Celebrate – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Fri, 12 Nov 2021 17:38:51 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Celebrate – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় দান অপরিসীম, জন্মদিন পালিত শিক্ষা দিবস হিসেবে https://ekolkata24.com/offbeat-news/national-education-day-celebrate-as-moulana-abul-kalam-azads-birthday Fri, 12 Nov 2021 17:38:51 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11088 বিশেষ প্রতিবেদন: শিক্ষক দিবস ৫ সেপ্টেম্বর, ওইদিন সর্বেপল্লী রাধাকৃষ্ণণ-এর জন্মদিন। কিন্তু ভারতে শিক্ষা দিবসও আছে। ওইদিন মাওলানা আবুল কালাম আজাদের জন্মদিন হিসাবে পালন করা হয়। স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদের জন্মবার্ষিকী স্মরণে ভারতে এই দিনটি ” জাতীয় শিক্ষা দিবস ” হিসাবে পালন করা হয়।

আবুল কালাম আজাদ ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি অবধি দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ভারতের জাতীয় শিক্ষা দিবস প্রতি বছর ১১ নভেম্বর পালিত হয় । মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় ১১ ই সেপ্টেম্বর ২০০৮ এ ঘোষণা করেছিল, “ভারতের এই মহান পুত্রের জন্মদিন উদ্‌যাপনের মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতে শিক্ষাব্যবস্থায় তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করে। ২০০৮ সাল থেকে প্রতিবছর ১১ নভেম্বর থেকে এটিকে ছুটি ঘোষণা না করে জাতীয় শিক্ষা দিবস হিসাবে উদযাপিত করা হবে। ” দেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাক্ষরতার গুরুত্ব এবং শিক্ষার সকল দিকের প্রতি দেশের অঙ্গীকারের স্লোগান, সিম্পোজিয়া, প্রবন্ধ-রচনা, শ্রুতিমধুরতা প্রতিযোগিতা, ব্যানার কার্ড সহ ওয়ার্কশপ ও সমাবেশ করে দিবসটি উদ্‌যাপন করে।

স্বাধীন ভারতে শিক্ষাব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন, এবং এই ক্ষেত্রে দেশের বর্তমান ভূমিকার মূল্যায়ন ও উন্নতিতে আজাদের অবদানকে স্মরণ করার জন্য এই দিনটিকে একটি উপলক্ষ হিসাবেও দেখা হয়।

মৌলানা আবুল কালাম ১৮৮৮ সালের ১১ই নভেম্বর সৌদি আরবের মক্কায় জন্ম গ্রহণ করেন যেটি তখন উসমানীয় সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। তার আসল নাম ছিল সৈয়দ গুলাম মুহিউদ্দিন আহমেদ বিন খায়েরুদ্দিন আল হুসায়নি, কিন্তু তিনি সময়ের আবর্তনে মওলানা আবুল কালাম আজাদ নামে পরিচিত হন। আজাদের পিতা দিল্লীতে বসবাসকারী একজন আলেম ছিলেন যিনি তার মাতামহের সাথে থাকতেন, কারণ তার পিতা অনেক কম বয়সে মারা যান। তার শৈশব কাটে কিছুটা অসহায়ত্বের মধ্যে। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের সময় আজাদের পিতা খায়েরউদ্দীন মক্কায় চলে যান এবং সেখানেই বসবাস করতে থাকেন। সেখানেই সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করেন।

