Bengali literature – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sun, 07 Nov 2021 09:26:57 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Bengali literature – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 গাড়িতে যেন নতুন করে পেট্রোল-ডিজেল দেওয়া হয়েছে: সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় https://ekolkata24.com/uncategorized/interview-of-sanjib-chattopadhyay Sun, 07 Nov 2021 06:23:57 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10586 সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের সুপরিচিত নাম। ১৯৩৬ সালে কলকাতায় জন্ম। মেদিনীপুর জেলা স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং হুগলি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক। বহু উপন্যাস, ছোটগল্প ও প্রবন্ধের রচয়িতা। তাঁর রচনায় হাস্যরসের সঙ্গে তীব্র শ্লেষ ও ব্যঙ্গ মেশানো থাকে– এটাই তাঁর লেখার বৈশিষ্ট। ছোটদের জন্য লিখেছেন অনেক। ‘লোটাকম্বল’ তাঁকে তুমুল জনপ্রিয়তা দিয়েছে। ‘শ্রীকৃষ্ণের শেষ কটা দিন’ বইয়ের জন্য ২০১৮ সালে পেয়েছেন সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার। সেই সময় এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় বরাহনগরে লেখকের বাসভবনে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অরুণাভ রাহারায়

অরুণাভ: সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেলেন। কেমন লাগছে?
সঞ্জীব: প্রশ্নটা খুব স্বাভাবিক। হ্যাঁ ভালোই লাগছে। বেশ একটা কেমন কেমন লাগছে। এ প্রসঙ্গে বলি– এতকাল হাতুড়ে চিকিৎসক ছিলাম তো; এবার যেন পাশকরা ডাক্তার হলাম আর কি! এর আগে অনেকেই বলতো কী কী পুরস্কার পেয়েছেন? দুঃখের সুরেই বলতাম কোনো বড়ো পুরস্কার তো পাইনি! আসলে পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকের কথাই সকলে শুনবে; এমন এক ট্রেন্ড আছে চিরকালই। এই পরিসরে এক মজার কাহিনি বলি। আমি এক জ্যোতিষীকে বলি আপনি তো বলেছিলেন, আমি মস্ত বড়ো পুরস্কার পাব! কোথায়? তখন তিনি বলেন, একজনের কুষ্টি দেখে বলেছিলাম– তুমি লটারিতে বড়ো পুরস্কার পাবে। সে গিয়ে পাড়ার লটারিতে এক টাকার লটারি কেনে এবং প্রথম পুরস্কার পায়। সেই পুরস্কার ছিল এক নাগড়ি গুড়! আমারও নাকি এমনই হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তুমি পাড়ার দুগ্গাপুজোয় বিচারক হয়ে গিয়ে গলায় একটা ব্যাচ ঝুলিয়ে ঘুরেছো। এতে তোমার বড় পুরস্কারের ভাগ্য নষ্ট হয়েছে! তারপর ভাবলাম পুরস্কার পাওয়ার জন্যই লিখতে হয় বুঝি!

অরুণাভ: লেখালিখির বাইরে আপনার অবসর যাপন….
সঞ্জীব: কলকাতায় এই বাড়িতে আসার পর এখানে অনেক বড় বড় গাছের সমাহার দেখা যেত! আমি এবং আমার পিতৃদেব মাটির চালুনিতে চেলে সহজেই ভূমিজাত কিছু গাছ লাগিয়েছি। এরপর কৃষ্ণচূড়া, আম, চেরি গাছ! পরবর্তীতে কেটে ফেলতে হয়! আগে মরশুমি ফুলের প্রস্ফুটনে পুরো বাগান ফুলে ছয়লাপ হয়ে যেত। এখন বাড়িতে একা হয়ে যাওয়ায় তেমন পরিচর্যা করা হয় না। এক টব এখান থেকে ওখানে সরিয়ে কেবন টব স্থানান্তরের খেলা চলে। বর্ষায় এই সব টব জলে টুইটুম্বর হয়ে যায়। এই সব গাছ এক এক স্মৃতি। বাগানে একটা গুলঞ্চ গাছ আছে। আমার বাবা গঙ্গার জল থেকে তার ডাল পুঁতেছিলেন। সেটা এখনও আমাদের বাড়িতে আছে।

