এবার এই সিডিএস চপার দুর্ঘটনার বুধবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে রিপোর্ট জমা দেয় বিমানবাহিনীর তদন্তকারী দল। ট্রাই-সার্ভিসেস প্রোব রিপোর্ট দুর্ঘটনার পিছনের কারণগুলি সম্পর্কে জানানো হয়েছে। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন এয়ার মার্শাল মানবেন্দ্র সিং। এছাড়া সেনাবাহিনীর সাউর্দান কম্যান্ডের ব্রিগেডিয়ার ও নৌবাহিনীর কমান্ডাররাও তাকে তদন্তে সহযোগিতা করেছেন বলে খবর।
প্রসঙ্গত, এর আগে এই ত্রি-পরিষেবা তদন্ত দলের তদন্ত ৩১ শে ডিসেম্বর সরকারের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল।
এয়ার মার্শাল মানবেন্দ্র সিং এবং সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর দুই ব্রিগেডিয়ার পদমর্যাদার কর্মকর্তার অধীনে প্রস্তুত করা বিস্তারিত রিপোর্টে বিমানের ব্ল্যাক বক্স থেকে প্রাপ্ত তথ্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদিও এই রিপোর্ট-এ কী আছে তা পুরোপুরি জানা সম্ভব না হলেও সূত্র মারফত খবর, গত ৮ ডিসেম্বর যেভাবে এমআই-১৭ ভি৫ হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে যে খারাপ আবহাওয়ার কারণে নীচের রেললাইনের উপর নজর রেখেই ওয়েলিংটনের ডিফেন্স স্টাফ কলেজের দিকে যাচ্ছিল।
]]>জানা গিয়েছে, তদন্ত রিপোর্ট তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দু-একদিনের মধ্যেই তা বায়ুসেনার কাছে জমা পড়বে।
তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে এখনও পর্যন্ত বায়ুসেনার পক্ষ থেকে সকারিভাবে কিছুই জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কপ্টারটি ভেঙে পড়েনি। ‘কন্ট্রোল ফ্লাইট ইনটু টেরিন ‘-এর কারণেই কপ্টারটি ভেঙে পড়েছে। যার আক্ষরিক অর্থ হল হেলিকপ্টারের পাইলট কোনও কিছুর অবস্থান বুঝতে না পেরে কোথাও জোরে ধাক্কা মেরে ছিলেন। তার ফলেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কপ্টারটি ভেঙে পড়ে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সিএফআইটির অর্থ হল দুর্ঘটনার সময় হেলিকপ্টারটি আকাশেই ছিল। কিন্তু কোনও কারণে পাইলটের সামনের দৃশ্য ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। সেটা সম্ভবত কুয়াশার কারণে হয়। সে কারণেই কপ্টারটি কোন পাহাড় বা বড় ধরনের গাছে ধাক্কা মেরে ছিল। তবে এজন্য পাইলটের ঘাড়ে কখনওই দায় চাপানো যায় না। মূলত কুন্নুরের খারাপ আবহাওয়ায়ই এর কারণ। সরকারিভাবে রিপোর্ট পেশ করা হলে অবশ্য দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
একই সঙ্গে দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া কপ্টারের ব্ল্যাকবক্সও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অর্থাৎ দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তে পাইলট ও এটিসির যাবতীয় কথোপকথন জানার চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, কপ্টার দুর্ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন এয়ার মার্শাল মানবেন্দ্র সিং। দুর্ঘটনা সংক্রান্ত রিপোর্ট নিয়মিত কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে জানানো হচ্ছে।
]]>সেনাবাহিনীর (army) প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী কোনও পদের শীর্ষ কর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর উত্তরসূরির হাতে দায়িত্ব অর্পণ করে বিদায় গ্রহণ করেন। বিদায় অনুষ্ঠানে দুইজন একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করেন ও অভিনন্দন জানান। কিন্তু বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুর পর ৮ দিন কেটে গেলেও নতুন সেনা সর্বাধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হয়নি।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে কেন্দ্র (central government) বিষয়টি নিয়ে এত গড়িমসি করছে কেন? কেন্দ্রের এই টালবাহানায় স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, বিপিন রাওয়াতকে যখন সেনা সর্বাধিনায়ক নিয়োগ করা হয়েছিল তখন তাঁর উত্তরসূরির সম্পর্কে কোনও রকম চিন্তাভাবনাই করা হয়নি। রাওয়াতকে তো একদিন না একদিন অবসর নিতেই হত। কিন্তু তারপর কে ওই পদে অভিষিক্ত হবেন সে বিষয়ে কেন্দ্র কোনও পরিকল্পনাই করেনি। কেন্দ্রের এ ধরনের আচরণ শুধু যে সিডিএস-এর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদের মর্যাদাহানি করছে তা নয়, দেশের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রেও বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগের বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, সিডিএস-এর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদেও কি শাসক দল বিজেপি তাদের প্রতি আনুগত্য আছে এমন কাউকে উপহার হিসেবে দিতে চায়?
