ম্যাচের প্রথম মিনিটেই সেলেকাওদের এগিয়ে দেন অলিভেরা দেবিনহা। ভারতীয় ডিফেন্সের ওপরে বল পায়ে আক্রমণে উঠে আসে ব্রাজিলের মহিলা ফুটবলারেরা। দেবিনহা বলের দিকে দৌড় দেয়। ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের গোলকিপার অদিতি চৌহান তার লাইন থেকে চলে আসে, কিন্তু দেবিনহা শটটি নেয় যা ভারতীয় ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে দেবিনহার সামনে পড়তেই বল খালি জালে বল ঠেলে দেয়। ভারতের বিরুদ্ধে ব্রাজিল ১-০ লিড নিয়ে ফেলে।
ম্যাচের ৫ মিনিটে ব্রাজিল গোলের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে। বাম দিক থেকে আক্রমণে উঠে আসে ব্রাজিল, অনেকটা জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল ব্রাজিলের ফুটবলারেরা। ব্রাজিল একটা লুপ ক্রস সেন্টার লক্ষ্য করে বাড়িয়ে দেয়, কিন্তু ব্রাজিলিয়ন ফুটবলারেরা হেডার টার্গেট ধরে রাখতে পারেনি, লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে যায় ওই হেডার,গোলের সুযোগ হাতছাড়া সেলেকাওদের।
ম্যাচের ৮ মিনিটে দুরন্ত টুইস্ট। বাউন্সব্যাক ভারতের। ব্রাজিল বল পায়ে ভারতের তিনকাঠি লক্ষ্য করে শট মারে। ভারতীয় গোলকিপার অদিতি “ডি জোনে” বেরিয়ে এসে ওই উড়ন্ত শট ক্লিয়ার করতেই জটলা থেকে বল ভারতীয় ডিফেন্ডারের সামনে এসে পড়ে, ওই ডিফেন্ডার বল ফাঁকা জায়গায় বাম ফ্ল্যাঙ্কে থাকা মনীষা কল্যাণকে লক্ষ্য করে বাড়িয়ে দেয়।
প্রতি আক্রমণে মনীষা বল পায়ে বাম ফ্ল্যাঙ্ক ধরে অনেকটা উঠে আসে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মনীষাকে শটের জন্য তার পজিশন ছোট করার জন্য এগিয়েও আসে, কিন্তু ভারতীয় ফরোয়ার্ড মনীষা কোনও সুযোগই দেয়নি কাছে থাকা ব্রাজিলিয়ন ডিফেন্ডারকে। দূরের কোণ থেকে নেওয়া মনীষার জোরালো এবং নিচু শট ব্রাজিলের গোলকিপার সিলভাকে পরাস্ত করে জালের ঠিকানায় জড়িয়ে যেতেই সেলিব্রেশনে মেতে উঠে। ভারত ১-১ গোলের সমতায় ফিরে আসে ম্যাচে। ৩৩ মিনিটে সিলভিয়া মারিয়ার গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। কিন্তু ম্যাচের ৩৭ মিনিটে জিওভানা কস্তার গোলে ব্রাজিল ২-১ গোলের লিড নিয়ে ফেলে।
দ্বিতীয়ার্ধে বোর্হেস আরিয়াদিনা ৫২ এবং ৮১ মিনিটে জোড়া গোল এবং কেরোলিন ফেররাজ ৫৫ মিনিটের করা গোলের সুবাদে ব্রাজিল ৪-১ গোলের বড় লিড নিয়ে নেয়। গেইসে ফেরেরা ৭৬ মিনিটে গোল, ৫-১। ৮১ মিনিটে বোর্হেস আরিয়াদিনার গোল।ফরমিগার শট অদিতি চৌহান শুধুমাত্র বলক্র প্যারি আউট করতে পারে, ফিরতি বলে বোর্হেস স্কোর করে ব্রাজিল ৬-১ গোলে লিড নেয়। রেফারির শেষ বাশিতে ব্রাজিল ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতে।
