CDS – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Thu, 23 Dec 2021 05:54:13 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png CDS – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 দেশ সেবায় ইচ্ছুক? স্নাতক পাশে সেনাবাহিনীর অফিসার পদে মিলবে চাকরি,আজ‌ই‌ আবেদন করুন https://ekolkata24.com/uncategorized/application-for-combined-defence-services-exam-has-started Thu, 23 Dec 2021 05:54:13 +0000 https://ekolkata24.com/?p=15960 News Desk: সবাই চান জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে। কিন্তু এরই মধ্যে কিছু জন চান দেশ সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করতে। যারা সদ্য স্নাতক পাশ ‌করেছেন,অফিসার হিসেবে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে(Indian armed forces) যোগ দিতে চান, তাদের জন্য সুখবর। ইউপিএসসি’র ২০২২ সালের কম্বাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিস(l) পরীক্ষার আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। কিভাবে আবেদন করবেন, কারা আবেদন করতে পারবেন, রইল বেশ কিছু জরুরী তথ্য।

 

CDS ENTRY

ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC) দ্বারা বছরে দুবার কম্বাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিসেস এক্সামিনেশন (CDSE) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। 

 

আবেদন করার যোগ্যতা:

যে কোন শাখার স্নাতক অবিবাহিত পুরুষ ও মহিলা, ডিভোর্সি মহিলারা এই পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারেন। ফাইনাল ইয়ার বা চূড়ান্ত সেমিস্টারের পড়ুয়ারাও আবেদন করতে পারেন।

 

বয়স সীমা:

আবেদনকারী প্রার্থীকে অবশ্যই ১৯-২৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।

 

আবেদনের সময়সীমা:

ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ২০২২ সালের কম্বাইন ডিফেন্স সার্ভিস (l) পরীক্ষা হবে আগামি বছর এপ্রিল মাসের ১০ তারিখ। ইতিমধ্যেই আবেদন শুরু হয়েছে। অনলাইনে দরখাস্ত করার শেষ তারিখ ১১ জানুয়ারি।

 

আবেদন পদ্ধতি :

প্রথম পর্যায়, ১)প্রথমে ইউপিএসসির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট www.upsconline.nic.in এ যেতে হবে।

২)তারপর “part ll Registration” এ ক্লিক করতে হবে।

৩)তারপর বিভিন্ন তথ্য দেওয়া থাকবে, একদম নিচে গিয়ে affirmative option ক্লিক করতে হবে।

৪)তারপর একটি নতুন পেজে “personal details” দিতে হবে এবং “continue” তে ক্লিক করতে হবে।

৫)এরপর নিজেদের প্রেফারেন্স অনুযায়ী অপশন সিলেক্ট করে “submit” করতে হবে।

দ্বিতীয় পর্যায়,

১)রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আবার অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন পেজে ফিরে গিয়ে “phase ll Registration” এ ক্লিক করতে হবে।

২)তারপর রেজিস্ট্রেশন আইডি(Reg I’d) এবং জন্ম তারিখ(date of birth) দিয়ে লগইন করতে হবে।

৩)এরপর পেমেন্ট(examination fees) করে পরবর্তী পেজে যেতে হবে।

৪)পরবর্তী পেজে বিভিন্ন পার্সোনাল ডকুমেন্টস আপলোড করতে হবে।

৫)সব ডকুমেন্টস আপলোড করার পরবর্তী পেজে নিজের ইচ্ছেমতো পরীক্ষার সেন্টার সিলেক্ট করে, সম্মতি (agreeing declaration) প্রদান করে ফর্মটা সাবমিট করতে হবে।

৬) অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফর্মের পিডিএফ ডাউনলোড করে ভবিষ্যতের জন্য সেটি প্রিন্ট করে নিজের কাছে রেখে দিতে হবে।

]]>
CDS: সেনা সর্বাধিনায়ক পদে নিয়োগ করতে সরকারের এত টালবাহানা কেন, উঠছে প্রশ্ন https://ekolkata24.com/uncategorized/delay-in-appointment-of-new-cds-after-general-bipin-rawat Wed, 15 Dec 2021 16:54:57 +0000 https://ekolkata24.com/?p=15016 নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: দেশের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে ৮ দিন। কিন্তু ৮ দিনের মধ্যেও সেনা সর্বাধিনায়কের (CDS) মত এত গুরুত্বপূর্ণ পদে কেন কাউকে নিয়োগ করা হচ্ছে না, ইতিমধ্যেই তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। সেনা সর্বাধিনায়কের মত এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ কোনওভাবেই ফাঁকা রাখা ঠিক নয়।