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা অনেকেই বলেছেন, এই মুহূর্তে সেনাবাহিনীর তিন শাখার প্রধানরা কেউই অবসর নেওয়ার মত জায়গায় নেই। তাই তাঁদের মধ্য থেকেই কাউকে অবিলম্বে সেনা সর্বাধিনায়ক পদে নিয়োগ করা উচিত। বর্তমান সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে পরবর্তী সেনা সর্বাধিনায়ক হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছেন। কিন্তু ৮ দিন কেটে গেলেও তাঁকে এখনও ওই পদে নিয়োগ করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে সিডিএস-এর মত এত গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ নিয়ে এত টালবাহানা কেন! দেশের চলতি নীতি অনুযায়ী সেনাবাহিনীর কোনও শীর্ষকর্তা পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে আগাম ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ৮ দিন কেটে গেলেও এখনও সেনা সর্বাধিনায়কের পদে কারও নামটুকু ঘোষণা করা হল না।
প্রশ্ন উঠেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক কি পরবর্তী সিডিএস নিয়োগের জন্য কারও বিশেষ নির্দেশের অপেক্ষা করছে! অনেকেই মনে করছেন, সেনা সর্বাধিনায়ক নিয়োগের বিষয়টি এভাবে ঝুলিয়ে রাখা হলে সন্ত্রাসবাদীরাই উৎসাহিত হবে। তারা এই সুযোগে বিভিন্নভাবে নাশকতা চালানোর চেষ্টা করবে। এভাবে সেনা সর্বাধিনায়ক পদে নিয়োগের বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখে মোদীসরকার দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থারকেই দুর্বল করছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।
]]>১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানকে হারানোর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রবিবার ‘স্বর্ণিম বিজয় পর্বের’ (Swarnim Vijay Parbo) উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হল। সেই অনুষ্ঠানেই শোনা গেল বিপিন রাওয়াতের গলা। সশরীরে না থাকলেও এদিনের অনুষ্ঠানে প্রতিটি পরোতে পরোতে জড়িয়েছিল রাওয়াতের উপস্থিতি। দুর্ঘটনার ঠিক আগের দিনই রাওয়াতের এই বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছিল। হায়রে নিয়তি! তখনও রাওয়াত নিজে বা অন্যরা কেউই জানতেন না যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাওয়াত অতীতে পরিণত হবেন।
রবিবার ইন্ডিয়া গেটে ‘স্বর্ণিম বিজয় পর্ব’ অনুষ্ঠানে রাওয়াতের সেই বক্তব্য শোনানো হয়। সেখানেই রাওয়াত দেশের সেনাবাহিনীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা আমাদের বীর সেনানীদের জন্য গর্বিত। আসুন সবাই মিলে আমরা আজ বিজয় পর্ব পালন করি। স্বর্ণিম বিজয় পর্ব উপলক্ষে দেশের সাহসী যোদ্ধাদের আমার আন্তরিক অভিনন্দন। ১৯৭১ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জয়ের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করতে আমরা বিজয় পর্ব পালন করছি। সেই যুদ্ধে যে সব অসীম সাহসী বীর সেনা আত্মবলিদান দিয়েছিলেন আমরা তাঁদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। সেই যুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছিলেন আমরা তাঁদের প্রত্যেককে শ্রদ্ধা জানাই।”
একইসঙ্গে রাওয়াত তাঁর সেদিনের রেকর্ডিং-এ জানিয়েছিলেন, ইন্ডিয়া গেটে ১২ থেকে ১৪ ডিসেম্বর বিজয় উৎসব পালিত হবে। দেশের সমস্ত মানুষকে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানাই। কিন্তু একেই বোধহয় বলে নিয়তির পরিহাস। যিনি আমন্ত্রণ জানালেন অর্থাৎ যিনি জ্ঞগ্যের হোতা তিনি আজ নেই। তাই আজকের এই স্বর্ণিম বিজয় পর্ব দেখে মনে হল অনেকটা যেন শিবহীন জ্ঞগ্য চলছে। তবে সশরীরে না থেকেও কিন্তু রয়ে গিয়েছেন রাওয়াত। বিজয় পর্বের সূচনাতেই শোনা গেল তাঁর কণ্ঠস্বর। রাওয়াতের এই কণ্ঠস্বর পুরো অনুষ্ঠানের পরিবেশটাই পাল্টে দিয়ে গেল নিমিষে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠল রাওয়াত কি বুঝতে পেরেছিলেন যে, ১২ ডিসেম্বর তিনি আর ইহলোকে থাকবেন না। তাই তিনি নিজের বক্তব্য রেকর্ড করে রেখেছিলেন।
রাওয়াত যে শুধু একজন কঠিন হৃদয়ের সেনানায়ক ছিলেন তা নয়। তাঁর এই কাঠিন্যের পিছনে লুকিয়ে ছিল একটি নরম মন। রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রী মধুলিকার সেই উত্তরাধিকার বহন করছেন তার দুই কন্যা কৃতিকা ও তারিণী। বুধবার দুর্ঘটনায় রাওয়াতের সঙ্গেই প্রাণ হারিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল হরজিন্দর সিং। সনাক্ত না হওয়ায় এতদিন হরজিন্দরের দেহ পায়নি তাঁর পরিবার। সনাক্তকরণের পর রবিবার হরজিন্দরের দেহ তুলে দেওয়া হয় তাঁর পরিবারের হাতে। রবিবার দিল্লির ব্রার শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় হরজিন্দরের।
এদিন শেষকৃত্যানুষ্ঠানে হরজিন্দরের স্ত্রী মেনজেস অ্যাগনেসের পাশে আগাগোড়া ছিলেন রাওয়াতের দুই মেয়ে। নিজেদের শোক ও দুঃখ বুকে চেপে রেখে এদিন আগাগোড়াই হরজিন্দরের স্ত্রীর হাত ধরে ছিলেন কৃতিকা ও তারিণী। হরজিন্দরের ১২ বছরের ছোট্ট মেয়ে প্রীতিকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন এই দুই বোন। মুছে দিলেন চোখের জল। ভরসা জোগালেন, তাঁরাও পাশে আছেন। বোঝালেন অ্যাগনেস ও প্রীতি কিছুই হারাননি, বরং তাঁদের সামনে অনেক কিছু পাওয়ার আছে। সেই লক্ষ্যেই তাঁদের উঠে দাঁড়াতে হবে। হরজিন্দরের চিতার আগুন যখন দাউদাউ করে জ্বলছে তখন সব শোক ও দুঃখ যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল যমুনায়। কৃতিকা ও তারিণী তাঁদের এই কৃতকর্মের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, মা-বাবার প্রকৃত উত্তরাধিকার বহন করছে তাঁদের দুই মেয়ে।
