামফ্রন্টের সঙ্গে কংগ্রেস জোট হচ্ছে না। কংগ্রেসও প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে কিছু ওয়ার্ডে সমঝোতার চেষ্টা চলছে বলে দুই শিবিরের নেতারা জানাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির প্রাক্তন বিধায়ক ও প্রদেশ কংগ্রেস শীর্ষ নেতা শংকর মালাকার। কংগ্রেসের অভিযোগ, বামফ্রন্ট যেভাবে জোটের কথা বলেও একতরফা প্রার্থী দিয়েছে তাতে সমঝোতার রাস্তা বন্ধ।

২০১১ সালে বাম জমামার পতনের সময় শিলিগুড়ি গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস দখলে। এর পরেই কংগ্রেস ও সিপিআইএমের জোট সূত্রে বাজিমাত করেছিলেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। পুরনিগমের দখল নেন, বিধানসভায় জয়ী হন। ‘শিলিগুড়ি মডেল’ রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোচিত হয়। তবে শিলিগুড়ি বাদ দিলে এই ‘মডেল’ অন্যত্র কার্যকরী হয়নি। সর্বশেষ বিধানসভা ভোটে সংযুক্ত মোর্চা তত্ত্ব নিয়ে বামফ্রন্ট , কংগ্রেস ও আইএসএফ জোটের ভরাডুবি হয়। শিলিগুড়িতে পরাজিত হন অশোক ভট্টাচার্য।

শিলিগুড়িতে বামফ্রন্ট ও তৃণমূল কংগ্রেসের মাঝখান থেকে বাম ত্যাগী বিজেপি হওয়া শংকর ঘোষ নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর কাধেই শিলিগুড়ি পুরনিগমের ভোট যুদ্ধের ভার দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। শংকর ঘোষ নিজেও প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বলছেন, পুরনো ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে চাইছেন এখানকার বাসিন্দারা। পুরনিগমের ফলাফল সেটাই বলে দেবে।

]]>
SMC Election: কলকাতার মতো ভোট করাতে শিলিগুড়িতে দেব না, অশোকের হুঙ্কার https://ekolkata24.com/uncategorized/smc-election-ashok-bhattacharya-reaction-on-siliguri-corporation-poll-rigging Tue, 28 Dec 2021 15:42:16 +0000 https://ekolkata24.com/?p=16971 News Desk: কলকাতায় যেভাবে ভোট করানো হয়েছে সেটা হবে না শিলিগুড়িতে। এমনই হুঙ্কার দিলেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র তথা বামফ্রন্টের মেয়র পদপ্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য। একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, কোনও অবস্থায় কলকাতা পুরনিগমে ভোটের দিনের পরিস্থিতি আনতে দেব না।

পড়ুন: SMC Election: কংগ্রেসের সঙ্গেই জোট, শিলিগুড়িতে একলা লড়ার মুরোদ হারাল CPIM

কলকাতা পুরনিগমের ভোটে ব্যাপক ছাপ্পার অভিযোগ এসেছে। মামলা হয়েছে। অশোকবাবুর দাবি, শিলিগুড়িতে এমনটা করতে দেওয়া হবে না।সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন পুরমন্ত্রী ও বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যের এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। বর্ষীয়ান সিপিআইএম নেতা ও গত পুরবোর্ডের মেয়র অশোকবাবুর দাবি, শিলিগুড়ির মানুষ ভোট লুঠ রুখে দিতে প্রস্তুত।

অশোকবাবু বলেছেন, আমি নিজে তো জিতবই, বামফ্রন্ট জিতবে। শিলিগুড়িতে আগেও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে জিতেছি আমরা।

তিনি এই প্রসঙ্গে টেনে আনেন ২০১১ সালে বামফ্রন্ট সরকারের পতনের পরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। সাক্ষাতকারে অশোক ভট্টাচার্য বলেছেন, বাম সরকার পতনের বছরে হেরেছিলাম। তার পরেও শিলিগুড়ি থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলাম। শিলিগুড়ি পুরনিগম দখল করেছি। সরকারের প্রবল অসহযোগিতার মধ্যেও শিলিগুড়ি পুরনিগম রাজ্যের অন্যান্য পুরনিগমগুলির থেকে বেশি কাজ করেছে।

