Bangla – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Fri, 04 Oct 2024 10:04:23 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Bangla – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 मराठी, पाली, प्राकृत, असमिया और बांग्ला को मिला शास्त्रीय दर्जा https://ekolkata24.com/top-story/marathi-pali-prakrit-assamese-and-bengali-got-classical-status Fri, 04 Oct 2024 10:01:14 +0000 https://ekolkata24.com/?p=49865 कोलकाता : केंद्रीय कैबिनेट ने एक महत्वपूर्ण निर्णय लेते हुए मराठी, पाली, प्राकृत, असमिया और बांग्ला भाषाओं को शास्त्रीय भाषा का दर्जा प्रदान किया है। यह निर्णय महाराष्ट्र विधानसभा चुनाव के मद्देनजर लिया गया है और इसे भारतीय सांस्कृतिक धरोहर को समर्पित एक बड़े कदम के रूप में देखा जा रहा है। शास्त्रीय भाषाओं को समृद्ध सांस्कृतिक विरासत की वाहक माना जाता है, जो प्रत्येक समुदाय को ऐतिहासिक और सांस्कृतिक पहचान प्रदान करती हैं।

प्रधानमंत्री नरेंद्र मोदी ने इस फैसले की सराहना करते हुए बधाई दी। उन्होंने बंगाली भाषा के शास्त्रीय दर्जे की घोषणा को विशेष रूप से दुर्गा पूजा के समय में महत्वपूर्ण बताया और कहा कि बंगाली साहित्य ने अनगिनत लोगों को प्रेरित किया है।

मराठी के बारे में उन्होंने कहा कि यह भारत का गौरव है और इसके शास्त्रीय दर्जे से इसे सीखने के प्रति लोगों में रुचि बढ़ेगी। इस निर्णय के जरिए भारतीय भाषाओं के प्रति सम्मान और उनकी समृद्धि को और भी मजबूत किया गया है।

]]>
Vijay Hazare Trophy: বিজয় হাজারে ট্রফিতে বাংলার বিদায় লগ্নে বল হাতে জবাব প্রদীপ্তের https://ekolkata24.com/sports-news/bangla-bid-farewell-to-vijay-hazare-trophy Tue, 14 Dec 2021 13:27:31 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14847 Sports desk: ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) পরিচালিত ওডিআই ফর্ম্যাটে কর্ণাটককে ৪ উইকেট হারালো বাংলা। কিন্তু এই ম্যাচ জিতলেও বিজয় হাজারে ট্রফি (Vijay Hazare Trophy) থেকে ছিটকে গেল বাংলা।

চলতি টুর্নামেন্টে বরোদার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে জয় পেলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে পন্ডিচেরীর কাছে হেরে যায় বাংলা, বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে VJD পদ্ধতি অনুসারে। আর এই ম্যাচের ফলাফল টুর্নামেন্টে বাংলার বিজয় হাজারে ট্রফির অভিযানে জল ঢেলে দেয়।

কেননা, VJD পদ্ধতির গ্যাঁড়াকলে জড়িয়ে বাংলা পন্ডিচেরীর বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল দ্বিতীয় ম্যাচে বিজয় হাজারে ট্রফিতে,ওই একই টুর্নামেন্টের বৃষ্টি বিঘ্নিত তৃতীয় ম্যাচে মুম্বই’কে ৬৭ রানে হারিয়ে দেয় বাংলা, VJDপদ্ধতি অনুসারে,একেবারে উলটপুরাণ!

বাংলার কাছে এই ম্যাচ ছিল ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’। বিজয় হাজারে ট্রফির এলিট গ্রুপ ‘B’, যাকে ‘গ্রুপ অফ ডেথ’ বলা হচ্ছে।

মঙ্গলবার বিজয় হাজারে ট্রফির অন্য খেলায় তামিলনাড়ু বরোদার কাছে জিতে যেত তাহলে হেডকোচ অরুণলালের বাংলা দ্বিতীয় স্থানে থেকে কোয়ালিফাই করে যেত, কারণ কর্ণাটকের সাথে হেড টু হেডে বাংলা এগিয়ে ছিল। তা না হওয়াতে এলিট গ্রুপ ‘B’তে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন কর্ণাটক, গ্রুপ রানার্স আপ তামিলনাড়ু আর বাংলা তৃতীয় স্থানে চলে আসায় টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়।

মঙ্গলবার ম্যাচে কর্ণাটক টসে জিতে ব্যাটিং’র সিদ্ধান্ত নেয়।৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৫২ রান তোলে কর্ণাটক। বাংলার হয়ে প্রদীপ্ত প্রামাণিক ৪৮ রানে ৪ উইকেট নেন।ঋতিক বিজয় চ্যাটার্জী ২, এবং আকাশদীপ ও সাহবাজ ১ টি করে উইকেট নিয়েছে।

কর্ণাটকের হয়ে অধিনায়ক মনীশ পান্ডে ৮৫ বলে ৯০ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন।আর প্রভীন দুবে ২৯ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে নট আউট থাকে।করুন নায়ার ২৫,ওপেনার রোহন কদম ৩৭ রান করে।
জবাবে বাংলা ব্যাট করতে নেমে ওপেনার অভিষেক দাস ৫৮,অধিনায়ক সুদীপ চ্যাটার্জী ৬৩,ঋতিক রায় চৌধুরী ৪৯ দুর্ভাগ্যবশত রান আউট,শুভঙ্কর বল ২২ রান করে।

অনুষ্টুপ মজুমদার ৮ এবং সেট ব্যাটসম্যান অভিষেক দাস অর্ধশতরান করে ৫৮ রানে ব্যাট করছে, এমন মুহুর্তে প্রতীক জৈনের জোড়া ধাক্কায় ব্যাকফ্রুটে চলে গিয়েছিল বাংলা,১২.৪ এবং ১২.৬ ওভারে।

