আরও পড়ুন শিক্ষক দিবস হোক বিদ্যাসাগর স্মরণে, চিঠি মমতার ঘরে
ফলে জিততে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ভোটপ্রচার দেখে ইতিমধ্যেই বোঝা গিয়েছে, প্রেস্টিজ ফাইটে কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে মরিয়া তিনি। ভবানীপুরের গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। কলকাতা হাই কোর্টের অ্যাডভোকেট প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। ২০১৪ সালে মোদী ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছিল বিরোধীরা। ক্ষমতায় এসেছিল এনডিএ সরকার (NDA)। সেবছরেরই আগস্টে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। শুরুতেই দলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করেছেন। ছ’বছর পর, ২০২০ সালের আগস্টে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার (বিজেওয়াইএম) সহ-সভাপতি করা হয়।
এতকিছুরই পরেও প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল শুভেন্দু অধিকারী নন। সেরকমভাবেই সিপিআইএমের শ্রীজীব বিশ্বাসও মীনাক্ষী গোস্বামী নন। ফলে আপাতদৃষ্টিতে লড়াই যথেষ্টই সহজ তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে। কিন্তু সেই লড়াইয়ের কোমর বেঁধে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্তত তাঁর ভোটপ্রচার দেখে তাই মনে হচ্ছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। সেই প্রচারে গিয়েই এবার আলটপকা মন্তব্য করে বসলেন তিনি। মৃত বিজেপি নেতাকে তুলনা করলেন পঁচা কুকুরের সঙ্গে। যা তাঁর ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রী’ ইমেজের সঙ্গে যায় না বলেই মনে করছেন প্রত্যেকে।
একদিন আগেই মমতার বাড়ির সামনে মৃত বিজেপি কর্মী মানস সাহার দেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। বিক্ষোভে ছিলেন স্বয়ং সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির সদ্য নিযুক্ত রাজ্য সভাপতি। সেখানে পুলিশের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ বাধে তাদের। সেখানেই ঘটনা প্রসঙ্গেই মমতার মন্তব্য, ‘আমার বাড়ির সামনে ডেড বডি নিয়ে চলে যাচ্ছ। তোমার বাড়ির সামনে যদি আমি পাঠিয়ে দিই একটা কুকুরের ডেড বডি, ভাল হবে? এক সেকেন্ড লাগবে পচা কুকুর তোমার বাড়ির সামনে ফেলে আসব।’
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট বিধানসভা কেন্দ্রের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী ধূর্জটি সাহা। এলাকায় মানস নামেই জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। ভোট গণনার দিন গণনা কেন্দ্রের বাইরে তাঁকে বেধরক মারধর করা হয়েছিল। তৃণমূল বিধায়ক গিয়াউদ্দিন মোল্লার নেতৃত্বেই ধূর্জটি সাহাকে (মানস) মারধর করা হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। সেই ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনাতেই মারা যান বিজেপি প্রার্থী।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই রাজ্যের বিরোধী দলের আসন পেয়েছে বিজেপি। সেখানে সেই বিরোধী দলের একজন শুধু নয়, গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসবে অংশ নেওয়া একজনকে ‘খোদ মুখ্যমন্ত্রী’র পচা কুকুরের সঙ্গে তুলনা করা অত্যন্ত অন্যায়। ভবানীপুরের ভোটে এই ঘটনা হয়তো প্রভাব ফেলবে না, অন্যান্য মন্তব্যের মতোই হারিয়ে যাবে কয়েকদিনের মধ্যে। কিন্তু, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই ভাষায় বিরোধী দলের ‘মৃত’ নেতাকে আক্রমণ করার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং অশোভন বলেই মনে করছেন তাঁরা।
]]>আরও পড়ুন: মমতাও হেরেছেন বলেই আবার ভোটে লড়ছেন, এন্টালিতে প্রিয়ঙ্কার হার প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ তথাগতর
