এমন মাহেন্দ্রক্ষণে অবশ্য এসসি ইস্টবেঙ্গল বাইচুং’কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে মোটেও ভুলে যায়নি। শুভেচ্ছা বার্তায়, নিজেদের অফিসিয়াল টুইটার পেজে পোস্ট,”এখানে ভারতীয় ফুটবল এবং ক্লাব আইকন @bhaichung15 𝙖 𝙫𝙚𝙧𝙮 𝙝𝙖𝙥𝙥𝙮 𝙗𝙞𝙧𝙩𝙝𝙖𝙮!
সমগ্র এসসি ইস্ট বেঙ্গল পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক অনেক ভালবাসা পাঠানো হচ্ছে। এটি শীর্ষে আছে, কিংবদন্তি!
#শুভ জন্মদিন ভাইচুং”।
তবে সকলের অজান্তে ভাইচুং ভুটিয়া নিজের পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাচ্ছেন নিজের গ্রাম টিঙ্কিতমে। একজন দায়িত্বশীল পিতা হিসেবে ভাইচুং ভুটিয়া কতটা সিরিয়াস সেটা ভাইচুং’র ইনস্ট্রাগ্রাম পোস্ট দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে, যেখানে নিজের বাড়ির ছবি পোস্ট করে ক্যাপসনে লিখেছেন,”শীতের এক সন্ধ্যায় আমার বাড়ির ছবি শেয়ার করছি। আমার বাচ্চাদের ছুটিতে বাড়িতে আসার জন্য অপেক্ষা করছি। @eagles_nest03 #gangtok #sikkim”।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (ISL) সামাজিক মাধ্যমে ভাইচুং’র জন্মদিন উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা বার্তায় পোস্ট করেছে,”একজন ভারতীয় ফুটবল কিংবদন্তি 

এখানে ভাইচুং ভুটিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি! 
সিকিমিজ স্নাইপারের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার থেকে আপনার প্রিয় স্মৃতি কী”?
শুধু তাইই নয়, ইনস্ট্রাগ্রাম ভাইচুং ভুটিয়া নিজের গ্রাম টিঙ্কিতমের অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবি পোস্টের ক্যাপসনে লিখেছেন,”আমার গ্রামের টিঙ্কিতমের কিছু ছবি শেয়ার করছি। ফুটপাথ হল যেখানে আমরা আমাদের শৈশবের দিনগুলিতে ঘন্টার পর ঘন্টা হেঁটে নিকটবর্তী শহরে পৌঁছতাম। #স্মৃতি #টিঙ্কিতম #সিকিম”।
অন্যদিকে সামাজিক মাধ্যমে বেশ কয়েকটি লাল হলুদ ফ্যান্স গ্রুপ “পাহাড়ি বিছে” ভাইচুং ভুটিয়া’র জন্মদিন উপলক্ষ্যে ভাইচুংকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
শুধু AIFF নয়, ফেডারেশনের সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেল পর্যন্ত নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ভাইচুং ভুটিয়ার জন্মদিন উপলক্ষ্যে কোন শুভেচ্ছা বার্তা সহ টুইট পোস্ট করেন নি।
ভাইচুং ভুটিয়া ১৯৯৩ সালে কলকাতার ইস্টবেঙ্গলের ক্লাবের জার্সি গায়ে চাপিয়ে পেশাদার ফুটবল জগৎ’এ আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এবং ওই বছর কলকাতা লীগে ৯ ম্যাচে ৪ গোল করেছিলেন। ক্লাব ফুটবলে ভাইচুং’কে মোহনবাগানের জার্সি গায়েও খেলতে দেখা যায়, এরপর দলবদল করে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে ফিরে আসেন।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে, ১৯৯৫ সালের ১০ মার্চ নেহরু কাপে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ভুটিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয়। ওই টুর্নামেন্টে ভুটিয়া উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি গোল করে সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় গোলদাতা হিসেবে রেকর্ড বুক করেন।
২০০৫ সালের SAFF চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ভুটিয়াকে ভারতের ফুটবল দলের অধিনায়ক করা হয়েছিল। ভারত ফাইনালে বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
ভুটিয়া একটি গোল করেছিলেন এবং টুর্নামেন্টে যে দুটি গোল করেছিলেন তার একটি অংশ ছিল। টুর্নামেন্টের ২০০৮ সংস্করণে, ভুটিয়া মাত্র একটি গোল করেছিল এবং ভারতকে ফাইনালে পৌঁছাতে সাহায্য করেছিল যেখানে তারা মালদ্বীপের কাছে ১-৯ গোলে হেরেছিল।
ভাইচুং ২০০৮ AFC চ্যালেঞ্জ কাপ জিতেছিল এবং তিনটি গোল করে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল। ভুটিয়ার ১০০ তম ক্যাপ এসেছিল ২০০৯ সালে, নেহরু কাপে, তিনিই প্রথম ভারতীয় খেলোয়াড় যিনি এই মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন। ফাইনালে বাদ পড়া সত্ত্বেও তিনি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হন। ভাইচুং ভুটিয়া টিম ইন্ডিয়ার হয়ে মোট ১০৪ ম্যাচে ৪০ টি গোল করেছেন।
ভাইচুং ভুটিয়া প্রথম ভারতীয় ফুটবলার যিনি, ১৯৯৯ সালে ইউরোপে একটি পেশাদার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ম্যানচেস্টার-ভিত্তিক দল বারি ক্লাব দলে খেলার জন্য। টানা তিন মরুসুমে আশানুরূপ ফল না পাওয়াতে,৩৭ ম্যাচে তিন গোল এমন পারফরম্যান্সের পরে ভারতে ফিরে এসে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব জয়েন করেন।
ভাইচুং ভুটিয়া ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের জানুয়ারিতে ভাইচুং ভুটিয়া’র অবসরের মুহুর্তকে চির স্মরণীয় করার লক্ষ্যে একটি ফেয়ার ওয়েল
ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভুটিয়া তারপর ২০১৫ সালে ইউনাইটেড সিকিমে তার শেষ ক্লাব ম্যাচ খেলে গৌরবময় ফুটবল কেরিয়ারের সমাপ্তি ঘটায়।
<
p style=”text-align: justify;”>ভাইচুং বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলারদের ফুটবল প্রতিভার সঠিক উন্নয়নের টার্গেট নিয়ে ভাইচুং ভুটিয়া ফুটবল আবাসিক আকাদেমি প্রতিষ্ঠা করেছেন, দিল্লী’র বেদাসে।
দেশের ফুটবলের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে তরুণ প্রতিভা অম্বেষণের খোঁজে নেমে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের(AIFF) কাছে ভাইচুং ভুটিয়া ব্রাত্য যে জন!