ঋতিক রায় চৌধুরী ক্রিজে নেমে বাংলার হাল ধরে, ৬২ বলে ৪৮ রানের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং করে বাংলাকে টেনে তোলেন। অন্যদিকে সাহবাজ কর্ণাটকের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে ধৈহ্যের পরিচয় দিয়ে ৫৩ বলে ২৬ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকে, সঙ্গে নিয়ে ঋতিক বিজয় চ্যাটার্জী ১৭ বলে ১০ রানে নট আউটে।

চলতি টুর্নামেন্টে এলিট গ্রুপ ‘B’তে বাংলা, বরোদা, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, মুম্বই প্রতিটি দল নিজেদের ৫ টি করে ম্যাচ খেলে নিয়েছে।তামিলনাড়ু,কর্ণাটক, বাংলা, পন্ডিচেরী তিনটে ম্যাচ জিতেছে এবং দুটি ম্যাচ হেরেছে নিজেদের। অন্যদিকে, বরোদা ৫ ম্যাচে ২ টি জিতেছে ৩টি হেরেছে এবং মুম্বই ৫ ম্যাচে ১ জিতেছে ৪ টি ম্যাচ হেরেছে।

]]>
Senior NFC Championship: তেলেঙ্গানার মুখোমুখি বাংলার মহিলা দল https://ekolkata24.com/sports-news/senior-nfc-championship-telangana-face-bangla-womens-team Thu, 02 Dec 2021 15:52:05 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13240 Sports desk: সিনিয়র মহিলা জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ (Senior NFC Championship) চলছে কেরালাতে। চারটি ভেন্যুতে শুরু হয়েছে এই চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলা রয়েছে গ্রুপ ‘H’এ, এই গ্রুপের অন্যান্য দল হল তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, তেলেঙ্গানা রয়েছে। শুক্রবার বাংলার (Bangla) তৃতীয় ম্যাচ তেলেঙ্গানার (Telangana) বিরুদ্ধে। ২৮ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই চ্যাম্পিয়নশিপ।

বাংলা ইতিমধ্যেই দুটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। ২৯ নভেম্বর পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে বাংলা চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম খেলায় গোলশূন্য ড্র করেছে। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলা তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করেছে। বাংলার হয়ে গোলদাতা সুমিত্রা মারান্ডি, সন্ধ্যা তামিলনাড়ুর হয়ে গোল করেছে।আগামী শুক্রবার বাংলার তৃতীয় ম্যাচ রয়েছে তেলেঙ্গানার বিরুদ্ধে, কোঝিকোড়ের, কালিকট মেডিকেল কলেজ মাঠে। দুপুর ২.৩০ মিনিটে খেলা শুরু হবে। বাংলার সিনিয়র মহিলা দলের হেডকোচ দোলা মুখার্জী।

Bangla women's team

AIFF কার্যনির্বাহী কমিটি কেরালাকে টুর্নামেন্টের ভেন্যু হিসাবে অনুমোদন করেছে। সিনিয়র মহিলাদের এনএফসি চারটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে – মিউনিসিপ্যাল ​​স্টেডিয়াম, কুথুপারম্বা, ইএমএস কর্পোরেশন স্টেডিয়াম, কোঝিকোড়, কালিকট ইউনিভার্সিটি, কোঝিকোড় এবং কালিকট মেডিকেল কলেজ কোঝিকোড়। ৩২ টি দলকে আটটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে।প্রতিটি গ্রুপের দলগুলি বাছাইপর্বের জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে খেলবে। বাছাইপর্বের ম্যাচের বিজয়ীরা সেমিফাইনাল খেলবে, শেষ চার থেকে দুই বিজয়ী ফাইনালে যাবে।

]]>
Santosh Trophy: সিকিমকে উড়িয়ে দিয়ে সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বে বাংলা https://ekolkata24.com/sports-news/bangla-defeated-sikkim-in-the-main-round-of-the-santosh-trophy Thu, 25 Nov 2021 15:23:55 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12389 Santosh Trophy
Sports desk: বৃ্হস্পতিবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে বাংলা ১-০ গোলে সিকিমকে উড়িয়ে দিয়ে ৭৪ তম সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বে চলে গেল। বাংলার হয়ে গোলদাতা ক্লাব ফুটবলে ইউনাইটেড স্পোর্টসের হয়ে খেলা দিলীপ ওঁরাও।

ম্যাচের ৪২ মিনিটে দিলীপ ওঁরাও এর করা গোলে এগিয়ে যায় বাংলা। প্রথমার্ধে হেড কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্যের ছেলেরা পেনাল্টি থেকে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে বসে সিকিমের বিরুদ্ধে।

ম্যাচের ১৮ মিনিটে মহিতোষ রায়ের পেনাল্টি শট মিস হয়, মহিতোষের শট বার পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়, গোলের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে বসে বাংলা। পেনাল্টি হাতছাড়া করেও বাংলার ছেলেরা মুষড়ে পড়েনি।