ফলে জিততে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ভোটপ্রচার দেখে ইতিমধ্যেই বোঝা গিয়েছে, প্রেস্টিজ ফাইটে কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে মরিয়া তিনি। ভবানীপুরের গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। কলকাতা হাই কোর্টের অ্যাডভোকেট প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। ২০১৪ সালে মোদী ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছিল বিরোধীরা। ক্ষমতায় এসেছিল এনডিএ সরকার (NDA)। সেবছরেরই আগস্টে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। শুরুতেই দলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করেছেন। ছ’বছর পর, ২০২০ সালের আগস্টে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার (বিজেওয়াইএম) সহ-সভাপতি করা হয়।

এতকিছুরই পরেও প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল শুভেন্দু অধিকারী নন। সেরকমভাবেই সিপিআইএমের শ্রীজীব বিশ্বাসও মীনাক্ষী গোস্বামী নন। ফলে আপাতদৃষ্টিতে লড়াই যথেষ্টই সহজ তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে। যদিও তাতে কোনভাবেই আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ তৃণমূল নেত্রী থেকে শুরু করে দলের তৃণমূল স্তরের কর্মীরাও। ভবানীপুরে ভোটারদের মন জিততে মরিয়া প্রত্যেকে। ভবানীপুরের বেশ কিছু ওয়ার্ডে অবাঙালি ভোটারের সংখ্যা বেশী। চলতি বিধানসভা ভোটেও ওই ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। ফলে ওই ওয়ার্ডে স্বভাবতই মনো্যোগ বাড়িয়েছে জোড়াফুল শিবির। সেখানেই পোস্টার পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে। বাংলার বদলে হিন্দি ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে ওই পোস্টারে, গোটা বিষয়টাই হিন্দিভাষী ভোটারদের কথা মাথায় রেখে।
গর্গকে নিয়ে ইয়ার্কি মেরো না, ও হারভার্ডে বাসন মেজেছে।
একা দাঁড়িয়ে ফুচকা বিক্রি করছে, এমন কোনো বিহারী ফুচকাওয়ালার তেঁতুল জলের হাঁড়ি এক ঘুষিতে ভেঙে দিতে পারে !
ওর পিছনে বড় বড় বাংলাদেশী মৌলবীরা আছে ! https://t.co/IQzfr5edrq— Tathagata Roy (@tathagata2) September 23, 2021
সেই ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে বাংলাপক্ষের গর্গ চট্টোপাধ্যায়কে ওই হিন্দিতে লেখা পোস্টার খুলতে আহ্বান জানিয়েছিলেন অভিজিত বসাক নামের জনৈক নেটনাগরিক। তা শেয়ার করেই বাংলাপক্ষের প্রতিষ্টাতা-সদস্য গর্গ চট্টোপাধ্যায়কে ঠুঁকলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। তিনি লিখেছেন, “গর্গকে নিয়ে ইয়ার্কি মেরো না, ও হারভার্ডে বাসন মেজেছে। একা দাঁড়িয়ে ফুচকা বিক্রি করছে, এমন কোনো বিহারী ফুচকাওয়ালার তেঁতুল জলের হাঁড়ি এক ঘুষিতে ভেঙে দিতে পারে! ওর পিছনে বড় বড় বাংলাদেশী মৌলবীরা আছে!”

বেশ কয়েকবছর ধরেই ‘পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির অধিকার রক্ষায়’ পথে নামছে বাংলাপক্ষ। দিনকয়েক আগেই কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে অবাঙালি ব্যবসায়ীদের ‘হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে। মজা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এই সংগঠনকে শাসকদলের (পড়ুন তৃণমূল কংগ্রেস) বি টিম বলেও কটাক্ষ করে। আবার অন্যদিকে এই সংগঠনের বিক্ষোভের পরেই WBSEDCL (West Bengal State Electricity Distribution Company), পোস্টাল বিভাগের পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক হয়েছে বাংলা। ইংরেজি না জানার অভিযোগে বরখাস্ত করা কর্মীদেরও পূনর্বহাল করা হয়েছে কাজে। ফলে তথাগত রায়ের মন্তব্য এবং তাতে গর্গ চ্যাটার্জী, বাংলাপক্ষকে টেনে আনায় দ্বিধাবিভক্ত সোশ্যাল মিডিয়া।
]]>
আরও পড়ুন নন্দীগ্রামের পর এবার ভবানীপুর, মমতার মনোনয়ন বাতিলের দাবি বিজেপির
ভবানীপুরে উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। তাঁর নাম ঘোষণার পরেই আরেক চমক দিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে। পদ্মশিবিরের হয়ে তারকা প্রার্থী ঘোষণা করা হয় সদ্য ‘রাজনীতি’ থেকে অবসর নেওয়া বাবুল সুপ্রিয়র নাম।
Today, in the presence of National General Secretary @abhishekaitc and RS MP @derekobrienmp, former Union Minister and sitting MP @SuPriyoBabul joined the Trinamool family.