অরুণাভ: আপনার কি মনে হয় সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেতে অনেক দেরি হয়ে গেল?
সঞ্জীব: এই আক্ষেপটা আমার পাঠক-পাঠিকাদের। যারা আমার লেখা ভালোবাসে। আমি এক বিষয় আবিস্কার করলাম, আমি মহানন্দে শুধুই লিখে গিয়েছি। সেই লেখা পাঠক-পাঠিকাদের হৃদয় জয় করেছে। তাই পুরস্কারের চিন্তা ছিল না। কিন্তু এই যে পুরস্কার এল, যেন এক প্রবল উচ্ছ্বসের মতো! পুরস্কার ঘোষণার পর সারারাত কিছু সময় ঘুমিয়েছি। যারা আরও কম বয়সে এই পুরস্কার পেয়েছে, সেই পুরস্কারে এখন ঘুণ ধরে গিয়েছে। ঘুণ ধরেছে লেখকের কর্মজীবনেও। সাহিত্য আকাদেমি পাওয়ার পর আমার মনে হল গাড়িতে যেন নতুন করে পেট্রোল-ডিজেল দেওয়া হয়েছে। এবার উদ্যোম গতিতে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেব। হ্যাঁ, এটাই আমার বড়ো পাওয়া। বেলুড় মঠের মহারাজ এই দেরি প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন। আমি বলি, মহারাজ দেরি হওয়াই ভালো। আসলে জীবনের শেষ ভাগটা খুব শুকনো। বন্ধুবান্ধবহীন জীবনে একাকীত্ব চলে আসে। শেক্সপিয়ার বলেছেন, suns shine, sun steingth, suns availability. গৃহবন্দি জন্তু হয়ে যাওয়ার মুহূর্তে এই পুরস্কারটা এলো। আমি ঠাকুরমা স্বামীজিকে বিশ্বাস করি, তাঁরাই হয়তো এটা আটকে রেখেছিল এতদিন…

অরুণাভ: শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়ের কবিতায় আছে, ‘দেরি করে যে এসেছে, ইচ্ছে করে ভালোবাসি তাকে।’ ব্যাপারটা তেমনই তো?
সঞ্জীব: হ্যাঁ একদম। আর দেরি করে যে এসেছে সে তো যুবতী নারী, বৃদ্ধা নয়। সেই নতুন প্রেম, নতুন করে ভালোবাসা…..

অরুণাভ: আপনার লেখায় ও জীবনে রামকৃষ্ণ, সারদা মা এবং স্বামীজির প্রভাব প্রভাব লক্ষ্য করা যায়
সঞ্জীব: এ এক মস্ত বড়ো গল্প। আমি স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে পাশ করে অবসর সময়ে দর্শনের অনেক বই পড়তে লাগলাম এক সময়। তার মধ্যে ছিল, ভ্যান গখের মতো দার্শনিকদের বইও। আমাদের বাড়িতে এমন শিক্ষা দেওয়া হত, যা কিছু পড়বে, পরে যেন সেটা কাজে লাগে। সেই ভাবনায় দীক্ষিত হয়ে আমি জীবনের প্রথম লেখা লিখলাম ‘মানুষ’। যার প্রথম লাইনই ছিল ‘Man is a biped without wings’। মানুষ কে যতই দেবতা করে দেখানো হোক না কেন, আসলে সে এক জন্তু! সেই লেখা রামকৃষ্ণ মিশনের কাগজ ‘উদ্বোধন’-এ পাঠাই। কিছু দিন বাদে একটি চিঠি পেলাম। তাতে আমাকে দেখা করতে বলা হয়েছে। আমি গিয়ে সম্পাদক মশাইয়ের সঙ্গে দেখা করি। উনি তো আমাকে দেখে হেসে অস্থির। আমি ভাবছি, এত খারাপ লিখেছি যে আমাকে ডেকে এনে উনি বুঝি হাসছেন! তাঁকে জিজ্ঞেস করেই ফেললাম– কী ব্যাপার? উনি বললেন, তোমার প্রবন্ধ পড়ে মনে হল, তোমার বুঝি অনেক বয়স! বড় বড় চুল থাকবে, চোখে বড় লেন্সের চশমা। কিন্তু এ তো দেখছি ছোট ছেলে! এর পর তাঁর সঙ্গে সখ্য তৈরি হল। সেই আমার এই জগতে প্রবেশ। এরপর দেওঘর বিদ্যাপীঠে পড়াতে গেলাম। সেখানে যাওয়ার কারণ অবশ্য ছিল। আমি সন্ন্যাসী হতে চেয়েছিলাম। সে সময় এক সমস্যাও হল। কারণ, বাড়িতে বাবা ছাড়া কেউ নেই। তিনি আমার এই সিদ্ধান্ত কীভাবে নেবেন? আমার গুরুদেব বললেন, তুমি যদি বলে সন্ন্যাসী হব, তা হলে উনি হয়ত আহত হবেন। তুমি বরং বলে, ওখানে শিক্ষকতা করবে। আমি সেই মতো ওনাকে জানিয়ে দেওঘর গেলাম। কিন্তু সন্ন্যাসী হওয়া আমার আর হল না। ঢুকে পড়লাম লেখার জগতে। এই পরিবেশে আসার আগে আমাকে অনেক চাকরির গন্ডি পার হতে হয়েছে। আমাকে একজন বলেছিলেন, তুমি যত পড়বে, ততো পরিশীলিত হবে। ভালো ভালো সাহিত্য পড়লে বুঝতে শিখবে। আর সব শেষে তোমার সাহিত্যযাপনে যেন কান্না থাকে…।