]]>উল্লেখ্য, গত বুধবার তামিলনাড়ুর কুন্নুরে বায়ুসেনার এমআই-১৭ হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার ঘটনায় সস্ত্রীক রাওয়াতের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় প্রাণ হারান আরও ১১ জন সেনাকর্মী। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই দিল্লির ব্রার শ্মশানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিপিন রাওয়াতের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। রাওয়াতের কোনও পুত্র সন্তান নেই। তাই দুই কন্যা কৃতিকা ও তারিণীই মা-বাবার মুখাগ্নি করেন। এদিন রাওয়াতের দুই কন্যার পাশে ছিলেন তাঁদের পরিবারের নিকট আত্মীয়রা।
শনিবারই আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিনঙ্কেন রাওয়াতের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। নিজের শোক বার্তায় তিনি লিখেছেন, রাওয়াতের মৃত্যু ভারত-আমেরিকা দু’দেশের পক্ষেই অপূরণীয় ক্ষতি। জেনারেল বিপিন রাওয়াত ছিলেন একজন শক্তিশালী সামরিক অফিসার। তাঁর এই অকাল প্রয়াণ ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে যথেষ্টই উদ্বেগের।
]]>জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী কেরলের এই চিত্র পরিচালক (flim director) বলেছেন, “আমার নিজের ধর্মের (relegion) প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস হারিয়ে গিয়েছে। সদ্য প্রয়াত একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে এ ধরনের অশালীন মন্তব্য করা যায় তা আমি ভাবতেই পারছি না। সে কারণে আমি এবং আমার স্ত্রী মুসলিম ধর্ম ছেড়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” কিন্তু রাওয়াতের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক মন্তব্যের কারণে তিনি কেন নিজের ধর্ম ত্যাগ করছেন?
এই প্রশ্নের উত্তরে আলি আকবর জানিয়েছেন, সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুর পর শোক প্রকাশ করে তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন। সেই পোষ্টের নিচে অনেকেই মজার স্মাইলি দেন। কেউ কেউ অসম্মানজনক মন্তব্যও করেন। আকবরের দাবি, একটি বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের এই অশালীন কাজটি করেছে। সে কারণেই তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
প্রতিবাদস্বরূপ আকবর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেন। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন, নিজের ধর্মের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস চলে গিয়েছে। সে কারণেই তিনি এবং তাঁর স্ত্রী লাকিআম্মা মুসলিম ধর্ম ছেড়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন থেকে তিনি আর কোনও মুসলিম নন, তিনি একজন ভারতীয় নাগরিক। যারা দেশের ক্ষতিতে মজা পায়, আনন্দ করে তাদের জন্য আমার এটাই জবাব। একইসঙ্গে আকবর জানিয়েছেন, যারা এধরনের মন্তব্য করে মজা পাওয়ার চেষ্টা করেছেন তারা আসলে দেশদ্রোহী।
এই তরুণ চলচ্চিত্র পরিচালক আরও জানিয়েছেন, তাঁর নতুন নাম হবে রামাসিমা। রামাসিমা এমন একজন মানুষ যিনি নিজের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বাঁচাতে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। সে কারণেই তিনি এই নামটি বেছে নিয়েছেন। একই সঙ্গে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টও নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছেন এই চলচ্চিত্র পরিচালক। এই চলচ্চিত্র পরিচালক জানিয়েছেন, কোন ধর্মগুরু তাঁকে ধর্ম পরিবর্তন করার পরামর্শ দেননি। এটা নিতান্তই তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী হিন্দু হলেও তার দুই মেয়েকে ধর্ম পরিবর্তনের কোনও পরামর্শ দেবেন না বলেও জানিয়েছেন আকবর ওরফে রামাসিমা। মেয়েরা নিজেদের ইচ্ছামত ধর্ম বেছে নিতে পারে বলে পরিচালক জানান।
]]>কপ্টার দুর্ঘটনায় প্রত্যেকটি দেহ আগুনে এতটাই ঝলসে গিয়েছে যে, তাঁদের সনাক্ত করা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রতিটি দেহই রাখাছিল দিল্লির সেনা হাসপাতালে। মৃতদের পরিবারকে সনাক্ত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে ছয় জনের নিকটত্মীয়রা নিজেদের স্বজনের দেহ সনাক্ত করেছেন। যাদের সনাক্ত করা গিয়েছে শনিবার তাদের দেহ পরিবারের কাছে পাঠাবে সরকার।
যে ছয়জনকে তাঁদের আত্মীয়রা সনাক্ত করেছেন তাঁরা হলেন ল্যান্স নায়েক বিবেক কুমার ও বি সাই তেজা , জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার প্রদীপ ও রানাপ্রতাপ দাস, উইং কমান্ডার পি এস চৌহান, এবং স্কোয়াড্রন লিডার কুলদীপ সিং। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেহগুলি পাঠানোর আগে সেনা হাসপাতালেই তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। তারপর কফিনবন্দি সেনা জওয়ানদের দেহ বাড়ির তাঁদের বাড়ির নিকটবর্তী বিমানবন্দরে পৌঁছবে। সেখান থেকেই বাহিনীর সদস্যরাই বাড়িতে পৌঁছে দেবেন দেহ।
