বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিন কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানিয়েছেন, ২৯ নভেম্বর শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার জন্য একটি বিল আনা হবে। এরপরই অধিবেশন শুরুর প্রথম দিন সংসদ ভবন অভিযান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন কৃষক নেতারা।
কৃষি আইন বাতিলের এই সিদ্ধান্তকে কৃষক সংগঠনগুলি নিজেদের আংশিক সাফল্য বলে মনে করছে। কারণ তাদের আরও কিছু দাবিদাওয়া রয়েছে। সেগুলি সরকার যতক্ষণ না মেটাচ্ছে ততক্ষণ তারা আন্দোলন থেকে সরবে না বলেও জানিয়েছে।
সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতা দর্শন পাল সিং শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, ২৯ নভেম্বর কৃষকরা যে ‘সংসদ চলো’ অভিযানের ডাক দিয়েছিল তা আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। কারণ সরকার আশ্বাস দিয়েছে ২৯ তারিখেই সংসদে কৃষি আইন বাতিল করা হবে।
শনিবার দুপুরে সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতৃত্ব তাঁদের আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা ঠিক করতে বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠকেই সংসদ অভিযান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দর্শন পাল আরও জানিয়েছেন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে তাঁরা গত এক বছরে কৃষকের বিরুদ্ধে যে সমস্ত মামলা দায়ের হয়েছে সেগুলি প্রত্যাহার করার কথা বলেছেন। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার জন্য আইন আনতে অনুরোধ করেছেন। বিক্ষোভ চলাকালে সমস্ত কৃষক মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। বিদ্যুৎ বিল বাতিল এবং ফসলের গোড়া পোড়ানোর জন্য কৃষকদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত মামলা হয়েছে সেগুলিও বাতিল করার আর্জি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বিভিন্ন দাবিদাওয়া সম্বলিত ওই চিঠির জবাবের জন্য তাঁরা ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। সরকার যদি তাঁদের আবেদনগুলির বিষয়ে নীরব থাকে তবে তাঁরা ফের নতুন করে আন্দোলন শুরু করবেন।
সোমবার শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। অধিবেশনের প্রথম দিনেই কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর কৃষি আইন প্রত্যাহারের জন্য একটি বিল পেশ করবেন। এই বিল নিয়ে সংসদের উভয় কক্ষে আলোচনার পর তা পাস করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ এই বিল নিয়ে আলোচনায় যাতে দলের প্রত্যেক সাংসদ উপস্থিত থাকেন সেজন্য শাসক দল বিজেপি এবং বিরোধী দল কংগ্রেস হুইপ জারি করেছে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, প্রবল কৃষক আন্দোলনের চাপে শেষ পর্যন্ত সরকারকে পিছু হটতে বাধ্য হতে হয়েছে।
]]>কৃষি আইন বাতিলের কথা প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণার পর এটাই প্রথম মহাপঞ্চায়েত। লখনউ জুড়ে উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জেলার কৃষকদের সমাগম হয়েছে।
সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা সারা ভারত কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা। আছেন ৫০০টি কৃষক সংগঠনের নেতারা।

কৃষকসভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা আগেই জানান, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা মানে আ়ইন বাতিল নয়। যতক্ষণ না আইন বাতিল হচ্ছে ততক্ষণ কৃষকরা আন্দোলন চালাবেন।
লখনউ মহাপঞ্চায়েত থেকে হান্নান মোল্লার নির্দেশিত পথ ধরেই অন্যান্য কৃষক নেতারা জানিয়েছেন, দিল্লি অভিযান জারি থাকবে যতক্ষণ না পুরো আইন বাতিল করছে কেন্দ্র।