পুরনিগমগুলির কাজের নিরিখে অশোক ভট্টাচার্যের দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মেনে নিচ্ছেন। তাঁদের যুক্তি, তুলমূল্য বিচারে কলকাতার পর শিলিগুড়ির অবস্থান। দার্জিলিং জেলার এই শহর উত্তরবঙ্গের রাজধানী তো বটেই, এর আন্তর্জাতিক পরিচিতি রয়েছে। শিলিগুড়ি পুরনিগমের কাজে বিভিন্ন অভিযোগ থাকলেও সার্বিক বিচারে অশোকবাবু মেয়র হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন।

বিশ্লেষণে উঠে আসছে, বামফ্রন্ট সরকারের আমলে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মন্ত্রিসভায় পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য ছিলেন ‘উত্তরবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী’। তাঁর রাজনৈতিক প্রভাবে ২০১৫ সালে পুরনিগমে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোটের বোর্ড হয়েছিল। এরপর অশোক ভট্টাচার্য ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত করেন। ২০২১ এর ভোটে বামফ্রন্ট শূন্য হয়ে যায়। শিলিগুড়িতে প্রবল উদ্দীপনা জাগিয়েও পরাজিত হন অশোক ভট্টাচার্য। রাজ্যে বিপুল জয় পেলেও শিলিগুড়ি অধরা থেকে গেছে তৃণমূল কংগ্রেসত নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই কেন্দ্রে জয়ী হন সিপিআইএম ত্যাগী বিজেপির শংকর ঘোষ।

বিধানসভায় শূন্য হয়ে গেলেও সদ্য সমাপ্ত কলকাতা পুরনিগমের ভোটে চমকে দিয়েছে বামফ্রন্ট। ভোট প্রাপ্তির নিরিখে কলকাতায় বামপক্ষ বিরোধী তকমা পেয়েছে। বিজেপি নেমেছে তিন নম্বরে।

<

p style=”text-align: justify;”>কলকাতায় বামেদের উত্থানের পর শিলিগুড়ি পুরনিগমের ভোট নিয়ে প্রবল চর্চা। বামপক্ষ এখানে শক্তিশালী। লড়াই হতে চলেছে ত্রিমুখী।

]]>
SMC Election: কংগ্রেসের সঙ্গেই জোট, শিলিগুড়িতে একলা লড়ার মুরোদ হারাল CPIM https://ekolkata24.com/uncategorized/smc-siliguri-corporation-election-left-front Tue, 28 Dec 2021 12:24:33 +0000 https://ekolkata24.com/?p=16937 News Desk: কলকাতা পুরনিগমে একলা বামফ্রন্ট লড়ে ভোটের নিরিখে মূল বিরোধী ভূমিকায় চলে এসেছে। কলকাতায় যা সম্ভব তা হলো না বামেদের শক্তিশালী এলাকা শিলিগুড়িতে। আসন্ন শিলিগুড়ি পুরনিগম ভোটে জোট করেই ভোটে নামছে বামেরা। গতবারের মেয়র তথা প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য দিচ্ছেন নেতৃত্ব।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ফোন পেয়েই ভোটে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন অশোক ভট্টাচার্য। দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্টের তরফে প্রকাশিত শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রার্থী তালিকায় ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়াই করছেন তিনি।

শিলিগুড়ি পুরনিগমের মোট ৪৭টি ওয়ার্ড। পুর ভোটে বামফ্রন্ট প্রার্থী তালিকায় ৩৫ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্ট আহ্বায়ক জীবেশ সরকার বলেছেন, গত পুরভোটে যে ৪টি আসনে কংগ্রেস জয়ী হয়েছিল সেখানে কোনও বাম প্রার্থী থাকবে না। তাঁর এই ঘোষণার পরেই স্পষ্ট হয়ে যায় কলকাতার মতো ‘একলা চলো’ সূত্র শিলিগুড়িতে প্রয়োগ করল না বামপক্ষ।

শিলিগুড়ি পুরনিগমে ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে চূড়ান্তভাবে কটি ওয়ার্ড কংগ্রেসকে ছাড়তে পারে বামফ্রন্ট, এই বিষয়ে দুই শিবিরে আলোচনা হবে। দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি প্রাক্তন বিধায়ক শংকর মালাকার জানিয়েছেন, জোটের আসন নিয়ে বৈঠকেই সব ঠিক হবে।