We take this opportunity to extend a very warm welcome to him! pic.twitter.com/6OEeEz5OGj
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) September 18, 2021
তারকা প্রার্থীদের তালিকায় নাম থাকায় বিজেপির শীর্ষ নেতাদের ধন্যবাদও জানান বাবুল। তারপরেই জানিয়ে দেন, তারকা প্রচারকের তালিকায় নাম থাকলেও ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রচার করবেন না। স্পষ্ট করে দেন, নিজের রাজনৈতিক সন্ন্যাসের সিদ্ধান্ত থেকে তিনি সরে আসেননি। এবং কোনওরকম রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে আগামী দিনে তাঁকে দেখা যাবে না। তারপরেই উলটপুরাণ।
আরও পড়ুন মমতাও হেরেছেন বলেই আবার ভোটে লড়ছেন, এন্টালিতে প্রিয়ঙ্কার হার প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ তথাগতর
আরও পড়ুন মমতা-সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশিদের ভুয়ো ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার অভিযোগ দিলীপের
বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই দলের হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। পরপর দু’বার আসানসোলের সাংসদও হয়েছেন। পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে টালিগঞ্জে অরূপ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হওয়া এবং মন্ত্রীত্ব খোয়ানোর পরেই রাজনীতি ত্যাগ করার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। শনিবাসরীয় দুপুরে এবং সর্বোপরি নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদীর জন্মদিনের ঠিক পরের দিনই বাবুলের রাজ্যের শাসকদলে যো খোদগদান শুধু বিজেপি-র কাছেই মস্ত বড় চমক নয়। চমকে গিয়েছে খোদ তৃণমূলের কর্মীরাও। ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে এমন চমক পাওয়া যাবে, তা রাজ্যের শাসক দলের অনেকেই আশা করেননি।
]]>আরও পড়ুন ভবানীপুরকে পাখির চোখ করতে অর্জুনেই ভরসা বিজেপির
কলকাতা হাই কোর্টের অ্যাডভোকেট প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। বাবুল সুপ্রিওর আইনি উপদেষ্টাও ছিলেন তিনি। বিজেপির তরফে ভবানীপুরে তারকা প্রচারকদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতেই ৮ নম্বরে নামটি বাবুল সুপ্রিয়র। টিবরেওয়ালের নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণার পর পরই তাঁকে ফেসবুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন বাবুল। তাহলে কী ফের সক্রিয় দলীয় রাজনীতিতে ফিরছেন প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী?
এর আগে ২০১৫ সালে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে কলকাতা পৌর পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের স্বপন সমাদরের কাছে হেরে যান।

২০১৪ সালে মোদী ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছিল বিরোধীরা। ক্ষমতায় এসেছিল এনডিএ সরকার (NDA)। সেবছরেরই আগস্টে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। শুরুতেই দলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করেছেন। ছ’বছর পর, ২০২০ সালের আগস্টে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার (বিজেওয়াইএম) সহ-সভাপতি করা হয়। চলতি বিধানসভা নির্বাচনে দলের প্রতীকে এন্টালি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন কিন্তু ৫৮২৫৭ ভোটের ব্যবধানে তৃণমূলের স্বর্ণকমল সাহার কাছে হেরে যান।
আরও পড়ুন একে একে কমিছে বিধায়ক, বঙ্গে ক্রমশ ব্যাকফুটে বিজেপি
অন্যদিকে পদ্মশিবিরের দুই সাংসদ অর্জুন সিং এবং জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এবং রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিংকে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভবানীপুর কেন্দ্রের আটটি ওয়ার্ড পর্যবেক্ষণে রাখবেন একজন করে বিজেপি বিধায়ক। তাঁদেই মাথায় থাকবেন দুই সাংসদ।
এটি যদি উপনির্বাচনে বিজেপির তারকা বক্তা তালিকা হয়-
1) মোদিজি, শাহজি, নাড্ডাজির মত ডেইলি প্যাসেঞ্জাররা কই?
2) কৈলাস বিজয়বর্গীয় কই?