সেনাবাহিনীর (army) প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী কোনও পদের শীর্ষ কর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর উত্তরসূরির হাতে দায়িত্ব অর্পণ করে বিদায় গ্রহণ করেন। বিদায় অনুষ্ঠানে দুইজন একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করেন ও অভিনন্দন জানান। কিন্তু বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুর পর ৮ দিন কেটে গেলেও নতুন সেনা সর্বাধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হয়নি।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে কেন্দ্র (central government) বিষয়টি নিয়ে এত গড়িমসি করছে কেন? কেন্দ্রের এই টালবাহানায় স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, বিপিন রাওয়াতকে যখন সেনা সর্বাধিনায়ক নিয়োগ করা হয়েছিল তখন তাঁর উত্তরসূরির সম্পর্কে কোনও রকম চিন্তাভাবনাই করা হয়নি। রাওয়াতকে তো একদিন না একদিন অবসর নিতেই হত। কিন্তু তারপর কে ওই পদে অভিষিক্ত হবেন সে বিষয়ে কেন্দ্র কোনও পরিকল্পনাই করেনি। কেন্দ্রের এ ধরনের আচরণ শুধু যে সিডিএস-এর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদের মর্যাদাহানি করছে তা নয়, দেশের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রেও বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগের বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, সিডিএস-এর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদেও কি শাসক দল বিজেপি তাদের প্রতি আনুগত্য আছে এমন কাউকে উপহার হিসেবে দিতে চায়?

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা অনেকেই বলেছেন, এই মুহূর্তে সেনাবাহিনীর তিন শাখার প্রধানরা কেউই অবসর নেওয়ার মত জায়গায় নেই। তাই তাঁদের মধ্য থেকেই কাউকে অবিলম্বে সেনা সর্বাধিনায়ক পদে নিয়োগ করা উচিত। বর্তমান সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে পরবর্তী সেনা সর্বাধিনায়ক হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছেন। কিন্তু ৮ দিন কেটে গেলেও তাঁকে এখনও ওই পদে নিয়োগ করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে সিডিএস-এর মত এত গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ নিয়ে এত টালবাহানা কেন! দেশের চলতি নীতি অনুযায়ী সেনাবাহিনীর কোনও শীর্ষকর্তা পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে আগাম ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ৮ দিন কেটে গেলেও এখনও সেনা সর্বাধিনায়কের পদে কারও নামটুকু ঘোষণা করা হল না।

প্রশ্ন উঠেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক কি পরবর্তী সিডিএস নিয়োগের জন্য কারও বিশেষ নির্দেশের অপেক্ষা করছে! অনেকেই মনে করছেন, সেনা সর্বাধিনায়ক নিয়োগের বিষয়টি এভাবে ঝুলিয়ে রাখা হলে সন্ত্রাসবাদীরাই উৎসাহিত হবে। তারা এই সুযোগে বিভিন্নভাবে নাশকতা চালানোর চেষ্টা করবে। এভাবে সেনা সর্বাধিনায়ক পদে নিয়োগের বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখে মোদীসরকার দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থারকেই দুর্বল করছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।

]]>
Swarnim Vijay Parv: মৃত্যুর আগে শেষ ভিডিও বার্তায় কী বলেছিলেন সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত? https://ekolkata24.com/uncategorized/late-cds-general-bipin-rawats-pre-recorded-message-played-at-an-event-on-the-occasion-swarnim-vijay-parv-inaugurated-today-at-india-gate-lawns-in-delhi Sun, 12 Dec 2021 16:11:43 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14598 নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের ৮ তারিখে তামিলনাড়ুর কন্নুরে (Kunnur) কপ্টার ভেঙে প্রাণ হারিয়েছেন সেনা সর্বাধিনায়ক (Chief of Defence Staff) বিপিন রাওয়াত। ওই দুর্ঘটনার ঠিক আগের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার এক বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য রাওয়াতের (Bipin Rawat) একটি বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছিল। রেকর্ড করা সেই বক্তব্যটি রবিবার শোনান হল সেনাবাহিনীর ওই অনুষ্ঠানে। এখন দেখা যাক ওই অনুষ্ঠানে (Swarnim Vijay Parv) রাওয়াত কী বার্তা রেখেছিলেন।

১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানকে হারানোর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রবিবার ‘স্বর্ণিম বিজয় পর্বের’ (Swarnim Vijay Parbo) উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হল। সেই অনুষ্ঠানেই শোনা গেল বিপিন রাওয়াতের গলা। সশরীরে না থাকলেও এদিনের অনুষ্ঠানে প্রতিটি পরোতে পরোতে জড়িয়েছিল রাওয়াতের উপস্থিতি। দুর্ঘটনার ঠিক আগের দিনই রাওয়াতের এই বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছিল। হায়রে নিয়তি! তখনও রাওয়াত নিজে বা অন্যরা কেউই জানতেন না যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাওয়াত অতীতে পরিণত হবেন।