ঠিক যেন সমানুপাতিক সম্পর্ক। সম্প্রতি ‘রিটার্ন টু হগওয়ার্টস’-এর প্রথম লুক প্রকাশ করা হয়েছে। আগামি বছর ১ জানুয়ারি এই সিনেমা মুক্তি পাবে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে ব্যাস্ততম তারকা ড্যানিয়েল ব়্যাডক্লিফ, রুপার্ট গ্রিন্ট এবং এমা ওয়াটসন।
আটটি সিনেমার হ্যারি পটার সিরিজের প্রথম সিনেমা ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য সর্সারার্স স্টোন’-এর ২০তম বার্ষিকীকে স্মরণ করবে এই রিইউনিয়ন। হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য সর্সারার্স স্টোন মুক্তি পায় ২০০১ সালের নভেম্বর মাসে।
এছাড়াও দেখা যাবে হেলেনা বনহ্যাম কার্টার, রবি কোলট্রেন, রাল্ফ ফিয়েনস, জেসন আইজ্যাকস, গ্যারি ওল্ডম্যান, টম ফেলটন, জেমস ফেলপস, অলিভার ফেলপস, মার্ক উইলিয়ামস, বনি রাইট, আলফ্রেড এনোক, ম্যাথিউ লুইস এবং ইভানা লিঞ্চকে।
জে.কে. রাউলিংয়ের একটা আবেগের নাম যার লেখা হ্যারি পটার সিরিজ থেকেই সিনেমা। মজার বিষয় হ্যারি পটারের বই পড়া থেকে সিনেমা দেখা দুটো বিষয়েই স্বাচ্ছন্দ দর্শক এবং পাঠকবৃন্দ।
]]>ক্ষুদিরামের মূর্তিতে মাল্যদানের পর বাংলা পক্ষের কেশপুর শাখার পক্ষ থেকে ক্ষুদিরামের আদর্শ বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার শপথ নেওয়া হয়।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির জন্য চলতি বছরে ক্ষুদিরামের জন্ম দিবস পালনে সেভাবে কোনও অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। তবে আগামী বছর তাঁরা যথারীতি আড়ম্বরের সঙ্গেই ক্ষুদিরামের জন্ম ও মৃত্যু দুই-ই পালন করবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত পার্থ নন্দী বলেন, ক্ষুদিরাম বসুর দেখানো পথই বাংলার যুব সমাজের এগিয়ে চলার পাথেয় হবে। ক্ষুদিরাম বসুর চোখে যে স্বপ্ন ছিল সেই স্বপ্ন পূরণ করা দেশের যুব সমাজের দায়িত্ব। ব্রিটিশ সরকার হয়তো ফাঁসি দিয়ে ক্ষুদিরামের নশ্বর দেহটিকে শেষ করে দিতে পারে, কিন্তু তাঁর আদর্শকে কখনওই মানুষের মন থেকে মুছে দিতে পারে না। ক্ষুদিরাম বসুর এই আদর্শকে বাংলা পক্ষ বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবে।
বাংলা পক্ষের তরফ চিন্ময় বড়দোলই বলেন, বাংলায় বলেন ১৮ বছর বয়সি এক তরতাজা কিশোরের আত্মবলিদান ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ ক্ষুদিরামের কথা আমাদের ভুলিয়ে দিতে চাইলেও বাংলাপক্ষ সকলকে তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে। দেশের মাঝে বাংলা ও বাঙালি একদিন নিশ্চিতভাবেই তাদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে। ক্ষুদিরামের জন্মদিনে এটাই আমাদের শপথ।
]]>যাকে ‘আমার প্রিয় মা’ বলে সম্বোধন করতেন সেই ওলি সারা বুল ও ভগিনী নিবেদিতার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাহায্য ছাড়া তার এই স্বপ্ন সফল হতো না। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর অবশ্যই আচার্য বসুর পত্নী লেডি অবলা বসু। বসু বিজ্ঞান মন্দির ভবনের নকশা তৈরি করেছিলেন অবনীনাথ মিত্র ৷ বসু বিজ্ঞান মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে কলকাতার জনসমাজে অভূতপূর্ব সাড়া পড়েছিল ৷ শহরের প্রায় ১৫০০ গন্যমান্য ব্যক্তিরা নিমন্ত্রিত হয়ে উদ্বোধন সভায় সমবেত হয়েছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ বসু বিজ্ঞান মন্দির-এর মধ্য দিয়ে সমস্ত দেশের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন দেখতে পেয়েছিলেন ৷ বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার সময় কবিগুরু ছিলেন আমেরিকায় ৷ শত ব্যস্ততার মাঝে উদ্বোধনী সঙ্গীত লিখে পাঠিয়েছিলেন ৷ সেই বিখ্যাত সঙ্গীতটিই হল ‘মাতৃমন্দির পুন্য অঙ্গন কর মহোজ্জ্বল আজ হে ৷ শুভ শঙ্খ বাজ হে বাজ হে’৷ এই গানটি সমবেত কণ্ঠে গেয়েছিলেন শান্তিনিকেতনের একদল ছাত্র-ছাত্রী দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নেতৃত্বে । ১৯১৫ সালে জগদীশচন্দ্র প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অবসর নেবার পর বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার কাজে উদ্যোগী হন। তৎকালীন ৯৩/১ আপার সার্কুলার রোডে বর্তমানে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রোডে অবস্থিত এই ভবনটি বাংলা তথা ভারতের বিজ্ঞান সাধনার ক্ষেত্রে পথিকৃত হয়ে আছে।
এখানে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংগ্রহশালা আছে। রেডিও গবেষণায় জগদীশচন্দ্র বসু-র অবদান উল্লেখযোগ্য। ১৮৯৫ সালে তিনি অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ বা মিলিমিটার ওয়েভ আবিষ্কার করেন। কোন তার ছাড়া এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তা প্রেরণ করে দেখান। তিনিই সর্বপ্রথম রেডিও তরঙ্গ শনাক্ত করতে সেমিকন্ডাক্টর জাংশন ব্যবহার করেন। এখনকার সময়ে ব্যবহৃত অনেক মাইক্রোওয়েভ যন্ত্রাংশও তিনি আবিষ্কার করেন। বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ তথ্যের আদান প্রদান ঘটে মূলত এই ওয়েভের মাধ্যমেই।
এছাড়াও ১৯০১ সালে তার যুগান্তকারী গবেষণায় তিনি প্রমাণ করেন যে উদ্ভিদও প্রাণীর মতো বাহ্যিক প্রভাবকের প্রভাবে সাড়া দিতে সক্ষম। উদ্ভিদও যে শব্দ, তাপ, শীত, আলো ও অন্যান্য বাহ্যিক উদ্দীপনায় সাড়া দিতে পারে তা তিনি প্রমাণ করেছিলেন ক্রিস্কোগ্রাফ নামক বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে। এই যন্ত্রটির বিশেষত্ব হল, এটি বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদে উৎপন্ন উদ্দীপনাকে রেকর্ড করতে পারে। বোস ইন্সটিউট বা বসু বিজ্ঞান মন্দিরের সংগ্রহশালায় এই সমস্ত যন্ত্র যত্ন সহকারে রাখা আছে।
এইসব যন্ত্রপাতি ও তাঁর ব্যবহৃত অনেক জিনিস বসু বিজ্ঞান মন্দিরের সংগ্রহশালায় রক্ষিত আছে। ভারতের গৌরব ও কল্যান কামনায় তার নিজের হাতে লেখার উজ্বল স্মৃতি – চিহ্নটি এখনও বিদ্যমান।
