bicycle lovers – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Thu, 04 Nov 2021 09:43:15 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png bicycle lovers – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 সাইকেলে চড়ে ‘চাঁদে’ পৌঁছে গিয়েছিলেন রামচন্দ্র! https://ekolkata24.com/offbeat-news/ramchandra-biswas-an-unique-cyclists-globe-trotter Thu, 04 Nov 2021 09:16:18 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10248 News Desk:  ‘এই ছোট্ট ছোট্ট পায়ে চলতে চলতে ঠিক পৌঁছে যাব। ওই চাঁদের পাহাড় ঠিক দেখতে পাব’। সিনেমায় দুই বালক চাঁদের পাহাড়ে পৌঁছনোর স্বপ্ন দেখেছিল।বিভূতিভূষণ তাঁর গল্পে শঙ্করকে চাঁদের পাহাড় পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু যদি বলি এক বাঙালি সাইকেল নিয়ে চাঁদে পৌঁছে গিয়েছিলেন। না, খুব একটা ভুল হবে না। সত্যিই তো তিনি সাইকেলে চড়ে পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের সমান পথ ঘুরেছিলেন।

উত্তরপাড়ার রামচন্দ্র বিশ্বাস (Ramchandra Biswas)। ২৯ বছর ধরে সাইকেলেই ঘুরেছেন গোটা পৃথিবী। আর্জেন্টিনার বহু বাড়িতে তিনি রবীন্দ্রনাথের ছবি দেখেছেন, পেরুতে দেখেছেন হিন্দি সিনেমা চলতে। ১৯৮২ সাল, ২১শে এপ্রিল। মফস্‌সল উত্তরপাড়ার দুই দামাল ছেলে, রামচন্দ্র বিশ্বাস ও সোমনাথ মুখার্জি ঠিক করলেন সাইকেলে ঘুরতে যাবেন লম্বা কোথাও।

সোমনাথবাবুর মতে তা ইন্ডিয়া ট্যুর হলেও রামচন্দ্র বিশ্বাস জানান তিনি ওয়ার্ল্ড ট্যুরে যেতে ইচ্ছুক। হাতে টাকা নেই, পোস্ট অফিসের সামান্য চাকরি, পৃথিবী ঘুরে বেড়ানো সম্পর্কে কোনও ধারণাও নেই, নেই পাসপোর্ট, ভালো সাইকেল কিচ্ছু নেই। কেবল অদম্য ইচ্ছে রয়েছে তাঁদের। আর সেই ইচ্ছের জোরেই ভাগ্যও ছুটে আসে সঙ্গ দিতে। নির্বিঘ্নে মিটতে থাকে সমস্ত সরকারি কাজ। ততকালীন অর্থমন্ত্রীর সাহায্যে সমস্ত কাগজপত্র তৈরি হয়ে যায়, হাতে পান ৫,০০০ টাকা। এই নিয়েই ২১ এপ্রিল ১৯৮২ উত্তরপাড়া থেকে রওনা হন রামচন্দ্র, ওরফে সকলের প্রিয় ঝুনু।

ramchandra

১৯৮৬ সালে আফ্রিকায় থাকাকালীন দুই বন্ধুতে মিলে ম্যাজিক দেখিয়ে টাকা রোজকার করতেন শহরে শহরে। ঝুনু জাগলিং করতেন আর অন্যজন বাজাতেন ভায়োলিন। এরপর বিসাও নামক একটি শহরে সেট্‌ল করে যান তাঁর সঙ্গী। সালটা ১৯৮৬। যদিও ঝুনু জানতেন না তাঁর বন্ধু সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন থেকে যাওয়ার। সেনেগালে পৌঁছে সঙ্গীর জন্য প্রায় একমাস অপেক্ষা করেন তিনি। সঙ্গী না আসায় তিনি বুঝতে পারেন বাকিটা পথ ওঁর একারই।

ভাষার সমস্যাও কেটে যেতে থাকে ধীরে ধীরে। সাইন ল্যাঙ্গুয়েজে কথা বলা রপ্ত করে ফেলেন তিনি। ভাঙা ভাঙা স্থানীয় ভাষাগুলিও শিখে নেন অল্প সময়ে। আফ্রিকার (Africa) বহু দেশে তখন গৃহযুদ্ধ চলছে। একটা করে সীমানা পেরিয়ে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে একটা করে বাধা। মানুষ তাঁকে আমেরিকার গুপ্তচর ভেবে বসছে। একমাত্র বিশ্বাস করছে বাচ্চারা। রামচন্দ্রবাবু জানান, তাঁর শেখা দশটা ভাষার দশটাই তিনি শিখেছেন বাচ্চাদের মুখ থেকে, তাদের সান্নিধ্যে।

