blood – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Tue, 21 Dec 2021 14:26:13 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png blood – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Murder of Renjith: বাইকে লেগে থাকা রক্তের দাগ ধরিয়ে দিল বিজেপি নেতার খুনিদের https://ekolkata24.com/uncategorized/murder-of-renjith-four-in-custody-blood-stains-found-in-bike Tue, 21 Dec 2021 14:26:13 +0000 https://ekolkata24.com/?p=15729 নিউজ ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত বাইকে লেগে থাকা রক্তের (blood) দাগ ধরিয়ে দিল খুনিদের। গত শনিবার রাতে কেরলে (keral) কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল এসডিপিআই (sdpi leader) নেতা কে এস শানকে। ওই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই রবিবার ভোরে নিজের বাড়িতে খুন হন বিজেপি নেতা রঞ্জিত শ্রীনিবাসন (Murder of Renjith)। ওই বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার চার এসডিপিআই কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, রাজনৈতিক প্রতিশোধ নিতেই বিজেপি নেতাকে খুন করেছে এসডিপিআই কর্মীরা।

আলাপ্পুঝা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিজেপি নেতা রঞ্জিত শ্রীনিবাসনের খুনের সঙ্গে ওই চারজন যুক্ত ছিল। অভিযুক্তদের বাইকে রক্তের দাগ লেগে ছিল। ওই রক্তের দাগই অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করেছে। বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় অপর অভিযুক্তদের ধরতে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার রাজ্য সভাপতি শানের উপর চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। ধারালো অস্ত্রের কোপে দুষ্কৃতীরা শানকে গুরুতর জখম করে। হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও রবিবার ভোরেই তাঁর মৃত্যু হয়। শানের উপর আক্রমণের ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই দলের সভাপতি এমকে ফইজি দাবি করেন, এই ঘটনার সঙ্গে আরএসএস কর্মীরা জড়িত। কয়েক ঘন্টা পরেই রবিবার ভোরে বিজেপি নেতা রঞ্জিত যখন প্রাতঃভ্রমণে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন সে সময় বাড়িতেই তাঁকে খুন করে দুষ্কৃতীরা।

সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, ৬টি বাইকে করে ১২ জন দুষ্কৃতী এসেছিল রঞ্জিতের বাড়ির সামনে। সিসিটিভির ফুটেজে কয়েকটি বাইকের নম্বর প্লেট ধরা পড়ে। সেই নম্বর প্লেট ধরেই শুরু হয় তল্লাশি। খোঁজ মেলে বাইকগুলির। শুধু তাই নয়, দেখা যায় ওই বাইকগুলিতে রক্তের দাগ লেগে আছে। যে সমস্ত ব্যক্তিদের বাইকে রক্তের দাগ লেগেছিল তাদের প্রথমে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা রঞ্জিতকে খুনের কথা স্বীকার করলে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

]]>
ভারতের একমাত্র সমাজতত্ত্ববিদের রক্তে বইছে নীল চাষ এবং কুলীন ব্রাহ্মণের রক্ত https://ekolkata24.com/offbeat-news/indias-only-sociologist-have-a-blood-connection-of-french-and-bengali-brahmin-family Tue, 19 Oct 2021 07:18:15 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8266 বিশেষ প্রতিবেদন: একদিকে ফরাসি নীল চাষী। অ ন্যদিকে কুলীন ব্রাহ্মণ পরিবারের ঐতিহ্য। দুই রক্তই বইছে তার শরীরে। আর তা নিয়েই তিনি এগিয়ে গিয়েছেন। সৃষ্টি করেছেন সাহিত্য তিনি আন্দ্রে বেতেই , বাঙালি পরিবারের দেওয়া নাম সলিল। ভারতের একমাত্র সমাজতত্ত্ববিদ।