বড় ব্যবধানে হেরেও ভারতীয় সিনিয়র মহিলা দল মুষড়ে পড়েনি। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে খেলার অভিঞ্জতাকে কাজে লাগিয়ে টিম স্পিরিট অটুট রয়েছে, যা ম্যাচ পরবর্তী ভারতীয় সিনিয়র মহিলা ফুটবলারদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে পরিষ্কার। ভারতীয় মহিলা দলের পরের ম্যাচ ২৯ নভেম্বর চিলির বিরুদ্ধে।
]]>
দু’বছর অন্তর বিশ্বকাপ চাইছে ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা।
আরও পড়ুন দেখে নিন আইএসএল জিততে মরিয়া ইস্টবেঙ্গলের নজরে রয়েছেন কোন ফুটবলাররা
আরও পড়ুন বিশ্বের চোখ শ্রীহট্টের বাইশ গজে, বাংলাদেশেই তালিবান সরকারের ক্রিকেট কূটনীতির যুদ্ধ
এবার একই সুর শোনা গেল ব্রাজিলের রোনাল্ডোর গলাতেও। কাতারের দোহায় শুক্রবার শেষ হয়েছে ছেলেদের ফুটবলের ভবিষ্যত নিয়ে ফিফার টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপের দুই দিনের সম্মেলন। আন্তর্জাতিক ম্যাচের বার্ষিক সূচি নতুন করে সাজানোর যে প্রস্তাব ফিফা দিয়েছে তা কতটা বাস্তবসম্মত, সম্মেলনে তা নিয়ে মতামত দেন। দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজনের যে ধারণাকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা রোনাল্ডোও। আর্সেন ওয়েঙ্গারের মন্তব্যকেই সমর্থন করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন কলকাতা লিগে নেই ইস্ট-মোহন,বাংলার ফুটবল বাঁচাতে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ আইএফএ কর্তারা
আরও পড়ুন ATK-নাম মোছার দাবিতে এবার বিক্ষোভের পথে সবুজ-মেরুন জনতা
Some club should give Arsene Wenger a job and keep him busy for us. Any mind that thinks the world cup being held every 2 years is a great idea is truly the devil's workshop.
— Babanla (@biolakazeem) September 5, 2021
https://twitter.com/FootballlForAll/status/1434215369477169158?s=20
উয়েফার তরফ জানানো হয়েছে, ‘আমরা ফিফার কাছে প্রস্তাব রেখেছি, প্রতি চার বছর অন্তর বিশ্বকাপ না করে কমিয়ে এনে প্রতি দু’বছরে করা যেতে পারে। আমরা যদি এই ফরম্যাটেই পড়ে থাকি তাহলে অনেক খেলোয়াড়ই দুটির বেশি বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন না। অন্যদিকে দু’বছর পরপর বিশ্বকাপ হলে ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকা, নর্থ এবং সাউথ আমেরিকার সব জায়গাতেই টুর্নামেন্ট করতে পারি।’
https://twitter.com/CANDYMANCHENK/status/1435329495821606914?s=20
আরও পড়ুন সুতীর্থার জন্যই ম্যাচ ছাড়তে বলেছিলেন সৌম্যদীপ? মণিকার অভিযোগে জল্পনা ক্রীড়াদুনিয়ায়
]]>Arsene Wenger wants the World Cup to be played every 2 years.