রবিবার ইন্ডিয়া গেটে ‘স্বর্ণিম বিজয় পর্ব’ অনুষ্ঠানে রাওয়াতের সেই বক্তব্য শোনানো হয়। সেখানেই রাওয়াত দেশের সেনাবাহিনীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা আমাদের বীর সেনানীদের জন্য গর্বিত। আসুন সবাই মিলে আমরা আজ বিজয় পর্ব পালন করি। স্বর্ণিম বিজয় পর্ব উপলক্ষে দেশের সাহসী যোদ্ধাদের আমার আন্তরিক অভিনন্দন। ১৯৭১ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জয়ের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করতে আমরা বিজয় পর্ব পালন করছি। সেই যুদ্ধে যে সব অসীম সাহসী বীর সেনা আত্মবলিদান দিয়েছিলেন আমরা তাঁদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। সেই যুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছিলেন আমরা তাঁদের প্রত্যেককে শ্রদ্ধা জানাই।”

একইসঙ্গে রাওয়াত তাঁর সেদিনের রেকর্ডিং-এ জানিয়েছিলেন, ইন্ডিয়া গেটে ১২ থেকে ১৪ ডিসেম্বর বিজয় উৎসব পালিত হবে। দেশের সমস্ত মানুষকে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানাই। কিন্তু একেই বোধহয় বলে নিয়তির পরিহাস। যিনি আমন্ত্রণ জানালেন অর্থাৎ যিনি জ্ঞগ্যের হোতা তিনি আজ নেই। তাই আজকের এই স্বর্ণিম বিজয় পর্ব দেখে মনে হল অনেকটা যেন শিবহীন জ্ঞগ্য চলছে। তবে সশরীরে না থেকেও কিন্তু রয়ে গিয়েছেন রাওয়াত। বিজয় পর্বের সূচনাতেই শোনা গেল তাঁর কণ্ঠস্বর। রাওয়াতের এই কণ্ঠস্বর পুরো অনুষ্ঠানের পরিবেশটাই পাল্টে দিয়ে গেল নিমিষে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠল রাওয়াত কি বুঝতে পেরেছিলেন যে, ১২ ডিসেম্বর তিনি আর ইহলোকে থাকবেন না। তাই তিনি নিজের বক্তব্য রেকর্ড করে রেখেছিলেন।

রাওয়াত যে শুধু একজন কঠিন হৃদয়ের সেনানায়ক ছিলেন তা নয়। তাঁর এই কাঠিন্যের পিছনে লুকিয়ে ছিল একটি নরম মন। রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রী মধুলিকার সেই উত্তরাধিকার বহন করছেন তার দুই কন্যা কৃতিকা ও তারিণী। বুধবার দুর্ঘটনায় রাওয়াতের সঙ্গেই প্রাণ হারিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল হরজিন্দর সিং। সনাক্ত না হওয়ায় এতদিন হরজিন্দরের দেহ পায়নি তাঁর পরিবার। সনাক্তকরণের পর রবিবার হরজিন্দরের দেহ তুলে দেওয়া হয় তাঁর পরিবারের হাতে। রবিবার দিল্লির ব্রার শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় হরজিন্দরের।

এদিন শেষকৃত্যানুষ্ঠানে হরজিন্দরের স্ত্রী মেনজেস অ্যাগনেসের পাশে আগাগোড়া ছিলেন রাওয়াতের দুই মেয়ে। নিজেদের শোক ও দুঃখ বুকে চেপে রেখে এদিন আগাগোড়াই হরজিন্দরের স্ত্রীর হাত ধরে ছিলেন কৃতিকা ও তারিণী। হরজিন্দরের ১২ বছরের ছোট্ট মেয়ে প্রীতিকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন এই দুই বোন। মুছে দিলেন চোখের জল। ভরসা জোগালেন, তাঁরাও পাশে আছেন। বোঝালেন অ্যাগনেস ও প্রীতি কিছুই হারাননি, বরং তাঁদের সামনে অনেক কিছু পাওয়ার আছে। সেই লক্ষ্যেই তাঁদের উঠে দাঁড়াতে হবে। হরজিন্দরের চিতার আগুন যখন দাউদাউ করে জ্বলছে তখন সব শোক ও দুঃখ যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল যমুনায়। কৃতিকা ও তারিণী তাঁদের এই কৃতকর্মের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, মা-বাবার প্রকৃত উত্তরাধিকার বহন করছে তাঁদের দুই মেয়ে।