সিকিমের বিরুদ্ধে ছন্দ ধরে রেখে বাম দিক থেকে তুহিন দাসের ক্রশ থেকে দিলীপ ওঁরাও গোল করতেই বাংলা সন্তোষ ট্রফির ইস্ট জোনের ম্যাচে লিড নিয়ে ফেলে, ৪২ মিনিটে।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলা গোলের সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারেনি। ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে সিকিমের ফুটবলারেরা খোঁচা খাওয়া বাঘের মতো তেড়েফুঁড়ে দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে শুরু করে। গোলের জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণে উঠে আসতে থাকে সিকিম। এই সময় বেশকিছু দুরন্ত সেভ করেন বাংলার গোলরক্ষক প্রিয়ন্ত সিং। একা কুম্ভ হয়ে বাংলার দূর্গ সামলাতে দেখা যায় প্রিয়ন্তকে। শেষে রেফারি প্রিয়ব্রত সিংহের ম্যাচের শেষ বাঁশি বেজে উঠতেই বাংলা ফুটবল দল সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বের যোগ্যতা অর্জন করে ইস্ট জোনের গ্রুপ ‘বি’ থেকে। দুই ম্যাচে জয়ের সুবাদে।

সন্তোষ ট্রফির ইস্ট জোন গ্রুপ ‘বি’ তে বাংলা প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে হারিয়েছিল ছত্তিসগড়কে, মহিতোষ রায় ও মহম্মদ ফারদিন আলির গোলে।

]]>
হাইভোল্টেজ ম্যাচে দিল্লিকে হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলা https://ekolkata24.com/sports-news/bangla-beat-delhi-in-semifinals-in-high-voltage-match Tue, 16 Nov 2021 15:52:52 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11540 Sports desk: বিসিসিআই আয়োজিত ঘরোয়া ওয়ান ডে টুর্নামেন্টের কোয়াটার ফাইনালে দিল্লিকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলা। প্রথম দিকে বাংলার উইকেট দ্রুত পড়তে থাকলেও পরবর্তীতে দুর্দান্তভাবে খেলা ধরেন ধারা গুজ্জর (৭৫) এবং জুমিয়া খাতুন(৩৬)। বাংলা এই দুই জুটির কাঁধে চেপে দিল্লির দেওয়া ১৮৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা এক উইকেট বাকি থাকতে তুলে নেয়।

বেঙ্গালুরুতে টসে জিতে বাংলা বোলিং’র সিদ্ধান্ত নেয়। দিল্লির হয়ে প্রিয়া পুনিয়া ৯০, লক্ষী যাদব ২৪,আয়ূসী সোনি ৫২ নট আউট,নেহা চিল্লর ৩ রানে অপরাজিত থাকে। ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে দিল্লি ১৮৫ রান তোলে। বাংলার হয়ে রুমেলি ধর ২, সাইকা ২,গৌহর সুলতানা ১ উইকেট নেয়।

gujjar

জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলা দ্রুত উইকেট হারিয়ে ফেলে। ফলে ব্যাকফ্রুটে চলে যায় বাংলা। ভ্যানিথা ভি আর (১০),মিতা পাল ৮,রুমেলি ধর (০),পিপি পাল (১),পি বালা(১০),মমতা(১৬), গৌহর সুলতানা (৬) রানে আউট হয়ে যায়।

bangla-team

একদিকে যখন বাংলা দ্রুত উইকেট হারিয়ে ফেলছে, অন্যদিকের উইকেটে ধারা গুজ্জর মাটি কামড়ে ক্রিজে পড়েছিল। ধারা গুজ্জর এবং জুমিয়া খাতুন বাংলার ইনিংস গোছানোর কাজে মন দেয়। ধারা গুজ্জর ১২০ বলে ৭৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়ন ফিরে আসেন।

জুমিয়া খাতুন ৪৫ বলে ৩৬ রানের এক ধৈহ্যশীল ইনিংস খেলে আউট হন।সাইকা ৮ বলে ১৪ রান এবং সুকন্যা পরিধা রানের খাতা না খুলেও অপরাজিত থেকে দিল্লির মুঠো থেকে ম্যাচ জিতিয়ে আনে। বাংলা ১ উইকেটে জিতে সেমিফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করে।

<

p style=”text-align: justify;”>দিল্লির হয়ে সোনি যাদব, মঞ্জু, সিমরন দিল বাহাদুর ২,পারুনিকা সিসোদিয়া এবং নেহা চিল্লর একটি করে উইকেট নিয়েছে।

]]>
এ সপ্তাহের গল্প: দীপ শেখর চক্রবর্তী https://ekolkata24.com/uncategorized/story-of-deep-sekhar-chakraborty Sun, 14 Nov 2021 05:22:21 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11235

সুলতার ফুলছাপ সায়া

দুপুরবেলা জ্যোতির্ময় টেলিফোন করে জানালো স্যার আর নেই। আত্মহত্যা।

আত্মহত্যা!

সারা দুপুর এমন বৃষ্টি হল যেন পৃথিবী ভেসে যাবে। আমাদের বারান্দার শেষ দুটো সিঁড় জলের তলায় চলে গেছে। দেওয়ালের দিক থেকে চুইয়ে চুইয়ে জল পড়ছে। এমন বৃষ্টির মধ্যে আর স্যারের ঘাড় ভাঙা নিস্প্রাণ দেহটা দেখতে যেতে ইচ্ছে করল না। বৃষ্টি না হলে কী হত সেটা বলা শক্ত। তবে আমার যাওয়ার বিশেষ ইচ্ছে ছিল না। ফলে বিকেলবেলা যখন জ্যোতির্ময় আবার ফোন করল তখন না যাওয়ার একটা অজুহাত হয়ে উঠল বৃষ্টি।

এমন বৃষ্টির দিনে চলে যাওয়ার কথা কী ভাবা যায়?