L’Equipe Headline:
Really, Mr Wenger? pic.twitter.com/6Vp0Mt3zcr
— Osman (@OsmanZtheGooner) September 3, 2021
পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সাপের বিষ প্রয়োগে প্রাণীকোষে করোনাভাইরাসের দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা অনেকটাই কমেছে। ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন গবেষক সম্প্রতি করোনাভাইরাস চিকিৎসায় সাপের বিষ নিয়ে গবেষণা করছেন।
রয়টার্স জানাচ্ছে, সাপের বিষে যে জটিল রোগের চিকিৎসা সম্ভব, তা ইতিমধ্যে পরীক্ষিত ও প্রমাণিত বলে দাবি করেছেন ব্রাজিলের গবেষকরা। গবেষকরা এই পরীক্ষা করেছিলেন ব্রাজিলের এক বিশেষ প্রজাতির সাপ জারারাকুস্সু পিট ভাইপারের বিষ নিয়ে। সেই বিষ বাঁদরের কোষে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছিল। এসেছে অভূতপূর্ব সাফল্য ।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে ব্রাজিলের পরিস্থিতি ভয়াবহ। গত দু বছরে ব্রাজিল অর্থনীতি তথৈবচ। মৃত্যু ও সংক্রমণ প্রবল হয়েছিল। এই অবস্থায় ব্রাজিলের গবেষকরা সাপের বিষ নিয়ে করোনা প্রতিরোধের গবেষনা শুরু করেন।
রয়টার্স জানাচ্ছে, গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন,ওই সাপের বিষে থাকা বিশেষ একটি উপাদান প্রাণীকোষে করোনার সংক্রমণ থামাতে পেরেছে। গবেষকরা বলছেন, সাধারণত প্রাণীকোষে প্রবেশের পর নিজের সংখ্যাবৃদ্ধি করেই সংক্রমণ ছড়ায় করোনাভাইরাস। সংখ্যাবৃদ্ধির সেই হার ৭৫ শতাংশ কমিয়ে এনেছে জারারাকুস্সু পিট ভাইপারের বিষ।
মারাত্মক বিষধর এই সাপ। তারই বিষের একটি অণু উপাদান করোনাভাইরাসের গুরুত্বপূর্ণ এক স্পাইক প্রোটিনকে অকেজো করতে পারছে বলে দাবি সাও পাওলোর গবেষকদের
]]>২৮ বছর পর প্রথম কোনও বড় টুর্নামেন্টে খেতাব জিতল আর্জেন্তিনা। সেই সঙ্গে দেশের জার্সিতে প্রথম ট্রফি জয়ের স্বাদ পেলেন মেসি৷ শেষবার ১৯৯৩ সালে কোপা আমেরিকা খেতাব জিতেছিল আর্জেন্তিনা। এবার জিতে স্পর্শ করল কোপা আমেরিকায় সর্বাধিক ১৫ বার খেতাব জয়ের রেকর্ডধারী উরুগুয়েকে ছুঁল তারা৷ এর আগে দেশের হয়ে একটি বিশ্বকাপ ও তিনটি কোপা আমেরিকার ফাইনালে খেলেছিলেন মেসি। প্রতিবারই ফিরেছিলেন শূন্য হাতে। তবে এবার আর খালি হাতে নয়, সাফল্যের ঝুলি ভরে দেশে ফিরছেন মেসি৷ দেশকে চ্যাম্পিয়ন করার পাশাপাশি ব্যক্তিগত সাফল্যে জিতেছেন গোল্ডেন বুট৷
ফাইনালের আগেই মেসি ও নেইমারকে যৌথভাবে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ঘোষণা করে কোপা আমেরিকার আয়োজক কনমেবল। ৪ গোলের সঙ্গে ৫ অ্যাসিস্টের জন্য মেসি জিতেছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। সময়ের সেরা ছাপিয়ে অনেকে মেসিকে সর্বকালের সেরার তালিকায় রাখেন। ফুটবল কিংবদন্তি পেলে ও মারাদোনার চেয়েও তাঁকে বড় করে দেখেন অনেক বিশেষজ্ঞ। কিন্তু এতদিন দেশের হয়ে কোনও ট্রফি না-থাকায় মেসিকে শুনতে হয়েছিলও অনেক সমালোচনাও৷
কোপা আমেরিকা খেতাব জয়ে আর্জেন্তিনার ২৮ বছরের ট্রফি জয়ের খরা কাটিয়ে মেসি যে বিশ্বজয়ী পেলে, মারাদোনাকে ছাপিয়ে গিয়েছেন এমন নয়। তবে সর্বকালের সেরার আলোচনায় মেসির উপস্থিতি থাকবে এমনটা বলাবাহুল্য। ছ’ ব্যালন ডি’অর জয়ের রেকর্ড আগে থেকেই ছিল মেসির। কোপা আমেরিকার মুকুট মাথায় ওঠার পর সম্ভবত সপ্তমটিও আসতে আর্জেন্তাইন সুপারস্টারের দখলে।
