Bhaichung Bhutia – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Wed, 15 Dec 2021 12:37:03 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Bhaichung Bhutia – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Bhaichung Bhutia: জন্মদিনে “পাহাড়ি বিছের” কথা ভুলে গেল ভারতের ফুটবল ফেডারেশন https://ekolkata24.com/sports-news/indian-football-federation-forgot-about-bhaichung-bhutias-birthday Wed, 15 Dec 2021 12:37:03 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14990 Sports desk: তারিখটা ১৫,ডিসেম্বর। ভারতীয় ফুটবলের আইকন, দেশের ফুটবল ভক্তদের আদুরে দেওয়া নাম “পাহাড়ি বিছে” ভাইচুং ভুটিয়ার (Bhaichung Bhutia) বুধবার জন্মদিন। এমন দিনে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) কাছে ব্রাত্যজন হয়ে রইলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়া।

এমন মাহেন্দ্রক্ষণে অবশ্য এসসি ইস্টবেঙ্গল বাইচুং’কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে মোটেও ভুলে যায়নি। শুভেচ্ছা বার্তায়, নিজেদের অফিসিয়াল টুইটার পেজে পোস্ট,”এখানে ভারতীয় ফুটবল এবং ক্লাব আইকন @bhaichung15 𝙖 𝙫𝙚𝙧𝙮 𝙝𝙖𝙥𝙥𝙮 𝙗𝙞𝙧𝙩𝙝𝙖𝙮!
সমগ্র এসসি ইস্ট বেঙ্গল পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক অনেক ভালবাসা পাঠানো হচ্ছে। এটি শীর্ষে আছে, কিংবদন্তি!
#শুভ জন্মদিন ভাইচুং”।

তবে সকলের অজান্তে ভাইচুং ভুটিয়া নিজের পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাচ্ছেন নিজের গ্রাম টিঙ্কিতমে। একজন দায়িত্বশীল পিতা হিসেবে ভাইচুং ভুটিয়া কতটা সিরিয়াস সেটা ভাইচুং’র ইনস্ট্রাগ্রাম পোস্ট দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে, যেখানে নিজের বাড়ির ছবি পোস্ট করে ক্যাপসনে লিখেছেন,”শীতের এক সন্ধ্যায় আমার বাড়ির ছবি শেয়ার করছি। আমার বাচ্চাদের ছুটিতে বাড়িতে আসার জন্য অপেক্ষা করছি। @eagles_nest03 #gangtok #sikkim”।

ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (ISL) সামাজিক মাধ্যমে ভাইচুং’র জন্মদিন উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা বার্তায় পোস্ট করেছে,”একজন ভারতীয় ফুটবল কিংবদন্তি 🇮🇳⭐
এখানে ভাইচুং ভুটিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি! 🎂
সিকিমিজ স্নাইপারের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার থেকে আপনার প্রিয় স্মৃতি কী”?

শুধু তাইই নয়, ইনস্ট্রাগ্রাম ভাইচুং ভুটিয়া নিজের গ্রাম টিঙ্কিতমের অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবি পোস্টের ক্যাপসনে লিখেছেন,”আমার গ্রামের টিঙ্কিতমের কিছু ছবি শেয়ার করছি। ফুটপাথ হল যেখানে আমরা আমাদের শৈশবের দিনগুলিতে ঘন্টার পর ঘন্টা হেঁটে নিকটবর্তী শহরে পৌঁছতাম। #স্মৃতি #টিঙ্কিতম #সিকিম”।
অন্যদিকে সামাজিক মাধ্যমে বেশ কয়েকটি লাল হলুদ ফ্যান্স গ্রুপ “পাহাড়ি বিছে” ভাইচুং ভুটিয়া’র জন্মদিন উপলক্ষ্যে ভাইচুংকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে।

শুধু AIFF নয়, ফেডারেশনের সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেল পর্যন্ত নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ভাইচুং ভুটিয়ার জন্মদিন উপলক্ষ্যে কোন শুভেচ্ছা বার্তা সহ টুইট পোস্ট করেন নি।

ভাইচুং ভুটিয়া ১৯৯৩ সালে কলকাতার ইস্টবেঙ্গলের ক্লাবের জার্সি গায়ে চাপিয়ে পেশাদার ফুটবল জগৎ’এ আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এবং ওই বছর কলকাতা লীগে ৯ ম্যাচে ৪ গোল করেছিলেন। ক্লাব ফুটবলে ভাইচুং’কে মোহনবাগানের জার্সি গায়েও খেলতে দেখা যায়, এরপর দলবদল করে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে ফিরে আসেন।