বিজেপি সাংসদ ও বারবার বিতর্কিত উত্তেজক মন্তব্য দেওয়া সাক্ষী মহারাজের দাবি, ভোট মিটুক তারপর আইনটি ফের চালু করবে কেন্দ্র। তিনি আন্দোলনকারী কৃষকদের কটাক্ষ করেছেন।
লখনউতে কৃষক মহাপঞ্চায়েত থেকে ঘনঘন চিৎকার উছছে বিজেপি সরকার ‘কালা কানুন’ বাপস লো। সূত্রের খবর, রাজ্যে ও পাঞ্জাবে আসন্ন বিধানসভা ভোটে কৃষক বিক্ষোভের আঁচ টের পেয়েই প্রধানমন্ত্রী আইনটি প্রত্যাহারের কথা বলেছেন।
]]>কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত ও সারা ভারত কৃষকসভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা সরকারের অবস্থানকে স্বাগত জানান।
উলুবেড়িয়ার প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদ হান্নান মোল্লা আগেই দাবি করেছেন, আসন্ন সংসদ অধিবেশনের সময় দিল্লি ঘিরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হবে। সরকারকে বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারে বাধ্য করা হবে। তাঁর ঘোষণার পরেই আন্দোলনকারী কৃষকদের মধ্যে নতুন করে জোশ ছড়ায়।

শুক্রবার গুরুপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে শিখ ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি এই ভাষণেই বলেন, দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে।
মোদীর ভাষণে তুমুল আলোড়ন ছড়ায় হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশে। মূলত দেশের এই উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের কৃষকদের নিয়েই কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চলেছে। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার অভিযোগ, নতুন তিনটি কৃষি আইনের মাধ্যমে সরকার দেশের কৃষি ব্যবস্থাকেই বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চাইছে।
প্রবল আন্দোলন, দিল্লি অভিযান, লালকেল্লায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ঘিরে বিতর্কিত পরিস্থিতি হয়েছে বারবার। কৃষকদের আন্দোলনকে খালিস্তানি জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিজেপির বহু নেতা, সংঘ পরিবার সংশ্লিষ্ট হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির অনেকেই। কৃষক নেতারা বলেছেন, সরকারকেই আইন প্রত্যাহার করতে হবে।
অবশেষে আইন প্রত্যাহারের কথা জানালেন মোদী। তবে সংসদে আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেই জানাচ্ছে কিষাণ মোর্চা।
]]>
<
p style=”text-align: justify;”>তিনি বলেন, ‘আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি বলতে চাই যে হয়ত আমাদের তপস্যাতেই খামতি ছিল। তাই কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এই মাসে শুরু হতে চলা সংসদ অধিবেশনে এই কৃষি আইন প্রত্যাহার করব। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আন্দোলন ছেড়ে একটি নয়া সূচনা করি। শীঘ্রই আইন প্রত্যাহারের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া পূর্ণ করে দেব। এবার আপনারা সকলে খেতে ফিরে যান, পরিবারের মধ্যে ফিরে যান।’
আসন্ন পাঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের আগে মোদী এই ঘোষণা করলেন। পাঞ্জাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে বিজেপির নির্বাচনী জোট গড়ার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ বড় হতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উত্তর প্রদেশেও ভোটে কৃষক বিক্ষোভ বিরাট প্রভাব ফেলছে বলেই জনমত সমীক্ষা বলছে। তবে এই রাজ্যে ভোট কাটাকুটির লড়াইতে বিজেপির ক্ষমতায় আসার ইঙ্গিত এসেছে জনমত সমীক্ষায়।
প্রধানমন্ত্রী দেশের কৃষকদের জন্য তাঁর সরকারের ভূমিকা বলেন। তিনি বলেন, ‘দেশের ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জন ছোট কৃষক। তাদের জমির পরিমাণ ২ হেক্টরের কম। তাদের জীবনের আধার এই ছোট জমি। প্রায় ১০ কোটি এমন ছোট কৃষক আছে। এই ছোট জমিতেই তারা নিজেদের পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য কাজ করছে। তাই বীজ, বীমা, বাজার আর সেভিংসের ক্ষেত্রে কাজ করেছি। আমরা ফসল বীমা যোজনাকে আরও কার্যকরী করেছি। আরও বেশি সংখ্য কৃষককে এর অধীনে নিয়ে এসেছি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কিষাণ সয়েল হেলথ কার্ড দিয়েছি। এতে ফলন বেড়েছে। ছোট কৃষকদের ১ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। কৃষকদের কষ্ট যাতে সঠিক দাম পায়, সেই কাজ করেছে সরকার। গ্রামীণ বাজারকে শক্তিশালী করেছি। আমরা এমএসপি বাড়িয়েছি। পাশাপাশি সরকার রেকর্ড পরিবার ফসল কিনেছে।’
]]>জমায়েত উপলক্ষে লখিমপুর খেরির দিকে পরপর কৃষক মিছিল ঘিরে পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত। উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে মিছিল। এছাড়াও পাঞ্জাব, হরিয়ানা থেকেও কৃষকদের মিছিল আসতে শুরু করেছে।

সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা জানিয়েছে, মঙ্গলবার লক্ষাধিক কৃষক জমায়েত হবে।গনসমাবেশ থেকে কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলায় ধৃত আশিস মিশ্রর জেলের সাজা ও তার পিতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রকে বরখাস্ত করার দাবি তোলা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্রকে পদ থেকে সরানোর দাবি জানান সারা ভারত কৃষকসভার সাধারন সম্পাদক হান্নান মোল্লা। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদের দাবির পরেই উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কৃষক সংগঠনগুলি একযোগে আক্রমণ শুরু করেছে।
গত ৩ অক্টোবর মোদী সরকারের আনা নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদে লখিমপুর খেরিতে কৃষক সমাবেশ ছিল। অভিযোগ, সেই সমাবেশ থেকে কৃষকরা যখন ফিরছিলেন তখন তাদের উপর গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পুত্র আশিস। এই ঘটনায় মোট মৃত ৯ জন। এদের মধ্যে চার জন কৃষক।
]]>
www.ekolkata24.com কিছু সূত্র মারফত জানতে পেরেছে বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই অভিযুক্ত আশিস মিশ্র ভারত ত্যাগ করে। যেহেতু লখিমপুর খেরি একদম নেপাল লাগোয়া, আর ভারতীয় বা নেপালিদের মধ্যে আসা যাওয়ার ভিসা লাগেনা, সেই সুযোগে নেপালে ঢুকে আত্মগোপনে রয়েছে আশিস।
www.ekolkata24.com আরও জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত মন্ত্রীপুত্র নেপাল থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে নেপাল সরকার তার সম্পর্কে কিছু জানায়নি। উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরি সংলগ্ন নেপালের সীমান্ত খোলা। তারই যে কোনও একটি দিয়ে প্রতিবেশি দেশের সুদূর পশ্চিম বিভাগ ও কারনালি বিভাগে ঢুকেছে আশিস মিশ্র।

লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের গাড়িতে চাপা দেওয়ার মামলায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করে উত্তর প্রদেশ সরকার কতজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। এতে বিরাট ধাক্কা খায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার। কারণ আশিস মিশ্রর বিরুদ্ধে গাড়ি চাপা দিয়ে কৃষকদের মেরে ফেলার অভিযোগ উঠলেও তাকে গ্রেফতার করেনি যোগী প্রশাসন।
সারা ভারত কৃষকসভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা, ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন নেতা রাকেশ টিকাইত সহ বাকি কৃষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, আশিস মিশ্র প্রভাব খাটিয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে।
]]>সূত্রের খবর, এই নোটিশ পেয়েই স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র ভেঙে পড়েছেন। তাঁর পরিবার তীব্র আতঙ্কিত। মন্ত্রী ও তাঁর পুত্র আশিসের আশঙ্কা জেরা করার পরেই গ্রেফতার করবে পুলিশ।
বিশেষ সূত্রের খবর, লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের গাড়ি চাপা দেওয়ার মামলা ‘নরম’ করতে নয়াদিল্লিতে জরুরি ভিত্তিতে যান মন্ত্রী অজয় মিশ্র। যদিও তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ডেকেছিলেন।
তবে কৃষক সংগঠনগুলি অবস্থানে অনড়।সারাভারত কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লার দাবি, উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মারার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। মূল অভিযুক্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর পুত্র আশিস মিশ্রকে গ্রেফতার করা হোক। অন্যান্য কৃষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সবকিছু আড়াল করছেন।
কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের জমায়েতে প্রবল গতিতে গাড়ি ঢুকে পড়ে। গাড়ির ধাক্কায় মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের চার জন কৃষক। মৃত কৃষকদের পরিবার পিছু আর্থিক সাহায্য ও সরকারি চাকরি দেওয়া হবে জানায় উত্তর প্রদেশ সরকার।
কৃষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পুত্র ইচ্ছে করে কৃষকদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয়। একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তার জেরে আরও উত্তপ্ত পরিস্থিতি। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ঘটনার সময় তাঁর পুত্র ছিলেন না।
]]>সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের সামনে কার্যত অসহায় উত্তর প্রদেশ সরকার। শীর্ষ আদালত জানতে চায়, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে তদন্তের স্বার্থে তাদের আটক বা গ্রেফতার করা হয়েছে কি? এই প্রশ্নে আদালতকে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি যোগী সরকার।
ফলে বিতর্ক আরও জড়িয়ে ধরল উত্তর প্রদেশে বিজেপি সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনকে। আগেই সারা ভারত কৃষকসভা, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন কৃষক সংগঠন অভিযোগ করেছে, কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মেরেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পুত্র আশিস মিশ্র। সে এখনও অধরা।
লখিমপুর খেরির ঘটনায় এক সদস্যের কমিটি গঠন করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার। এলাহাবাদ হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি প্রদীপকুমার শ্রীবাস্তব সবদিক খতিয়ে দেখবেন। তিনি রিপোর্ট দেবেন দু মাস পরে।
এদিক মৃত কৃষকদের আত্মীয়দের অভিযোগ, হামলাকারী আশিস মিশ্রকে গ্রেফতার করছে না রাজ্য সরকার। সারাভারত কৃষকসভা, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের আরও অভিযোগ, যোগী আদিত্যনাথ সবকিছু চাপা দিতে চাইছেন। যদিও তিনি জানান, লখিমপুর খেরির ঘটনায় কড়া তদন্ত হবে।
অভিযুক্ত হামলাকারী আশিস মিশ্রের পিতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র। তিনি লখিমপুর খেরির বিজেপি সাংসদ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সহকারী মন্ত্রীর পদে রয়েছেন। তাঁর দাবি, ঘটনাস্থলে ছিল না আশিস। তবে যে গাড়ির ধাক্কায় মারা গিয়েছেন কৃষকরা সেটি তাঁর পুত্রের। চাপে পড়ে স্বীকার করেছেন মন্ত্রী।
গত ৩ অক্টোবর নেপাল সীমান্ত লাগোয়া লখিমপুর খেরিতে কেন্দ্রের মোদী সরকার যে কৃষি আইন এনেছে তার প্রতিবাদ চলছিল। জমায়েতের মধ্যে একটি গাড়ি প্রবল গতিতে ঢুকে পড়ে। ভাইরাল ভিডিওতে স্পষ্ট, ওই গাড়ির ধাক্কায় কয়েকজন ছিটকে পড়ছেন। এই ঘটনায় মৃত মোট ৯ জন। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ৪ জন কৃষক। এক সাংবাদিক। হামলাকারী গাড়ির তিনজন। আর একজন সাধারণ ব্যক্তি।
লখিমপুর খেরির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নীরব। কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর অভিযোগ, আইনের শাসন নেই উত্তর প্রদেশে। রাহুল গান্ধীকে সাথে নিয়ে তিনি দেখা করেন মৃত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে।
]]>
সেই ফুটেজ একের পর এক বিজেপি বিরোধী নেতা নেত্রীরা টুইট করছেন। কেউ ফেসবুকে দিতে শুরু করেছেন। কংগ্রেস (INC) নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইট করেন গাড়ি চাপা দিয়ে কৃষকদের পিষে মেরে ফেলার ভিডিও। তাঁর অভিযোগ, কেন অভিযুক্ত আশিস মিশ্রকে গ্রেফতার করছে না সরকার। অভিযুক্ত আশিস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্রের পুত্র।