3) বাবুল নাকি প্রত্যক্ষ রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছিলেন? তখনই বলেছিলাম নাটক। নাকি এখানে বিশেষ কোনো কারণ? pic.twitter.com/czYvrWhc99
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) September 10, 2021
তারকা প্রার্থীদের নাম প্রকাশের পরেই কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ টুইট করেছেন, ‘এটি যদি উপনির্বাচনে বিজেপির তারকা বক্তা তালিকা হয়- 1) মোদিজি, শাহজি, নাড্ডাজির মত ডেইলি প্যাসেঞ্জাররা কই? 2) কৈলাস বিজয়বর্গীয় কই? 3) বাবুল নাকি প্রত্যক্ষ রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছিলেন? তখনই বলেছিলাম নাটক। নাকি এখানে বিশেষ কোনো কারণ?’
]]>আরও পড়ুন মোদীর নাম জপেই বিজেপি-বিরোধী প্রচার চালাবে দেশের কৃষকরা
কৃষক মহাপঞ্চায়েতে ২০ লাখ জমায়েত হয়েছে বলে দাবি করেছেন রাকেশ তিকাইত। টুইট করে জমায়েতের ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। তিনি জানান, ‘‘যদি সরকার আমাদের সমস্যা বোঝে তা হলে ভাল। না হলে দেশ জুড়ে এই ধরনের বৈঠক হবে। দেশ যাতে বিক্রি না হয়ে যায়, সে দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে।’’
আরও পড়ুন ভবানীপুর উপনির্বাচন: মমতার বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত শুভেন্দুর
আরও পড়ুন একে একে কমিছে বিধায়ক, বঙ্গে ক্রমশ ব্যাকফুটে বিজেপি
কৃষকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবেন। আগামী বছর উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের আগে যোগী আদিত্যনাথ ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হবে। শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, গোটা দেশ জুড়ে এই রকমের প্রতিবাদের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়াও জানানো হয়েছে, আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যদি আন্দোলনকারী কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগগুলি প্রত্যাহার না করা হয়, তবে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন তাঁরা।
20 हजार जुटा ना पाए, 20 लाख का दावा कर रहे हैं,
चार फोटो ट्वीट की है और चारों में खुद का ही थोबड़ा दिखा रहे हो ख़लीफ़ा के ताऊ,
सुना है मियां खलीफा के आने की अफवाह भी उड़वाई थी, जिसकी वजह से थोड़ी बहुत भीड़ आई थी, लेकिन भीड़ बहुत निराश होकर गई।@RakeshTikaitBKU https://t.co/bz3gSfYXsG
— Rakesh Tripathi (@rakeshbjpup) September 5, 2021
গত বছর থেকেই কৃষক আন্দোলনের বিরোধীতা করে আসছেন বিজেপি নেতারা। দিনকয়েক আগেই কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দিল্লির রাজপথে চলা কৃষক আন্দোলন ভুয়ো। সরাসরি অভিযোগ করলেন, এই আন্দোলন সংগঠিত নয়।, টাকা দিয়ে ভাড়া করে লোককে আনা হয়েছে। এদের শুধু মোদি বিরোধিতা করাই লক্ষ্য। উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যও কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছেন শাহিনবাগের CAA বিরোধী আন্দোলনকে যেভাবে ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে, কৃষকদেরও আন্দোলনের ক্ষেত্রেও তাই হবে। এবার জনপ্রিয় পর্নস্টার ‘মিয়া খলিফা’র প্রসঙ্গ টেনে বিতর্ক আরও বাড়ালেন বিজেপি নেতা।
]]>আরও পড়ুন তালিবানদের বিরুদ্ধে সরব হোক দেশের মুসলিমরা: RSS
যখন তালিবান ইস্যু নিয়ে নড়েচড়ে বসছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, ঠিক তখনই আরএসএস’এর সঙ্গে তালিবানের তুলনা করলেন জাভেদ আখতার। তালিবান এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ একই কয়েনের দুটি পিঠ বলে কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই দেশের প্রবীণ শিল্পীর মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। শুধু নেটিজেনরাই নন, হাত জোড় করে জাভেদকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা রাম কদম।
আরও পড়ুন শিল্পেই বিপ্লব: তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে কাবুলের গ্রাফিতি শিল্পী শামসিয়া হাসানি
আরও পড়ুন নজরে নীলছবি, আফগান পর্নস্টার খুঁজে পেলেই মাথা কাটবে তালিবানরা
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জাভেদ আখতার বলেন, ‘‘তালিবান যেমন ইসলাম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তেমন আর একদল মানুষও হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। এরা একই মানসিকতার। তালিবান বর্বর। যাঁরা আরএসএস, বজরং দলকে সমর্থন করেন, তারাও বর্বরই।” তাঁর এই মন্তব্যের পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেটনাগরিকরা।
Javed Akhtar compared Taliban with RSS because he is an atheist who only eats haIaI meat.