অরুণাভ: সেই কান্না ছাপিয়ে আপনার লেখায় এত হাসি…
সঞ্জীব: পৃথিবীতে যখন এসেছিলাম তখন ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কেঁদেছিলাম। আর যে শিশু জন্মানোর পর কাঁদে না তাকে নিয়ে সবাই উদ্বেগ প্রকাশ করে। তখন তাকে কাঁদানোর জন্য পিঠে চাপড় দেওয়া হয়- একটু কাঁদ বাছা। এক্ষেত্রে তুলসী দাস বলছেন, তুলসী যাব যগ মে আয়ো, তুলসী রোয়ে জাগ হাসে! সবাই তো খুশি ছেলে হয়েছে, ছেলে হয়েছে। কিন্তু তুলসী যগ মে যায়ো, তুলসী হাসে যগ রয়ে। অর্থাৎ তুমি জীবনটাকে এমন করো যাতে সবাই কাঁদে। এই দোঁহাই আমার জীবনে কাজে লেগেছিল। আর চারদিকে তাকাই, তখন যতই গণতন্ত্র-প্রজাতন্ত্রের বুলি আওরালেও জগতে একটা কথা আছে Have’s ও Havesn’t. মানে এক শ্রেণীর মানুষ খেয়ে শেষ করতে পারছে না, আর এক শ্রেণীর মানুষ দু’বেলা খেতেই পারছে না। আর যারা খেয়ে শেষ করতে পারছে না, তারাই গণতন্ত্রের মাথায় বসে আছে। তাদের মুখে বড় বড় কথা। এক্ষেত্রে আরও এক কথা বলি। আমি প্রচুর শ্রুতি নাটক করতাম। তুলসী রায় ছিলেন সেসব শ্রূতি নাটকে, এইসব নাটক রবীন্দ্রসদন, মহাজাতি সদন, নিরঞ্জন সদন-সহ বিভিন্ন জায়গায় হত। একদিন নাটক শেষে বললেন, আপনি আজ তেমন হাসাতে পারেননি! রাগান্বিত হয়ে বলে ফেললাম– আজকে আমি হাসাতে আসিনি। কাঁদাতেই চেয়েছি। মোহিত লাল মজুমদারের কবিতা বলতে ইচ্ছে করছে, যত ব্যথা পাই তত গান গাই– গাঁথি যে সুরের মালা! ওগো সুন্দর! নয়নে আমার নীল কাজলের জ্বালা! এই লাইনের মতো সবাই আমাকে বলে বসল– তুমি বাংলা সাহিত্যের চার্লি চ্যাপলিন।