সর্বভারতীয় কৃষক নেতা তথা সারা ভারত কৃষকসভার (AIKS) সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লার দাবি, অবিলম্বে আশিস মিশ্রকে গ্রেফতার করতে হবে। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত অভিযোগ করেন, যোগী সরকার ও বিজেপি (BJP) সবকিছু ধামাচাপা দিতে চাইছে।
WARNING
VERY DISTURBING VISUALSइस तरह लखीमपुर में किसानों को कुचला गया pic.twitter.com/k7g52kt9cH
— Vinod Kapri (@vinodkapri) October 4, 2021
আরও অভিযোগ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সহকারি তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্রর পুত্র বলেই আশিসকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। অভিযোগ আশিস মিশ্র ও তার বন্ধুরা কৃষকদের পিষে মারে।
কেন্দ্রের কৃষি নীতির বিরুদ্ধে লখিমপুর খেরিতে জমায়েত করা কৃষদের উপর এসইউভি গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হয়। পিষে মারা যান কয়েকজন। পরে জখম আরও কয়েকজনের মৃত্যু হয়। এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। মোট ৯ জন মৃত। এদের ছয় জন কৃষক।
এই ভিডিও এখন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক মহলের প্রধান অস্ত্র। তবে এই ভিডিওর সত্যতা www.ekolkata24x7 যাচাই করেনি। দেখা যাচ্ছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর টুইট থেকে ক্রমাগত ভিডিওর লিংকটি রি টুইট করা হচ্ছে। এছাড়াও সমাজবাদী পার্টি, বিএসপি, আরজেডি, সিপিআই, সিপিআইএম সমর্থকরা এই ভিডিও পোস্ট করছেন। বিভিন্ন কৃষক সংগঠন সরাসরি অভিযোগ তুলেছে, গাড়ি চালিয়েছিল আশিস মিশ্র।
]]>কী ঘটেছিল লখিমপুর খেরিতে?
www.ekolkata24x7.com আন্দোলনকারী কিছু কৃষকদের নম্বর যোগাড় করে। তারা জানান, এই এলাকায় বিজেপির সাংসদ অজয় মিশ্র সম্প্রতি কৃষি আইনের বিরোধিতাকারী কৃষকদের হুমকি দেন ‘শুধর যাও’ বলে। এর পর জমায়েত আরও বড় হতে থাকে।

কুস্তি প্রতিযেগিতা শুরু হওয়ার আগে…
রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সহকারী রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র নিজ এলাকায় একটি কুস্তি প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যেতে চাইলে তাঁকে রাজ্য পুলিশের তরফে সাবধান করা হয়। বলা হয়েছিল, কৃষকদের বিক্ষোভ থেকে হামলার আশঙ্কা রয়েছে। অজয় মিশ্র সেকথা মানেননি। তিনি ও উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য লখিমপুর খেরি যান।
আচমকা আসল গাড়িটা…
রাস্তাতেই খবর আসে কৃষকদের জমায়েত বিরাট আকার নিয়েছে। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর পুত্র তার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে একটি গাড়িতে করে জমায়েতের মাঝে জোরে চালিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই দু জনের মৃত্যু হয়। উত্তেজিত কৃষকরা ওই গাড়ি তাড়া করেন। তখন গুলি চালায় আশিসের বন্ধুরা। গাড়ি থেকে কোনওরকমে পালায় আশিস মিশ্র। তবে গাড়িটিতে আগুন ধরানো হয়। এর পর গাড়িটা রাস্তার ঢাল থেকে ফেলে দেওয়া হয়। গাড়িতে থাকা আশিসের তিন জন পরিচিত ও কয়েকজন কৃষক গুরুতর জখম হয়। পরে তারা মারা যায়।
টার্গেট কৃষক নেতারা ?
বেশ কয়েকজন কৃষক নেতাকে টার্গেট করা হয়েছিল। এমনই অভিযোগ, কিষাণ একতা মঞ্চ, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (BKU) ও সারা ভারত কৃষকসভা (AIKS) সংগঠনের।