চন্দননগরের গঙ্গার ঘাটে এক বৃদ্ধা রোজ ভোরে স্নান করতে যান। কুলীন ব্রাহ্মণ বিধবা। নাম শিবানী মুখোপাধ্যায়। মাথার চুল ছোট করে ছাঁটা, পরনে শুধু সাদা থান। ঘাট থেকেই দেখা যায় ঘড়ির টাওয়ারটা। তার লাগোয়া একটা পুরোনো কলোনিয়াল স্টাইলের বাড়িতে থাকেন এক ফরাসি বৃদ্ধা। বৃদ্ধাকে লোকে ডাকে “মাদাম বেতেই” বলে। তিনি চন্দননগরেই জন্মেছেন। ওই ক্লক টাওয়ারটা তাঁর দাদুর অথবা তার কাকারই তৈরি। তাঁর বাবা মা নীল চাষ করতে এই শহরে এসেছিলেন তারপর এখানেই রয়ে যান। চন্দননগরে জন্মালে কি হবে মাদাম বেতেই বাংলা খুব সামান্যই জানতেন।

Andrea-Bitai

মাদাম বেতেই এর বিয়ে হয়েছিল ফ্রান্স থেকে আসা এক অফিসারের সঙ্গে। কিন্তু এদেশের কলেরায় এক শিশু পুত্র রেখে ম‍‌ঁসিয়ে বেতেই যখন মারা যান তখন মাদাম বেতেই কুড়ির কোঠা পেরোননি। শহরের অন্য ফরাসি নাগরিকরা মাদামের সাহায্যার্থে একটা স্কুল খুলে দেন école de jeunes filles নামে। মাদাম ওই বাড়ির একটা অংশে থাকতেন আর একটা অংশ স্কুল হিসাবে ব্যবহার করতেন। শিবানী দেবী আর মাদাম বেতেই দুজন দুই গ্রহের বাসিন্দা হলেও তাঁদের মধ্যে একটা সম্পর্ক আছে। মাদাম বেতেই এর ছেলের সঙ্গে শিবানী দেবীর মেয়ের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল এত কাছাকাছি থেকেও তাঁরা কখনো একে অপরের সাথে দেখা করেননি বা কথা বলেননি। বলবেন কি করে একে দুই পরিবার ছিল এই বিয়ের বিরুদ্ধে এবং শিবানী দেবী আর মাদাম বেতেই একে অপরের ভাষা জানতেন না। এই ছোট শহরে কাছাকাছি থেকেও তাঁরা ছিলেন আগন্তুক।

আজ থেকে নব্বই-একশো বছর আগে এই ছোট শহরে দুটো সম্পূর্ণ আলাদা জগতের, আলাদা ধর্মের দুই পরিবারের ছেলে আর মেয়ের প্রেমই কিভাবে হয়েছিল এবং বিয়েই কিভাবে হয়েছিল সেটাই আশ্চর্যের বিষয়। মাদাম বেতেই এবং শিবানী দেবীর নাতি হলেন আন্দ্রে বেতেই। যিনি ভারতের একজন বিখ্যাত সমাজতত্ত্ববিদ।

মনে হয় তার নিজের জীবনের দুটো সম্পূর্ণ আলাদা পরিবারের মিলনের রহস্যই তাকে সমাজতত্ত্ববিদ হতে প্রভাবিত করেছিল। আন্দ্রে বেতেই এর জীবনের প্রথম ৯ বছর কেটেছিল এই শহরেই। একদম বাঙালি পরিবেশে। তখন তিনি বাংলা ছাড়া আর কোন ভাষাই জানতেন না। বাবা ফরাসি হলেও চোস্ত বাংলা জানতেন। আন্দ্রের দিদা অর্থাৎ শিবানী দেবী মেয়ে জামাইয়ের কাছেই থাকতেন এবং রামায়ণ মহাভারতের গল্প বলে আন্দ্রে কি ঘুম পাড়াতেন। তিনি আন্দ্রের বাঙালি নাম দিয়েছিলেন সলিল। আন্দ্রে বেতেই তাঁর জীবনের কাহিনী নিয়ে বই লিখেছেন। তার নাম Sunlight on the garden। এই বইতেই তাঁর ছোটবেলার কথা আছে।

]]>