— desi mojito (@desimojito) September 5, 2021
আরও পড়ুন তালিবানদের বিপ্লবী আখ্যা দিয়ে বিপাকে কংগ্রেস বিধায়ক আনসারি
আরও পড়ুন শরিয়তি আইনে চলা আফগানিস্তান থেকে উইঘুর মুসলিমদের চিনে পাঠাবে তালিবান
https://twitter.com/AdvAshutoshDube/status/1434136441571926023?s=20
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তালিবানের তুলনা করে জাভেদ অসংখ্য মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই বিজেপি নেতা। স্বয়ংসেবক সংঘের কর্মীদের এবং অনুগামীদের কাছে বলিউডের প্রবীন শিল্পী ক্ষমা না চাইলে ভারতের মাটিতে তাঁর একটি ছবিও মুক্তি পাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
In a country where majority r Hindus..
Ppl like Javed Akhtar oppose the idea of Hindu Rashtra..
V make them famous by liking their songs,movies n ensure their families r safe in our country..
Can they say the same thing in Pakistan or taliban n get away?
R we milking a snake?— Nitesh Rane (@NiteshNRane) September 5, 2021
https://twitter.com/Alleged_RW/status/1434199630888116224?s=20
তালিবানরা আফগানিস্তান দখল করার পর সে দেশের প্রায় প্রতিটি প্রান্তেই কায়েম হচ্ছে শরিয়তি আইন। ইসলামের আদেশ অনুসারেই চলছে দেশ। ২০০১ সালের আগে তালিবান যখন আফগানিস্তান শাসন করত, তখনও তারা কঠোর শরিয়া আইন জারি করেছিল। এবারেও আগের ছবিই দেখা যাচ্ছে গোটা দেশ জুড়ে।
]]>আরও পড়ুন ত্রিপুরা: মমতার টার্গেট কংগ্রেস ভোট! সন্তোষমোহন কন্যা সুস্মিতায় আপ্লুত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার
তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সমর্থনে দেওয়াল লিখন করতে নামলেন ফিরহাদ হাকিম (Fihad Hakim)। ফিরহাদ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরের ঘরের মেয়ে। কারণ তিনি জন্মেছেন ভবানীপুরে, বড় হয়েছেন ভবানীপুরে এবং দীর্ঘদিন ধরে ভবানীপুরে বিধায়ক ছিলেন। এবারও এই কেন্দ্রের বিধায়ক হতে চলেছেন।”
আরও পড়ুন মমতা ও TMC বিধায়কদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য দেবে না রাজ্য লোকায়ুক্ত
আরও পড়ুন সেপ্টেম্বর ভয়: মমতার আগরতলা গমনে বিজেপি সরকার সংখ্যালঘু হওয়ার দিকে
নির্বাচনের দিন ঘোষণা করার জন্য কমিশনকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ধন্যবাদ জানাই কমিশনকে। দেরিতে হলেও ন্যায়ের বিচার হয়েছে। বিজেপি গণতন্ত্রের দোহাই নিয়ে রাজনীতি চেষ্টা করে। আর তৃণমূল কংগ্রেস গণতন্ত্র রক্ষা করে। বিজেপি ভেবেছিল বাংলার মাটিতে পা পড়বে। বাংলার মাটি থেকে বিজেপির পা সরে গিয়েছে।”
আরও পড়ুন একবছর হয়ে গেল বাণিজ্য সম্মেলনের তথ্য চেয়েও পাইনি, রাজ্যকে আক্রমণ ধনখড়ের
তৃণমূল মোট ২১৩ টি সিট পেয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিধানসভা নির্বাচনে। তারপরেও ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে প্রায় ছ’জন বিধায়ক যোগ দিয়েছেন রাজ্যের শাসকদলে। সেই সংখ্যাটাও আরও বাড়তে পারে। এবার উপনির্বাচনে সেই আসন সংখ্যা আরও বাড়ানোর সুযোগ এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের কাছে।
]]>আরও পড়ুন উত্তরে বিজেপির ধস নামছে, চিন্তা বাড়ছে দিলীপ-শুভেন্দুর
লক্ষ্যমাত্রার থেকে মাত্র ১২৩ টি আসন কম পেয়ে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হলেও বঙ্গে ভালো উত্থান হয়েছে গেরুয়া শিবিরেরও। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় ৭৪ জন বিধায়ক, প্রায় ২৮% ভোট বেড়েছে তাদেরও। তারপরেই যেন ছন্দপতন বঙ্গ বিজেপিতে। ৭৭.. ৭৬.. ৭৫.. ৭৪.. ৭৩.. ৭২..গত কয়েকদিনে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা এভাবেই বদলেছে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের দল ছাড়ার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাদগার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। পরপর দু’দিনে দুই বিধায়ক শাসক শিবিরে চলে যাওয়ায় তা দলের কাছে একটা ধাক্কা বলেই মনে করছে বঙ্গ বিজেপির একাংশ। দু’জনেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছিলেন।