সর্বশেষ খবর, লখিমপুর খেরিতে সরকারিভাবে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন গুলিবিদ্ধ কৃষক। আন্দোলনরত কৃষকদের দাবি মৃত ৯ জন। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর দাবি, ঘটনার সময় তাঁর পুত্র ছিলেন না।
বিধানসভা ভোটের আগে লখিমপুর খেরির রক্তাক্ত ঘটনায় প্রবল উত্তপ্ত দেশ। বিজেপি (BJP) শাসিত দুই রাজ্য অসম ও উত্তর প্রদেশের পরপর হিংসাত্মক ঘটনায় উঠে এসেছে বিকৃত মানসিকতার পরিচয়। অসমের (Assam) দরং জেলার গরুখুঁটিতে পুলিশের গুলিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির মৃতদেহে লাথি মারার বিতর্ক যেমন তেমনই উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) লখিমপুর খেরিতে কৃষদের গাড়ির চাকায় পিষে মারার ঘটনাও তীব্র বিতর্কিত।
পরিস্থিতির চাপে ও কৃষক সংগঠনগুলির ঘেরাও অভিযানের আহ্বানে প্রমাদ গুনছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সংবাদ সংস্থাগুলির খবর, লখিমপুর খেরিতে মৃতদের পরিবার পিছু ৪০-৪৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও সরকারি চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করল রাজ্যের বিজেপি সরকার।
]]>প্রবল বিতর্কে উত্তর প্রদেশে(UP) ক্ষমতাসীন বিজেপি(BJP)। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জরুরি বৈঠক করেন লখনউতে। তিনি জানান, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। দোষীকে চিহ্নিত করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। তাঁর নির্দেশে লখিমপুরখেরিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

রবিবার রক্তাক্ত ঘটনার সাক্ষী থেকেছে লখিমপুরখেরি। এখানেই কেন্দ্র সরকারের কৃষি আইন বাতিলের প্রতিবাদে কৃষক জমায়েত চলছিল। অভিযোগ, সেই জমায়েতের মধ্যে তীব্র গতিতে গাড়ি চালিয়ে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্রর পুত্র আশিস। চাকায় পিষ্ট হন বেশ কয়েকজন কৃষক। মর্মান্তিক এই ঘটনায় অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও জখম ৬ জন। তাদের কয়েকজন আশঙ্কাজনক।
গাড়ি চালিয়ে হামলার অভিযোগে লখিমপুরখেরি প্রবল উত্তপ্ত। উত্তেজিত কৃষকরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রকে আটকে রাখেন। তবে তিনি দাবি করেন, পুত্র আশিস কোনওভাবেই এই ঘটনায় জড়িত নয়। ঘেরাওয়ের মধ্যে পড়েন উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। তাঁদের ছাড়াতে গেলে রক্ষীদের সামনেই গাড়িতে আগুন ধরায় বিক্ষোভকারী কৃষকরা। তাদের আরও অভিযোগ, মৃত আট কৃষকের মধ্যে দুজন ‘গুলিবিদ্ধ’।

উলুবেড়িয়ার প্রাক্তন সিপিআইএম (CPIM) সাংসদ তথা সর্বভারতীয় কৃষক নেতা হান্নান মোল্লার দাবি, প্রধানমন্ত্রী মোদীর ঘনিষ্ঠ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রকে অবিলম্বে বরখাস্ত করুক সরকার। রাকেশ টিকায়েত সহ কৃষক নেতাদের হুঁশিয়ারি উত্তর প্রদেশ অচল করে দেওয়া হবে।
কৃষক সভা (AIKS) , ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (BKU) সহ বিভিন্ন কৃষক সংগঠন লখিমপুরখেরি ঘেরাও ডাক দিয়েছে। উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ থেকে কৃষকদের লখিমপুরখেরির দিকে আসার আহ্বান জানানো হয়।

লথিমপুরখেরিতে কৃষকদের ‘খুন’ করা হয়েছে, এমনই অভিযোগ রাজ্যের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী সমাজবাদী পার্টির (SP) অখিলেশ যাদব ও বহুজন সমাজপার্টির (BSP) মায়াবতীর। দুটি দলই উত্তর প্রদেশ জুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
কৃষক বিক্ষোভের রেশে এমনিতেই উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানায় প্রবল। দুই রাজ্যেই বিক্ষোভকারীদের হাতে বারবার লাঞ্ছিত হয়েছেন বিজেপি মন্ত্রী ও নেতারা। লখিমপুরখেরির রক্তাক্ত ঘটনায় ফের মার খাওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
কৃষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, লখিমপুরখেরিতে ‘ঠান্ডা মাথায় কৃষকদের খুন করেছে বিজেপি (BJP) সরকার। বিক্ষোভ আরও জমাট হবে এমনই হুঁশিয়ারি কৃষক নেতাদের।
]]>