]]>এদিন ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জীতেন চৌধুরী বলেন, পুর ভোটের নামে প্রহসন হল ত্রিপুরায়। এর আগে এ রাজ্যের মানুষ কখনও এত নির্লজ্জ সরকার দেখেনি। ত্রিপুরার বিজেপি সরকার আইন-আদালত কিছুই মানে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশকেও বুড়ো আঙুল দেখায়। ভোটের নামে কার্যত লুঠপাট চালিয়েছে বিপ্লব দেব সরকার। তাঁদের এই অভিযোগ যে ভিত্তিহীন নয় তার প্রমাণ হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথাই তুলে ধরেন জিতেন চৌধুরী। তিনি বলেন, ভোট চলাকালীন কোন রাজ্যে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর নির্দেশ এই প্রথম।
রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান নারায়ণ কর বলেন, ভোটের নামে বিজেপির দুষ্কৃতী বাহিনী দাপিয়ে বেড়িয়েছে। কী প্রয়োজন ছিল অর্থ খরচ করে এই প্রহসনের। এরচেয়ে সব আসনেই তো বিজেপি নিজেদেরকে জয়ী বলে ঘোষণা করতে পারত। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক বলেছেন, যে সমস্ত বুথে ভোট হয়েছে সেখানেই ব্যাপক সন্ত্রাস চালিয়েছে বিজেপি। এই নির্বাচন বাতিল করে নতুন করে নির্বাচন করতে হবে। সুবলের দাবি, আগরতলার একাধিক ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীদের ওপর নৃশংস হামলা হয়েছে। তাঁদের এক মহিলা প্রার্থীর চোখ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিএম দাবি করেছে, এই নির্বাচন বাতিল করে দিয়ে নতুন করে ভোট গ্রহণ করতে হবে। কারণ শুধু আগরতলা নয়, এদিন কোনও বুথেই ভোট দিতে পারেনি সাধারণ মানুষ। বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মন অনেকটা বিরোধীদের সুরেই কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কখনও এমন ভোট দেখেননি। এদিন শুধু বহিরাগতরাই দাপিয়ে বেড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এমন ভয় দেখিয়ে ভোট না করলেই ভালো করতেন। কারণ এতে বিজেপিকে মানুষের অভিশাপ কুড়োতে হচ্ছে। যা ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় বুমেরাং হতে পারে।
অন্যদিকে বিজেপি তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিরোধীরা নিজেদের পরাজয় বুঝতে পেরে এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। তবে আজকের নির্বাচনে মানুষ বিরোধীদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। পুলিশকর্মী থেকে শুরু করে যারা ভোট গ্রহণের কাজে যুক্ত ছিলেন তাঁদের সকলকেই ধন্যবাদ জানিয়েছে বিজেপি।
]]>আবুল কালাম আজাদ ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি অবধি দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ভারতের জাতীয় শিক্ষা দিবস প্রতি বছর ১১ নভেম্বর পালিত হয় । মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় ১১ ই সেপ্টেম্বর ২০০৮ এ ঘোষণা করেছিল, “ভারতের এই মহান পুত্রের জন্মদিন উদ্যাপনের মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতে শিক্ষাব্যবস্থায় তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করে। ২০০৮ সাল থেকে প্রতিবছর ১১ নভেম্বর থেকে এটিকে ছুটি ঘোষণা না করে জাতীয় শিক্ষা দিবস হিসাবে উদযাপিত করা হবে। ” দেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাক্ষরতার গুরুত্ব এবং শিক্ষার সকল দিকের প্রতি দেশের অঙ্গীকারের স্লোগান, সিম্পোজিয়া, প্রবন্ধ-রচনা, শ্রুতিমধুরতা প্রতিযোগিতা, ব্যানার কার্ড সহ ওয়ার্কশপ ও সমাবেশ করে দিবসটি উদ্যাপন করে।
স্বাধীন ভারতে শিক্ষাব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন, এবং এই ক্ষেত্রে দেশের বর্তমান ভূমিকার মূল্যায়ন ও উন্নতিতে আজাদের অবদানকে স্মরণ করার জন্য এই দিনটিকে একটি উপলক্ষ হিসাবেও দেখা হয়।
মৌলানা আবুল কালাম ১৮৮৮ সালের ১১ই নভেম্বর সৌদি আরবের মক্কায় জন্ম গ্রহণ করেন যেটি তখন উসমানীয় সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। তার আসল নাম ছিল সৈয়দ গুলাম মুহিউদ্দিন আহমেদ বিন খায়েরুদ্দিন আল হুসায়নি, কিন্তু তিনি সময়ের আবর্তনে মওলানা আবুল কালাম আজাদ নামে পরিচিত হন। আজাদের পিতা দিল্লীতে বসবাসকারী একজন আলেম ছিলেন যিনি তার মাতামহের সাথে থাকতেন, কারণ তার পিতা অনেক কম বয়সে মারা যান। তার শৈশব কাটে কিছুটা অসহায়ত্বের মধ্যে। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের সময় আজাদের পিতা খায়েরউদ্দীন মক্কায় চলে যান এবং সেখানেই বসবাস করতে থাকেন। সেখানেই সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করেন।
১৮৮৮ সালের ১১ নভেম্বর সেখানে আজাদের জন্ম হয়। তারপর ১৮৯০ সালে তার পিতা সপরিবারে কলকাতায় চলে আসেন। খায়েরউদ্দীন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করার পর থেকে আজাদের পরিবার এখানেই স্থায়ী হয়। আজাদের পরিবার ছিল ধর্মীয়ভাবে রক্ষণশীল। তাই ছোটবেলায় ধর্মীয় শিক্ষা লাভের মধ্য দিয়ে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। তখনকার সময়ে বৃটিশ নিয়ন্ত্রিত, প্রচলিত স্কুল কিংবা মাদ্রাসা শিক্ষায় খায়েরউদ্দীনের এর খুব একটা আস্থা ছিল না। তাই তিনি বাড়িতেই আজাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। বাড়িতেই আজাদ আরবি ভাষায় গণিত, জ্যামিতি, দর্শন প্রভৃতি শিক্ষালাভ করেন। আরবি মাতৃভাষা হওয়ায় এবং ধর্মের প্রতি একনিষ্ঠ ও দৃঢ় বিশ্বাসী পারিবারিক পটভূমির কারণে প্রচলিত ধারায় ইসলামী শিক্ষার চর্চা করা ছাড়া আজাদের অন্য কোনো বিকল্প ছিল না। প্রাতিষ্ঠানিক আধুনিক শিক্ষা লাভ না করলেও ব্যক্তিগতভাবে অধ্যয়ন ও ব্যাপক পাঠাভ্যাসের মাধ্যমে তিনি উর্দু, ফারসি, হিন্দি ও ইংরেজিতে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। তার সময়ের অনেক যশস্বী ব্যক্তিদের মতো তিনিও নিজ চেষ্টায় শিক্ষিত হওয়ার পথ অনুসরণ করেন এবং বিশ্ব ইতিহাস ও রাজনীতি সম্পর্কে বিপুল জ্ঞানের অধিকারী হন।
তরুণ বয়সে স্যার সৈয়দ আহমদ খানের লেখা পড়ে তিনি গভীরভাবে প্রভাবিত হন। তার চিন্তাধারায় পরিবর্তন ঘটে। তিনি আধুনিক শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারেন। তাই ইংরেজী শিক্ষায় ব্রতী হন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই নিজ প্রচেষ্টায় দক্ষতা অর্জন করেন। সে সময়ে সমাজের প্রচলিত রীতি, পদ্ধতি আর বিশ্বাসের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারছিলেন না। একটা সময় তার ওপর পরিবারের সমস্ত শৃঙ্খল সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়ে। বিদ্রোহের এক নতুন বোধে তার মন-প্রাণ ছেয়ে যায়। তখন নিজের নামের শেষে ‘আজাদ’ যুক্ত করেন, যার অর্থ মুক্ত।