ইতিমধ্যেই মৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কী কারণে কপ্টার ভেঙে পড়ল তা খতিয়ে দেখা হোক। কারণ রাশিয়ার এই এমআই১৭-ভি ৫ হেলিকপ্টার অত্যন্ত উন্নতমানের। এধরনের একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার ঘটনায় সকলেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। বায়ুসেনার পক্ষ থেকে অবশ্য ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভেঙে পড়া কপ্টারের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হয়েছে। যা থেকে এই দুর্ঘটনার কারণ সহজেই জানা যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
]]>গুজরাত পুলিশ জানিয়েছে, শিবভাই নামে ওই ব্যক্তি হিন্দু দেবদেবীর উদ্দেশ্যে একাধিক কটু মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে তিনি জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও অশালীন মন্তব্য করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এধরনের একের পর এক পোস্ট করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে শিবকে।
তবে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি সম্প্রতি রাওয়াতকে নিয়ে একটি আপত্তিকর মন্তব্য করেন। ওই পোস্টের জন্যই শিব ভাইয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তখনই জানা যায়, এই প্রথম নয় এর আগেও হিন্দু দেব-দেবীদের নিয়ে তিনি অনেক অসম্মানজনক পোস্ট করেছেন। এমনকী, জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও তাঁকে অশালীন মন্তব্য পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে। সে কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
কিন্তু শিবভাই নামের ওই ব্যক্তি হঠাৎ করে এই ধরনের পোস্ট করতে গেলেন কেন? পুলিশ জানিয়েছে, শিবভাই আগে ছিলেন গ্রামের উপপ্রধান। ২০১০ থেকে টানা চার বছর তিনি উপপ্রধান পদে ছিলেন। পরবর্তী নির্বাচনে তাঁর ইচ্ছে ছিল গ্রাম প্রধান হওয়ার। কিন্তু দল তাঁকে টিকিট দেয়নি। এরপরই প্রবল ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিবভাই। তারপর থেকেই তিনি সকলের নজর কাড়তে এ ধরনের বিতর্কিত পোস্ট করতে শুরু করেন। তবে শেষ পর্যন্ত এই ধরনের পোস্ট করার কারণে শিবভাইকে শ্রীঘরে যেতে হল ।
]]>শুক্রবার সকাল থেকেই রাওয়াতের বাসভবনে তাঁর প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। রাওয়াতের দুই মেয়ে তারিণী ও কৃতিকা শেষবারের মতো মা-বাবার উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানান। কৃতিকার কোলে চেপে রাওয়াত ও মধুলিকার কফিনের উপর ফুল ছুঁড়ে দেয় একরত্তি নাতি। কিছু না বুঝলেও শিশুর চোখেও ছিল জল।

শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষ হওয়ার পর দুপুর দু’টোর সময় রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রীর দেহ নিয়ে শেষযাত্রা বের হয়। এই শেষ যাত্রায় পা মেলান ৮০০ সেনা। সেনা সর্বাধিনায়ককে শ্রদ্ধা জানাতে রাস্তাতেও ছিল প্রচুর মানুষের ঢল। রাস্তার ধার থেকে স্লোগান ওঠে ‘যবতক সূরজ চাঁদ রহেগা বিপিনজিকা নাম রহেগা’। বহু মানুষকে দেখা গিয়েছে জাতীয় পতাকা হাতে কনভয়ের সঙ্গে হেঁটে যেতে। এদিন শেষবার সস্ত্রীক রাওয়াত তাঁর বাড়ি থেকে যে রাস্তা বেরিয়ে আসেন তার দুপাশে তাঁর এবং তার স্ত্রীর নামে পোস্টারও চোখে পড়ে।
এদিন যাবতীয় নিয়ম মেনেই রাওয়াত ও মধুলিকার মুখাগ্নি করেন তাঁদের দুই কন্যা। এদিন ব্রার স্কোয়ার শ্মশানে রাওয়াত ও মধুলিকার দুই কন্যার পাশে সারাক্ষণ ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। চিতায় তোলার আগে রাজনাথ রাওয়াত এবং তাঁর স্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। শ্মশানে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর তিন শাখার পদস্থ আধিকারিকরা সকলের চোখেই ছিল জল। মন ছিল ভারাক্রান্ত।
তবে এই শোকযাত্রায় তাল কেটেছেন কিছু মানুষ। অনেককেই দেখা গিয়েছে তাঁরা রীতিমতো মোবাইল ফোনে অন্ত্যেষ্টি যাত্রার রেকর্ডিং করছেন। কেউ কেউ রাওয়াতের কফিনের পাশে দাঁড়িয়ে সেলফিও তুলতে থাকেন। এ ধরনের কিছু অত্যুৎসাহী মানুষ বিষয়টিকে হাস্যকর পর্যায়ে নিয়ে চলে যান। ওই সমস্ত ব্যক্তিদের দেখে মনে হয়নি যে তাঁরা শোকগ্রস্ত। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নেটিজেনরা অনেকেই বলেছেন, এরপর আর বলা যায় না যে, রাওয়াতের শোকে গোটা দেশ মুহ্যমান।
<
p style=”text-align: justify;”>শুক্রবার সকালেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে ব্রিগেডিয়ার লখবিন্দর সিং লিড্ডার। লখবিন্দর ছিলেন বিপিন রাওয়াতের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা।
]]>এদিন বিপিন রাওয়াত-সহ অন্যদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী দুজনেই পালাম বিমানবন্দর আগেই হাজির হয়েছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানবন্দরে আসেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও সেনাবাহিনীর তিন শাখার কর্তারা। প্রত্যেকেই রাওয়াতের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