১৮৮৮ সালের ১১ নভেম্বর সেখানে আজাদের জন্ম হয়। তারপর ১৮৯০ সালে তার পিতা সপরিবারে কলকাতায় চলে আসেন। খায়েরউদ্দীন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করার পর থেকে আজাদের পরিবার এখানেই স্থায়ী হয়। আজাদের পরিবার ছিল ধর্মীয়ভাবে রক্ষণশীল। তাই ছোটবেলায় ধর্মীয় শিক্ষা লাভের মধ্য দিয়ে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। তখনকার সময়ে বৃটিশ নিয়ন্ত্রিত, প্রচলিত স্কুল কিংবা মাদ্রাসা শিক্ষায় খায়েরউদ্দীনের এর খুব একটা আস্থা ছিল না। তাই তিনি বাড়িতেই আজাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। বাড়িতেই আজাদ আরবি ভাষায় গণিত, জ্যামিতি, দর্শন প্রভৃতি শিক্ষালাভ করেন। আরবি মাতৃভাষা হওয়ায় এবং ধর্মের প্রতি একনিষ্ঠ ও দৃঢ় বিশ্বাসী পারিবারিক পটভূমির কারণে প্রচলিত ধারায় ইসলামী শিক্ষার চর্চা করা ছাড়া আজাদের অন্য কোনো বিকল্প ছিল না। প্রাতিষ্ঠানিক আধুনিক শিক্ষা লাভ না করলেও ব্যক্তিগতভাবে অধ্যয়ন ও ব্যাপক পাঠাভ্যাসের মাধ্যমে তিনি উর্দু, ফারসি, হিন্দি ও ইংরেজিতে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। তার সময়ের অনেক যশস্বী ব্যক্তিদের মতো তিনিও নিজ চেষ্টায় শিক্ষিত হওয়ার পথ অনুসরণ করেন এবং বিশ্ব ইতিহাস ও রাজনীতি সম্পর্কে বিপুল জ্ঞানের অধিকারী হন।

তরুণ বয়সে স্যার সৈয়দ আহমদ খানের লেখা পড়ে তিনি গভীরভাবে প্রভাবিত হন। তার চিন্তাধারায় পরিবর্তন ঘটে। তিনি আধুনিক শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারেন। তাই ইংরেজী শিক্ষায় ব্রতী হন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই নিজ প্রচেষ্টায় দক্ষতা অর্জন করেন। সে সময়ে সমাজের প্রচলিত রীতি, পদ্ধতি আর বিশ্বাসের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারছিলেন না। একটা সময় তার ওপর পরিবারের সমস্ত শৃঙ্খল সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়ে। বিদ্রোহের এক নতুন বোধে তার মন-প্রাণ ছেয়ে যায়। তখন নিজের নামের শেষে ‘আজাদ’ যুক্ত করেন, যার অর্থ মুক্ত।

আজাদ যখন বিপ্লবী চিন্তাধারায় একটু একটু আকর্ষণ অনুভব করছেন, ঠিক তখন তিনি শ্রী অরবিন্দ ঘোষ এবং শ্যামসুন্দর চক্রবর্তীর মতো বিপ্লবী নেতাদের সংস্পর্শে আসেন এবং তাদের মাধ্যমে তিনি বিপ্লবী রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তার কিছুদিন পর তিনি মিশর, তুরস্ক, সিরিয়া, ইরাক প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেন এবং সেসব দেশের বিপ্লবীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তাদের সাথে কথা বলে তিনি বুঝতে পারেন, ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য বিপ্লব করতেই হবে। তাই দেশে ফেরার পর তিনি মানুষকে স্বাধীনতায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে ‘আল হিলাল’ নামে উর্দুতে একটি পত্রিকা প্রকাশ করা শুরু করেন।

এই পত্রিকা ব্রিটিশদের সমালোচনা করে এবং মানুষের মাঝে বিপ্লব ছড়িয়ে দিয়ে ব্রিটিশবিরোধী মনোভাব জাগিয়ে তোলে। ফলে অল্পদিনেই পত্রিকাটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং উর্দু সাংবাদিকতার ইতিহাসে এক মাইলফলক সৃষ্টি করে। জনপ্রিয়তা দেখে ব্রিটিশ সরকারের পিলে চমকে যায় এবং তড়িঘড়ি করে পত্রিকা বাজেয়াপ্ত করে। পরবর্তীকালে আজাদ ‘আল বালাঘ’ নামে আরো একটি পত্রিকা চালু করলে ব্রিটিশ সরকার সেটিও বাজেয়াপ্ত করে দেয়। ব্রিটিশ সরকার উপায়ান্তর না দেখে তাকে কলকাতা থেকে বহিষ্কার করে। আজাদ বিহারে চলে যান। কিন্তু সেখানেও তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। ১৯২০ সালের পহেলা জানুয়ারি তিনি মুক্তি পান এবং কলকাতায় চলে আসেন।

