bhagat singh – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Thu, 07 Oct 2021 12:03:04 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png bhagat singh – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 বিপদে রক্ষা করে ভগৎ সিংয়ের দুর্গা হয়ে উঠছিলেন এই মহিলা https://ekolkata24.com/offbeat-news/durga-of-bhagat-singh-durgavati-debi Thu, 07 Oct 2021 12:03:04 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6847 বিশেষ প্রতিবেদন: ইনি ভগৎ সিংয়ের দুর্গা। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। তাঁর বিপদ দূর করেছিলেন। তাঁর সাহায্যেই নিরাপদ ছদ্মবেশে পালাতে পেরেছিলেন ভগৎ সিং। তিনি দুর্গাবতী দেবী।

ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অন্যতম। তিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী নারীদের মধ্যে একজন। তিনি ভগৎ সিং কে ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার জন স্যান্ডার্সকে হত্যার পর ছদ্মবেশে পালাতে সাহায্য করেন, এবং এ কাজের জন্যই তিনি সর্বাধিক পরিচিত। তিনি হিন্দুস্থান সোশালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন (এইচএসআরএ) এর সদস্য ও ভগবতীচরণ ভোরার স্ত্রী হওয়ায় অন্যান্য সদস্যগণ তাকে ভাবী বলে সম্বোধন করতেন এবং ভারতীয় বিপ্লবী মহলে তিনি দুর্গা ভাবী নামে পরিচিত ছিলেন।

দুর্গাবতী দেবীর জন্ম হয়েছিল ৭ ই অক্টোবর ১৯০৭ সালে দুর্গাবতী দেবীর বিবাহ হয় ভগবতী চরণ ভোরার সঙ্গে মাত্র এগারো বছর বয়সে । তিনি নওজওয়ান ভারত সভার একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে প্রথম নজরে আসেন, যখন সভার পক্ষ থেকে ১৬ই নভেম্বর ১৯২৬ তারিখে লাহোরে শহীদ কর্তার সিং সারভা এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকীর আয়োজন করা হয়। জে. পি সন্ডারসকে হত্যার পর তিনি ভগৎ সিং ও শিবরাম রাজগুরু কে পালাতে সাহায্য করার ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।তিনি, যতীন্দ্র নাথ দাস এর জেলবন্দি অবস্থায় ৬৩ দিনের অনশনের কারণে মৃত্যুর পর, লাহোর থেকে কলকাতা পর্যন্ত তার শবমিছিল এ নেতৃত্ব দেন। এ সময় সমস্ত পথ জুড়েই অগণিত মানুষ এই শবযাত্রায় যোগ দেন।

ভগৎ সিং ১৯২৯ সালে নয়া দিল্লীর কেন্দ্রীয় সংসদ ভবনে বোমানিক্ষেপের ঘটনায় আত্মসমর্পণ করার পর, দুর্গাবতী দেবী লর্ড হেইলিকে হত্যার চেষ্টা করেন। হেইলি পালিয়ে যান কিন্তু তার বহু সহযোগী মারা যান। দুর্গাবতী পুলিশের হাতে ধরা পড়েন এবং তার তিন বছরের কারাদণ্ড হয়। তিনি ভগৎ সিং ও তার সঙ্গীদের বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করতে, তার ৩,০০০ টাকা মূল্যমানের গহনা বিক্রি করে দেন। দুর্গাবতী ও তার স্বামী কুতুব রোড, দিল্লিতে বিমলপ্রসাদ জৈন নামে এক এইচএসআরএ সদস্যকে “হিমালয়ান টয়লেট” নামে একটি বোমা কারখানা (বোমা তৈরির প্রসঙ্গ গোপন করতে একটি ছদ্মনাম) চালাতে সাহায্য করতেন। এই কারখানায় তারা মূলত পিকরিক অ্যাসিড, নাইট্রোগ্লিসারিন ও মার্কারি ফালমিনেট নিয়ে কাজ করতেন।