<

p style=”text-align: justify;”>রাজ্যে বাম জমানার পতনের পরেও শিলিগুড়িতে সিপিআইএমের ক্ষমতা বারবার দেখা গিয়েছে। উত্তর বঙ্গের রাজধানীতে প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য ফের জয়ী হন। বিধায়ক ছিলেন। সর্বশেষ বিধানসভার ভোটে পরাজিত হন। তিনি পুরনিগমের মেয়র ছিলেন। বিধানসভায় পরাজিত হয়েই পুর প্রশাসকের পদ থেকে সরে গিয়েছেন।

]]>
CPIM: পৌর ভোটের আগে হঠাৎ ‘সক্রিয়’ বুদ্ধবাবু, আহ্লাদে আটখানা বাম মহল https://ekolkata24.com/uncategorized/cpim-buddhadeb-bhattacharya-ashok-bhattacharya-siliguri-corporation Mon, 27 Dec 2021 09:35:09 +0000 https://ekolkata24.com/?p=16776 News Desk: রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়া ধ্যানমগ্ন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আচমকা সক্রিয়তায় ‘আত্মহারা’ বাম মহল। রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়েছে তাঁর একটি ফোনকল নিয়ে। বাম মহল তথা সিপিআইএমের মধ্যেই প্রশ্ন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পরাজয় মানতে না পেরে গৃহবন্দি জীবন বেছে নিয়েছেন, অসুস্থ হয়ে আরও নিষ্ক্রিয় তিনি হঠাৎ কোন জাদুমন্ত্রে রাজনৈতিক বিষয়ে ফের নাক গলাতে শুরু করলেন।

যাবতীয় ঘটনার কেন্দ্রে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে আরও এক বর্ষীয়ান সিপিআইএম নেতা তথা প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের ফোনালাপ। শিলিগুড়ি পুর নিগমের ভোটে অশোকবাবুকে নেতৃত্ব দিতে অনুরোধ করেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেকথা ‘পাব্লিকলি’ জানাতেই রাজ্য জুড়ে শোরগোল। আহ্লাদে আটখানা সিপিআইএম।

লোকসভা ও বিধানসভার ভোটে ঐতিহাসিক শূন্য প্রাপ্তির পর কলকাতা পুর নিগমের ভোটে ততোধিক নজরকাড়া পরিসংখ্যান নিয়ে ফের হাজির বামেরা। একধাক্কায় বিরোধী দল বিজেপির থেকে ভোটের নিরিখে উপরে বামফ্রন্ট। কার্যত কলকাতায় বামেরা এখন বিরোধী দল হিসেবে চিহ্নিত। তবে তাদের সংগ্রহে দুটি ওয়ার্ড!

এই ফলাফলেই কি রাজনৈতিক ঘুম ভাঙল বুদ্ধদেববাবুর? প্রশ্ন এখানেই। বামপন্থী নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের বড় অংশ মনে করছেন, শিলিগুড়িতে সিপিআইএমের পক্ষে পুরবোর্ড গড়ার বড় সম্ভাবনা। তৃণমূল জমানাতেও বামেরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে বোর্ড চালিয়েছে। আসন্ন পুর নিগমের ভোটে তাই শিলিগুড়ি দখল করতে অশোক ভট্টাচার্যের উপরেই দায়িত্ব দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

বিধানসভার ভোটে শিলিগুড়িতে প্রবল উদ্দিপনা জাগিয়েও আসনটি ধরে রাখতে পারেননি প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। পরাজিত হয়েই পুর নিগমের পুর প্রশাসকের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। চটজলদি সেই পদে গৌতম দেবকে বসিয়ে দেন মু়খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিধানসভা ভোটের হিসেবে না বাম না তৃণমূল কংগ্রেস বরং শিলিগুড়ি চলে গিয়েছে বিজেপির দখলে। অশোকবাবুর রাজনৈতিক শিষ্য শংকর ঘোষ বিধায়ক হয়েছেন। তিনিই পুর নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বে নাকি তৃ়নমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন তাই নিয়ে প্রবল চর্চা।