আর্জেন্টিনার (Argentina) বহু বাড়িতে তিনি রবীন্দ্রনাথের ছবি দেখেছেন, পেরুতে (Peru) দেখেছেন হিন্দি সিনেমা চলতে। ২৪ ঘণ্টা দিন পেয়েছেন যাত্রাপথে, অরোরা বোরিয়ালিসও দেখেছেন চোখের সামনে। বহু উপজাতির মানুষের দেখা পেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে মিশেছেন এই রঙিন মানুষটি। তাঁর পাসপোর্টের দৈর্ঘ্য ১৩৯ ফুট। দু’হাতে ঝুলিয়ে সেটি এক নির্মল হাসি হেসে আমাদের জানান তিনি ফাইভস্টার হোটেলের থেকে তাঁবুতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। নিজের পাঁচ লক্ষ স্মারক কোনও সরকারি বা বেসরকারি সংগ্রহশালার দায়িত্বে দিতে চান বলেও জানিয়েছেন তিনি।

২৯ বছরের যাত্রাপথে চাঁদে গিয়ে ফিরে আসার সমান সাইকেল চালিয়েছেন ঝুনু। সারা পৃথিবীর মানুষের সান্নিধ্যে ঝুনু দেখেছেন উদারতা, অপরিচিত মানুষও তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন অসময়ে। কিন্তু ২৯ বছর পর ফিরে নিজের পরিবার নিয়ে খুব একটা খুশি হতে পারেননি তিনি। সময়টা পেরিয়ে যাওয়ায় আরও অনেক কিছুর সঙ্গেই নিজেকে খাপ খাওয়াতে বেশ অসুবিধা হয়েছে তাঁর।

<

p style=”text-align: justify;”>২৯ বছরে বেশ কিছু অবক্ষয় হয়ে গেছে সমাজেরও। এই জটিলতা বারংবার কষ্ট দিয়েছে তাঁকে। ব্যানার্জি পাড়ার ওই লম্বা বাড়ির দোতলার করিডরে উঠে পড়লে মনে হবে কোনও মিউজিয়ামেই এসে গেছেন বোধহয়। অথচ আপনাকে যত্ন নিয়ে এক শিশুর মতো উৎসাহে ঝুনু তাঁর প্রতিটা জিনিস দেখাবেন ধৈর্য্য ধরে। হয়তো মফস্‌সল বলেই আজও আড়ালে বাঁচেন রামচন্দ্র বিশ্বাস। উত্তরপাড়ার এই ক্রমবর্ধমান লাখ খানেক জনসংখ্যারই বা ক’জন খোঁজ রাখেন এই রঙিন আত্মাটির!

]]>
Diwali: আলোকময় দীপাবলির বার্তা নিয়ে পথে হাওড়ার সাইকেলপ্রেমীরা https://ekolkata24.com/offbeat-news/howrah-bicycle-lovers-on-the-way-with-the-message-of-bright-diwali Wed, 03 Nov 2021 10:37:38 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10157 Special Correspondent, Kolkata: দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব। কিন্তু দীপাবলিতে শব্দদানবের অত্যাচারে কার্যত অতীষ্ট হয়ে উঠতে হয় বঙ্গবাসীকে। শব্দবাজির দাপট তো রয়েইছে তার সাথে ডিজে বক্সের দানবীয় দাপট। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে দূষণমুক্ত দীপাবলির বার্তা নিয়ে পথে নামলেন হাওড়ার সাইকেল আরোহীরা।