১৯ ডিসেম্বর ১৯২৮ তারিখে, সন্ডারস হত্যার দুদিন পর শুকদেব দুর্গাবতীর কাছে সাহায্য চান ও তিনি তা করতে রাজি হন। তারা লাহোর থেকে ভাতিন্দাগামী ট্রেনে ওঠার সিদ্ধান্ত নেন যেটি পরদিন সকালে হাওড়া (কলকাতা)য় থামবে। তিনি ভগৎ সিং এর স্ত্রীর ছদ্মবেশ নেন ও নিজপুত্র শচীনকে ভগৎ সিং এর কোলে দিয়ে চলতে থাকেন। তখন রাজগুরু তাদের চাকর সেজে মালপত্র বহন করতে থাকেন। ধরা না পড়তে ভগৎ সিং আগের দিনই তার দাড়ি কামান, চুল ছোট করে ফেলেন আর পাশ্চাত্য পোশাক পরিধান করেন।

আসলে, ১৯শে ডিসেম্বর রাতে, যখন ভগৎ সিং আর শুকদেব দুর্গাবতীর বাড়ি যান, তখন শুকদেব ভগত সিংকে একজন নতুন বন্ধু হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। দুর্গাবতী ভগৎ সিংকে চিনতেই পারেননি। তখন শুকদেব দুর্গাবতীকে ভগৎ সিং এর আসল পরিচয় দেন, আর বলেন যে, যদি দুর্গাবতী ভগৎ সিংকে আগে থেকে ভালমতো চেনার পরেও তার ছদ্মবেশ ধরতে না পারেন, তাহলে পুলিশও তাকে চিনতে পারবে না। কারণ তারা একজন দাড়িওয়ালা শিখকে খুঁজতে থাকবে।

পরদিন ভোরে তারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। লাহোর স্টেশনে ছদ্মবেশী ভগৎ সিং কানপুরের উদ্দেশে তার এবং দুর্গাবতীর জন্য দুটি প্রথম শ্রেণীর আর রাজগুরুর জন্য একটি তৃতীয় শ্রেণীর টিকেট কেনেন। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা সামাল দিতে ভগৎ সিং আর রাজগুরু উভয়েই কাছে গুলি ভরা বন্দুক ছিল। সেই সময় প্ল্যাটফর্মে ভগৎ সিংএর খোঁজে প্রায় ৫০০ পুলিশ নিয়োজিত ছিল। পুলিশের সন্দেহ এড়িয়ে তারা ট্রেনে ওঠেন। কানপুরে নেমে তারা লখনউ গামী ট্রেনে ওঠেন কারণ হাওড়া স্টেশনে সিআইডি সরাসরি লাহোর থেকে আসা যাত্রীদের সাধারণত তল্লাশি করত। লখনউ এ রাজগুরু বেনারস এর উদ্দেশ্যে রওনা দেন আর ভগৎ সিং, দুর্গাবতী আর তার সন্তান হাওড়ায় চলে আসেন। প্রফেসর ভগবতীচরণ ভোরা এবং তার বোন সুশিলা দেবী আগে থেকেই হাওড়ায় তাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। দুর্গাবতী তার সন্তানকে নিয়ে কয়েকদিন পর লাহোরে ফিরে যান।

ভারতের স্বাধীনতার পর দুর্গাবতী গাজিয়াবাদে একজন সাধারণ নাগরিকের মত নিভৃতে বসবাস করতে থাকেন, যা অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের থেকে ব্যাতিক্রমী। পরবর্তীতে তিনি লখনউএ দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। দুর্গাবতী দেবী ১৫ই অক্টোবর ১৯৯৯ তারিখে, ৯২ বছর বয়সে গাজিয়াবাদে মারা যান।

]]>
লাহোর থেকে পালিয়ে কলকাতার এই বাড়িতে ছিলেন ভগত সিং https://ekolkata24.com/offbeat-news/after-killing-sanders-bhagat-singh-lived-in-this-house Tue, 28 Sep 2021 11:01:47 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5865 বিশেষ প্রতিবেদন: ১৯ নম্বর বিধান সরণি। এটি আর্য সমাজ মন্দিরের বাড়ি হিসাবে উত্তর কলকাতার মানুষের কাছে অতি পরিচিত। এই বাড়ির সঙ্গেই যে ভগত সিংয়ের যোগ রয়েছে। তা কি জানা আছে?