ভোট বিশ্লেষকদের মতে আসন্ন পৌর ভোট ও পুরনিগমগুলির নির্বাচনে বিরোধী দল বিজেপির ছন্নছাড়া পরিস্থিতির মাঝে নতুন করে বামেদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে। সেই সুযোগ নিতে বামেরা কতটা তৈরি তা স্পষ্ট নয়। তবে প্রাক্তন মু়খ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ফোন ইঙ্গিত দিচ্ছে, তিনি এখনও আলোড়ন ফেলতে পারেন ।

]]>
বাইচুংয়ের মতো লি এলেন মমতার দলে, কতদিনের জন্য? https://ekolkata24.com/sports-news/how-long-leander-will-stay-in-tmc-question-spreading-in-goa-politic Fri, 29 Oct 2021 12:50:41 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9612 News Desk: পশ্চিমবঙ্গে সরকারে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসে খেলোয়াড়ের অভাব তেমন নেই। দলটির অন্যতম নির্বাচনী স্লোগান ‘খেলা হবে’। সেই রেশ ধরেই গোয়া বিধানসভায় ভোটের প্রচরাভিজান শুরুর দিনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে তৃণমূলী হলেন আন্তর্জাতিক লন টেনিস কিংবদন্তি লিয়েন্ডার পেজ। তিনি এখন থেকে ক্রীড়া রাজনীতিক।

এইভাবেই তৃ়ণমূল কংগ্রেসে আচমকা এসেছিলেন ভারতের প্রাক্তন ফুটবল অধিনায়ক তথা এশিয়ার অন্যতম ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দুবার নির্বাচনে নামেন। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে দার্জিলিং ও ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে শিলিগুড়ি থেকে টিএমসির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা করেছিলেন। পরাজিত হন।

বাইচুংয়ের সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরে তৃণমূলের সংশ্রব নেই। নিজ রাজ্য সিকিমে ফিরে গিয়ে সেখানকার রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন। তাঁর দল হামরো সিকিম পার্টি ২০১৯ সালে সিকিম বিধানসভা ভোটে লড়ে। পশ্চিমবঙ্গ হোক বা সিকিম ভোট যুদ্ধে বাইচুংয়ের পরাজয় গেরো এখনও কাটেনি।

সেদিক থেকে দেখতে গেলে ডাবলস বা মিক্সড ডাবলসে বারবার উইম্বলডন কাপ জয়ী কিংবদন্তি লিয়েন্ডার পেজ রাজনীতিতে নবাগত। সূত্রের খবর, গোয়াতে তাঁকে বিশেষ প্রচারে নামাবেন মমতা। লিয়েন্ডারের সঙ্গে রাজনৈতিক সংযোগ নিয়ে ক্রীড়া মহলের আলোচনা, ইনিও কি বাইচুংয়ের মতো মমতার সঙ্গে স্বল্পমেয়াদি সম্পর্ক নিয়েই এসেছেন?

কলকাতার ছেলে লিয়েন্ডারের পিতা অলিম্পিয়ান হকি তারকা ডা. ভেস পেজ রাজনীতির ধারপাশে ছিলেন না। তবে দীর্ঘ বামফ্রন্ট জমানায় ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে ভেস পেজের সঙ্গে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর সঙ্গে সুসসম্পর্ক ছিল। বাবার মতো লি’এর সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক ছিল বাম সরকারের। কিছু ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে দলে বা সরকারের ঘনিষ্ট করলেও লি বা বাইচুংকেকে টানতে পারেনি জ্যোতি-বুদ্ধর সরকার।

ক্রীড়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলকাতার ফুটবল জগতের সবার সঙ্গেই বাম সরকারের বিশেষ করে কিংবদন্তি হয়ে যাওয়া প্রয়াত সুভাষ চক্রবর্তীর মধুর সম্পর্ক ছিল। যার ফলে ইংলিশ চ্যানেল জয়ী বুলা চৌধুরী ও এশিয়াডে সোনা জয়ী অ্যাথলিট জ্যোতির্ময়ী শিকদার সরাসরি সিপিআইএমের হয়ে ভোটে নেমে জয়ী হন। পরে সরকার পাল্টাতেই তাঁরাও সরে গিয়েছেন।