স্যারের কাছে আমি যবে অঙ্ক করা শিখতে যাই তার অনেক আগে থেকেই ওর সঙ্গে বাবার যোগাযোগ। বাবার ব্যাঙ্কেই একটা ঋণ নেওয়ার সূত্র ধরে পরিচয়। বাবার জন্যই সেটা পাওয়া সম্ভব হয়েছিল। আমার বাড়ি থেকে স্যারের বাড়ির দূরত্ব বেশি নয়। মাঝে-মধ্যেই সকালের বাজার করে আমাদের বাড়িতে চায়ের আড্ডায় চলে আসত। তখন আমি প্রাথমিক স্কুলের গণ্ডি টপকাতে পারিনি। তখনও জানতাম না, মানুষটি একদিন আমার অঙ্ক স্যার হবে।

দূর থেকে মানুষটিকে খুব আমুদে মনে হত। নানারকম কথায় মাতিয়ে রাখত চায়ের আড্ডাটা। বহুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর আচমকা নিজেকে নিজে তাড়া দিয়ে দ্রুত বেরিয়ে যেত। আর একটাও কথা বলত না।

অঙ্ক করতে গেলাম যখন তখনও মানুষটা একইরকম। জ্যোতির্ময় এই অঙ্ক ব্যাচেরই সহপাঠী।

সেদিন দুপুরবেলা জ্যোতির্ময়ের মুখ থেকেই শুনলাম আমাদের অঙ্ক শেখানোর স্যার আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যা মানে জীবনের অঙ্কগুলো ঠিকমতো মেলাতে পারেননি ? নাহ, এভাবে ঘটনার খুব সরলীকরণ হয়ে যাবে।

বিকেলবেলা ঘটনাস্থলে না গেলেও মাথা থেকে বিষয়টা মুছে ফেলতে পারলাম না। স্যার কখনও আত্মহত্যা করতে পারে? জ্যোতির্ময় কীভাবে ঘটনাটা জানলো সে-কথাও জিজ্ঞেস করে ওঠা হয়নি। শুধু আত্মহত্যার কথা শুনে নীরবে ফোন রেখে দিয়েছি। এমনকি বিকেলবেলা যখন ও আবার ফোন করেছিল তখনও বিশেষ কোনও কথা হল না। শুধু জানিয়ে দিলাম, এমন বৃষ্টির মধ্যে যাওয়া কঠিন।

বিকেলবেলা দোতলার ঘর থেকে পুরনো অঙ্ক খাতাগুলো নামিয়ে আনতে গেলাম। অনেক খুঁজে স্যারের খাতাগুলো খুঁজে পেলাম। এই খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে খুবই সাহায্য করেছে মলাটের ওপর লিখে রাখা নাম।

স্যারের অঙ্ক খাতা

যা আশা করেছিলাম তাই। খাতার ভেতরে একটা কিছু আর লেখা নেই। সমস্ত অঙ্কগুলো অদৃশ্য হয়ে গেছে। স্যার নিজের শেখানো অঙ্কগুলো নিজের সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন, বেশ বুঝলাম। ঠিক তক্ষুনি একটা ভয় হল আমার। পাগলের মতো পুরোনো শংসাপত্রগুলো বের করলাম।

আমি যা আশঙ্কা করছি তা যদি ঠিক হয় তবে তো মহাবিপদ।

ঠিক তাই হল। প্রতিটি অঙ্কের নম্বরের নীচে একটা লাল দাগ। সব শূন্য। স্যার শুধু অঙ্কগুলো নয়, তার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে শেখানো অঙ্কের সব পদ্ধতিগুলো নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

এখন উপায় কী সেই নিয়ে কোনও ভাবনাই মাথায় এল না। আমার গোটা জীবনের সমস্ত অঙ্ক খাতাই একটা করে লাল দাগে ভরে গেছে। জীবনের প্রতিটি হিসেবেই এখন আমি অকৃতকার্য। কিছু সময় পর হয়ত এই নিয়ে একটা তোলপাড় হবে। কী কী কেড়ে নেওয়া হবে আমার থেকে তার একটা সম্ভাব্য হিসেব করে রাখলাম। দেখা গেল, কিছুই প্রায় অবশিষ্ট রইল না।

সন্ধের দিকে বৃষ্টি ধরে গেল। কোল ভর্তি ফাঁকা খাতা নিয়ে দম বন্ধ হয়ে আসছিল আমার। বেরিয়ে পড়লাম। ছায়াবাণী সিনেমা হলের কাছে চায়ের দোকানে চা খাচ্ছি, রজতের সঙ্গে দেখা। রজতও স্যারের কাছে পড়া আমার সহপাঠী।

-স্যার আর নেই।

এই নিয়ে দ্বিতীয়বার স্যারের না থাকার কথা শুনলাম। প্রথমবার শুনে যতটা অসম্ভব লেগেছিল এখন ততটা লাগল না। এভাবেই মৃত্যু সয়ে যায়।

-স্যার যে আত্মহত্যা করতে পারে এ কথা ভাবতে পারি না।

আমার কথা শুনে আশ্চর্য হয়ে গেল রজত। তারপর গম্ভীর ভাবে বলল –

-স্যার আত্মহত্যা করেনি দীপ। দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।

দুর্ঘটনা! তবে জ্যোতির্ময় যে বলল স্যার আত্মহত্যা করেছে।

জ্যোতির্ময় কিচ্ছু জানে না। হয়ত, রজতও না। ছায়াবাণী সিনেমাহল পেরিয়ে যখন স্টেডিয়ামের পাশের পথ দিয়ে হাঁটছি মনে হল মৃত্যু সম্পর্কে আমরা কতটুকুই বা জানি। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, কেন ঘটল সেসব সম্পর্কে কিছুই আমি জিজ্ঞেস করিনি রজত কে। জিজ্ঞেস করে লাভ? তবে অদ্ভুত লাগল যখন রজত একটি পুরনো ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিল।

তোর মনে আছে পড়াতে বসে স্যার কেমন মাঝে মাঝে গা হাত পা টেপাতো মেয়েদের দিয়ে?