কলকাতায় এসে তিনি খিলাফত আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন। ততদিনে মহাত্মা গান্ধী অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে দিয়েছেন। খিলাফত আন্দোলন আর অসহযোগ আন্দোলন একসাথে চলার ফলে তিনি গান্ধীর সংস্পর্শে আসেন। আজাদ গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলনকে পূর্ণভাবে সমর্থন করেন এবং যুগপৎভাবে অসহযোগ এবং খিলাফত, দুই আন্দোলনেই সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। আন্দোলনের ফলে ব্রিটিশ সরকার সারাদেশে ধরপাকড় শুরু করলে তিনি অন্যান্য কংগ্রেস নেতার সাথে গ্রেফতার হন এবং দু’ বছর কারাবাস শেষে মুক্তি পান। এই সময়ে তিনি শীর্ষ কংগ্রেস নেতাদের একজন হয়ে ওঠেন এবং ১৯২৩ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন।

বিপ্লব ও সাংবাদিকতা –
আজাদ সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করেন যা তৎকালীন বেশিরভাগ মুসলিমদের জন্য চরমপন্থা হিসেবে বিবেচিত হত। তিনি ব্রিটিশদের ওপর জাতিগত বৈষম্য এবং ভারতীয় সাধারণ মানুষের প্রয়োজনকে উপেক্ষা করার অভিযোগ তোলেন। বিপ্লবী ও সাংবাদিক জীবন: মুসলমান হলেও ধর্মের বদলে সেক্যুলার বা ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদী আজাদ পুরোপুরি জাতীয়তাবাদী ভারতীয় (ইন্ডিয়ান ন্যাশনালিস্ট) হয়ে যান। তিনি জাতিগত বৈষম্য উসকে দেওয়ার জন্য এবং সারা ভারতে সাধারণ মানুষের দাবি ও প্রয়োজন উপেক্ষা করায় ইংরেজদের অত্যন্ত তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন। জাতীয় ইস্যুর আগে সাম্প্রদায়িক ইস্যুকে বড় করে দেখায় তিনি মুসলিম রাজনীতিবিদদেরও সমালোচনা করেন।

আজাদ স্যার সৈয়দ আহমদের ‘ন্যাশনালিস্ট’ আইডিয়ার প্রতি অনুরক্ত হন। ১৯০৮ সালে তিনি ইরাক, সিরিয়া, মিশর, তুরস্ক ও ফ্রান্স ভ্রমণ করেন ও তাদের যুব সমাজের মধ্যে কামাল আতাতুর্কের ধর্ম ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতা ও জাতীয়তাবাদী মতবাদ তাঁকে প্রভাবিত করে। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় তিনি সাধারণ মুসলিম সম্প্রদায়ের মতবাদের বিপরীতে অবস্থান নেন। এ সময় তিনি হিন্দু বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ ও শ্যাম সুন্দর চক্রবর্তীর সংস্পর্শে আসেন। ধর্মের বদলে রাজনীতিতে মাওলানা আজাদের অনুরাগ দেখে মাওলানা শিবলী নোমানী তাঁকে ‘ওয়াকিল’ পত্রিকার সম্পাদক অমৃতসরের খান আতার কাছে পাঠান। সেখানে তিনি সম্পাদকমণ্ডলীর সভ্য হিসেবে পাঁচ বছর কাটান। কলকাতায় ফিরে ১৯১২ সালে তিনি ‘আল-হিলাল’ নামে একটি উর্দু পত্রিকা বের করেন। এতে ব্রিটিশ পলিসিকে আক্রমণ ও সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয়।