অরুণাভ: আপনি প্রথম জীবনে সন্ন্যাসী হতে চাইলেও জীবন আপনাকে করে তুলল বাংলা সাহিত্যের চার্লি চ্যাপলিন! এখন প্রতিদিনই আপনাকে বিভিন্ন সাহিত্যের অনুষ্ঠানে যেতে হয়। এ ছাড়া কলেজ স্ট্রিটের কাছে ঝামাপুকুর লেনে রামকৃষ্ণ সংঘে আপনি নিয়মিত পড়াতে যান। সেই যাপনের কথা কিছু বলুন…
সঞ্জীব: আমি কখনওই ইচ্ছে করে কোনও অনুষ্ঠানে যেতাম না। জোর করে অনেকে নিয়ে যায়। প্রকৃতপক্ষে আমার জীবনে ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণের প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য উদ্বোধন পত্রিকার অন্যতম সম্পাদক স্বামী অব্জজানন্দ বলেন সাহিত্যিকদের লেখায় ঠাকুরের কথা লিখে সাধারণ মানুষদের আকৃষ্ট করতে হবে। তারপর দীর্ঘ ষোল বছর সেই পত্রিকাতে ‘পরমপদকমলে’ বিভাগে লিখেছি ঠাকুর রামকৃষ্ণের কথা। যা দিয়ে আমার সারা জীবন ধরে রামকৃষ্ণকে নিয়ে লেখা। পরে বই হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে। শুনেছি সেই বই বেস্টসেলার হয়েছে। আমি সেই বইয়ে রামকৃষ্ণের কথা লিখেছি। তাঁর মুখ দিয়েই তাঁকে কথা বলিয়েছি। যেমন ‘শ্রীকৃষ্ণের শেষ কটা দিন’ বইয়েও করেছি। আমি তাঁকে প্রশ্ন করেছি আপনি যেসব বলে গিয়েছেন, এখন জীবন পাল্টেছে; আমরা এখন কী করব? আপনি বলে দিন। আমি ঠাকুরকে মহাঅবতার না করে, তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছি। আর আমার এই আঙ্গিকই শ্রোতাদের মাঝে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।

]]>
ইঞ্জিনিয়ার থেকে কবি: দেরীতে শুরু করেও পৌঁছেছিলেন সাফল্যের শিখরে https://ekolkata24.com/offbeat-news/a-engineer-became-a-successful-poet-jatindranath-sengupta Fri, 17 Sep 2021 17:37:34 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4867 বিশেষ প্রতিবেদন: ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। রীতিমত চাকরি করতেন। সেই মানুষটার মধ্যেই কোথাও যেন লুকিয়ে ছিল অন্য এক শিল্প সত্বা। ইঞ্জিনিয়ার থেকে হয়ে গেলেন বিখ্যাত কবি। তিনি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত।

১৯১১, শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করেন যতীন্দ্রনাথ। প্রথমে নদীয়া জেলাবোর্ড ও পরে কাশিমবাজার রাজ-এস্টেটের ওভারসিয়ার হন। চাকরির পাশাপাশি তিনি সাহিত্য চর্চাও শুরু করেন খুব অল্পকালের মধ্যেই কবি হিসেবে খ্যাতি ও প্রতিষ্ঠা অর্জন করেন। সমাজ ও সমকাল তাঁর কাব্যের বিষয়বস্ত্ত। ভাষার মধ্যে তর্ক, কটাক্ষ ও প্রচ্ছন্ন পরিহাস তাঁর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

দর্শন ও বিজ্ঞান উভয় দৃষ্টিকোণ থেকেই তিনি ছিলেন দুঃখবাদী, আর এই দুঃখবাদ তাঁর কাব্যের মূল সুর। প্রকৃতি ছলনাময়ী, জীবন দুঃখময়, সুখ অনিত্য ও ক্ষণিকের এই দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি জগৎ-সংসারকে দেখেছেন। কোনোরূপ ভাববাদের বশবর্তী হয়ে নয়, বরং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও বাস্তব পর্যবেক্ষণ থেকে তিনি দুঃখ ও নৈরাশ্যের চিত্র এঁকেছেন।

তাঁর প্রকাশিত বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ গুলির মধ্যে অন্যতম মরীচিকা (১৯২৩), মরুশিখা (১৯২৭), মরুমায়া (১৯৩০), সায়ম (১৯৪০), ত্রিযামা (১৯৪৮), নিশান্তিকা (১৯৫৭) এবং কবিতা-সংকলন অনুপূর্বা (১৯৪৬)। যতীন্দ্রনাথের মতে মানুষের জীবনের প্রথমার্ধ অবিরত দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মধ্য দিয়ে নিদারুণ দুঃখ-কষ্টে অতিবাহিত হয়, দ্বিতীয়ার্থে অপরাধ জরা-ব্যাধি ভারাক্রান্ত অবসন্নতা নেমে আসায় রাত্রির অন্ধকার-সদৃশ অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটে।