আজাদ যখন বিপ্লবী চিন্তাধারায় একটু একটু আকর্ষণ অনুভব করছেন, ঠিক তখন তিনি শ্রী অরবিন্দ ঘোষ এবং শ্যামসুন্দর চক্রবর্তীর মতো বিপ্লবী নেতাদের সংস্পর্শে আসেন এবং তাদের মাধ্যমে তিনি বিপ্লবী রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তার কিছুদিন পর তিনি মিশর, তুরস্ক, সিরিয়া, ইরাক প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেন এবং সেসব দেশের বিপ্লবীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তাদের সাথে কথা বলে তিনি বুঝতে পারেন, ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য বিপ্লব করতেই হবে। তাই দেশে ফেরার পর তিনি মানুষকে স্বাধীনতায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে ‘আল হিলাল’ নামে উর্দুতে একটি পত্রিকা প্রকাশ করা শুরু করেন।
এই পত্রিকা ব্রিটিশদের সমালোচনা করে এবং মানুষের মাঝে বিপ্লব ছড়িয়ে দিয়ে ব্রিটিশবিরোধী মনোভাব জাগিয়ে তোলে। ফলে অল্পদিনেই পত্রিকাটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং উর্দু সাংবাদিকতার ইতিহাসে এক মাইলফলক সৃষ্টি করে। জনপ্রিয়তা দেখে ব্রিটিশ সরকারের পিলে চমকে যায় এবং তড়িঘড়ি করে পত্রিকা বাজেয়াপ্ত করে। পরবর্তীকালে আজাদ ‘আল বালাঘ’ নামে আরো একটি পত্রিকা চালু করলে ব্রিটিশ সরকার সেটিও বাজেয়াপ্ত করে দেয়। ব্রিটিশ সরকার উপায়ান্তর না দেখে তাকে কলকাতা থেকে বহিষ্কার করে। আজাদ বিহারে চলে যান। কিন্তু সেখানেও তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। ১৯২০ সালের পহেলা জানুয়ারি তিনি মুক্তি পান এবং কলকাতায় চলে আসেন।
কলকাতায় এসে তিনি খিলাফত আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন। ততদিনে মহাত্মা গান্ধী অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে দিয়েছেন। খিলাফত আন্দোলন আর অসহযোগ আন্দোলন একসাথে চলার ফলে তিনি গান্ধীর সংস্পর্শে আসেন। আজাদ গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলনকে পূর্ণভাবে সমর্থন করেন এবং যুগপৎভাবে অসহযোগ এবং খিলাফত, দুই আন্দোলনেই সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। আন্দোলনের ফলে ব্রিটিশ সরকার সারাদেশে ধরপাকড় শুরু করলে তিনি অন্যান্য কংগ্রেস নেতার সাথে গ্রেফতার হন এবং দু’ বছর কারাবাস শেষে মুক্তি পান। এই সময়ে তিনি শীর্ষ কংগ্রেস নেতাদের একজন হয়ে ওঠেন এবং ১৯২৩ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন।
বিপ্লব ও সাংবাদিকতা –
আজাদ সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করেন যা তৎকালীন বেশিরভাগ মুসলিমদের জন্য চরমপন্থা হিসেবে বিবেচিত হত। তিনি ব্রিটিশদের ওপর জাতিগত বৈষম্য এবং ভারতীয় সাধারণ মানুষের প্রয়োজনকে উপেক্ষা করার অভিযোগ তোলেন। বিপ্লবী ও সাংবাদিক জীবন: মুসলমান হলেও ধর্মের বদলে সেক্যুলার বা ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদী আজাদ পুরোপুরি জাতীয়তাবাদী ভারতীয় (ইন্ডিয়ান ন্যাশনালিস্ট) হয়ে যান। তিনি জাতিগত বৈষম্য উসকে দেওয়ার জন্য এবং সারা ভারতে সাধারণ মানুষের দাবি ও প্রয়োজন উপেক্ষা করায় ইংরেজদের অত্যন্ত তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন। জাতীয় ইস্যুর আগে সাম্প্রদায়িক ইস্যুকে বড় করে দেখায় তিনি মুসলিম রাজনীতিবিদদেরও সমালোচনা করেন।
আজাদ স্যার সৈয়দ আহমদের ‘ন্যাশনালিস্ট’ আইডিয়ার প্রতি অনুরক্ত হন। ১৯০৮ সালে তিনি ইরাক, সিরিয়া, মিশর, তুরস্ক ও ফ্রান্স ভ্রমণ করেন ও তাদের যুব সমাজের মধ্যে কামাল আতাতুর্কের ধর্ম ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতা ও জাতীয়তাবাদী মতবাদ তাঁকে প্রভাবিত করে। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় তিনি সাধারণ মুসলিম সম্প্রদায়ের মতবাদের বিপরীতে অবস্থান নেন। এ সময় তিনি হিন্দু বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ ও শ্যাম সুন্দর চক্রবর্তীর সংস্পর্শে আসেন। ধর্মের বদলে রাজনীতিতে মাওলানা আজাদের অনুরাগ দেখে মাওলানা শিবলী নোমানী তাঁকে ‘ওয়াকিল’ পত্রিকার সম্পাদক অমৃতসরের খান আতার কাছে পাঠান। সেখানে তিনি সম্পাদকমণ্ডলীর সভ্য হিসেবে পাঁচ বছর কাটান। কলকাতায় ফিরে ১৯১২ সালে তিনি ‘আল-হিলাল’ নামে একটি উর্দু পত্রিকা বের করেন। এতে ব্রিটিশ পলিসিকে আক্রমণ ও সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয়।
সাংবাদিকতা: ১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠিত আজাদের উর্দু সাপ্তাহিক সংবাদপত্র আল-হেলাল প্রকাশ্যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতে এর অপকর্মের আক্রমণাত্মক সমালোচনা করে। এ পত্রিকা কংগ্রেস ও জাতীয়তাবাদী মতামত প্রকাশে একটি শক্তিশালী বিপ্লবী মুখপত্রে পরিণত হয়। সম্প্রদায় ভিত্তিক প্রতিনিধিত্বের প্রশ্নে দুসম্প্রদায়ের মধ্যে সৃষ্ট শত্রুতার পর হিন্দু-মুসলমান ঐক্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আল-হেলাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকার আল-হেলাল সাপ্তাহিকীকে বিপজ্জনক মতামত প্রচারে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত করে এবং সে কারণে ১৯১৪ সালে পত্রিকাটি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। আজাদ তখন এটির নাম পরিবর্তন করেন এবং আল-বালাগ নামে অপর একটি সাপ্তাহিকী প্রকাশ করেন। এ পত্রিকারও উদ্দেশ্য ছিল অভিন্ন অর্থাৎ হিন্দু-মুসলমান ঐক্যের ভিত্তিতে ভারতীয় জাতীয়তাবাদ ও বিপ্লবী ধ্যান-ধারণা প্রচার করা। কিন্তু ১৯১৬ সালে সরকার এ পত্রিকাও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং আজাদকে কলকাতা থেকে বহিষ্কার করে রাঁচিতে অন্তরীণ করে রাখে। সেখান থেকে তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২০ সালে মুক্তি পান।
মৌলানা আজাদ যখন খিলাফত আন্দোলনের নেতৃত্বদান করেন; সেই সময় তিনি মহাত্মা গান্ধীর সংস্পর্শে আসেন। আজাদ ১৯১৯ সালের রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস অসহযোগের ধারণায় অনুপ্রাণিত হয়ে অসহযোগ আন্দোলন সংগঠনে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।