এই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় উঠে বাঁ-দিকের একটি ঘর রয়েছে। সেই ঘরেই বহুদিন ছদ্মবেশে ছিলেন ভগত সিং। কেউ বুঝতেও পারেনি। বাড়ির অন্দরমহল এখন অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। তবে ঘরটা এখনও আছে। সেই সময় ওটাই ছিল ছাদের ঘর। চিলেকোঠা বললেও ভুল হবে না। দেওয়া ছিল টিনের ছাউনি। ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার স্যান্ডারস হত্যার পরে লাহোর থেকে পালিয়ে সোজা কলকাতা এসেছিলেন ভগত সিং এবং বেশ কিছু মাস এখানেই গা-ঢাকা দিয়ে ছিলেন তিনি।

১৯২৮-এর অক্টোবর মাসের শেষ দিক। সাইমন কমিশনের কালা কানুনের বিরুদ্ধে লাহোরের মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন লালা লাজপত রায়। মিছিলে ছিলেন তরুণ ভগৎ সিং। বাপ , কাকার সঙ্গেই এসেছিলেন মিছিলে। চোখের সামনে দেখেন লালার উপরে পুলিশ বেধরক লাঠিচার্জ করছে। ১৭ নভেম্বর ১৯২৮, লালা লাজপত রায়ের মৃত্যু হয়। মনে মনে ঠিক করে নিয়েছিলেন এর প্রতিশোধ নেবেন। ডিসেম্বর মাসেই নিলেন প্রতিশোধ। তারপর ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার জন স্যান্ডারসকে হত্যা করে ছদ্মবেশে কলকাতায় পালিয়ে এসেছিলেন ভগৎ সিং।

জানাজানি হয়ে গিয়েছিল, স্যান্ডারসের হত্যা করেছে এক অবিবাহিত শিখ যুবক। তাই পাগড়ি খুলে দাড়ি-গোঁফ কামিয়ে নেন বিপ্লবী ভগত সিং। এরপর রইল বিবাহিত সাজা। ভগবতীশরণ বোহরার স্ত্রী দুর্গাদেবী ও তাঁর ছ’মাসের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে গৃহস্থের রূপ ধরেন তিনি। লখনৌ পৌঁছে দুর্গাদেবী টেলিগ্রাম করেন তাঁর কলকাতার বান্ধবী সুশীলা দেবীকে। বিপ্লবীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ ছিল এই সুশীলা দেবীর। কলকাতার প্রভাশালী ব্যক্তি স্যার ছাঝুরাম চৌধুরীর মেয়ের গৃহ শিক্ষিকা ছিলেন। ছাঝুরাম কে ছিলেন? তিনি কলকাতার আর্য সমাজের অন্যতম কর্তা।

এক রাত হোটেলে রেখে ভগত সিংকে পরের দিনই ছাঝুরামের কাশীপুরের বাড়িতে এনেছিলেন সুশীলা দেবী। কিন্তু সেখানেও ব্রিটিশদের আনাগোনা লেগেই থাকত। একেবারেই নিরাপদ নয় স্থান। তাই এক সপ্তাহ বাদেই স্থান পরিবর্তন। ভগত সিংকে আর্য সমাজ মন্দিরের ছাদ-ঘরে এনে আশ্রয় দেওয়া হয়। সেই ঘর এখনও বর্তমান।

]]>