মাত্র ১৯ বছর বয়সে, ১৯৯৫ সালের ১০ মার্চ নেহরু কাপে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ভুটিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয়। ওই টুর্নামেন্টে ভুটিয়া উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি গোল করে সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় গোলদাতা হিসেবে রেকর্ড বুক করেন।

২০০৫ সালের SAFF চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ভুটিয়াকে ভারতের ফুটবল দলের অধিনায়ক করা হয়েছিল। ভারত ফাইনালে বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

ভুটিয়া একটি গোল করেছিলেন এবং টুর্নামেন্টে যে দুটি গোল করেছিলেন তার একটি অংশ ছিল। টুর্নামেন্টের ২০০৮ সংস্করণে, ভুটিয়া মাত্র একটি গোল করেছিল এবং ভারতকে ফাইনালে পৌঁছাতে সাহায্য করেছিল যেখানে তারা মালদ্বীপের কাছে ১-৯ গোলে হেরেছিল।

ভাইচুং ২০০৮ AFC চ্যালেঞ্জ কাপ জিতেছিল এবং তিনটি গোল করে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল। ভুটিয়ার ১০০ তম ক্যাপ এসেছিল ২০০৯ সালে, নেহরু কাপে, তিনিই প্রথম ভারতীয় খেলোয়াড় যিনি এই মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন। ফাইনালে বাদ পড়া সত্ত্বেও তিনি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হন। ভাইচুং ভুটিয়া টিম ইন্ডিয়ার হয়ে মোট ১০৪ ম্যাচে ৪০ টি গোল করেছেন।

ভাইচুং ভুটিয়া প্রথম ভারতীয় ফুটবলার যিনি, ১৯৯৯ সালে ইউরোপে একটি পেশাদার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ম্যানচেস্টার-ভিত্তিক দল বারি ক্লাব দলে খেলার জন্য। টানা তিন মরুসুমে আশানুরূপ ফল না পাওয়াতে,৩৭ ম্যাচে তিন গোল এমন পারফরম্যান্সের পরে ভারতে ফিরে এসে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব জয়েন করেন।

ভাইচুং ভুটিয়া ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের জানুয়ারিতে ভাইচুং ভুটিয়া’র অবসরের মুহুর্তকে চির স্মরণীয় করার লক্ষ্যে একটি ফেয়ার ওয়েল

ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভুটিয়া তারপর ২০১৫ সালে ইউনাইটেড সিকিমে তার শেষ ক্লাব ম্যাচ খেলে গৌরবময় ফুটবল কেরিয়ারের সমাপ্তি ঘটায়।

<

p style=”text-align: justify;”>ভাইচুং বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলারদের ফুটবল প্রতিভার সঠিক উন্নয়নের টার্গেট নিয়ে ভাইচুং ভুটিয়া ফুটবল আবাসিক আকাদেমি প্রতিষ্ঠা করেছেন, দিল্লী’র বেদাসে।
দেশের ফুটবলের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে তরুণ প্রতিভা অম্বেষণের খোঁজে নেমে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের(AIFF) কাছে ভাইচুং ভুটিয়া ব্রাত্য যে জন! 

]]>
বাইচুংয়ের মতো লি এলেন মমতার দলে, কতদিনের জন্য? https://ekolkata24.com/sports-news/how-long-leander-will-stay-in-tmc-question-spreading-in-goa-politic Fri, 29 Oct 2021 12:50:41 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9612 News Desk: পশ্চিমবঙ্গে সরকারে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসে খেলোয়াড়ের অভাব তেমন নেই। দলটির অন্যতম নির্বাচনী স্লোগান ‘খেলা হবে’। সেই রেশ ধরেই গোয়া বিধানসভায় ভোটের প্রচরাভিজান শুরুর দিনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে তৃণমূলী হলেন আন্তর্জাতিক লন টেনিস কিংবদন্তি লিয়েন্ডার পেজ। তিনি এখন থেকে ক্রীড়া রাজনীতিক।