সাংবাদিকতা: ১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠিত আজাদের উর্দু সাপ্তাহিক সংবাদপত্র আল-হেলাল প্রকাশ্যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতে এর অপকর্মের আক্রমণাত্মক সমালোচনা করে। এ পত্রিকা কংগ্রেস ও জাতীয়তাবাদী মতামত প্রকাশে একটি শক্তিশালী বিপ্লবী মুখপত্রে পরিণত হয়। সম্প্রদায় ভিত্তিক প্রতিনিধিত্বের প্রশ্নে দুসম্প্রদায়ের মধ্যে সৃষ্ট শত্রুতার পর হিন্দু-মুসলমান ঐক্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আল-হেলাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকার আল-হেলাল সাপ্তাহিকীকে বিপজ্জনক মতামত প্রচারে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত করে এবং সে কারণে ১৯১৪ সালে পত্রিকাটি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। আজাদ তখন এটির নাম পরিবর্তন করেন এবং আল-বালাগ নামে অপর একটি সাপ্তাহিকী প্রকাশ করেন। এ পত্রিকারও উদ্দেশ্য ছিল অভিন্ন অর্থাৎ হিন্দু-মুসলমান ঐক্যের ভিত্তিতে ভারতীয় জাতীয়তাবাদ ও বিপ্লবী ধ্যান-ধারণা প্রচার করা। কিন্তু ১৯১৬ সালে সরকার এ পত্রিকাও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং আজাদকে কলকাতা থেকে বহিষ্কার করে রাঁচিতে অন্তরীণ করে রাখে। সেখান থেকে তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২০ সালে মুক্তি পান।

মৌলানা আজাদ যখন খিলাফত আন্দোলনের নেতৃত্বদান করেন; সেই সময় তিনি মহাত্মা গান্ধীর সংস্পর্শে আসেন। আজাদ ১৯১৯ সালের রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস অসহযোগের ধারণায় অনুপ্রাণিত হয়ে অসহযোগ আন্দোলন সংগঠনে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।

১৯২৩ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনিই ছিলেন কংগ্রেসের সর্বকনিষ্ঠ সভাপতি। ১৯৩১ সালে মৌলানা আজাদ ধারাসন সত্যাগ্রহ শুরু করেন। এই সময় তিনি দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক নেতা হয়ে ওঠেন। তিনি ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতান্ত্রিক ধ্যানধারণা এবং হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতির কথা প্রচার করেন। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় পাঁচ বছর (১৯৪০-৪৫) তিনি কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এই সময় তিন বছর তিনি কারারুদ্ধ ছিলেন। যে সকল ভারতীয় মুসলমান মুসলমানদের জন্য পৃথক পাকিস্তান রাষ্ট্রের দাবির বিরোধিতা করেছিলেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব ছিলেন মৌলানা আজাদ। আ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় তিনি হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতির প্রচেষ্টা চালান। স্বাধীন ভারতের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে তিনি বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি চালু করেন। তিনিই ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন স্থাপন করেন।

]]>
মেয়ে হওয়ার খুশিতে সস্তায় পেট্রোল-ডিজেল বিক্রি পাম্প মালিক দাদুর https://ekolkata24.com/offbeat-news/special-offer-at-mp-petrol-pump-to-celebrate-birth-of-owners-grand-niece Fri, 15 Oct 2021 11:19:48 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7714 অনলাইন ডেস্ক: এ যেন উলটপুরান। এখনও এদেশে বহু পরিবারের কন্যা সন্তানের জন্মকে ভাল চোখে দেখা হয় না। যে কারণে এদেশে কন্যাভ্রূণ হত্যা আজও এক বড় সমস্যা। কিন্তু এই দেশেই ঘটলো এক বিরল ঘটনা। এক ব্যক্তি নাতনি হওয়ার আনন্দে কম দামে বিক্রি করছেন পেট্রোল ও ডিজেল। বাংলায় নয় এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বেতুলে।

বাড়িতে পুত্রসন্তান জন্ম হলে অনেক পরিবারই সেটা ঢাকঢোল পিটিয়ে উদযাপন করে। কিন্তু কন্যাসন্তান জন্মানোর আনন্দে এ ধরনের কোনও অনুষ্ঠান করা হয় এমন খবর খুব একটা সামনে আসে না।