২০১৪ সালে এই মারাকানাতে জার্মানির বিরুদ্ধে হেরে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয় মেসি৷ সেই মাঠেই কোপা জিতে বিশ্বকাপ হাতছাড়া হওয়ার ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ লাগালেন মেসি৷ ব্রাজিল বিশ্বকাপে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার হিসেবে গোল্ডেন বল জিতেছিলেন মেসি। কিন্তু ট্রফি জিততে না-পারায় হতাশায় সেদিন সেলিব্রেশন করেননি আর্জেন্তাইন ফুটবলের রাজপুত্র৷
এদিন কোপা আমেরিকা ট্রফি জেতার পাশাপাশি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতায় মেসিকে আনন্দে উদ্বেলিত সতীর্থরা৷ ট্রফি জয়ের পরেই মেসিকে নিয়ে মারাকানায় সেলিব্রেশনে মেতে ওঠে টিম আর্জেন্তিনা। মেসিকে কাঁধে নিয়ে তারপর শূন্যে ছুঁড়ে আবেগের বিস্ফোরণ ঘটান সতীর্থরা৷ ম্যাচ জিতেই মাঠের মধ্যে মেসিকে ঘিরে চলে মার্টিনেজ, আগুয়েরোদের উচ্ছাস। গ্রুপ ও নক-আউট পর্ব মিলিয়ে ছ’ ম্যাচের সবকটিতেই খেলেছেন আর্জেন্তিনা অধিনায়ক। এই ছয় ম্যাচের চারটিতেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন মেসি। তাঁর চোখে এদিন আনন্দের বিস্ফোরণ হলেও একসময়ে বার্সেলোনায় ব্রাজিলীয় সতীর্থ নেইমারের চোখে জল দেখে স্থির থাকতে পারেন আর্জেন্তাইন তারকা৷ নেইমারকে বুকে জড়িয়ে সান্ত্বনা দিতে দেখা গিয়েছে মেসিকে৷
]]>২৮ বছর পর প্রথম কোনও বড় টুর্নামেন্টে খেতাব জিতল আর্জেন্তিনা। সেই সঙ্গে দেশের জার্সিতে প্রথম ট্রফি জয়ের অনন্য স্বাদ পেলেন মেসি৷ আর্জেন্তিনা শেষবার ১৯৯৩ সালে কোপা আমেরিকা খেতাব জিতেছিল। এবার জিতে স্পর্শ করল কোপা আমেরিকায় সর্বাধিক ১৫ বার খেতাব জয়ের রেকর্ডধারী উরুগুয়েকে ছুঁল আর্জেন্তিনা৷ ব্রাজিলের মাটিতে সেলেকাওদের হারানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ জিতল মেসি অ্যান্ড কোং৷ ডি’ মারিয়ার গোলে কোপা আমেরিকায় খেতাব জিতল লিওনেল স্কালোনির দল। ফাইনালে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্তিনা।
১৯৩৭ সালের পর কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলকে হারানোর স্বপ্ন সফল হল আর্জেন্তিনার।
পরপর দু’বার ফাইনালের চিলির কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মেসির৷ অবশেষে আর্জেন্তিনার জার্সি গায়ে প্রথম খেতাব জয়ের স্বাদ পেলেন এমএল১০৷ সেমিফাইনালের পর ফাইনালেও আসল সময়ে জ্বলে ওঠেন আর্জেন্তাইন গোলরক্ষক মার্টিনেজ। ৮৭ মিনিটে গ্র্যাবিয়েল বারবোসার গোলমুখী শট পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক থেকে সেভ করে ফের নিজের জাত চেনালেন তিনি। আর আগের কয়েক ম্যাচে বদলি নেমে আলো ছড়ানো ডি’ মারিয়া ফাইনালে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েই নায়ক হলেন। তাঁর একমাত্র গোলেই খেতাব জয় আর্জেন্তিনা৷ ২১ মিনিটে নিজেদের প্রথম সুযোগেই সাম্বা ঝড় থামিয়ে দেন ডি’মারিয়া। নিজেদের অর্ধ থেকে রদ্রিগো দে পলের পাস রিসিভ করে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠান আর্জেন্তাইন মিডফিল্ডার।