প্রেম, প্রকৃতি বা ঈশ্বর মানবজীবনের দুঃখের দহনজ্বালা ও নৈরাশ্যের অবসন্নতা দূর করতে পারে না। তাঁর বিশ্বাস ছিল ঈশ্বর স্বয়ং দুঃখময়, ঈশ্বরের বার্তা মানুষের জন্য কোনও কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। জগৎ যেমন তেমনই থাকে; প্রেম বলে কিছু নেই, চেতনাই জড়কে সচল করে।

যতীন্দ্রনাথের ভাষা আবেগমুক্ত ও যুক্তিসিদ্ধ। তিনি সরাসরি বিষয়ের প্রকাশ ঘটান। তবে অন্ত্যপর্বের কাব্যগুলিতে তাঁর রোম্যান্টিক বিহবলতা ও চাঞ্চল্য প্রকাশ পায়।

মহাত্মা গান্ধীর জীবনদর্শন ও রাজনীতিতে তিনি বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর জীবনদৃষ্টিতে মানবতাবাদ ও দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষের প্রতি গভীর মমতা লক্ষণীয়। শেষ বয়সে তিনি ম্যাকবেথ, ওথেলো, হ্যামলেট, কুমারসম্ভব ইত্যাদি অনুবাদ করেন। ১৯৪৯ সালে ‘বিপ্রতীপ গুপ্ত’ ছদ্মনামে তিনি স্মৃতিকথা নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন।

]]>
হৃদয়ে শৈশবের বরিশাল-রংপুরে না যাওয়া আক্ষেপ, বুদ্ধদেব গুহর প্রয়াণে শোক শেখ হাসিনার https://ekolkata24.com/uncategorized/buddhadeb-guha-passes-away-bangladesh-pm-sheikh-hasina-sent-her-condolences Mon, 30 Aug 2021 15:30:13 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=3479 প্রসেনজিৎ চৌধুরী: আর যাওয়াই হলো না জল-জঙ্গলের বরিশালে। কীর্তনখোলা নদীর তীরে, সেই ছোট বেলার অনেক দেখা মনে রেখে দেওয়া স্মৃতির দুনিয়ায়। সেই ছিমছাম বাগান ঘেরা রংপুরে। জীবনভর বহু পাওয়ার মাঝে একটা আক্ষেপ ছিলই। সেই আক্ষেপ নিয়েই বিদায় নিয়েছেন কিংবদন্তি সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ (Buddhadeb Guha)।

বুদ্ধদেব গুহর জন্ম ১৯৩৬ সালে কলকাতায়। তখনও অভিভক্ত ভারত। পারিবারিক সূত্রে তাঁর ছোটবেলা কেটেছিল বরিশাল ও রংপুরের। পরে ভারত ভাগ হয় প্রিয় দুটি স্থান পড়ে যায় পাকিস্তানে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান বা পূর্ব বাংলা থেকে গিয়েছিল তাঁর হৃদয়ে।

ভয়েস অফ আমেরিকা জানাচ্ছে, এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বুদ্ধদেব গুহ তাঁর শৈশবের স্মৃতি মন খুলে বলেছিলেন। সেই স্মৃতিতে মিশেছিল বরিশাল ও রংপুর। ১৯৭১ সালের পরবর্তী এই দুই স্থান বাংলাদেশের অন্তর্গত।

সেই সাক্ষাৎকারে বুদ্ধদেব গুহ বলেছিলেন, “ছোট বেলায় বাবার চাকরির সূত্রে বরিশাল ও রংপুরে একটা বড় সময় কাটিয়েছিলাম। আহা বরিশালের সেই নদী, গাছপালা এখনো টানে। মনে হয় দৌড়ে ছুটে যাই এখনই। আ হা সেই সব দিন। রংপুরও ছিল অন্য রকম একটি শহর। ছুটে বেড়াতাম স্কুল থেকে খেলার মাঠে।”

বরিশাল ও রংপুর না যাওয়ার আক্ষেপ নিয়েই জীবন খাতার হিসেব শেষ করেছেন বুদ্ধদেব গুহ। তাঁর প্রয়াণ সংবাদে বাংলাদেশের সাহিত্য সংস্কৃতি মহল শোকাচ্ছন্ন।

বুদ্ধদেব গুহর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলাদেশ সরকার। গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, প্রয়াত লেখকের আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
বহুদর্শী জীবনের আক্ষেপ ছিল শৈশবকে না ধরতে পারা। সব ইচ্ছে সবসময় পূরণ হয় না।