এইভাবেই তৃ়ণমূল কংগ্রেসে আচমকা এসেছিলেন ভারতের প্রাক্তন ফুটবল অধিনায়ক তথা এশিয়ার অন্যতম ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দুবার নির্বাচনে নামেন। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে দার্জিলিং ও ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে শিলিগুড়ি থেকে টিএমসির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা করেছিলেন। পরাজিত হন।

বাইচুংয়ের সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরে তৃণমূলের সংশ্রব নেই। নিজ রাজ্য সিকিমে ফিরে গিয়ে সেখানকার রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন। তাঁর দল হামরো সিকিম পার্টি ২০১৯ সালে সিকিম বিধানসভা ভোটে লড়ে। পশ্চিমবঙ্গ হোক বা সিকিম ভোট যুদ্ধে বাইচুংয়ের পরাজয় গেরো এখনও কাটেনি।

সেদিক থেকে দেখতে গেলে ডাবলস বা মিক্সড ডাবলসে বারবার উইম্বলডন কাপ জয়ী কিংবদন্তি লিয়েন্ডার পেজ রাজনীতিতে নবাগত। সূত্রের খবর, গোয়াতে তাঁকে বিশেষ প্রচারে নামাবেন মমতা। লিয়েন্ডারের সঙ্গে রাজনৈতিক সংযোগ নিয়ে ক্রীড়া মহলের আলোচনা, ইনিও কি বাইচুংয়ের মতো মমতার সঙ্গে স্বল্পমেয়াদি সম্পর্ক নিয়েই এসেছেন?

কলকাতার ছেলে লিয়েন্ডারের পিতা অলিম্পিয়ান হকি তারকা ডা. ভেস পেজ রাজনীতির ধারপাশে ছিলেন না। তবে দীর্ঘ বামফ্রন্ট জমানায় ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে ভেস পেজের সঙ্গে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর সঙ্গে সুসসম্পর্ক ছিল। বাবার মতো লি’এর সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক ছিল বাম সরকারের। কিছু ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে দলে বা সরকারের ঘনিষ্ট করলেও লি বা বাইচুংকেকে টানতে পারেনি জ্যোতি-বুদ্ধর সরকার।

ক্রীড়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলকাতার ফুটবল জগতের সবার সঙ্গেই বাম সরকারের বিশেষ করে কিংবদন্তি হয়ে যাওয়া প্রয়াত সুভাষ চক্রবর্তীর মধুর সম্পর্ক ছিল। যার ফলে ইংলিশ চ্যানেল জয়ী বুলা চৌধুরী ও এশিয়াডে সোনা জয়ী অ্যাথলিট জ্যোতির্ময়ী শিকদার সরাসরি সিপিআইএমের হয়ে ভোটে নেমে জয়ী হন। পরে সরকার পাল্টাতেই তাঁরাও সরে গিয়েছেন।

বাম জমানাতেই লি-ভুটিয়া ময়দানে বা টেনিস সার্কিটে রীতিমতো সক্রিয়। ফলে সরাসরি রাজনৈতিক সংশ্রব রাখেননি। ২০১১ সালে সরকার পরিবর্তনের পরে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রীড়া তারকা হিসেবে বাইচুং সরাসরি চলে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আসেন দেশের অন্যতম খ্যাতনামা ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজনীতিতে পুরো জড়িয়ে। বাকি যারা এসেছেন কমবেশি রয়েছেন বা ছেড়েছেন।

রাজ্যে বিরোধী দল বিজেপিতে কিছু ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। তাঁদের অনেকেই দলত্যাগে মরিয়া। সেদিক থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের ছড়াছড়ি। কিছু বাম মনস্ক ক্রীড়াবিদ এখনও বাম শিবিরে আছেন।

তবে বামই হোক বা তৃণমূল প্রাক্তন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের সম্পর্ক গভীর। গত বিধানসভা ভোটে শিলিগুড়ি থেকে অশোকবাবুর হয়ে প্রচার করেন তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের হয়ে ভোট লড়ে যাওয়া বাইচুং। তবে এবার আর অশোকবাবু জিততে পারেননি।

বাইচুং বা লি দুজনেই ক্রীড়া বিশ্বে ভারতের দুই উজ্জ্বল মুখ। দুজনেই অশোকবাবুর ঘনিষ্ঠ। দুজনেই রাজনীতিতে ঝড়ের মতো এলেন। কতদিন টিকতে পারবেন মমতার সঙ্গে? প্রশ্ন সবারই।

]]>