এরই মধ্যে বলতে পারা যায় ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটলো বেতুলে। জানা গিয়েছে, বেতুলের পেট্রলপাম্প ব্যবসায়ী রাজেন্দ্র সায়ানির ভাইয়ের মেয়ে শিখা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন নবরাত্রির দিনে। নবরাত্রির মতো পবিত্র দিনে কন্যাসন্তানের জন্ম হওয়ায় ওই পরিবারের আনন্দের সীমা ছিল না। সায়নি পরিবার একটি পেট্রোল পাম্পের মালিক। কন্যা সন্তানের জন্মকে স্মরণীয় করে রাখতে সায়ানি পরিবার সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের পেট্রলপাম্পে ১৩ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রাহকদের একই দামে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ অতিরিক্ত পেট্রোল ও ডিজেল দেওয়া হবে।

একটানা তিন দিন কমদামে পেট্রোল ডিজেল পাওয়ার খবরে সায়ানি পরিবারের পেট্রোল পাম্পে গাড়ির লাইন পড়ে গিয়েছে। অনেকে দূর-দূরান্ত থেকে কম দামে অতিরিক্ত পেট্রোল নিতে ছুটে এসেছেন। পেট্রলপাম্প ব্যবসায়ী রাজেন্দ্র জানিয়েছেন, তাঁর ভাইয়ের মেয়ে শিখার মেয়ে হয়েছে। মেয়ে হওয়ায় তাঁদের পরিবারে সকলেই খুব খুশি। সেই খুশি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতেই তাঁরা নিজেদের পেট্রলপাম্পে কম দামে পেট্রোল-ডিজেল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সায়ানি পরিবারের এই সিদ্ধান্তে অবশ্য আমজনতাও খুশি। কারণ তিন দিনের জন্য হলেও তাঁরাও তো এই অগ্নিমূল্যের বাজারে কম দামে তো পাচ্ছেন পেট্রোল, ডিজেল।

]]>
Economy: সেনসেক্সের ৬০,০০০ এর মাইল ফলক পৌঁছনোর যাত্রাপথ https://ekolkata24.com/uncategorized/economy-the-journey-to-reach-the-sensexs-60000-milestone Sat, 25 Sep 2021 06:12:13 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5521 নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ৬০,০০০এর মাইল ফলক পেরিয়ে গেল শেয়ার সূচক সেনসেক্স ৷ তবে সূচকটি ১৯৯০ সালের ২৫ শে জুলাই, ১,০০০ পয়েন্ট এর মাইল ফলক অতিক্রম করেছিল৷ তারপরে শুক্রবার প্রথমবারের মতো ৬০,০০০-এ পৌঁছে গিয়ে বেঞ্চমার্ক সূচক সেনসেক্স একটা ঐতিহাসিক তথা স্মরণীয় ঘটনার সাক্ষী হল। সেনসেক্সের এই ১,০০০এর স্তর থেকে এই ৬০,০০০ স্তরে পৌছে বিখ্যাত হয়ে উঠতে ৩১ বছরেরও কিছু বেশি সময় লেগে গিয়েছে।

ভারতে বর্তমান সময়টা শেয়ার বাজারের পক্ষে বেশ ভাল যাচ্ছে ৷ করোনা পরিস্থিতির জন্য দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন আশাব্যঞ্জক না হলেও এই সময়ে শেয়ার সূচকের বৃদ্ধি চোখে পড়ার মতো ৷ শুক্রবারে ভারতীয় শেয়ার বাজারের ইতিহাসে একটা বিরল ঘটনা ঘটে গেল। গত দেড় সপ্তাহে এই নিয়ে টানা তিনবার শেয়ার মার্কেটে নতুন রেকর্ড তৈরি হল। গত সপ্তাহে শেয়ার বাজারে ঝড় তোলে সেনসেক্স-নিফটি। সেনসেক্স নিজের সর্বোচ্চ রেকর্ড অর্থাৎ ৫৯ হাজারের স্কোর ভেঙে গিয়েছিল গত সপ্তাহেই। বেশ কিছুটা বেড়ে গতকালেই সেনসেক্স প্রায় ৬০ হাজার ছুঁয়ে ফেলেছিল । তখন অল্পের জন্য সেখান থেকে দূরে থামতে হয়েছিল।