গত বিশ্বকাপের পর এই প্রথম আর্জেন্তিনার হয়ে গোল পেলেন ডি’ মারিয়া। ২০০৫ কনফেডারেশন্স কাপের ফাইনালের পর এই প্রথম কোনও ফাইনালে গোল পেল দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমবার দেশের মাটিতে কোপা আমেরিকা খেতাব জিততে ব্যর্থ হল ব্রাজিল৷ আগের পাঁচবারই ট্রফি জিতেছিল তারা। লাতিন আমেরিকার সেরা টুর্নামেন্টে দেশের মাটিতে ১৯৭৫ সালের পর এই প্রথমবার খেতাব হাতছাড়া হল ব্রাজিলের।
]]>টাই-ব্রেকার এড়াতে চেয়েছিলেন আর্জেন্তাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি। কিন্তু সেমিফাইনালে সেই ভাগ্য পরীক্ষার মধ্য দিয়েই যেতে হল মেসিদের৷ যাতে ব্যবধান গড়ে দিলেন মার্টিনেস। কলম্বিয়ার তিনটি শট ঠেকিয়ে দলকে কোপা আমেরিকার ফাইনালে তোলার নায়ক এই গোলরক্ষক। আগামী রবিবার রিও ডি জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে খেতাব নির্ণায়ক ম্যাচে ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে আর্জেন্তিনা।
কোয়ার্টার ফাইনালে টাই-ব্রেকারে উরুগুয়েকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল কলম্বিয়া। হুয়ান কুয়াদরাদোর প্রথম শট গোল হলেও। দাভিনসন সানচেস ও ইয়েরি মিনার পরের দু’টি শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন মার্টিনেজ। মিগুয়েল বোরহার বুলেট গতির শট আটকাতে না-পারলেও কারদোনার শট বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে আটকে দেন মার্টিনেজ। সেই সঙ্গে ফাইনালে ওঠার উচ্ছ্বাসে মাতেন আর্জেন্তাইন ফুটবলাররা৷
ম্যাচের পর দলের গোলরক্ষকের মার্টিনেজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মেসি বলেন, ‘আমাদের দলে এমি রয়েছে, যে একটা ফেনোমেনন। আমরা ওর ওপর আস্থা রেখেছিলাম। ফাইনালে পৌছনোর পাশপাশি টুর্নামেন্টের সবক’টি ম্যাচ খেলার আমাদের লক্ষ্যও পূর্ণ হল।’ ‘ফেনোমেনন’, শব্দটা শুনলেই ব্রাজিলের ৯ নম্বর জার্সি গায়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণে তছনছ করে দেওয়া রোনাল্ডোর কথা মনে পড়ে। তবে কোপা সেমিফাইনালের রাতে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে আর্জেন্তিনাও নিজেদের ‘ফেনোমেনন’-কে পেল আর্জেন্তিনা৷
আক্রমণাত্মক শুরু করা আর্জেন্তিনা এগিয়ে যেতে পারত ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে। বল পায়ে তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কলম্বিয়ার ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। খুঁজে নেন পেনাল্টি স্পটের কাছে থাকা গনসালেসকে। কিন্তু তাঁর হেড অল্পের জন্য লক্ষভ্রষ্ট হয়। তবে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি আর্জেন্তিনাকে। সোলসোর কাছ থেকে ডি-বক্সে বল পেয়ে যান মেসি। কলম্বিয়ান এক ডিফেন্ডার বলে পা-ছোঁয়ালেও দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মেসি পাস বাড়ান মার্টিনেজকে। সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি৷ ফলে ম্যাচের সপ্তম মিনিটে এগিয়ে যায় দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