]]>
বরাক উপত্যকায় কয়েকদিন https://ekolkata24.com/uncategorized/few-days-in-barak-valley Sun, 29 Aug 2021 05:52:55 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=3393

অরুণাভ রাহারায়

২০১৮ সালে আমি সাহিত্য আকাদেমির পক্ষ থেকে ট্রাভেল গ্র্যান্ট পেয়েছিলাম। সে বছর জুলাই মাসে একটি কবিতাপাঠের পাঠের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম কলকাতার সাহিত্য আকাদেমি ভবনে। সেদিনই আমি জানতে পারি ট্রাভেল গ্র্যান্ট পেতে চলেছি। জানা মাত্রই অত্যন্ত আনন্দ হয়েছিল আমার। সেদিন আমার সঙ্গে কয়েকজন বন্ধুও ছিল। আমরা সবাই মিলে এর আনন্দ উদযাপন করেছিলাম।

এই গ্র্যান্ট পেলে সাহিত্য সম্পর্কিত বিষয়ে দেশের অন্য একটি রাজ্যে যেতে হয়। আমি আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য অসমকে নির্বাচন করেছিলাম। আমার পৈত্রিক বাড়ি আলিপুরদুয়ারে। আর অসমে ঢোকার রাস্তাই হল এই শহর। ছোটবেলা থেকে নানা ভাবে এই রাজ্য সম্পর্কে জেনে এসেছি। পড়েছি অসমীয়া ভাষার কবিতাও। একবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আলিপুরদুয়ারে এসেছিলেন অসমের বিখ্যাত কবি নীলমণি ফুকন। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছিলেন আমার বাবাও। সেবার নীলমণি ফুকনকে খুব কাছ থেকে দেখা সুযোগ পেয়েছিলাম ওই ছোটবেলায়।

ট্রাভেল গ্র্যান্ট পেয়ে আমি গিয়েছিলাম অসমের বরাক উপত্যকায়, শিলচরে। এই শহরের প্রতি আমার ভালবাসার টান। আগেও নানা অনুষ্ঠানে গিয়েছি। তবে ট্রাভেল গ্রান্ট পেয়ে শিলচরে যাওয়ার আনন্দটাই আলাদা। বেশ কয়েকদিন ছিলাম। দেখা হয়েছিল কিছু গুণী মানুষের সঙ্গে। মনে পড়ছে ঐতিহ্যবাহী কাছার ক্লাবের কথা। প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যাবেলায় সেখানে যেতাম। এখানে এক সময় পোলো খেলা হত। পাশেই ছিল অজন্তা হোটেল। যেখানে আমি উঠেছিলাম।

শিলচরে পৌঁছনোর পরদিন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যাই। তার সান্নিধ্য পাওয়া এক বিরল ব্যাপার। দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময় তাঁর লেখা ‘কবিতার রূপান্তর’ বইটি বহুবার পড়েছি আর মুগ্ধ হয়েছি। অনেকজন কবির কবিতাকে চিনতে পারি এই বইটি পড়ে। তাঁর সঙ্গে আগেই যোগাযোগ করেছিলাম ফোনে। তিনি আমাকে সময় দিয়েছেন। তাঁর মুখোমুখি বসে সাহিত্যের নানা বিষয়ে আলোচনা করি। আমাদের আলোচনার ঘুরে ফিরে আসে রবীন্দ্রনাথের প্রসঙ্গ। তিনি রবীন্দ্রনাথের একটি প্রবন্ধের বিশ্লেষণ করেন আমার সামনে।

এ কথা বলতেই হয়ে, তপোধীর বাবুর সঙ্গ পেয়ে আমি সেদিন ঋদ্ধ হয়েছি। তাঁর সারা বড়ি জুড়ে বই আর বই। দেওয়ালে নানা ছবি টাঙানো। একটি ছবিতে দেখলাম তিনি প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির হাতে ডিলিট তুলে দিচ্ছে। ছবিটি প্রসঙ্গে তিনি বললেন, আমার প্রিয় খেলোয়াড়। আমি যখন অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলাম সেই সময় তাকে ডিলিট দিই। তপোধীর ভট্টাচার্য একাধিক গ্রন্থের রচয়িতা। অনেকে তাকে শুধু প্রাবন্ধিক হিসেবেই চেনেন। কিন্তু তিনি একজন কবি। তাঁর একাধিক কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর কবিরা আমার খুব ভাল লাগে। কোচবিহার থেকে প্রকাশিত ‘তমসুক’ পত্রিকা তপোধীর ভট্টাচার্যকে নিয়ে একটি সংখ্যা প্রকাশ করেছে। তাকে জানার জন্য এটি একটি ভাল বই।