ভোটের আগে নিয়মিত বঙ্গসফরে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ।
ধাক্কাই শুধু নয়, ভোটের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা প্রত্যেক দলবদলুদের দলবদলের একটিই কারণ ছিল, ‘পার্টিতে দমবন্ধ লাগছে কিংবা কাজের পরিবেশ নেই।’ বিজেপি থেকে ফের তৃণমূলে ফিরেই একই কারণ দেখিয়েছেন প্রত্যেকেই। বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিত জানিয়েছেন, ‘‘ভুল বোঝাবুঝির কারণেই তৃণমূল ছেড়েছিলাম। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টিতে কাজের পরিবেশ নেই, দমবন্ধ হয়ে আসছিল। বিজেপি নেতৃত্ব বাংলার আবেগ ধরতে পারেনি।’’ বিশ্বজিতের মতোই বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই একই কারণ দেখিয়ে শিবির বদলেছেন একাধিক নেতা-কর্মী। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দিনে সংখ্যাটা আরও বাড়বে। গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে পরা বিজেপি নেতৃত্ব যতই ‘ক্ষমতার লোভ’ এর প্রসঙ্গকে সামনে আনুক, বিধানসভা নির্বাচনে দেশের সবচেয়ে ‘আধুনিক’ রাজনৈতিক দলের গেমপ্ল্যান নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে রাক্ষসী বলে কটাক্ষ বিজেপি বিধায়কের
বিধায়কদের দলত্যাগের পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। শাসক শিবির ভাঙিয়ে এনে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করে কী লাভ হল? আদি বিজেপি কর্মীদের এই প্রশ্নের মুখেই এখন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, দল ছেড়ে যারা চলে যাচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই দুই দলত্যাগীকে শুভেন্দু অধিকারী আইনি নোটিস পাঠিয়েও দিয়েছেন। কিন্তু তাতে আদৌ কোনো লাভ হবে ? দেওয়াল লিখন কিন্তু বলছে অন্য কথা, ‘বঙ্গে ক্রমশ ব্যাকফুটে বিজেপি।’
]]>আরও পড়ুন উত্তরবঙ্গে বন্যা, মালদায় গিয়ে ছবি তুলে লোক দেখাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী: দিলীপ ঘোষ
আজ থেকে রাজ্য জুড়ে ‘খেলা হবে’ দিবস পালন করছে তৃণমূল। গত বিধানসভা নির্বাচন থেকেই এই স্লোগানে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরেই রাজ্যে নির্বাচনে জিতে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। নির্বাচনের জেতার পরেই অন্যান্য রাজ্যের দিকে নজর দিয়েছে জোড়াফুল নেতৃত্ব। সেই লক্ষ্যেই পড়শি রাজ্য ত্রিপুরায় গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব।
চলতি সপ্তাহের রবিবার ফের ত্রিপুরায় আক্রান্ত হন তৃণমূল নেতৃত্ব। দুই মহিলা সাংসদের গাড়ি ঘিরে ব্যাপক ভাঙচুর চলে বলে অভিযোগ। এমনকি সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের ব্যাগ ছুড়ে ফেলা দেওয়া হয়। সাংবাদিক বৈঠক এই ঘটনার নিন্দা করার পাশাপাশি ত্রিপুরার রাজ্যপাল, মানবাধিকার কমিশন ও মহিলা কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসক দল।
আরও পড়ুন দিল্লির কৃষক আন্দোলন ভুয়ো, বিরোধীদের মদতপুষ্ট: দিলীপ ঘোষ
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের টিমকে আটকে রাখার নিয়ে শুরু হয় বিরোধ। কয়েকদিন আগে ত্রিপুরায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা এবং জয়া দত্তরা। তারপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় পৌঁছালে তাঁর ওপরেও হামলার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় বিজেপি শিবিরের বিরুদ্ধে।
বারবার এই ঘটনায় বিপ্লব দেবের সরকারের দিকে আঙুল তুলছে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই প্রসঙ্গেই দিলীপ ঘোষ বলেন, “এই ঘটনা নিয়ে খুব কান্নাকাটি করছে ওরা। ত্রিপুরায় বাচ্চা বাচ্চা ছেলেদের নিয়ে গিয়েছে। তাঁদের কেন নিয়ে যায়? কেউ বলছে সুইসাইড করব, কেউ বলছে রাস্তায় শুয়ে থাকবে- দুটো ঢিল মেরেছে আর তাতেই সব বিপ্লব শেষ!”