চলতি টুর্নামেন্টে এটি মেসির পঞ্চম অ্যাসিস্ট৷ কোপা আমেরিকার ইতিহাসেই যা সর্বোচ্চ। এ নিয়ে কোপায় আর্জেন্টিনার শেষ ১১ গোলের নয়টাতেই থাকল মেসির অবদান। পরের মিনিটেই সমতা ফেরানোর দারুণ সুযোগ ছিল কলম্বিয়ার সামনে। বাঁ-দিক থেকে ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে যান কুয়াদরাদো। কিন্তু তাঁর রুখে দেন আর্জেন্তাইন গোলরক্ষক। প্রথমার্ধে আর্জেন্তিনা এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়লেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কলম্বিয়াকে সমতায় ফেরান লুইজ দিয়াজ৷ ম্যাচের শেষ তিরিশ মিনিট কোনও দলই গোল করতে পারেনি৷ ফলে ম্যাচ গড়ায় টাই-ব্রেকারে৷ আর এতে বাজিমাত করে আর্জেন্তিনা৷
]]>ম্যাচের ৪২ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন গ্যাব্রিয়েল জেসুস৷ দ্বিতীয়ার্ধের বাকি সময়টা ১০ জনেই খেলতে হয় ব্রাজিলকে। তবে জেসুসের লাল কার্ড দেখার আগে চিলির জালে বল জড়িয়ে ব্রাজিলকে এগিয়ে দিয়ে ছিলেন লুকাস পাকুয়েতা৷ তাঁর একমাত্র গোলেই শেষ হাসি হাসেন নেইমাররা৷ সেমিফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ গতবারের রানার্স পেরু। এদিন অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে প্যারাগুয়েকে টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে পেরু। গতবার ফাইনালে পেরুকে ৩-১ গোলে হারিয়ে কোপায় খেতাব জিতেছিল ব্রাজিল।
কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে চিলি শুরুটা মন্দ হয়নি। ১০ মিনিটে মাথায় দারুণ এক সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। তবে আধ ঘন্টার মধ্যেই খেলা গুছিয়ে নেয় নেইমাররা। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লুকাস পাকুয়েতা গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেয়। বদলি হিসেবে নেমে লুকাস পাকুয়েতার গোলে ৪৬ মিনিটে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। এর দুই মিনিট পরই ম্যাচের নক্কারজনক দৃশ্যের জন্ম দেন জেসুস। বাতাসে বলের দখল নিতে গিয়ে মেনার মুখে লাথি মারেন তিন৷ ফুটবল ম্যাচে দেখা গেল রেসলিংয়ের ‘ফ্লাইং কিক’!
ফলস্বরূপ লাল কার্ড অনিবার্য ছিল৷ রেফারি তা দেখাতে ভুল করেননি৷ আর জেসুসের সতীর্থরাও কোনও প্রতিবাদ জানানোর প্রয়োজনও মনে করেননি। বাকি ম্যাচে ১০ খেলোয়াড় নিয়ে ১-০ জিতে মাঠ ছাড়ে তিতের ছেলেরা৷ তবে একজন কম নিয়ে রক্ষণে হাঁসফাঁস করতে দেখা গিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরোটা ১০ জন নিয়েও খেলেও জয়ের পর নেইমার কৃতিত্ব দিলেন দলের সবাইকে।
১০ জনে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে স্বস্তির কথা জানান সাম্বা অধিনায়ক৷ নেইমার বলেন, ‘আমরা এমন একটা চ্যালেঞ্জ জিতেছি, যা সব সময় জেতা যায় না। আমাদের জন্য বড় পরীক্ষা ছিল। কঠিন চ্যালেঞ্জ জিতে আমরা সেমিফাইনালে উঠেছি।’এদিন গোল না-পেলেও দারুণ খেলেন নেইমার৷ চাপের মধ্যে নিজেদের মেলে ধরায় সতীর্থদের বাহবা দিলেন নেইমার৷ তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন নতুন নতুন পরীক্ষা আমাদের আরও শক্তিশালী করে তুলেছে। এতেই প্রমাণ হয়, যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত৷ চিলি ভালো দল, দারুণ সব ফুটবলার ছিল। একজন কম নিয়ে খেলা সবসময়ই কঠিন। আজকের জয়ে সবার কৃতিত্ব প্রাপ্য, ডিফেন্স, মিড-ফিল্ড, ফরোয়ার্ড সবারই।’ মঙ্গলবার সেমিফাইনালে পেরুর বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে খেলবে ব্রাজিল৷
]]>মিউটেশন কেন ঘটে?