এরপর শিলচর শহরে আমি কবিতার অনুষ্ঠানে অংশ নিই। সেখানে আরও কয়েকজন স্থানীয় কবির সঙ্গে আমার দেখা হয়। অনুষ্ঠানটি হয়েছিল অধ্যাপক অর্জুন চৌধুরীর উদ্যোগে। সেখানে এসেছিলেন বাংলা ভাষার বিশিষ্ট কবি অমিতাভ দেব চৌধুরী। তিনিও সেদিন অনেক কবিতা শুনিয়েছিলেন তাঁর বই থেকে। দেখা হয়েছিল তরুণ কবি শতদল আচার্যের সঙ্গে। তিনি কর্মসূত্রে শিলচরে অবস্থিত অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত।

এরপর দিন আমার কবিতা পাঠ ছিল অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে। এই বিভাগটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত। সেখানে আমার কবিতা শুনতে এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছত্রছাত্রীরা। আমি সেদিন আমার নতুন কবিতার বইয়ের পাণ্ডুলিপি থেকে একাধিক কবিতা পাঠ করেছিলাম। পড়ুয়াদের মুখোমুখি বসে কবিতা পড়ার আনন্দ আজও ভুলতে পারি না। ২০১৮ সালে আমি যখন অসমে গিয়েছিলাম তখন NRC-র কারণে উত্তাল সারা রাজ্য। শিলচর থেকে আমার যাওয়ার কথা ছিল গুয়াহাটিতে। কিন্তু সেখানে তখন ধর্মঘট চলছিল। তাই আমি প্ল্যান পালটে ফিরে আসি কলকাতায়।

]]>
সৎকারের আগে মৃত্যুর খবর জানাতে চাননি শম্ভু মিত্র https://ekolkata24.com/uncategorized/shambhu-mitra-did-not-want-to-report-the-death-before-the-funeral Sun, 22 Aug 2021 08:32:38 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=2926 বিশেষ প্রতিবেদন: শম্ভু মিত্র থিয়েটারের পরিকাঠামো নিয়ে কোনও সমঝোতা মানতে রাজি ছিলেন না৷ তাঁর আমলে বহুরূপী-র অভিনয়ের আমন্ত্রণ থাকলে আগে দলের প্রতিনিধি সেখানে গিয়ে দেখে আসতেন মঞ্চ, সাজঘর, আলো ও শব্দ-ব্যবস্থা, এমনকি দর্শক আসনের উপযুক্ত ব্যবস্থা আছে কিনা৷ তা না হলে দল অভিনয় করত না।

কখনও কখনও নাট্যদলগুলি প্যান্ডেলে অস্থায়ী মঞ্চে বা পরিত্যক্ত প্রেক্ষাগৃহে নাটক নামিয়ে দেন৷ রাজনৈতিক দলের আমন্ত্রণে এমন কোনও স্থানেও অভিনয় করেন যেখানে নাটকের সংলাপকে আলাদা করা যায় না আশপাশ থেকে ভেসে আসা গান, বক্তৃতা এবং হাঁকডাকের আওয়াজ থেকে৷ এই আপোষ আসলে এক ধরনের প্রতারণার সামিল যেটা কোনও ভাবেই মানতে পারেননি নির্দেশক নট শম্ভু মিত্র৷ মানাতে না পেরে জীবনের শেষদিকে আসতে আসতে একেবারে প্রচারের আলো থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে দেখা গিয়েছিল তাকে ।

১৯১৫ সালের ২২ অগস্ট শম্ভু মিত্রের জন্ম হয় কলকাতায়৷ বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট স্কুল থেকে বিদ্যালয় শিক্ষা শেষ করে ভর্তি হন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। ১৯৩৯ সালে রংমহলে বাণিজ্যিক নাট্যমঞ্চে যোগ দেন তিনি। পরে যোগ দিয়েছিলেন মিনার্ভায়। এই সময় কিংবদন্তি নাট্যব্যক্তিত্ব শিশিরকুমার ভাদুড়ীর সঙ্গে আলাপ হয় এবং তাঁরই প্রযোজনায় আলমগীর নাটকে অভিনয়ও করেন তিনি। যদিও তখন থেকেই নাট্যজগতে শিশিরকুমারের থেকে আলাদা ঘরানা তৈরিতে উদ্যোগী হন শম্ভু মিত্র।