আচমকা মনে পড়ে গেল ঘটনাটা। সেই তো, অদ্ভুত! কথাটা আজ শুনে কেমন গা ঘিনঘিন করে উঠল। তবে এতদিন চোখের সামনে দেখেছি, কিছুই তো মনে হয়নি। বরং তা এক পিতৃতুল্য মানুষের প্রতি মেয়েদের সেবা হিসেবেই দেখেছি। তবে কি আমাদের মন অনেক বেশি বিষিয়ে গেছে ?

কথাটা বলে রজত কদর্য হাসলো। ঠিক সেই মুহূর্তে রজতকে বেশি ঘৃণা করেছিলাম নাকি সদ্য মৃত স্যারকে ঠিক তুলনা করতে পারলাম না।তারপর সেই তুলনা করতে না পারাটাকে নিজের মুখের ভেতর তেতো একটা স্বাদ করে এগিয়ে গেলাম স্টেডিয়ামের রাস্তায়।

রাত্রিবেলা একটা ছোট্ট সাদা ওষুধ খাই। উদ্বেগ কমানোর ওষুধ।

তবে স্যারকে নিয়ে চিন্তা মনটাকে অস্থির করে তুলেছে। স্যারের মৃত্যু, সেটা কি আত্মহত্যা নাকি একটি দুর্ঘটনা। কিন্তু তাতেই বা কী যায় আসে? আমি ভাবছি আমার সমস্ত কীর্তি থেকে অঙ্কের নম্বরগুলো উধাও হয়ে গেছে। ফলে, এখন সমস্ত কিছুতেই আমি অকৃতকার্য। কাল কী রাষ্ট্র এসে আমাকে দেওয়া সমস্ত শংসাপত্র কেড়ে নিয়ে চলে যাবে?

তাহলে আমার পরিচয় কী হবে? এত এত বছর যে কাগজগুলো অর্জন করার জন্য সমস্ত দিয়ে দিয়েছি? সমস্তকিছুই এক মুহূর্তে মূল্যহীন হয়ে গেল? আমার অস্তিত্ব? কাল থেকে কি নতুন করে আমাকে অঙ্ক শিখতে হবে? শুয়ে শুয়ে ছোটবেলায় শেখা অঙ্কের সুত্রগুলো হাতড়াই। বারবার যোগ করে দেখি, দুই যোগ দুই কত? চার, চার, চার আর গতবার বলব?

চার!

এই শালা শুয়োরের বাচ্চা

স্বপ্নের ভেতর নাকি বাস্তবে কেউ গালাগাল করল, ঠিক বুঝতে পারলাম না। আশ্চর্য স্বপ্ন দেখছিলাম স্যার সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে বসে আছে আমাদের বাথরুমে। তার হাত পা টিপে দিচ্ছে আমার প্রাক্তন প্রেমিকারা। সর্বাঙ্গে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। এই গোটা দৃশ্যটা আমরা দেখছি, বাড়ির সেই পুরোনো বড় শাটার টিভিটায়। যেখানে মাঝে মাঝেই ইঁদুর দৌড়ে যেত। বিকেলবেলা যেখানে দেখা হত ‘ জন্মভূমি ’ নামক ধারাবাহিকটি। সেই টিভিতে স্যারের নগ্ন হয়ে স্নান করানোর দৃশ্য। আচমকা তা মুছে গিয়ে জ্যোতি বসুর মুখ ভেসে উঠল। জ্যোতি বসু আমাদের সে সময়ের একমাত্র ঈশ্বর। কামান দাগার মতো করে গুড়ুম আওয়াজ হল কোথায় আর স্বপ্নের ভেতর নাকি বাস্তবে কে চিৎকার করে আমাকে গালাগাল করল-

এই শালা শুয়োরের বাচ্চা।

ধড়ফড় করে জেগে উঠে বাথরুমে গেলাম। তারপর দাঁত মাজতে মাজতে আরেকবার গিয়ে বসলাম বের করে আনা অঙ্ক খাতাগুলোর কাছে। না, এখনও খাতাগুলো ঝকঝকে পরিষ্কার। স্যার আমার সর্বনাশ করে দিয়ে গেল।

শালা মেয়েবাজ লম্পট মাল একটা।

কাগজপত্র ঘাটতে ঘাটতে এল মেঘার টেলিফোন।

-দীপ, স্যার নাকি খুন হয়েছে?

এই নিয়ে তৃতীয় বার স্যারের মৃত্যু নতুন করে আমার সামনে এল। কিন্তু মেঘা কীভাবে স্যারকে চেনে? ও তো আমাদের আমাদের সঙ্গে অঙ্ক করত না? মেঘা কোনও উত্তর দিল না। মনে হল কিছু একটা যেন চেপে গেল মেঘা।

তাহলে কি আমার জীবনের অঙ্ক না মেলার ঘটনাটা মেঘার থেকেই শুরু হল?

কিন্তু স্যারের মৃত্যু সম্পর্কে এই তৃতীয় তথ্যটা আমার বিশ্বাস হল না। খুন! যদিও তৃতীয় বারেও সেই সম্পর্কিত বিস্তারিত আমি জানতে চাইলাম না মেঘার কাছে।

আত্মহত্যা – দুর্ঘটনা – খুন

সমস্তটা যদি একটা ব্রাকেটে রেখে দেওয়া যায় তবে সূত্রটা হয় –

( আত্মহত্যা + দুর্ঘটনা + খুন ) = একটি মৃত্যু

দুপুরবেলা কাউকে না জানিয়ে গেলাম মাখন সাহার পুকুরের কাছে। স্যারের মৃত্যু সংবাদের চব্বিশ ঘন্টা কেটে গেছে। দম বন্ধ হয়ে আসছিল। একটু খোলা জায়গায় যাওয়ার দরকার। চাষের জমিটাকে দেখলাম পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দিয়েছে। জিজ্ঞেস করলাম, এখানে কী হচ্ছে?