বেঁচে থাকা এবং বংশবৃদ্ধির জন্য সব ভাইরাসের দেহেই পরিবর্তন ঘটে। বেশিরভাগ সময়েই এসব পরিবর্তন খুবই সূক্ষ্ম। কোন কোন সময়ে এতে ভাইরাসেরই ক্ষতি হয়। তবে অন্যগুলোতে যখন বড় ধরনের মিউটেশন ঘটে তখন রোগটা আরও বেশি সংক্রামক রূপ নেয় এবং রোগীর ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়৷ সংক্রমণ কিংবা ভ্যাকসিনের মাধ্যমে যখন মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়৷ ভাইরাস তখন মিউটেশনের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করে সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে ফেলে। কোন ভাইরাস কতখানি বিপজ্জনক, তা জানতে বিজ্ঞানীরা ভাইরাসের জেনেটিক কোড, পরীক্ষাগারে তার আচরণ এবং মানুষের মধ্যে সংক্রমণের দিকটি লক্ষ্য করেন।

নানান ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে কী জানি?
সমগ্র বিশ্বে করোনাভাইরাসের হাজার হাজার ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু ইউকে, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্টকে ”উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট” বলে মনে করা হয়। ইউকে বা কেন্ট ভ্যারিয়েন্ট (যার আরেক নাম B.1.1.7) প্রথম দেখা গিয়েছে ব্রিটেনে। পরে ৫০টিরও বেশি দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। এটি এখনও মিউটেট করছে। ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্ট (P.1) ছড়িয়ে পড়েছে শতাধিক দেশে। এর মধ্যে ব্রিটেনও রয়েছে৷ এছাড়াও ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ব্রিটেনে ইন্ডিয়া ভ্যারিয়েন্টের (B.1.617 ) দুই শতাধিক কেস ধরা পড়েছে। তবে ভারতে কোভিড-১৯ মহামারির বর্তমান ঢেউয়ের সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই বলেই বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।
নতুন ভ্যারিয়েন্ট কি সত্যিই বেশি বিপজ্জনক?