]]>
Bipin Rawat: রাওয়াতের শেষকৃত্যের প্রস্তুতির সঙ্গে চলছে উত্তরসূরি বাছাইয়ের পালা https://ekolkata24.com/uncategorized/next-cds-recruitment-process-is-underway-with-preparations-forbipin-rawats-funeral Thu, 09 Dec 2021 18:18:33 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14280 নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে (palam airport) এসে পৌঁছয় সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) মরদেহ। শুধু রাওয়াত নয়, এসেছে তাঁর স্ত্রী মঞ্জুলিকা-সহ আরও ১১ জনের মরদেহ।

এদিন বিপিন রাওয়াত-সহ অন্যদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী দুজনেই পালাম বিমানবন্দর আগেই হাজির হয়েছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানবন্দরে আসেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও সেনাবাহিনীর তিন শাখার কর্তারা। প্রত্যেকেই রাওয়াতের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

এদিন রাত সাড়ে ৮টা থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে সেনাবাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে একে একে রাওয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, অজয় ভাট, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য। শুক্রবার কামরাজ মার্গ থেকে বিপিন রাওয়াতের মরদেহ নিয়ে শোকযাত্রা করবে সেনা। যা শেষ হবে ব্রার শ্মশানে। শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত সাধারণ মানুষ রাওয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাবেন। রাওয়াতের শেষকৃত্যে অংশ নিতে আসছেন শ্রীলঙ্কার সেনাপ্রধান জেনারেল শভেন্দ্র সিলভা।

একদিকে যখন রাওয়াতের শেষকৃত্যের প্রস্তুতি চলছে তখনই উঠে এসেছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। সেটা হল দেশের পরবর্তী সেনা সর্বাধিনায়ক কে হবেন? রাওয়াতের ফেলে যাওয়া চেয়ারে কে বসবেন? হঠাৎ করেই রাওয়াতের চলে যাওয়া দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক বড় ধাক্কা। দেশের প্রতিরক্ষার ইতিহাসে বছর দুই আগে ও সেনা সর্বাধিনায়ক বলে কোনও পদ ছিল না।

২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বা সেনা সর্বাধিনায়ক পদটি তৈরি করে। বায়ু সেনা, নৌ সেনা ও স্থল সেনা এই তিন বাহিনীর সমন্বয়সাধনের দায়িত্ব থাকে সেনা সর্বাধিনায়কের উপর। কয়েক বছর আগে একদিকে চিন অন্যদিকে পাকিস্তান সীমান্তে নিয়মিত আগ্রাসন দেখাচ্ছিল। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠেছিল যে, বাহিনীর তিন শাখার মধ্যে আরও বেশি সমন্বয় স্থাপনের প্রয়োজন হয়েছিল। সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতেই চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদটি তৈরি করা হয়। যার দায়িত্ব ছিলেন বিপিন রাওয়াত।

রাওয়াতের পর কে এই প্রশ্নের উত্তরে বেশ কয়েকটি নাম শোনা যাচ্ছে। এই নামগুলির মধ্যে রয়েছে দেশের বর্তমান সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে, বায়ুসেনা প্রধান বিবেকরাম চৌধুরী ও নৌ সেনাপ্রধান অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই নতুন সেনা সর্বাধিনায়ক নির্বাচন করা হবে।

পরবর্তী সেনা সর্বাধিনায়ক নির্বাচনের কাজটি পর্বত প্রমাণ কঠিন। তিন বাহিনীর বর্তমান প্রধানদের মধ্যে তুলনা করলে সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে কিছুটা এগিয়ে আছেন। কারণ ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর নারাভানে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। অন্যদিকে মাত্র মাস তিনেক আগে বায়ুসেনা প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন বিবেকরাম চৌধুরী।

আর নতুন নৌ সেনাপ্রধান অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার দায়িত্ব পেয়েছেন মাত্র ১ সপ্তাহ আগে। পাশাপাশি নতুন সেনা সর্বাধিনায়ক পদে শোনা যাচ্ছে অবসরপ্রাপ্ত এয়ার চিফ মার্শাল আর কেএস ভাদুরিয়ার নাম। পাশাপাশি উঠে এসেছে বায়ুসেনার এয়ার মার্শাল বলভদ্র রাধাকৃষ্ণের নামও। তবে বলভদ্রের নতুন সেনা সর্বাধিনায়ক হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কারণ তাঁর বুকে এখনও পর্যন্ত তিনটি তারা রয়েছে। চারটি তারা না থাকলে এই পদ পাওয়া খুবই কঠিন।

তাই নতুন সেনা সর্বাধিনায়ক হিসেবে নারাভানে ও ভাদুড়ির মধ্যে কোনও একজনের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। তবে শেষপর্যন্ত সাউথ ব্লক কী সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকে নজর রয়েছে গোটা দেশের।

]]>