]]>আরও পড়ুন বিজেপির বিরুদ্ধে একাই লড়াই করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ব্রাত্য বসু
কয়েকমাস আগেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তারপরেই দেশের একাধিক রাজ্যে নিজেদের সংগঠন মজবুত করতে উঠেপড়ে লেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সদ্য ত্রিপুরা থেকে ফিরেছে তাদের যুব নেতৃত্ব। সেখানে তাদের ওপর হামলা হওয়ায় প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পড়শি রাজ্যে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে দিল্লি গিয়ে বিরোধী শিবিরের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক সেড়ে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এবার আসন্ন উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপিকে টক্কর দিতে তৈরি হচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ ভোটের দিকে তাকিয়ে বিরোধী শিবির। তারমধ্যেই যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন পদ্মশিবিরকে চাপে ফেলতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম তুলে আনলেন রাজ্যের বিরোধী শিবিরের অন্যতম মুখ এবং রাষ্ট্রীয় লোকদলের নেতা জয়ন্ত চৌধরি। তিনি জানিয়েছেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিরোধী শিবিরকে এককাট্টা হতে হবে। একইসঙ্গে বিজেপির উপর চাপ বাড়াতে সকলে মিলে আমন্ত্রণ জানাক বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে।” কিন্তু সেই রাজ্যের অখিলেশ-মায়াবতীকে বাদ দিয়ে কেন মমতা?
আগ্রায় এক সমাবেশে আরএলডি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, “নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতায় চোখে চোখ রেখে লড়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় যে ভাবে তিনি ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছেন, তা বিজেপির রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। আর সে কারণেই ২০২২-এর বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে বিরোধী-জোটের উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো।”
বেশ কয়েক বছর আগে উত্তরপ্রদেশে তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে সক্রিয় হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পরবর্তীকালে অবশ্য তার বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। কিন্তু বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে থেকে তাঁর সক্রিয় বিজেপি-বিরোধিতা এবং নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের বাংলা দখলের সব চেষ্টায় জল ঢেলে রাজ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরে আসা অন্য বিরোধী দলগুলির নজর কেড়েছে।
আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে রাক্ষসী বলে কটাক্ষ বিজেপি বিধায়কের
বাংলায় বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে মমতা অন্য বিরোধী দলগুলিকে পাশে নিয়ে নিরন্তর বিজেপি-বিরোধী লড়াইয়ের ডাক দিচ্ছেন। এই অবস্থায় রাজনৈতিক শিবিরের অনেকে বলছেন, বাস্তব পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে সব বিরোধী দলকে একজোট করা প্রয়োজন। সেই লড়াইয়ে মমতার বিজেপি-বিরোধী ভাবমূর্তিকে কাজে লাগালে বিজেপির উপরে চাপ অনেকটাই বাড়বে বলে মত তাঁদের।
]]>আরও পড়ুন পেগাসাস অতীত, ত্রিপুরা ইস্যুতে সংসদ কাঁপানোর পরিকল্পনা তৃণমূলের
পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির প্রথম দিনের বৈঠকে থাকতে পারেননি। এদিন দ্বিতীয় দিনের বৈঠক শুরু হওয়ার আধঘন্টা পর পৌঁছন মুকুল রায়। মুকুল রায়ের উপস্থিতির সম্ভাবনাতেই এদিনের বৈঠকও বয়কট করে বিজেপি পরিষদীয় দল। ১.৩০ নাগাদ বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান তৃণমূল নেতা। যাওয়ার সময়ে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, কৃষ্ণনগর থেকে দাঁড়ালে কী তিনি জিতবেন?