যারা এসব ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হয়েছেন, তাদের বেশিরভাগের অসুস্থতার মাত্রা অনেক বেশি এমন কোন প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। করোনার মূল রূপের ক্ষেত্রে যেমনটা দেখা গিয়েছে, বয়স্ক এবং শারীরিক সমস্যা যাদের প্রকট এসব ভ্যারিয়েন্টেও তারাই বেশি ঝুঁকির মুখে। কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়া হয়নি এমন জনগোষ্ঠীর জন্য বেশি সংক্রামক কোন ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটবে বেশি। কিছু গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, ইউকে ভ্যারিয়েন্টে ব্যক্তি-বিশেষের ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঝুঁকি ৩০% বেশি। তবে এর পক্ষে প্রমাণ খুব একটা জোরাল নয়। কিন্তু করোনার সব ধরনের স্ট্রেইনের ক্ষেত্রেই ডাক্তারদের উপদেশ একই- ভাল করে হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ফেস মাস্ক ব্যবহার করা এবং ঘরের মধ্যে বাতাস চলাচল নিশ্চিত করা।

ইউকে, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল কিংবা ইন্ডিয়ান – সবগুলো ভ্যারিয়েন্টই নিজের দেহের স্পাইক প্রোটিনে পরিবর্তন ঘটিয়েছে। এটি ভাইরাসের একটি অংশ যেটি দিয়ে সে মানুষের দেহকোষের ভেতরে ঢুকে পড়তে পারে। । N501Y নামে পরিচিত একটি মিউটেশনে দেখা গিয়েছে, দেহকোষে সংক্রমণ এবং বিস্তারের ক্ষেত্রে এটি ভাইরাসকে বিশেষ সুবিধে করে দেয়। কোন কোন বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ইউকে/কেন্ট ভ্যারিয়েন্টটি ৭০% বেশি সংক্রামক৷ যদিও পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড বলছে, এটি ৩০%-৫০% সংক্রামক। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্টেও E484K নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিউটেশন ঘটেছে। এর ফলে ভাইরাস অ্যান্টিবডির হাত থেকে পালাতে পারে। অ্যান্টিবডি দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইউকে ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে সম্প্রতি এধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। ইন্ডিয়া ভ্যারিয়েন্টেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ মিউটেশন ঘটেছে৷ যার ফলে এটা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেদ করতে পারে। সেজন্যই বিজ্ঞানীরা এখন এটি নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে গবেষণা চালাচ্ছেন।
নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কি কাজ করতে পারবে?
এখন যেসব ভ্যাকসিন চালু রয়েছে, সেগুলো তৈরি করা হয়েছিল করোনার মূল ধরনটির চিকিৎসার জন্য। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও এগুলো কাজ করবে, তবে তার কার্যকারিতা হবে কম। একটি গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, আগে যাদের কোভিড হয়েছে এবং কিছুটা ইমিউনিটি রয়েছে, ব্রাজিলিয়ান ভ্যারিয়েন্ট সম্ভবত তাদের দেহের অ্যান্টিবডিকে ঠেকিয়ে দিতে পারে। ফাইজারের ভ্যাকসিনের ওপর গবেষণাগারের প্রাথমিক তথ্য এবং রোগীদের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, এটি নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কাজ করে, তবে কার্যকারিতা কম। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডেটা থেকে জানা যাচ্ছে, এটি ইউকে/কেন্ট ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও একইভাবে কার্যকর। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে এটি কম সুরক্ষা দেয়। কিছু প্রাথমিক ফলাফল থেকে জানা যাচ্ছে, মডার্না ভ্যাকসিন দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর। তবে এর ইমিউন রেসপন্স দুর্বল এবং স্বল্পস্থায়ী।

নতুন ভ্যারিয়েন্টের জন্য কি বুস্টার টিকা লাগবে?
ভবিষ্যতের করোনা ভ্যারিয়েন্টগুলোর জন্য টিকা তৈরি করতে ব্রিটিশ সরকার কিওরভ্যাক নামে একটি ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে। পাঁচ কোটি ডোজ টিকার আগাম অর্ডারও দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে ভ্যারিয়েন্টগুলোতে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটবে তার ওপর নির্ভর করবে বয়োবৃদ্ধ এবং প্রকট শারীরিক সমস্যার শিকার ব্যক্তিদের চলতি বছরের শেষ নাগাদ এধরনের বুস্টার টিকার প্রয়োজন হবে কিনা।
সবার নজর এখন করোনাভাইরাসের মিউটেশনের দিকে – কোভিড-১৯য়ের নতুন নতুন ধরন যেমন দ্রুত ছড়ায়, তেমনি বেশি সংখ্যায় লোক এখন এগুলোতে সংক্রমিত হচ্ছে, এবং ভ্যাকসিনকে ঠেকিয়ে দেওয়ার ক্ষমতাও এসব ভ্যারিয়েন্টের বেশি।