১৯২৩ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনিই ছিলেন কংগ্রেসের সর্বকনিষ্ঠ সভাপতি। ১৯৩১ সালে মৌলানা আজাদ ধারাসন সত্যাগ্রহ শুরু করেন। এই সময় তিনি দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক নেতা হয়ে ওঠেন। তিনি ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতান্ত্রিক ধ্যানধারণা এবং হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতির কথা প্রচার করেন। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় পাঁচ বছর (১৯৪০-৪৫) তিনি কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এই সময় তিন বছর তিনি কারারুদ্ধ ছিলেন। যে সকল ভারতীয় মুসলমান মুসলমানদের জন্য পৃথক পাকিস্তান রাষ্ট্রের দাবির বিরোধিতা করেছিলেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব ছিলেন মৌলানা আজাদ। আ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় তিনি হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতির প্রচেষ্টা চালান। স্বাধীন ভারতের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে তিনি বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি চালু করেন। তিনিই ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন স্থাপন করেন।
]]>সোশাল মিডিয়াতে গির্বন বলেন”অত্যন্ত নম্র, অসাধারণ একজন শিল্পী যিনি পুরো প্রজন্মের অজি বোলারকে ছোটদের মতো দেখতে তৈরি করেছেন৷ আজ যদি কোনও ছোট বাচ্চা তার স্বপ্নগুলি অনুসরণ করে মাটিতে পৌঁছানোর জন্য তার কিট বহন করে তবে এই লোকটির কারণেই৷” ১ নভেম্বর ছিল ক্রিকেটের ধ্রুপদী শিল্পী ভিভিএস লক্ষণের জন্মদিন। আর এমন ভেরি ভেরি স্পেশাল ম্যানের জন্মদিনে কলকাতার ছোট্ট এক বোন শিল্পী ভট্টাচার্যের নিজের হাতে আঁকা ভিভিএস লক্ষণের পেনন্সিল স্কেচ তুলে দিতে পেরে ভীষণ ভাবে আবেগপ্লুত বাংলার ছেলে গির্বন চক্রবর্তী।

এমন বিশেষ একটা দিন, যেখানে কিংবদন্তী ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষণের জন্মদিনে গির্বন তুলে দিয়েছে কলকাতার আরও এক কৃতি বাঙালি ছোট্ট বোন শিল্পী ভট্টাচার্যের হাতে আঁকা পেনন্সিল স্কেচ, যা দেখে ‘ভেরি ভেরি স্পেশাল’ ডাকনাম ভিভিএস লক্ষণ “কলকাতা থেকে আঁকা এই ছবি শুনে ভীষণই খুশি” হয়েছে।
আর লক্ষণ খুশি হবে নাই বা কেন। নিজের টেস্ট ক্রিকেট কেরিয়ারের সোনালি সময়ে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে, স্টিভ ওয়ার অস্ট্রেলিয়ার টানা ১৬ টেস্ট ম্যাচের অপরাজিত থাকার অহংকারের দর্পচূর্ণ হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বতে। যখন ভিভিএস লক্ষণ এবং ‘দ্য ওয়াল’ রাহুল দ্রাবিড় জুটি স্টিভ ওয়া বাহিনীর মাথায় চেপে ডুগডুগি বাজিয়ে অস্ট্রেলিয়ার অশ্বমেধের ঘোড়ার দৌড় থামিয়ে দিয়েছিল।
ক্রিকেটের নন্দনকাননে অজি শিবির ১৭ টি টানা টেস্ট ম্যাচ জয়ের জন্য টিম ইন্ডিয়ার ওপর ‘নেকড়ে’ ‘হায়না’র মতো আক্রমণাত্মক মেজাজে স্লেজিং এর কড়াল ছোবলে বিদ্ধ করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ঠিক সেই সময়ে ভিভিএস লক্ষনের ২০০০-০১ ভারতে অস্ট্রেলিয়া সফরের দ্বিতীয় টেস্টে ইডেন গার্ডেনে লক্ষণের প্রথম ইনিংসে ৫৯ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত ২৮১ রান। ইডেনে ২৮১ রান করার সঙ্গেই লক্ষণ আরও একটি মাইলস্টোন গেড়ে বসে এবং তা হল কিংবদন্তী ভারতীয় ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কারের করা ২৩৬ রানে অপরাজিত থাকার দীর্ঘদিনের রেকর্ড ভেঙে দিয়ে।
স্টিভ ওয়ার অস্ট্রেলিয়া টানা ১৫ টি টেস্ট ম্যাচে অপরাজিত থেকে মুম্বই’র মাটিতে পা রেখে টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছুঁড়তে শুরু করে, অজিদের ট্র্যাকটিক্যাল গেম প্ল্যান মতো। বাইশ গজে ‘স্লেজিং’কে করে তুলেছিল নিজেদের হাতিয়াড় অজি শিবির। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০০১ সালের ওই হোম সিরিজ লক্ষ্মণের কেরিয়ারকে নাটকীয়ভাবে বদলে দেয়। মুম্বইতে প্রথম টেস্টে, লক্ষ্মণ ২০ এবং ১২ রান করেন, শচীন তেন্ডুলকর বাদে পুরো ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপ আত্মসমর্পণ করে অস্ট্রেলিয়ার কাছে, যার ফলে ১০ উইকেটের পরাজয় ঘটে টিম ইন্ডিয়ার। অস্ট্রেলিয়া টানা ১৬ টেস্ট ম্যাচ জয় করে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে কলকাতায় আসে ১৭ তম টেস্ট ম্যাচ টানা জয়ের লোলুপ নেশায় মত্ত হাতির মতো তাণ্ডব করতে। কিন্তু সেগুড়ে বালি!
অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘মগজশাস্ত্রে’ বেরিয়ে আসে অজি বধের ফর্মুলা। ‘স্লেজিং’ বুমেরাং হয় দ্বিতীয় টেস্টে স্টিভ ওয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে, ইডেন গার্ডেনে। সঙ্গে ভিভিএস লক্ষণের ৪৫২ বলে ২৮১ রান, ম্যাকগ্রার বলে রিকি পন্টিং’র হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে লক্ষণ আর লক্ষণে’র জোড়িদার রাহুল দ্রাবিড়ের ৩৫৩ বলে ১৮০ করে রান আউট, শিব সুন্দর দাসের ৩৯,সদগোপান রমেশের ৩০,সচিন তেন্ডুলকরের ১০,সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ৪৮, নয়ন মঙ্গিয়া ৪,জাহির খানের ২৩ এবং হরভজন সিং’র ৮ রানে অপরাজিত থাকা, ভারতের ৬৫৭ রান তোলে ৭ উইকেটে, ফলোয়ন করে।
অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে টার্গেট ৩৮৪ রানের, যেখানে হরভজন সিং ৬,সচিন তেন্ডুলকর ৩ এবং বেঙ্কটপতি রাজু এক উইকেট। স্টিভ ওয়ার অস্ট্রেলিয়ার টানা ১৬ টেস্ট ম্যাচ অপরাজিত থাকার অহংকার গঙ্গার জলে ধুঁয়ে মুছে সাফ হয়ে যায়। ভারত জেতে ১৭১ রানে অস্ট্রেলিয়ার টানা ১৬ টেস্ট ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভেঙে।
<
p style=”text-align: justify;”>এমন ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ জয় ভারতের এবং ভিভিএস লক্ষণের সোনালি পারফরম্যান্স নিজের ধ্রুপদী ক্রিকেটকে ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেন গার্ডেনে রামধনুর রঙের ছটায় ভাসিয়ে তোলা আর ২০২১ সালে ১ নভেম্বর নিজের ৪৭ তম জন্মদিনে হায়দরাবাদী ভিভিএস লক্ষণের হাতে ধারাভাষ্যকারদের বায়ো বাবল টু বাবল ম্যানেজার গির্বন চক্রবর্তীর হাত ধরে কলকাতার অনামী ছোট্ট বোন শিল্পী ভট্টাচার্যের পেনন্সিল স্কেচ ইডেন গার্ডেনে ভিভিএস লক্ষণের ক্রিকেটের অমর গাঁথাকে শিল্পের ছোঁয়ায় ফুটিয়ে তোলা বিশেষ মুহুর্ত লক্ষণের জীবনে ভালোলাগা, ভালবাসা, ক্রিকেটের নন্দনকাননের সঙ্গে বাইশ গজের সূত্রে নাড়ির সম্পর্ককে আরও গভীরে গেঁথে দিল।