সুইচ অন ফাউন্ডেশনের মূল উদ্যোগে হাওড়া সাইকেল আরোহীর সহযোগিতায় হাওড়া রামরাজাতলা থেকে কোলকাতার ভিক্টোরিয়াল মেমোরিয়াল অব্ধি সাইকেল র‍্যালি অনুষ্ঠিত হল। এই র‍্যালিতে অংশ নেন ৩০ জন সাইকেল আরোহী। চলার পথে হাতে ফ্লেক্স নিয়ে পথচলতি মানুষের কাছে বার্তা দেন সাইকেল আরোহীরা। হাওড়া সাইকেল আরোহীর অন্যতম সদস্য শিক্ষক রাকেশ দাস জানান, দীপাবলিতে দূষণে ভরে ওঠে আমাদের প্রিয় শহর। দীপাবলি মানে আলোর উৎসব। তাই শব্দ নয়, আলোর উৎসবে মেতে উঠুক সকলে। এই বার্তা দিতেই আমাদের এই উদ্যোগ।”

দীপাবলি, বা, দেওয়ালি হল একটি পাঁচ দিন-ব্যাপী হিন্দু ধর্মীয় উৎসব। তবে জৈন-শিখ ধর্মালম্বীরাও এই সময়ে একই ধরনের উৎসব পালন করে থাকেন। আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশীর দিন ধনতেরাস অথবা ধনত্রয়োদশী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দীপাবলি উৎসবের সূচনা হয়। কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই উৎসব শেষ হয়। নবরাত্রি উৎসব অথবা বাঙালিদের দুর্গোৎসব শেষ হওয়ার ১৮ দিন পর দীপাবলি শুরু হয়। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, মধ্য-অক্টোবর থেকে মধ্য-নভেম্বরের মধ্যে দীপাবলি অনুষ্ঠিত হয়।

Howrah bicycle lovers

দীপাবলি ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, মরিশাস, গুয়ানা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, সুরিনাম, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ফিজিতে একটি সরকারি ছুটির দিন। বাংলাদেশে এই দিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি দেয়া হয়। হিন্দুদের কাছে, দীপাবলি একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই দিন সব হিন্দুরা বাড়িতে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। বাংলা, আসাম, ওড়িশা ও মিথিলাতে এই দিনটি কালীপূজা হিসেবে উদ্‌যাপন করা হয়। ভারতীয় সমাজের দৃঢ় বিশ্বাস ‘দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন’ বা ‘ন্যায়ের কাছে অন্যায়ের পরাজয়’ এই নীতিতে। দীপাবলির মাধ্যমে উপনিষদের আজ্ঞায় এই কথাটা খুবই সদৃঢ় ভাবে চরিতার্থ হয়ে ওঠে যথা “অসতো মা সৎ গময়। তমসো মা জ্যোতির্গময়। মৃত্যোর্মা অমৃতং গময়। ওঁ শান্তিঃ॥ ওঁ শান্তিঃ॥ ওঁ শান্তিঃ॥” অর্থাৎ “অসৎ হইতে সত্যে লইয়া যাও, অন্ধকার হইতে জ্যোতিতে লইয়া যাও, মৃত্যু হইতে অমরত্বে লইয়া যাও। সর্বত্র যেন ছড়াইয়া পড়ুক শান্তির বার্তা॥” উত্তর ভারতীয় হিন্দুদের মতে দীপাবলির দিনেই শ্রীরামচন্দ্র চৌদ্দ বছরের নির্বাসনের পর অযোধ্যা ফেরেন। নিজের পরমপ্রিয় রাজাকে ফিরে পেয়ে অযোধ্যাবাসীরা ঘিয়ের প্রদীপ জ্বেলে সাজিয়ে তোলেন তাদের রাজধানীটাকে।

<

p style=”text-align: justify;”>এই দিনটিতে পূর্বভারত বাদে সম্পূর্ণ ভারতবর্ষে লক্ষ্মী-গণেশের পুজোর নিয়ম আছে। জৈন মতে, ৫২৭ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে মহাবীর দীপাবলির দিনেই মোক্ষ বা নির্বাণ লাভ করেছিলেন। ১৬১৯ খ্রিষ্টাব্দে শিখদের ষষ্ঠ গুরু হরগোবিন্দ ও ৫২ জন রাজপুত্র দীপাবলির দিন মুক্তি পেয়েছিলেন বলে শিখরাও এই উৎসব পালন করেন। আর্য সমাজ এই দিনে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর মৃত্যুদিন পালন করে। তারা এই দিনটি “শারদীয়া নব-শস্যেষ্টি” হিসেবেও পালন করেন। এছাড়া, নেপাল-ভারত-বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যেই এই উৎসব নিয়ে উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়।

]]>