-যা চাষের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

-মানে ?

-বলুন, জয় শ্রী…

কিছুদূর গেলেই সেলিম আলির বাড়ি। আমাদের বাড়িতে রোজ তরকারি দিতে আসত। একদিনের পর আর এল না।

কেন এল না সে প্রসঙ্গ তোলা আমাদের বাড়িতে একপ্রকার নিষিদ্ধ।

মাখন সাহার পুকুরের কাছে পুরোনো ইটখোলার ঢিবি। তার ওপরে একটা শিমুল তুলোর গাছ। বহুদিনের পুরোনো গাছ। মালাবার সিল্ক কটন। ফুলে ফুলে লাল হয়ে থাকে। এখানেই কতদিন রাতের বেলা শুয়ে থেকেছি কাউকে কিছুই না জানিয়ে।

একা একা কী আর শুয়েছি?

কতটা হুরেরা এসে শুয়েছে আমার পাশে।

হুর !

কুরআন সম্পর্কে তাফসির ও ব্যাক্যাসমূহে, হুরের নিন্মরূপ বর্ণনা রয়েছে –

১। কুমারী

২। বড় ও সুন্দর চক্ষুধারী

৩। তেত্রিশ বছর বয়স

৪। সুন্দর রঙ

৫। কোন জিন ও মানব পূর্বে যাদের ব্যবহার করেনি

৬। ইত্যাদি ইত্যাদি…

সাদা তুলো আমাদের শরীরের ওপর এসে কতদিন পড়েছে। সবই স্যারের শেখানো অঙ্কে। তবে আজ সেসব যেন মুছে গেছে পৃথিবী থেকে। একটা ফ্যাকাশে মেঘলা দিন এবং অসম্ভব অবসাদগ্রস্ত হয়ে বহুক্ষণ বসে রইলাম ঢিবির ওপরে। ভাবলাম – হুরেরা ইস্কুল, চাকরি করতে যাবে তবে আমি আর চায়ের দোকানে বা রেস্তোরাঁতে বসে তাদের জন্য অপেক্ষা করতে পারব না। সেই সর্বনাশটাই হয়ে গেল।

আমার কাগজপত্র সমস্তই বাজেয়াপ্ত হবে কিছুদিন পর। সমস্ত শংসাপত্র কেড়ে নেওয়া হবে। তারপর পরিচয়হীন একটা জঞ্জালের মতো আমি এই পৃথিবীতে রয়ে যাব। স্যার নিজের শেখানো সমস্ত অঙ্ক নিয়ে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে।

 

বাড়ি ফেরার পর বাবা দু’টো কথা বলল। ততক্ষণে জ্যোতির্ময়ের প্রথম খবর দেওয়ার চব্বিশ ঘন্টা অতিক্রান্ত।

এক, স্যার নাকি হঠাৎ বাড়ি নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে।

দুই, একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটে চলেছে বার্মা কলোনিতে।

 

স্যারকে নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন খবর শুনতে শুনতে আমার এখন সমস্তটাই সয়ে গেছে। নিরুদ্দেশ হওয়ার ঘটনাটা আমাকে তেমনভাবে আর নাড়া দিল না। মনে মনে আমি একটা অঙ্ক কষে নিলাম।

( আত্মহত্যা + দুর্ঘটনা + খুন ) = মৃত্যু / নিরুদ্দেশ

 

যদিও মৃত্যু ও নিরুদ্দেশ এক কথা নয়। তবে আমার স্বার্থের দিক থেকে দেখলে দু’টোর মধ্যে কোনও তফাৎ নেই।

 

দ্বিতীয় ঘটনাটির প্রসঙ্গে আসি। একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটে চলেছে বার্মা কলোনিতে। সেখানে একটা ছোট খাল রয়েছে যা এককালে ভয়ানক নদী ছিল। প্রবল বন্যা হত সেই নদীতে। তবে মূল স্রোতের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বহু বছর ধরে তা খাল। সেই খালের পাশেই জমিতে এককালে বার্মা থেকে আসা উদ্বাস্তুদের বসিয়েছিলেন রাজীব গান্ধী। এভাবেই বার্মা কলোনি গড়ে উঠেছিল।

এই খাল যা এককালে নদী ছিল তার আশেপাশেই শুরু হয়েছে বিশাল ভাঙন। নদী যেন তার পুরনো রূপ আবার ফিরে পাচ্ছে। একে একে সমস্ত চলে যাচ্ছে নদীর পেটে। পৌরসভা কিছুই করতে পারবে না বলে হাত তুলে ফেলেছে ইতিমধ্যে।

আমার চিন্তা হল। এই বার্মা কলোনিতেই তো সুলতাদের বাড়ি।

সুলতা, আমার মাঝেমাঝেই রাত্রিবাসের একমাত্র ঠিকানা। ওর বাড়িটাকে বাড়ি না বলে ঝুপড়ি বলাই ভালো। তবে একটা পোক্ত টিনের চাল রয়েছে। রাতের বেলা বৃষ্টি হলে সেই টিনের চাল যেন ঝমঝম করে নাচে। সুলতার বয়েস তেত্রিশ।