]]>
পেলের মতোই হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন মারাদোনা। শ্রমিক বাবা চিতোরো আর পরিচারিকা মা তোতার সঙ্গে তিনি থাকতেন ভিসা ফিওরিতার এক বস্তিতে। সেখানকার নালাতে তিনি ডুবে যাচ্ছিলেন দুই বছর বয়সে। কাকা দেখতে পেয়ে তাঁকে তুলে আনেন। শুনেছি, তোতার যে দিন প্রসব বেদনা ওঠে সেদিন বড় ফুটবল ম্যাচ ছিল। রেডিওতে ধারা বিবরণী চলছিল। মারাদোনা যখন পৃথিবীর মুখ দেখবেন সেই সময়ে না কি তোতা প্রচণ্ড চিৎকার করে ওঠেন গোওওওওলল বলে। সেদিন ওই হাসপাতালে জন্ম নেওয়া সব কন্যা সন্তানের মধ্যে একমাত্র মারাদোনাই ছিলেন পুত্র। সবাই তোতাকে বলে ছিলেন, “দেখো তোমার এই ছেলে একদিন নামী ফুটবলার হবে।” শুনে আনন্দে তোতা কেঁদে ফেলেন। আশীর্বাদ বাস্তব হয়েছিল।

মারাদোনার সারা জীবন জুড়ে ছিলেন তাঁর মা তোতা। পরিবারের প্রতি তাঁর অদ্ভূত টান। বিরাশির বিশ্বকাপের আগে জার্মানির সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ রিভারপ্লেটের মাঠে। লোথার ম্যাথেউজ খেলতেই দিলেন না তাঁকে। গ্যালারি থেকে বিদ্রুপ ভেসে আসতে লাগল। সেই সঙ্গে মা বাপ তুলে অকথ্য গালিগালাজ। মারাদোনা সহ্য করতে না পেরে এক দর্শককে মেরে বসলেন। ব্যাস পরদিন তাঁর তুমুল সমালোচনা হল। রেগে মারাদোনা চলে গেলেন তাঁর পৈতৃক ভিটেতে| Buenos Aires থেকে অনেক দূরে এস্কিনো বলে এক জায়গায়। সেবার বিশ্বকাপ টিমের কোচ লুই সিজার মেনোত্তি। বারবার তিনি লোক পাঠানো সত্ত্বেও মারাদোনা বসে রইলেন সেখানে। বলে পাঠালেন, তিনি মাছ ধরায় ব্যস্ত। পাল্টা প্রশ্ন করলেন তিনি, “একটা ম্যাচ বাজে খেললেই কেন লোকে গালি দেবে মা তুলে? আমার মা হলেন পৃথিবীর সেরা মা। ওঁর জন্য আমি সব কিছু ত্যাগ করতে পারি।”
ফুটবলার জীবনের শুরুতেই মারাদোনার একটা বিশ্রী অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তখন তাঁর বয়স তেরো চৌদ্দ। দেশের হয়ে উরুগুয়েতে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে গেছেন। কর্তারা প্লেয়ারদের হোটেলে না রেখে একেক জনকে একেক পরিবারের সঙ্গে রেখে ছিলেন সেখানে। সব প্লেয়ার ভালো ভালো পরিবারের সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু মারাদোনা বস্তির ছেলে। তাই ঠাই পান কালো চামড়ার এক বেকার যুবকের ঘরে। মারাদোনা খুব দুঃখ পেয়ে ছিলেন এই অবহেলায়। বাড়ি ফিরে মাকে জিজ্ঞেস করে ছিলেন, “ওরা আমার সঙ্গে এই রকম ব্যবহার করল কেন মা?” তোতা বলেন, “মন খারাপ করিস না। ভাল খেলে তুই উত্তর দিয়ে এসেছিস।” এভাবেই মারাদোনার সারা জীবন জুড়ে ছিলেন তাঁর মা তোতা।
]]>শিল্পী পরিতোষ সেনের (Paritosh Sen) জীবনে এই ঘটনা ঘটেছিল ১৯৫৩ সালের ৩ মে। পয়লা মে একটি ঐতিহ্যবাহী প্রদর্শনীতে পিকাসোর দেখা পেয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এক দিন পর তাঁকে নিজের স্টুডিওতে যেতে বলেন পিকাসো। নির্দিষ্ট দিনে পরিতোষ সেন পিকাসোর স্টুডিওতে গিয়ে আরও বহু সাক্ষাৎপ্রার্থী দেখতে পান। কিন্তু সবাইকেই একে একে চলে যেতে হয়। সবশেষে পরিতোষ সেন পিকাসোর সচিব জেইম সাবার্তকে পিকাসোর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও পিকাসোর অনুমোদনের কথা বলেন। প্রথমে সচিব আপত্তি জানালেও পরিতোষ সেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেশের মানুষ শুনে পিকাসোর সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।
তিনি নিজে বলেছেন , “’পিকাসোর সঙ্গে একনাগাড়ে পাঁচ ঘণ্টা সময় কাটিয়েছিলাম। সে দেখা হওয়াটা আমার জীবনের এক মহৎ অভিজ্ঞতা, যা কোনো দিন ভোলার নয়। আমি ছবি নিয়ে গিয়েছিলাম। তাঁকে আমার ছবি দেখানোই ছিল উদ্দেশ্য। তাঁর কাছ থেকে যে প্রশংসা পেয়েছিলাম, তা আমার সারা জীবনের জন্য অক্ষয় পাথেয় হয়ে রয়েছে। দ্বিতীয়ত, পাবলো পিকাসো সম্পর্কে সাধারণ একটা ধারণা ছিল যে তিনি খুব দাম্ভিক প্রকৃতির মানুষ। কিন্তু আমার জন্য তাঁর সচিব মাত্র পনেরো মিনিট সময় নির্দিষ্ট করে দিলেও আমি পিকাসোর স্টুডিওতে পাঁচ ঘণ্টা সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলাম। আমার ছবি দেখার পর পিকাসো আমার হাত ধরে নিয়ে তাঁর ছবি, ভাস্কর্য দেখান, যার কোনো প্রয়োজন ছিল না। এমন ব্যবহার শুধু মহৎ ব্যক্তিরাই করতে পারেন।” পিকাসোর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে পরিতোষ সেন বিস্তারিত লিখেছেন তাঁর আবু সিম্বাল, পিকাসো ও অন্যান্য তীর্থ গ্রন্থের ’শিল্পী পিকাসোর মুখোমুখি’ অধ্যায়ে।
দেশ-বিদেশে পরিতোষ সেনের বেশ কিছু একক প্রদর্শনী হয়েছে। দেশের ভেতরে ও বাইরে সম্মিলিত বহু প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছেন। স্বদেশ-বিদেশের বহু বিশিষ্ট আর্ট গ্যালারিতে তাঁর ছবির সংগ্রহ রয়েছে।
১৯৮৫ সালে পরিতোষ সেন ’শিরোমণি’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৮৬ সালে দিল্লির ললিতকলা একাডেমি বিশেষ সম্মানজনক ’আনন্দকুমার স্বামী’ বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। একই বছর তাঁকে ললিতকলা একাডেমির ফেলো নির্বাচন করা হয়। তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ছিলেন ১৯৬৬-৬৭ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁর কাজের ওপর একটি ডকুমেন্টারি ছবি তৈরি করেছিল।
শিল্পচর্চা ছাড়াও পরিতোষ সেন নিয়মিত সমসাময়িক শিল্পকলা ও শিল্প-ইতিহাসের ওপর নিবন্ধ লেখেন। তাঁর প্রকাশিত চারটি বই হলো জিন্দাবাহার; আমসুন্দরী ও অন্যান্য রচনা; আলেখ্য মঞ্জরীঃ আবু সিম্বাল, পিকাসো ও অন্যান্য তীর্থ এবং কিছু শিল্পকথা।
পরিতোষ সেনের চিত্রকলার সর্বশেষ প্রদর্শনী হয়েছে কলকাতায়, ২০০৬-এ। গ্যালারি ৮৮ শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেনের ৮৮তম জ্নদিন উপলক্ষে তাঁর ৮৮টি শিল্পকর্মের একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল যা খুব প্রশংসিত হয়েছিল। একইভাবে ২০০৬-এ গ্যালারি ৮৮ শিল্পী পরিতোষ সেনের ৮৮তম জন্মদিন উদযাপন করেছে তার ৮৮টি শিল্পকর্মের প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