১৯৪২ সালে ফ্যাসিবিরোধী সংঘের সঙ্গে পরিচিত হন তিনি। ১৯৪৩ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক পি. সি. যোশির অনুপ্রেরণায় যোগ দেন ভারতীয় গণনাট্য সংঘে। ১৯৪৫ সালের ১০ ডিসেম্বর গণনাট্য সংঘে কাজ করার সময়ই তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় মঞ্চাভিনেত্রী তৃপ্তি মিত্রের। ১৯৪৮ সালে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে গঠন করেন বহুরূপী নাট্যগোষ্ঠী। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বহুরূপীর প্রযোজনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সফোক্লিস, হেনরিক ইবসেন, তুলসী লাহিড়ী এবং অন্যান্য বিশিষ্ট নাট্যকারের রচনা তাঁর পরিচালনায় মঞ্চস্থ হয়।

ভারতীয় নাটকের ইতিহাসে যেগুলি মাইলফলক হিসেবে পরিগণিত হয়। ১৯৭০ সালে একটি আর্ট কমপ্লেক্স নির্মাণে উদ্দেশ্যে গঠিত হয় বঙ্গীয় নাট্যমঞ্চ সমিতি। তখন আর্ট কমপ্লেক্সের জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সমিতির প্রযোজনায় ও অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় মঞ্চস্থ মুদ্রারাক্ষস নাটকে অভিনয়ও করেন তিনি৷ ১৯৭৮ সালের ১৬ জুন অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে দশচক্র নাটকে অভিনয় করেন। বহুরূপীর প্রযোজনায় সেটিই ছিল তাঁর শেষ নাটক। ওই বছরই ১৫ অগস্ট অ্যাকাডেমিতে স্বরচিত চাঁদ বনিকের পালা নাটকটি পাঠ করেন তিনি। এরপর বহুরূপীর আর কোনো প্রযোজনায় তাঁকে দেখা যায়নি।

এদিকে ১৯৭৯ সালে প্রায় দৃষ্টিহীন অবস্থায় নান্দীকার প্রযোজিত মুদ্রারাক্ষস নাটকে চাণক্যের ভূমিকায় তাঁর অভিনয় বিশেষ সাড়া ফেলেছিল।১৯৮০-৮১ সালে ফ্রিৎজ বেনেভিৎজের পরিচালনায় ক্যালকাটা রিপোর্টারির প্রযোজনায় গ্যালিলিওর জীবন নাটকে অভিনয় করেন। কন্যা শাঁওলী মিত্র পরিচালিত ‘নাথবতী অনাথবৎ’ এবং ‘ কথা অমৃতসমান’ নাটক দু’টির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন শম্ভু মিত্র। কন্যার নাট্যসংস্থা পঞ্চম বৈদিকের প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য ও আমৃত্যু কর্মসমিতি সদস্য ছিলেন। ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রবীন্দ্রসদনে পঞ্চম বৈদিকের প্রযোজনায় ও তাঁর পরিচালনায় দশচক্র নাটকটির পরপর ছয়টি অভিনয় পাঁচ দিনে মঞ্চস্থ হয়। অভিনেতা রূপে এর পর আর কোনও দিন মঞ্চে অবতীর্ণ হননি তিনি।

১৯৯৭ সালের ১৯ মে কলকাতার বাসভবনে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শম্ভু মিত্র। তবে শুধু মঞ্চ নয় এই অভিমানী নট জনগণের কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চেয়েছিলেন৷ তাই মৃত্যুর আগে ইচ্ছাপত্র-এ লিখেছিলেন, “মোট কথা আমি সামান্য মানুষ, জীবনের অনেক জিনিস এড়িয়ে চলেছি, তাই মরবার পরেও আমার দেহটা যেন তেমনই নীরবে, একটু ভদ্রতার সঙ্গে, সামান্য বেশে, বেশ একটু নির্লিপ্তির সঙ্গে গিয়ে পুড়ে যেতে পারে।” এই কারণে সৎকার হওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের কাছে শম্ভু মিত্রের মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছয়নি৷ ফলে অগণিত শম্ভু মিত্রের ভক্ত অনুগামীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাননি বলে আক্ষেপ করেন ৷

]]>