সুলতার সব ভালো শুধু দু’টো বিষয় আমার একদম ভালো লাগে না।

এক, সুলতা ওর ফুলফুল সবুজ সায়াটা একদম ছাড়তে চায় না। রাতের পর রাত পরে থাকে।

দুই, মাঝে মাঝেই ওর বিরক্তিকর স্বপ্নটার কথা আমাকে শোনায়। অদ্ভুত একটা পাখি নাকি স্বপ্নের ভেতর ওর স্তন ঠোকরায়। স্বপ্নের ভেতর এসব ঢ্যামনামো আমার একদম সহ্য হয় না।

তবুও সুলতাকে আমার পছন্দ। আমাকে ওর বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার জন্য কখনোই ও শংসাপত্র দেখতে চায়নি। আমার অঙ্কের নম্বর দেখতে চায়নি। এই কালই যদি আমার কিচ্ছু না থাকে তাহলে বাড়িতে আশ্রয় পাব কিনা জানি না তবে আমি ঠিক জানি, সুলতাই আমাকে আশ্রয় দেবে।

 

সন্ধেবেলা বেরিয়ে গেলাম বার্মা কলোনির পরিস্থিতি দেখতে। দেখলাম আমাদের ছোট শহরের খালটি বিরাট রাক্ষসের মতো আকার ধারণ করেছে। দুদিকের প্রায় সব বাড়িই ওর পেটের ভেতর গেছে ঢুকে। পুলিশ লম্বা ব্যারিকেড করে রেখেছে। এদিকে পৌরসভার লোক, ইঞ্জিনিয়ার, ভূতত্ত্ববিদ সবাই সঙের মতো দাঁড়িয়ে দেখছে ধ্বংসলীলা। সেই ভিড়ের মধ্যে আমি সুলতার ঘরটা খুঁজতে লাগলাম। নাহ, আশ্চর্য ভাবে বেঁচে গেছে সুলতার ঘরটা। অদ্ভুত ,অলৌকিক যেন এই বাঁচা।

আচমকা উপস্থিত জনতার মধ্যে একটা শোরগোল ওঠে। দেখি ভিড় ঠেলে, পুলিশ ঠেলে, পৌরসভার লোক, ইঞ্জিনিয়ার, ভূতত্ত্ববিদ সবাইকে ঠেলে উপস্থিত হল একজন লম্বা চুলের লোক। শরীরে তার আশ্চর্য দ্যুতি। মাথার পেছন আলো হয়ে আছে। তার পরনে শুধু একটা সাদা রঙের ধুতি। কপালে চন্দন টিকা। সবাই ঠাকুর ঠাকুর করে চিৎকার করে উঠল।

লোকটি গেল নদীর সামনে। তারপর চোখ বুজে যেই হাত তুলল , এতক্ষণের রাক্ষুসে নদী যেন ছোট্ট বাচ্চাটি হয়ে বসে পড়ল মাটিতে।

ভিড়ের মধ্যে চিৎকার আরও বাড়তে লাগল। জয়ধ্বনি…

তারপর যে দেখলাম সেই লম্বা চুলের পুরুষ ধীর পায়ে এগিয়ে গেল সুলতাদের বাড়ির দিকে। দুটো টোকা দিতেই খুলে গেল দরজা। ঢুকে গেল লোকটি ভেতরে।

দেখলাম বাইরের তারে ঝুলে আছে সুলতার বহু ব্যবহৃত ফুল ছাপ সবুজ সায়াটা।

]]>
Syed Mostaq Ali T20 tournament: কোয়ার্টার ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখলো বাংলা https://ekolkata24.com/sports-news/syed-mostaq-ali-t20-tournamentbangla-kept-the-hopes-of-the-quarter-finals-alive Mon, 08 Nov 2021 14:28:43 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10742 স্পোর্টস ডেস্ক: গুয়াহাটিতে বিসিসিআই পরিচালিত সৈয়দ মুস্তাক আলি টি টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে অধিনায়ক সুদীপ চ্যাটার্জির অর্ধশতরানে ভর করে সার্ভিসেসকে (Services) উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখল বাংলা (Bengal)। 

টসে জিতে বাংলা(Bengal) ফ্লিডিং’র সিদ্ধান্ত নেয়। ২০ ওভারে সার্ভিসেস (Services) ৯০ রান তোলে,৮ উইকেটে। দেবেন্দ্র লোচাড ৫১ বলে ৩৪ রানে নট আউট থাকে। যাদব ১২ বলে অপরাজিত থাকে। সার্ভিসেসের (Services) অন্যান্য ব্যাটসম্যানরা বাংলার (Bengal) বোলিং লাইন আপের মুখে পড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে যায়। বাংলার (Bengal) হয়ে প্রদীপ্ত প্রামাণিক ২,মুকেশ কুমার, ঋতিক চ্যাটার্জী,সাহবাজ, করন লাল, আকাশদীপ একটি করে উইকেট নিয়েছে।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলা (Bengal) অধিনায়ক সুদীপ চ্যাটার্জীর দাপুটে ২৮ বলে ৫০ রানের দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরি, সঙ্গে অভিমন্যু ঈশ্বরণের ৩২ নট আউট এবং সাহবাজ আহমেদের অপরাজিত ৮ রানে ভর করে সার্ভিসেসকে (Services) ১০.৫ ওভারে সুদীপ চ্যাটার্জীর উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌছে যায়। সার্ভিসেসের (Services) বিরুদ্ধে বাংলার (Bengal) অধিনায়ক সুদীপ চ্যাটার্জীর হাফ সেঞ্চুরি এবং সুদীপের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ভারতের(India) ঘরোয়া ক্রিকেটে আলাদা ছাপ রেখেছে। বাংলার পরের খেলা মঙ্গলবার, কর্ণাটকের (Karnataka) বিরুদ্ধে গুয়াহাটিতে।