এদিন রাত সাড়ে ৮টা থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে সেনাবাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে একে একে রাওয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, অজয় ভাট, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য। শুক্রবার কামরাজ মার্গ থেকে বিপিন রাওয়াতের মরদেহ নিয়ে শোকযাত্রা করবে সেনা। যা শেষ হবে ব্রার শ্মশানে। শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত সাধারণ মানুষ রাওয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাবেন। রাওয়াতের শেষকৃত্যে অংশ নিতে আসছেন শ্রীলঙ্কার সেনাপ্রধান জেনারেল শভেন্দ্র সিলভা।
একদিকে যখন রাওয়াতের শেষকৃত্যের প্রস্তুতি চলছে তখনই উঠে এসেছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। সেটা হল দেশের পরবর্তী সেনা সর্বাধিনায়ক কে হবেন? রাওয়াতের ফেলে যাওয়া চেয়ারে কে বসবেন? হঠাৎ করেই রাওয়াতের চলে যাওয়া দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক বড় ধাক্কা। দেশের প্রতিরক্ষার ইতিহাসে বছর দুই আগে ও সেনা সর্বাধিনায়ক বলে কোনও পদ ছিল না।
২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বা সেনা সর্বাধিনায়ক পদটি তৈরি করে। বায়ু সেনা, নৌ সেনা ও স্থল সেনা এই তিন বাহিনীর সমন্বয়সাধনের দায়িত্ব থাকে সেনা সর্বাধিনায়কের উপর। কয়েক বছর আগে একদিকে চিন অন্যদিকে পাকিস্তান সীমান্তে নিয়মিত আগ্রাসন দেখাচ্ছিল। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠেছিল যে, বাহিনীর তিন শাখার মধ্যে আরও বেশি সমন্বয় স্থাপনের প্রয়োজন হয়েছিল। সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতেই চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদটি তৈরি করা হয়। যার দায়িত্ব ছিলেন বিপিন রাওয়াত।
রাওয়াতের পর কে এই প্রশ্নের উত্তরে বেশ কয়েকটি নাম শোনা যাচ্ছে। এই নামগুলির মধ্যে রয়েছে দেশের বর্তমান সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে, বায়ুসেনা প্রধান বিবেকরাম চৌধুরী ও নৌ সেনাপ্রধান অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই নতুন সেনা সর্বাধিনায়ক নির্বাচন করা হবে।
পরবর্তী সেনা সর্বাধিনায়ক নির্বাচনের কাজটি পর্বত প্রমাণ কঠিন। তিন বাহিনীর বর্তমান প্রধানদের মধ্যে তুলনা করলে সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে কিছুটা এগিয়ে আছেন। কারণ ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর নারাভানে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। অন্যদিকে মাত্র মাস তিনেক আগে বায়ুসেনা প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন বিবেকরাম চৌধুরী।
আর নতুন নৌ সেনাপ্রধান অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার দায়িত্ব পেয়েছেন মাত্র ১ সপ্তাহ আগে। পাশাপাশি নতুন সেনা সর্বাধিনায়ক পদে শোনা যাচ্ছে অবসরপ্রাপ্ত এয়ার চিফ মার্শাল আর কেএস ভাদুরিয়ার নাম। পাশাপাশি উঠে এসেছে বায়ুসেনার এয়ার মার্শাল বলভদ্র রাধাকৃষ্ণের নামও। তবে বলভদ্রের নতুন সেনা সর্বাধিনায়ক হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কারণ তাঁর বুকে এখনও পর্যন্ত তিনটি তারা রয়েছে। চারটি তারা না থাকলে এই পদ পাওয়া খুবই কঠিন।
তাই নতুন সেনা সর্বাধিনায়ক হিসেবে নারাভানে ও ভাদুড়ির মধ্যে কোনও একজনের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। তবে শেষপর্যন্ত সাউথ ব্লক কী সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকে নজর রয়েছে গোটা দেশের।
]]>শুক্রবার তামিলনাড়ুর ওয়েলিংটনে, প্রয়াত CDS-কে শ্রদ্ধা জানাবেন, সেনাপ্রধান জেনারেল নারাভনে, বায়ু সেনাপ্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভি আর. চৌধুরী, নৌসেনা প্রধান আর. হরিকুমার।
শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত সাধারণ মানুষ ও গুণমুগ্ধরা ভারতের প্রথম CDS রাওয়াতকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। এরপর দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের ব্রারস্কোয়ার অন্তেষ্টিস্থলে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় হবে শেষকৃত্য।
বুধবার দুপুরে তামিলনাড়ু নীলগিরি জেলার কুন্নুরের কাছে সস্ত্রীক বিপিন রাওয়াত সহ ১৪ জন আরোহীকে নিয়ে রুশ MI17 V-5 হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে। এতে বিপিন রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রী মধুলিকা ছাড়াও সাতজন সেনা আধিকারিক ছিলেন। দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
]]>প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কপ্টারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছে ধাক্কা মারে। পরে আরও কয়েকটি গাছে ধাক্কা মেরে সেটিতে আগুন লেগে যায়। প্রথম ৫ জনের মৃত্যুর খবর এলেও পরে ধীরে ধীরে বিপিন রাওয়াত সহ অন্যান্যদের মৃত্যুর খবর আসে।
এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় বুধবার প্রাণ হারিয়েছেন হাবিলদার সৎপাল রাই (Hav. Satpal Rai)। তিনি দার্জিলিঙের তাকদহের বাসিন্দা। তাঁর মৃত্যুতে পাহাড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা। পাশাপাশি রাওয়াতের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, বিপিন রাওয়াত-সহ ১৩ জনের মৃত্যুতে তিনি গভীর শোকাহত। রাওয়াতের মৃ্ত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হল।
https://twitter.com/RajuBistaBJP/status/1468616185990172674?s=20
Deeply anguished by the sudden demise of Chief of Defence Staff Gen Bipin Rawat, his wife and 11 other Armed Forces personnel in an extremely unfortunate helicopter accident today in Tamil Nadu.
His untimely death is an irreparable loss to our Armed Forces and the country.
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) December 8, 2021
General Rawat had served the country with exceptional courage and diligence. As the first Chief of Defence Staff he had prepared plans for jointness of our Armed Forces.
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) December 8, 2021
My heart goes out to the families of those who lost their loved ones in this accident. Praying for the speedy recovery of Gp Capt Varun Singh, who is currently under treatment at the Military Hospital, Wellington.
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) December 8, 2021
দার্জিলিঙের বাসিন্দা ৪১ বছরের হাবিলদার সতপাল রাই ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী। পরিবারের তরফে জানা গেছে, বুধবার সকালেই পরিবারের সকলের সঙ্গে তাঁর শেষ কথা হয়। তাঁর এক ছেলে সেনাবাহিনীতে কর্মরত। গোর্খা রাইফেলসের হাবিলদার পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। বুধবার রাতের দিকে সতপালের মৃত্যুর খবর পৌঁছায় দার্জিলিঙের বাড়িতে।
<
p style=”text-align: justify;”>উল্লেখ্য, এদিনের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত, ব্রিগেডিয়ার এলএস লিড্ডার, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হরজিন্দর সিং, নায়েক গুরসেবক সিং, নায়েক জিতেন্দ্র কুমার, ল্যান্সনায়েক বিবেক কুমার, ল্যান্সনায়েক বি সাই তেজা, হাবিলদার সৎপাল রাই। হেলিকপ্টারটি চালাচ্ছিলেন উইং কমান্ডার পৃথ্বী সিংহ চৌহান। গুরুতর জখম গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংহ। তিনি সেনা হাসপাতালে ভর্তি। ভারতীয় বায়ুসেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই দুর্ঘটনা কেন ঘটল, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
]]>নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরেই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন তৎকালীন লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিপিন রাওয়াত। ডিমাপুর থেকে উড়ানের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে চিতা হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল।
২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ডিমাপুরের সেই দুর্ঘটনায় চিতা হেলিকপ্টারটি মাটি থেকে উঠেই যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে পড়ে গিয়েছিল। ভিতরে ছিলেন বিপিন রাওয়াত ও অন্যান্যরা। অল্পের জন্য সবাই বেঁচে যান। পরে তদন্তে জানা যায় কোনও ষড়যন্ত্র নয় আসলেই ছিল দুর্ঘটনা।
২০১৫ সালে বিপিন রাওয়াতের নেতৃত্বে ভারতীয় সেনা প্রতিবেশি মায়ানমারের ঢুকে সেখানে থাকা নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। সেই বছরেই মনিপুরে সেনা কনভয়ে নাগা সশস্ত্র গোষ্ঠী এনএসসিএন (খাপলাং) হামলা চালায়। এই হামলায় ১৮ জওয়ানের মৃত্যু হয়। এর প্রত্যাঘাত করতেই নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উপর হামলা চালিয়েছিল সেনা বাহিনী।
নাগাল্যান্ড ফের রক্তাক্ত। গত শনিবার রাজ্যের মন জেলায় অসম রাইফেলসের গুলিতে ১৫ জন কয়লা খনির শ্রমিক মারা গেছে। ক্ষোভের মুখে পড়ে এক জওয়ান মৃত। মোট মৃত ১৬ জন। অসম রাইফেলস ঠান্ডা মাথায় গ্রামবাসীদের খুন করেছে বলে অভিযোগ মৃতদের আত্মীয় ও নাগা সংগঠনগুলির।এর জেরে নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী এনএসসিএন (আই-এম) গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখা নাগা আর্মি প্রত্যাঘাতের হুমকি দিয়েছে।
নাগাল্যান্ডের বিতর্কিত পরিস্থিতির মধ্যে তামিলনাডুতে বায়ু সেনার কপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেলেন জেনারেল রাওয়াত। তিনি ছিলেন দেশের সর্বাধিক আগ্রাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র নাগা সংগঠনের কাছে আতঙ্ক।
]]>তামিলনাডুতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় জেনারেল বিপিন রাওয়াত মৃত। বায়ু সেনা জানিয়েছে, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রী সহ মোট ১৪ জন মারা গেছেন কপ্টার দুর্ঘটনায়।