বাম জমানাতেই লি-ভুটিয়া ময়দানে বা টেনিস সার্কিটে রীতিমতো সক্রিয়। ফলে সরাসরি রাজনৈতিক সংশ্রব রাখেননি। ২০১১ সালে সরকার পরিবর্তনের পরে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রীড়া তারকা হিসেবে বাইচুং সরাসরি চলে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আসেন দেশের অন্যতম খ্যাতনামা ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজনীতিতে পুরো জড়িয়ে। বাকি যারা এসেছেন কমবেশি রয়েছেন বা ছেড়েছেন।

রাজ্যে বিরোধী দল বিজেপিতে কিছু ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। তাঁদের অনেকেই দলত্যাগে মরিয়া। সেদিক থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের ছড়াছড়ি। কিছু বাম মনস্ক ক্রীড়াবিদ এখনও বাম শিবিরে আছেন।

তবে বামই হোক বা তৃণমূল প্রাক্তন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের সম্পর্ক গভীর। গত বিধানসভা ভোটে শিলিগুড়ি থেকে অশোকবাবুর হয়ে প্রচার করেন তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের হয়ে ভোট লড়ে যাওয়া বাইচুং। তবে এবার আর অশোকবাবু জিততে পারেননি।

বাইচুং বা লি দুজনেই ক্রীড়া বিশ্বে ভারতের দুই উজ্জ্বল মুখ। দুজনেই অশোকবাবুর ঘনিষ্ঠ। দুজনেই রাজনীতিতে ঝড়ের মতো এলেন। কতদিন টিকতে পারবেন মমতার সঙ্গে? প্রশ্ন সবারই।

]]>
কান্তি-অশোক-সুশান্ত-তন্ময় ‘চতুরঙ্গ’ সর্বনাশা আঘাতের মুখে CPIM https://ekolkata24.com/uncategorized/cpim-state-conference-will-be-a-political-drama-stage Sun, 05 Sep 2021 16:06:34 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=3940 #Political Drama
বিশেষ প্রতিবেদন: আক্রমণ হবেই। এটা ধরেই রাজ্য সম্মেলনে ঢোঁক গিলতে তৈরি সিপিআইএম (CPIM)। বিমান-সূর্যকান্ত অর্থাৎ প্রাক্তন ও বর্তমান রাজ্য সম্পাদক হতে চলছেন মূল লক্ষ্যবস্তু। গোছাগোছা বাছাবাছা প্রশ্নের শক্তিশেল নিয়ে তৈরি আক্রমণকারী ‘চতুর্মুখ’-কান্তি গাঙ্গুলী, অশোক ভট্টাচার্য, সুশান্ত ঘোষ ও তন্ময় ভট্টাচার্য। সিপিআইএমের রাজ্য সম্মেলনে হতে চলেছে ‘চতুরঙ্গ সর্বনাশ’।

২০১১ সাল রাজ্যে বাম বিপর্যয়ের সীমান্ত বছর। সেই বছরেই চৌত্রিশ বছরের বামফ্রন্ট সরকার কুর্সি হারায়। সেই বছরেই তৃণমূল কংগ্রেসের কুর্সি লাভ। গত দশ বছরের ছবি একদম স্পষ্ট পশ্চিমবঙ্গে বামেদের আর স্থান নেই। হারতে হারতে একেবারে শূন্য। সর্বশেষ বিধানসভা ভোটে ‘ভয়াবহ বিপর্যয়’ স্বীকার করেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।

Susanta Ghosh

সুশান্তর বাণ: ‘বুদ্ধ-তন্ত্র’!
কিন্তু চতুরঙ্গ সর্বনাশা আক্রমণ তাতে আটকাবে না। সূত্রের খবর বারবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নরম রাজনীতির গরম সমালোচক সুশান্ত ঘোষ একেবারে মুখিয়ে রয়েছেন। সম্ভবত তিনিই সর্বাধিক ভয়ঙ্কর আঘাতটি করতে চলেছেন রাজ্য কমিটিকে।সুশান্তবাবুর কাটা কাটা মন্তব্য কীরকম হতে পারে তা তাঁরই লেখা ‘বামফ্রন্ট জনানার শেষ দশবছর’ বই থেকেই মিলতে পারে। জ্যোতিবাবু ও বুদ্ধবাবু দুই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক দিকের তুল্যমূল্য আলোচনা তুলে ধরে প্রাক্তন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ তীব্র সমালোচনা করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। দল থেকে সাময়িক সাসপেন্ড হন। তবে তাঁকে ফেরাতে বাধ্য হয় সিপিআইএম। শাসক তৃণমূলের নজরে এখনও ‘প্রবল আগ্রাসী’ সুশান্ত ঘোষের লক্ষ্যবস্তু নরম সরম নেতারা।