আরও পড়ুন কালো বিকিনিতে উষ্ণতা তুঙ্গে গৌরব ঘরণীর, ভাইরাল হটলুকে দেবলীনা
আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বলেন, “আবারও বিপুল ভোটে জিতব। তবে বিজেপির টিকিটে দাঁড়াতে হবে। তৃণমূলের হয়ে দাঁড়ালে কী হবে, সেটা মানুষ ঠিক করবে।” স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে বললেন না কেন? প্রসঙ্গত, বিজেপির টিকিটে জিতে ১১ জুন তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল। তারপরেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে স্পিকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন।
আরও পড়ুন মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে সাইকেল চালিয়ে সংসদের সামনে প্রতিবাদ তৃণমূল সাংসদের
কিন্তু বারবার তৃণমূল নেতার মুখে পদ্মের নাম কেন আসছে? তাহলে কি বিজেপির নেতাদের কটাক্ষ মতোই মুকুলের দেহ তৃণমূলে, কিন্তু মন পড়ে বিজেপিতে। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় মুকুল বলেন, “বিজেপির কাছে প্রশ্ন করা হলে, তার হিসাবেই উত্তর পাবে। অন্য রাজনৈতিক দলের কাছে প্রশ্ন করলে, সে জবাব দেবে। আমি বিজেপি দল হিসাবে বলেছি। আমি এখন স্বাভাবিকভাবে পুরোপুরি তৃণমূলে আছি।”
]]>আরও পড়ুন বিজেপির বাংলা ভাগ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বাংলাপক্ষের সমাবেশ
গত সপ্তাহে অভিষেক ত্রিপুরা সফরের সময় বিমানবন্দরের কাছে দলীয় পতাকা লাগাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন দেবাংশু, সুদীপ রাহারা। ফের সোনামুড়া এলাকায় ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রনেতা সুদীপ রাহার গাড়িতে ইট ছোঁড়া হয়। তাঁর মাথায় ইটের আঘাত লেগে মাথা ফেটে যায় তার। সুদীপের সঙ্গে থাকায় আক্রান্ত হন দুই ছাত্রনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য ও জয়া দত্তও। যাবতীয় ঘটনায় অভিযোগের তির সেখানকার শাসকদলের নেতা, কর্মীদের দিকেই।
পরে আবার কারফিউ চলাকালীন মিছিল করতে গিয়ে গ্রেফতার হন তৃণমূলের নেতারা। যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছানোর পর খোয়াই চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত থেকে জামিন পান যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত এবং সুদীপ রাহারা। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান তাঁরা।
আরও পড়ুন আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা কাঠগড়ায় বিজেপি
এবার সংসদে পরপর ত্রিপুরায় কিভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর আক্রমণ করা হয়েছে তা নিয়েই সরব হবেন সাংসদরা। আইপ্যাকের টিমকে হোটেল–বন্দি করা থেকে শুরু করে ছাত্রনেতাদের উপর হামলা, পরে গ্রেফতার। এই সবকিছু নিয়েই এবার কেন্দ্রকে কোণঠাসা করতে মরিয়া রাজ্যের শাসকদল।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়ের কথায়, ‘ত্রিপুরায় ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটছে। গণতন্ত্র বলে কিছুই নেই। আমরা পার্টি। শেষ দেখে ছাড়ব। আমাদের যুব নেতাদের উপর যেভাবে হামলা হয়েছে, তারপর তাঁদের যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা গণতন্ত্রের অপমান।’ তৃণমূলের রাজ্য নেতা কুণাল ঘোষও জানিয়েছেন, ”ত্রিপুরায় গণতন্ত্র ধ্বংস। তরুণ তুর্কীদের উপর কুৎসিত হামলা চলছে। বিজেপির বিদায় শুধু সময়ের অপেক্ষা।”
]]>