তিনি ভারত ও বহির্বিশ্বে প্রচুর প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছে: কলকাতা গ্রুপ প্রদর্শনী (১৯৪৪),লন্ডন, যুক্তরাজ্য (১৯৬২),সাও পাওলো বিয়েনালে (সাও পাওলো দ্বিবার্ষিক), ব্রাজিল (১৯৬৫) ,নয়া দিল্লী ট্রিয়েনালে (নয়া দিল্লী ত্রিবার্ষিক) (১৯৬৮, ১৯৭১, ১৯৭৫), সুইডেন (১৯৮৪), হাভানা বিয়েনালে (হাভানা দ্বিবার্ষিক), কিউবা (১৯৮৬)। একানব্বইয়ের এপ্রিলে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রলয়ের পর পরিতোষ সেন ব্যথিত হয়ে পড়েছিলেন গভীরভাবে। সেই জলোচ্ছ্বাস আর ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতার বহু ছবি দেখেছেন তিনি পত্রপত্রিকায়, দূরদর্শনের পর্দায়। সেসব দৃশ্য মনে রেখে তিনি ’ঘূর্ণিঝড়ের পর’ সিরিজে এঁকেছিলেন বেশ কিছু চিত্রকলা। সেগুলো ’৯১ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দিল্লির ভিলেজ গ্যালারিতে প্রদর্শিত হয়।
]]>স্বামীর জন্মদিনের খুশির মুহুর্ত অনুরাগীদের সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন নায়িকা। ছবির অ্যালবামে, সানি লিওন এবং ড্যানিয়েল ওয়েবারের সন্তান, মেয়ে নিশা এবং ছেলে নোয়া এবং আশের কে দেখা যাচ্ছে। আবেগঘন একটি ক্যাপশন ও পোস্ট করেছেন তিনি ওই ছবির অ্যালবামের সাথে। তিনি লিখেছেন, “আমার জীবনের সবচয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুরুষকে জানাই জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
ড্যানিয়েলকে আমার ভালোবাসার মানুষ। একটি দিন, সপ্তাহ, মাস বা বছরে এমন অনেক কিছু ঘটে যা আমাদের মানসিকভাবে ঠিক থাকতে দেয়না। কিন্তু এই সবকিছুর মাঝে তোমার জন্য আমার ভালোবাসার কোনো পরিবর্তন হবেনা। একথা কখনোই মিথ্যে হয়ে যাবেনা যে আমি তোমাকে সবচেয়ে ভালোবাসি। তুমি আমাদের সবার খুব খেয়াল রাখো। তুমি একজন আশ্চর্য মানুষ, বাবা, বস এবং প্রেমিক! শুভ জন্মদিন ভালোবাসা!”
সানি লিওন এবং ড্যানিয়েল ওয়েবারের প্রেমের গল্পটি রূপকথার মতোই সুন্দর। একটি স্বপ্নময় প্রস্তাবের পর, অভিনেত্রী ২০১১ সালে এপ্রিল মাসে ড্যানিয়েলকে বিয়ে করেন। তারা ২০১৭ সালে তাদের প্রথম কন্যা সন্তান নিশাকে দত্তক নেন এবং পরবর্তীতে ২০১৮ সালে, নোয়া এবং আশের নামে দুই পুত্রকে স্বাগত জানান, যারা সারোগেসির মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করেন।
]]>
রণবীরের জন্মদিনে তার মা নীতু সিংহ একটি পুরনো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে লিখেছেন, “শুভ জন্মদিন আমার হৃদয়, অনেক ভালবাসা এবং আশীর্বাদ।” বোন ঋদ্ধিমা কাপুর সহানী আবার ইনস্টাগ্রামে রণবীরকে সম্মোধন করেছেন ‘ আমার রকস্টার ভাই ‘ লিখে। প্রসঙ্গত, রণবীর অভিনীত রকস্টার মুক্তি পায় ২০১১ সালে। ছবিটি বক্সঅফিসে বিশেষ সারা ফেলতে না পারলেও সিনেমাপ্রেমীদের থেকে বেশ প্রশংসা পেয়েছিল।

আলিয়া ভাট, যিনি রাজস্থানে রণবীরের সাথে ছুটি কাটাচ্ছেন, একটি সমুদ্রতটের ছবি শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, ” শুভ জন্মদিন, প্রিয়”। সূর্যাস্তের ছবিতে আলিয়া এবং রণবীর সৈকতে ঘনিষ্ঠ হয়ে আছেন। আলিয়াকে সচরাচর তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে রণবীরের সাথে ছবি শেয়ার করতে দেখা যায়না, যদিও দুজনের সম্পর্ক প্রায় চার বছর ধরে।

জন্মদিনে রণবীরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলিউড থেকে ক্রীড়াজগতের বিভিন্ন জন ব্যক্তিত্বরা। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সনি রাজদান, নৃত্য প্রশিক্ষক গণেশ আচার্য, বিখ্যাত বাণিজ্যিক চিত্রগ্রাহক ডাব্বু রতনানি, এমন কি ব্যটমিন্টন খেলোয়াড় পিভি সিন্ধুও। বোন ঋদ্ধীমা সহানী সোশ্যাল মিডিয়ায় রণবীরের ছবি প্রকাশ করে সম্বোধন করে বলেছেন ‘আমার রকস্টার ভাই’। উল্লেখ্য, রণবীর কাপুরের ‘রকস্টার’ ছবি মুক্তি পেয়েছিল ২০১১ সালে যা বক্সঅফিসে বিশেষ সাফল্য না পেলেও সিনেমা প্রেমীদের কাছে বেশ প্রশংসিত হয়েছিল।
রণবীর কাপুর তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন ২০০৭ সালে সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘ সাওয়ারিয়া ‘ ছবির মাধ্যমে। তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ছবির মধ্যে রয়েছে রাজনীতি (২০১০), বরফি (২০১২), ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি (২০১৩)। তিনি রাজকুমার হিরানি পরিচালিত সঞ্জয় দত্তের আত্মজীবীমূলক ছবি ‘ সঞ্জু ‘ তে অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি হিন্দি সিনেমার সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতাদের একজন এবং ২০১২ সাল থেকে ফোর্বস ইন্ডিয়ার জনপ্রিয় ১০০ তারকাদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
]]>বাংলা পক্ষ জানিয়েছে , “সংগঠনের পক্ষ থেকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিনকে শিক্ষক দিবস হিসাবে পালনের জন্য মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছি।’ এই প্রসঙ্গে বাংলাপক্ষের সদস্য কৌশিক মাইতি জানিয়েছেন , ‘বাংলার চিন্তাশীলতার পরিসরে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি কেবল নবজাগরণের একজন কাণ্ডারীই নন, বরং গোটা ভারতবর্ষে চিন্তন এবং মননের পরিসরে আধুনিকতার পথপ্রদর্শক। আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের যে, আমরা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের উত্তরসূরী। তিনি আক্ষরিক অর্থেই আমাদের জাতির শিক্ষক, কারণ আজও বাঙালির ঘরের সন্তানরা তাঁর বর্ণপরিচয়ের মাধ্যমে অক্ষর জ্ঞান লাভ করে। আমাদের শিক্ষার যে মূল ভিত্তি তার অনেকাংশেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সদা জাগ্রত। নারী শিক্ষার প্রসারে তাঁর ভূমিকা আন্তঃরাষ্ট্রীয় স্তরে স্বীকৃতির দাবি রাখে।’
তাঁরা বলছেন, “আশ্চর্যের বিষয় বাংলা তথা গোটা ভারত এই মহাপুরুষের যথেষ্ট মূল্যায়ন এবং সম্মান এখনও করতে পারেনি। যে সময় হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন ভারত রাষ্ট্র তথা বাংলাকে অন্ধকারে ঢেকে ফেলতে চাইছে, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে আরও দৃঢ়ভাবে ধারণ করা, তাঁর চেতনা, তাঁর দর্শনের সঙ্গে জাতির সম্পৃক্ততা আরও বিস্তার করা আমাদের অবশ্য কর্তব্য। এই অন্ধকারের আবহে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সেই আলোকবর্তিকা যা বাঙালি জাতিকে প্রতিরোধের অনুপ্রেরণা জোগাবে।”