প্রয়াত জেনারেল বিপিন রাওয়াতের নামের সঙ্গেও সার্জিক্যাল স্ট্রা়ইক শব্দটি জুড়ে গেছিল। সেই ঘটনা তেমন আলোচিত নয়। প্রতিবেশি দেশ মায়ানমারের সীমান্ত পেরিয়ে সেদেশে নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদীদ্র ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেই ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন লেফটেনেন্ট জেনারেল বিপিন রাওয়াত।
২০১৫ সালের সেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ছিল ভয়ঙ্কর নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনএসসিএন (খাপলাং) এর দম্ভে আঘাত। অভিযানের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন বিপিন রাওয়াত।
নাগা সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনএসসিএন (খাপলাং) গোষ্ঠী ভারত সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় রাজি হয়নি। সংগঠনের প্রধান নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদ আন্দোলনের পুরোধা এস এস খাপলাং। ‘নাগালিম’ (বৃহত্তর স্বশাসিত নাগাল্যান্ড) গঠনের জন্য সশস্ত্র পথ বেছে নেওয়া খাপলাং এর বাহিনী বারবার নাশকতা ও হামলা চালিয়েছে উত্তর পূর্বাঞ্চলে। তবে খাপলাং প্রয়াত হওয়ার পর সংগঠনটিতে ভাঙন ধরেছে।
প্রয়াত জেনারেল বিপিন রাওয়াত উত্তর পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে অভিযানে বিশেষ দক্ষতা দেখিয়েছিলেন। যার অন্যতম মায়ানমারে ঢুকে খাপলাংপন্থী নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি ধংসের নীল নকশা তৈরি।
২০১৫ সালে মনিপুরের চান্দেল জেলায় সেনা কনভয়ে হামলা হয়। সেই হামলায় ১৮ জওয়ানের মৃত্যু হয়। এর পরেই ভারতীয় সেনা প্রত্যাঘাত করে। তৎকালীন লেফটেনেন্ট জেনারেল বিপিন রাওয়াতের পরিকল্পনা অনুসারে সেনার প্রায় ৭০ জন কমান্ডো অভিযানে অংশ নেয়। মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে সেদেশের জমিতে নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘিরে নিয়ে প্রায় আধঘণ্টার বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়েছিল সেনাবাহিনী। সেই অভিযানে ৩৮ জন নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদীর মৃত্যু হয়।
সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় সেনার প্রবেশে ক্ষোভ জানায় ততকালীন মায়নমার সরকার। কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় পরিস্থিতি সামাল দেয় ভারত সরকার।
]]>এদিকে দেশজুড়ে উদ্বেগ কেমন আছেন সেনা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত? কিছু সূত্র উদ্ধৃত করে তামিল সংবাদ মাধমের খবর, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এক ঝলসে যাওয়া ব্যক্তির চিকিৎসা চলছে। তবে সেনাবাহিনীর বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে সেনা প্রধানের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।
তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন উচ্চস্তরীয় চিকিৎসকদের বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন বলেই খবর। তামিলনাডু সরকার জানিয়েছে বুধবার দুপুরে কুন্নুর জেলায় উটির কাছে ঘন জঙ্গলের মধ্যে সেনাবাহিনীর এম-১৭ হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ে। এতেই ছিলেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং তাঁর স্ত্রী মধুলিকা।
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
]]>সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার দুপুরে তামিলনাড়ুর কুন্নুর জেলায় উটির কাছে ঘন জঙ্গলের মধ্যে সেনাবাহিনীর এম-১৭ হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গিয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত কপ্টারটির ১৪ জন যাত্রীর মধ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিপিন রাওয়াত এবং তাঁর স্ত্রী মধুলিকার শারীরিক অবস্থা যে অত্যন্ত সঙ্কটজনক তা বলাই বাহুল্য। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদিকে এদিনের দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন। এদিনই রাজনাথ সংসদে দুর্ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিতে চলেছেন বলে খবর।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন জানিয়েছেন, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ ও অন্যান্য আহতদের চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যেই ছয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে ওয়েলিংটনের সেনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত কপ্টারটিতে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত-সহ ১৪ (bipin rawat) জন ছিলেন। ঘন জঙ্গলের (dense forest) মধ্যে কোন রাস্তা না থাকায় দ্রুত উদ্ধার কাজ করা যাচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কপ্টারটি ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাতে আগুন ধরে যায়। দ্রুত কপ্টারটির আগুন নেভানোর কাজ চলছে। গুরুতর জখম বিপিন রাওয়াতকে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তামিলনাড়ু রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উটি ও কোয়েম্বাট্যুরের মাঝামাঝি দুর্গম পার্বত্য এলাকায় এদিন কপ্টারটি ভেঙে পড়ে। এ দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