]]>
Women’s ODI Tournament: বাংলার অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটে চলেছে https://ekolkata24.com/sports-news/in-the-bcci-run-senior-womens-odi-tournament Thu, 04 Nov 2021 16:10:34 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10302 Sports desk: অপরাজেয় বাংলা সিনিয়র উইমেনস ক্রিকেট টিম। বিসিসিআই পরিচালিত সিনিয়র উইমেনস ওয়ান ডে টুর্নামেন্টে বৃ্হস্পতিবার পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে বাংলা ৪ উইকেটে জয়ী হয়েছে। টুর্নামেন্টে বাংলা টানা ৪ ম্যাচে জয়ের মুখ দেখল।

বাংলার হয়ে সুকন্যা পরিধা ১০ ওভার, ৩ মেডেন ওভার, ২২ রান দিয়ে, ৪ উইকেট তুলে নেয়। অন্যদিকে গৌহর সুলতানা ১০ ওভারে, ৬ মেডেন ওভারে, ৮ রানে ২ উইকেট শিকার করে। বেঙ্গালুরুতে টসে জিতে পাঞ্জাব ফ্লিডিং’র সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলা ৪২.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান তোলে। ভ্যানিতা ভিআর ৩৩,পিপি পাল ২৫, গৌহর সুলতানা নট আউট ৩২ রান করেন।

জবাবে পাঞ্জাব ব্যাট করতে এসে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে শুরু করে। পাঞ্জাব অধিনায়ক তানিয়া ভাটিয়া, পরভীন খান,নীতু সিং, হরপ্রীত ঢিল্লোনের উইকেট শিকার করে বাংলার বোলার সুকন্যা পরিধা। আর গৌহর সুলতানা পাঞ্জাবের কণিকা আহুজা এবং নীলম বিষ্ঠ’র উইকেট তুলে নেয়। বাংলার পরের ম্যাচ হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আগামী শনিবার, ৬ নভেম্বর।

]]>
দেবীপক্ষে TRP যুদ্ধে বাজিমাত করতে চ্যানেলের তুরুপের তাস একঝাঁক জনপ্রিয় মুখ https://ekolkata24.com/entertainment/preparations-for-the-mahalaya-program-of-bangla-entertainment-channel Thu, 30 Sep 2021 13:34:32 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6129 বায়োস্কোপ ডেস্ক: আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন পরেই মহালয়া। ভোরের বীরেন্দ্র কৃষ্ণর পাশাপাশি বাংলা বিভিন্ন চ্যানেল গুলোয় মহালয়া অনুষ্ঠান বাঙালির চিরাচরিত। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মধ্যে রীতিমতো রেষারেষি চলে মহালয়ার সকালের বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়ে। বিশেষ করে অল্পবয়েসী দর্শকদের মাঝে মহিষাসুরমর্দিনী দেখার উত্তেজনা সবচেয়ে বেশি। জি বাংলা, স্টার জলসা থেকে কালারস বাংলা তাই মহালয়ার ভোরে নিয়ে আসছে এক রাশ নতুন চমক। 

দুর্গা পুজোয় এবছর কাদের দেখা যাবে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে তা নিয়ে টলি পাড়ায় বেশ শোরগোল পড়ে গেছে। দেবী দুর্গার চরিত্রে দেখা যাবে কোয়েল মল্লিক, শুভশ্রী গাঙ্গুলি থেকে ‘রাণী রাসমণি’ খ্যাত দিতিপ্রিয়া রায়। প্রসঙ্গত, দিতিপ্রিয়াকে দুর্গা চরিত্রে দেখা যাবে দ্বিতীয়বারের জন্য। এই নিয়ে অভিনেত্রী উচ্ছাসও প্রকাশ করেছেন মিডিয়ার কাছে। তার ভক্তরাও টিভি পর্দার রাণী রাসমণিকে দূর্গা রূপে দেখতে বেশ আগ্রহী।

Mimi

উল্লেখ্য, তিনি বেশ কিছু বছর ধরে অপর একটি বেসরকারি চ্যানেলে অভিনয় করেছেন রাণী রাসমণির চরিত্রে যা তাকে অত্যন্ত অল্প বয়সেই খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছিল। অভিনেতা গাজি আব্দুর নূরের সাথে পর্দায় তার মেলবন্ধন প্রশংসা পেয়েছিল সমালোচকদের কাছেও। মহালয়ার ভোরে দ্বীতিপ্রিয়াকে দুর্গা রূপে দেখা যাবে স্টার জলসার পর্দায়।

এছাড়াও, জি বাংলায় মহালয়ার অনুষ্ঠানে দুর্গা রূপে দেখা যাবে শুভশ্রী গাঙ্গুলিকে। আগের বছর ওই চ্যানেলেই দুর্গা চরিত্রে দেখা গেছিল দ্বীতিপ্রিয়াকে। শুভশ্রী এর আগেও বহুবার দুর্গা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বিভিন্ন চ্যানেলে মহিষাসুরমর্দীনি অনুষ্ঠানে। অপরদিকে, মহালয়ার ভোরে কোয়েলকে দুর্গা রূপে দেখা যাবে কালারস বাংলার পর্দায়। তিনি দুর্গা চরিত্রে মহালয়ার অনুষ্ঠানে বাকি দুজনের চেয়ে প্রবীণা। তবে, চমক শুধু দুর্গা চরিত্রে অভিনেত্রীদের ভূমিকা নিয়েই নয়, মহালয়ার গানের অনুষ্ঠানে জুটি বাঁধতে দেখা যাবে শোভন গাঙ্গুলি ও ইমন চক্রবর্তীকেও। এখন দেবীপক্ষের প্রাক্কালে টি.আর.পি. যুদ্ধে কে বাজিমাত করবে তা সময় বলে দেবে।

]]>