এই বিষয় নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বাংলাপক্ষের আবেদন, ১) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন অর্থাৎ ২৬শে সেপ্টেম্বর দিনটিকে “বাংলার জাতীয় শিক্ষক দিবস” হিসেবে ঘোষণা করা হোক। ২) বাংলার জনপ্রতিনিধিরা ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের সংসদে দাবি উত্থাপন করুন যে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন যেন “রাষ্ট্রীয় শিক্ষক দিবস” হিসেবে যেন ঘোষণা করা হয়। বিদ্যাসাগরের মহাশয়ের জন্মদিনকে বাংলার জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণার দাবিপত্রে সমর্থন জানিয়েছেন, জয় গোস্বামী, পবিত্র সরকার, জয়া মিত্র, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, তপোধীর ভট্টাচার্য, সবুজকলি সেন, সৃজিত মুখার্জী, রূপম ইসলাম, সুবোধ সরকার, রূপঙ্কর বাগচী, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, দীপঙ্কর দে, অয়ন চক্রবর্তী, অনির্বাণ মাইতি, সৌমিত্র রায়, ইমন সেন, উজ্জয়িনী ভট্টাচার্যের মতো ব্যক্তিত্ব।
সংগঠনের আশা, এই দুই পদক্ষেপ যদি গ্রহণ করা হয় তাহলে ভারতে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের পরিচিতি কেবল বাড়বে না বরং ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় বাংলার বুকে জন্মানো এই মহাপুরুষের মূল্যায়ন আরও অনেক বাড়বে। বিদ্যাসাগর তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা পাবেন।
]]>তবে এবার আসি, বাবিনের বন্ধুর জন্মদিনে কারা কারা ছিল সেই কথায়। পর্দার সৌজন্য অর্থাৎ বাস্তবের কৌশিক রায়ের সঙ্গে চয়নের জন্মদিনে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা প্রান্তিক ব্যানার্জি, অভিনেত্রী অঙ্কিতা চক্রবর্তী ছাড়াও খুব কাছের কিছু বন্ধু বান্ধব। নিজের ঘরকে এই দিন যেন জোনাকির আলোয় মুড়ে ফেলেছিলেন চয়ন। চা ও কফির আড্ডা দিয়ে শুরু করে ঠিক রাত্রি বেলা বারোটায় কেক কেটে হলো বন্ধুর জন্মদিন উদযাপন।
]]>
View this post on Instagram
এটা ঘটনা উত্তমকুমার এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ফ্যানেরা এই দুই তারকাকে নিয়ে যতোই তর্ক-বিতর্ক করুক না কেন, আর পেশাগত দিক দিয়ে রেষারেষি যাই থাকুক না কেন ব্যক্তিগত জীবনে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল খুবই ভাল৷ তবে ষাটের দশকের শেষ দিকে উত্তম- সৌমিত্রের মধ্যকার ব্যক্তিগত সংঘাত হয়েছিল যার জন্য দুই ব্যক্তিত্বের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়। যদিও কিছুদিন পরেই তা আবার ঠিক হয়ে যায়। তবে তাদের দূরত্বের পাশাপাশি ওই সময় ভাঙন ধরেছিল অভিনেতা কলাকুশলীদের সংগঠনেও।
৬০-এর দশকের শেষ দিকে উপযুক্ত পারিশ্রমিক পাচ্ছে না বলে ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল সিনেমার নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত কলাকুশলীদেরও মধ্যে। যারফলে বেশ কিছু দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেয় ‘সিনে টেকনিশিয়ানস ওয়াকার্স ইউনিয়ন’।
১৯৬৮ সালে যখন এই ধর্মঘট শুরু হয় তখন ‘অভিনেতৃ সঙ্ঘ’ তা নৈতিক সমর্থন করে। তখন ‘অভিনেতৃ সঙ্ঘ’–এর সভাপতি হলেন উত্তমকুমার এবং সম্পাদক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এদিকে রাজ্যে যুক্তফ্রন্ট সরকার থাকায় কর্মচারি ও শ্রমিক ইউনিয়নগুলিরও তখন বেশ জঙ্গি মনোভাব। সেই সময় আবার গঠিত হয় ‘পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র সংরক্ষণ সমিতি’ এবং এই সংগঠনে পুরোভাগে ছিলেন উত্তমকুমারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন প্রযোজক।

ওই সময় অভিনেতৃ সঙ্ঘের একাংশ সঙ্ঘের তহবিল থেকে দশ হাজার টাকা ধর্মঘটীদের দিতে চায়। কিন্তু তা নিয়ে মতভেদ দেখা যায় ৷ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুপকুমাররা ছিলেন টাকা দেওয়ার পক্ষে কিন্তু বিকাশ রায় জহর গাঙ্গুলীরা তার বিরোধিতা করেন৷ এদিকে উত্তমকুমার প্রযোজকদের প্রতিনিধি হয়ে পড়েছেন বলে তখন অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয় যে উত্তমকুমার সৌমিত্র এবং ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর বেশ ক্ষুব্ধ হন৷ ফলে পরিস্থিতি এমনই পর্যায়ে দাঁড়ায় যে সদস্যদের মধ্যে ভোটাভুটি করতে হয়৷ আর সেই ভোটে জিতে অভিনেত্রী সঙ্ঘের সভাপতি হন সৌমিত্র৷ এর পর যথারীতি সঙ্ঘ ধর্মঘটীদের ১০,০০০টাকা দেয়৷
অন্যদিকে উত্তমকুমার ক্ষুব্ধ হয়ে সঙ্ঘ ছেড়ে বেরিয়ে এসে তৈরি করেন শিল্পী সংসদ৷ উত্তমের সঙ্গে শিল্পী সংসদে তখন বিকাশ রায় জহর রায়েরা ৷ অন্যদিকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়েরা অভিনেত্রী সংঘে৷ আপাতদৃষ্টিতে মনে করা হয়ে থাকে বামপন্থীরা তখন ‘অভিনেতৃ সঙ্ঘ’–এ এবং কংগ্রেসী সমর্থকরা যোগ দিয়েছেন ‘শিল্পী সংসদ’–এ। তবে অতটা সরল বিভাজন তখন সেটা ছিল না কারণ বিপরীত মতাদর্শের লোক হলেও অনিল চট্টোপাধ্যায়, নির্মল ঘোষেরা কিন্তু শিল্পী সংসদে যোগ দেন ৷ মতাদর্শের পাশাপাশি বাংলা রুপালি পর্দার দুই নায়কের ব্যক্তিগত সংঘাতও সেই সময় কাজ করেছিল সংগঠনের ক্ষেত্রে বলে মনে করেন অনেকে ৷
তবে এটাও ঘটনা এর কিছু দিন বাদে বসুশ্রী সিনেমা হলে এক অনুষ্ঠানে মঞ্চে অন্যান্য শিল্পীদের সঙ্গে হাজির ছিলেন উত্তম সৌমিত্র এবং ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেখানে সৌমিত্র ভানুকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেও উত্তমকুমারকে হাতজোড় করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন৷ তখন উত্তমকুমার সৌমিত্রের কাছে জানতে চান, এতদিন সৌমিত্র উত্তমকে বড় ভাইয়ের মতো ভেবে পায়ে হাত দিয়ে তাকে প্রণাম করে এসেছেন কিন্তু এখন তাদের সংগঠন আলাদা হয়ে গিয়েছে বলেই এমন আচরণ করা হল? তখন অবশ্য সৌমিত্র পায়ে হাত দিতে প্রণাম করে ক্ষমা চেয়ে নেন এবং উত্তমও তাঁকে জড়িয়ে ধরেন৷ আর দুজনের সম্পর্কের বরফ গলে আগের মতো হয়ে যায়৷
]]>