একটি সূত্রের খবর, হাইটেনশন ইলেক্ট্রিকের তারে ধাক্কা লাগার কারণ কপ্টারটি ভেঙে পড়ে। মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কপ্টারটি দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। ওই কপ্টারে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার লেফটেন্যান্ট-সহ মোট ১৪ জন ছিলেন। কপ্টারটি চালাচ্ছিলেন বায়ুসেনার দুই অভিজ্ঞ পাইলট। কপ্টারটি বুধবার দুপুরে সুলুর সেনাঘাঁটি থেকে ওয়েলিংটন সেনাঘাঁটির দিকে যাচ্ছিল।
সূত্রের খবর, দৃশ্যমানতা কম থাকার কারণেই চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফকে নিয়ে ওড়া কপ্টারটি ভেঙে পড়েছে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তামিলনাড়ু যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিন একটি জরুরি বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন রাজনাথ। সেখানেই তাঁকে এই দুর্ঘটনার খবর দেওয়া হয়। এরপরই তিনি তামিলনাড়ু যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
]]>দুর্ঘটনাগ্রস্ত কপ্টারটিতে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত-সহ ১৪ (bipin rawat) জন ছিলেন। ঘন জঙ্গলের (dense forest) মধ্যে কোন রাস্তা না থাকায় দ্রুত উদ্ধার কাজ করা যাচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কপ্টারটি ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাতে আগুন ধরে যায়। দ্রুত কপ্টারটির আগুন নেভানোর কাজ চলছে। গুরুতর জখম বিপিন রাওয়াতকে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
https://youtu.be/Ep7Ez11y61A
তামিলনাড়ু রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উটি ও কোয়েম্বাট্যুরের মাঝামাঝি দুর্গম পার্বত্য এলাকায় এদিন কপ্টারটি ভেঙে পড়ে। এ দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।
একটি সূত্রের খবর, হাইটেনশন ইলেক্ট্রিকের তারে ধাক্কা লাগার কারণ কপ্টারটি ভেঙে পড়ে। মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কপ্টারটি দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। ওই কপ্টারে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার লেফটেন্যান্ট-সহ মোট ১৪ জন ছিলেন। কপ্টারটি চালাচ্ছিলেন বায়ুসেনার দুই অভিজ্ঞ পাইলট। কপ্টারটি বুধবার দুপুরে সুলুর সেনাঘাঁটি থেকে ওয়েলিংটন সেনাঘাঁটির দিকে যাচ্ছিল।
<
p style=”text-align: justify;”>সূত্রের খবর, দৃশ্যমানতা কম থাকার কারণেই চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফকে নিয়ে ওড়া কপ্টারটি ভেঙে পড়েছে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তামিলনাড়ু যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিন একটি জরুরি বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন রাজনাথ। সেখানেই তাঁকে এই দুর্ঘটনার খবর দেওয়া হয়। এরপরই তিনি তামিলনাড়ু যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিপিন রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রী-সহ ওই কপ্টারের আহত সকল যাত্রীকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে।
]]>আরও পড়ুন এক এক পয়সার জন্য ভিক্ষে করবে তালিবানরা! ব্যবস্থা করল আমেরিকা-বিশ্বব্যাংক
এর পরেই আফগানিস্তান সম্পর্কে প্রথম মন্তব্য করলেন ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত। তালিবানদের আফগানিস্তান দখলের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তালিবানদের আফগানিস্তান দখল প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু এত দ্রুত তারা আফগানিস্তান দখল করেছে, গোটা বিষয়টাই আমাদের অবাক করেছে”। পেন্টাগনও জানিয়েছিল, আগামী তিনমাসের মধ্যে কাবুল দখল করবে তালিবানরা। সেই রিপোর্টও ভুল প্রমাণ করে কয়েকদিনেই কাবুলে ঢুকেছিল তারা।
আরও পড়ুন তালিবানের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত বলে হুশিয়ারি দিলেন ‘লায়ন অফ পঞ্জশির’
একটি অনুষ্ঠানে জেনারেল রাওয়াত জানান, “গত কয়েকদিন ধরে যা কিছু ঘটেছে তা প্রত্যাশিতই ছিল। শুধুমাত্র সময়সীমা পরিবর্তিত হয়েছে। এত তাড়াতাড়ি আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালিবানদের হাতে যাবে আমরা ভাবি নি।” অন্যদিকে পাকিস্তানি বিভিন্ন সংগঠনের মন্তব্যে ভারতে নাশকতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জানিয়েছেন, “আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম কিভাবে আফগানিস্তান থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ভারতে ঢুকতে পারে। এর জন্য আমাদের কন্টিনজেন্সি প্ল্যানিং চলছিল। এখন আমরা এর জন্য প্রস্তুত।”
আরও পড়ুন তালিবান সরকার ইস্যু: পুতিন-মোদী আলোচনার পর প্রশ্ন সমর্থন ইঙ্গিত
ভারত আফগানিস্তান থেকে বেশ কিছু নাগরিককে ইতিমধ্যেই সরিয়ে নিয়েছে। আফগানদের, বিশেষ করে সংখ্যালঘু শিখ এবং হিন্দুদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে ভারত সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আফগানিস্তান থেলে বাকি আটকে থাকা ভারতীয়দের আনার প্রাণপণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
]]>