তবে আরও একটু পিছনে ফিরে তাকাই তাহলে দেখা যাবে গত কয়েক বছর ধরে,এই সূচক বেশ কয়েকটি রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড স্তরে উঠে গিয়েছে। এই সূচকটি প্রথমবারের মতো ১০,০০০ এর স্তরে পৌঁছেছিল ২০০৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ৷ আর ২০০৭ সালের ২৯ অক্টোবর তারিখে এটির মাত্রা বাড়িয়ে ২০,০০০ এর স্তরে যায় , তারপর ২০১৫ সালের ৪ মার্চ এই বেঞ্চমার্কটি ৩০,০০০-এ গিয়ে ধাক্কা দেয়৷
২০১৯ সালের ২৩ শে মে তারিখে বিএসইর বেঞ্চমার্ক সূচকটি ৪০,০০০ স্তরে উঠে আসে। আর ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি ৫০,০০০ স্তরে পৌছে যায় ৷ মজার বিষয় হল,৫০,০০০ এবং ৬০,০০০ দুটি স্তরে পৌছে যাওয়া গিয়েছে ২০২১ সালে যখন কোরোনা মহামারী গোটা দুনিয়ার অর্থনীতিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে ৷

১৯৯২ সালে হর্ষদ মেহতা কেলেঙ্কারির সাক্ষী থাকা থেকে, ১৯৯৩ সালে মুম্বই এবং বিএসই ভবনে বিস্ফোরণ, কার্গিল যুদ্ধ (১৯৯৯), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতীয় পার্লামেন্টে সন্ত্রাসী হামলা (২০০২), সত্যম কেলেঙ্কারি, বিশ্ব আর্থিক সংকট, নোটবন্দী, পিএনবি কেলেঙ্কারি এবং করোনা মহামারীতে বছরের পর বছর ধরে , বাজারকে অনেক অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়েছে, আর শুক্রবার বিএসইর সিইও আশীষ কুমার চৌহানের টুইটে “সেনসেক্সের যাত্রা” সেটারই একটি স্লাইড বলে মন্তব্য করেছেন ।

তবে আবার বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যকর ট্রিগারও বাজারের উন্নতির ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে, যেমন বিশ্বব্যাপী পণ্যের তেজি বাজার, বিশ্বব্যাপী নগদের প্রাচুর্য্য, কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন অনুমোদন এবং টিকা কর্মসূচি চালু করা।

বিএসইর বেঞ্চমার্ক সূচক এই বছর এখন পর্যন্ত ২৫ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বছরের অগস্টে, শেয়ার বাজার অনেক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। গত মাসে বিএসইর বেঞ্চমার্ক ৯ শতাংশের বেশি উপরে উঠেছে। বাজারে উল্লেখযোগ্য যাত্রার তাৎপর্য বহন করে, কারণ ২০২০ সালের মার্চ মাসে ইক্যুইটি একেবারে টেইলস্পিনে চলে গিয়েছিল, বিএসইর বেঞ্চমার্ক সেই মাসে ব্যাপকভাবে নিমজ্জিত হয়ে গিয়েছিল ৮৮২৮.৮ পয়েন্টে বা ২৩ শতাংশ নেমে গিয়ে ছিল সেই মাসে ৷ যেহেতু অর্থনীতিতে করোনা মহামারীর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ থাকায় বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল।

মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত বছরে রোলার-কোস্টার যাত্রার মুখোমুখি হওয়ার পর ২০২০ সালে বিএসই বেঞ্চমার্ক ১৫.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। বাজারে সেন্টিমেন্ট উজ্জ্বল রয়েছে। কয়েক শতাংশ কমে যাওয়া ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীদের প্রবেশের জন্য একটি ভাল সুযোগ তৈরি হবে। এই সময় লার্জক্যাপ থেকে মিডক্যাপ এবং স্মলক্যাপে ব্যাপক ভিত্তিক কেনাকাটা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে উচ্ছ্বাস অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন অবস্থাটা ২০২২ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলতে পারে। যদিও আবার বাজারে অস্থিরতাও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে৷

]]>