Kanti Ganguly

কান্তির হামলা: ‘বুড়ো বুড়ি নয় ছোঁড়া ছুঁড়ি’!
সদ্য প্রকাশিত হয়েছে প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলীর লেখা ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্মৃতির চমকপ্রদ ঘটনাবলী ‘রক্তপলাশের আকাঙ্খায়’। বর্ষীয়ান সিপিআইএম নেতা গতবারের মতো এবারেও যে হারবেন তা স্বয়ং তৃণমূল নেত্রীর ক্যালকুলেশনের বাইরে ছিল বলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা টিএমসি নেতাদের অনেকেই মনে করছেন। কান্তিবাবু সরাসরি জানিয়েছেন, দলে বৃদ্ধতন্ত্রের ভারত্ব কমাতে হবে। তাঁর হামলার লক্ষ্যবস্তু অবশ্যই সাংগঠনিক গঠনস্তর ও নেতৃত্বের ‘হাই তোলা’ কর্মসূচি। সত্তরোর্ধ কান্তিবাবুর যৌবনদীপ্ত ভূমিকা সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় এলেই রাজ্যবাসীর কাছে মূল আলোচনা হয়। বয়স তাঁর পায়ের তলায় পড়ে থাকে।

Ashok Bhattacharya

অশোক অশনি: বে-আক্কেলের জোট!
শিলিগুড়ি শুধু নয়, অতি উন্নত চিন পর্যন্ত তাঁর নাম ছড়িয়ে। পুর প্রশাসনের খুঁটিনাটি, পুর উন্নয়নের বিষয়ে প্রাক্তন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের রাজনৈতিক তাত্ত্বিক প্রশ্নের উত্তর দিতে কালঘাম ছুটবেই মুজফ্ফর আহমেদ ভবন আলো করে থাকা নেতাদের। অশোকবাবুর সাফ কথা কোন যুক্তিতে সংযুক্ত মোর্চা গঠিত হয়েছিল? নির্বাচনে শিলিগুড়ি থেকে তিনি যে হারবেন তা মোদী-মমতা কারোর অংকেই ছিলনা। তবে তিনি হেরেছেন। শিষ্য শংকর ঘোষ বাম ছেড়ে রাম হয়ে জিতে গুরুর আশীর্বাদ নিয়েছেন। সম্ভবত শিষ্যটি তৃণমূলে যাওয়ার পথে।

Tanmoy Bhattacharya
তন্ময়ে তটস্থ: কেমনধারা দল!
ভোটে হেরে ঘরে ফিরে চিকেন স্যান্ডুইচ খেতে খেতে ত্রিপুরার সর্বাপেক্ষা আলোচিত টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে দলের মুণ্ডপাত করেছিলেন। তার আগে নিজের ফেসবুকেই হামলা করেন দলীয় উচ্চস্তরীয় নেতাদের। প্রশ্ন ছিল অনেকটা এমন, দল কি আদৌ ভোট লড়তে নেমেছিল! প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যের অবস্থানে সিপিআইএমের অন্দরে ভূমিকম্প দেখা দেয়। প্রবল যুক্তিধর তন্ময়কে মুখ বন্ধ রাখার ফরমান দেওয়া হয়। তিনি মুখ বন্ধ করেছেন। তবে রাজ্য সম্মেলনে তোপ দাগবেন।

পরিস্থিতি বলছে, সিপিআইএমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্মেলন থেকে নতুন কোনও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জন্ম হতে পারে। অন্তত নেতৃত্বের একাংশের মধ্যে ঘুরছে ১৯৬৮ সালে সিপিআইএমের বর্ধমান প্নেনামের (বর্ধিত সম্মেলন) স্মৃতি।

]]>