children – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Tue, 14 Dec 2021 17:58:32 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png children – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Seram Institute: ছয় মাসের মধ্যেই শিশুদের জন্য আসবে করোনার টিকা https://ekolkata24.com/uncategorized/the-coronavirus-vaccine-will-be-available-for-children-within-six-months-said-the-seram-institute Tue, 14 Dec 2021 17:58:32 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14883 নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনা। এরইমধ্যে করোনার (corona) নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনের (omicron) দাপট শুরু হয়েছে। করোনা রুখতে টিকাকরণই একমাত্র হাতিয়ার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ১৮ বছরের কম বয়সিদের জন্য দেশে কোনও টিকা তৈরি হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই যে সমস্ত মা-বাবার ১৮ বছরের কম বয়সি সন্তান আছে তাঁরা যথেষ্ট উদ্বেগের মধ্যে আছেন। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দেশের অন্যতম ও ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউটের (Seram Institute) পক্ষ থেকে জানান হল, ৬ মাসের (within six month) মধ্যেই শিশুদের জন্য বাজারে আসবে করোনার টিকা।

মঙ্গলবার কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের এক সম্মেলনে অনলাইন ব্যবস্থায় যোগ দেন সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা। ওই সম্মেলনে তিনি বলেন, তাঁদের সংস্থার তৈরি করোনার টিকা নভোভ্যাক্সের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। তিন বছর বা তার বেশি বয়সি শিশুদের উপর এই ভ্যাকসিন অত্যন্ত ভাল ফল করেছে। তিনি নিশ্চিত যে, আগামী ৬ মাসের মধ্যেই শিশুদের জন্য করোনার টিকা নভোভ্যাক্স ভারতের বাজারে এসে যাবে।

এই সম্মেলনে আদর আরও বলেছেন, করোনাজনিত কারণে শিশুদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত তেমন গুরুতর অসুস্থতা দেখা যায়নি। তাই শিশুদের জন্য এতটা উদ্বেগের কিছু নেই। কিন্তু আগামী ছয় মাসের মধ্যে দেশের বাজারে তাঁরা শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করতে পারবেন। এই মুহূর্তে শিশুদের জন্য যে ভ্যাকসিন তাঁরা তৈরি করেছেন তার চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। আশা করা যায় ছয় মাসের মধ্যে এই ভ্যাকসিন চালু হয়ে যাবে।

একইসঙ্গে আদর জানান, প্রত্যেক মা-বাবারই উচিত তাঁদের সন্তানদেরও টিকা দেওয়া। কারণ টিকা নিলে ক্ষতি কিছু হবে না। বরং করোনা প্রতিরোধ করা আরও সহজ হবে, এটা তো ইতিমধ্যেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, ভারতে এখনো পর্যন্ত শিশুদের জন্য একটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেটি হল জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি জাইকোভ-ডি। তবে এই ভ্যাকসিনটি ১২ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য প্রযোজ্য। অর্থাৎ ১২ বছরের কম বয়সিদের জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও ভ্যাকসিন নেই। সেরাম ইনস্টিটিউট ছয় মাসেরমমধ্যে শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন চালু করলে অভিভাবকরা অনেকটাই উদ্বেগমুক্ত হতে পারবেন।

]]>
Kanpur: করোনাজনিত অবসাদে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে খুন করলেন এক চিকিৎসক https://ekolkata24.com/uncategorized/depressed-over-covid-doctor-kills-wife-children-in-ups-kanpur Sat, 04 Dec 2021 11:13:03 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13484 নিউজ ডেস্ক, লখনউ: উত্তরপ্রদেশের কানপুরের (kanpur) এক বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সুশীল কুমার (shusil kumar)। করোনা আক্রান্তদের (corona infected) মৃত্যু দেখতে দেখতে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন এই প্রবীণ চিকিৎসক। মানসিক অবসাদের (mental depression ) কারণে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে নিজের স্ত্রী ও দুই সন্তানকে খুন করলেন তিনি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের মানুষ চমকে উঠেছেন।

জানা গিয়েছে, চিকিৎসক হিসেবে হাসপাতলে যুক্ত থাকার কারণে বিগত দেড় বছর ধরে একের পর এক করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু সামনে থেকে দেখেছেন তিনি। করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ কিভাবে মৃত্যু মিছিলের কারণ হয়ে উঠেছিল তা সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছিলেন সুশীল কুমার। সম্প্রতি করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সুশীল তাঁর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। ওমিক্রনের হাত থেকে নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে ওই চিকিৎসক নিজের হাতেই স্ত্রী চন্দ্রপ্রভা (৪৮) ও ছেলে শিখর (১৯) ও মেয়ে খুশিকে (১৬) হত্যা করেন। পুলিশ চিকিৎসকের স্ত্রী ও সন্তানদের দেহের কাছ থেকে একটি নোট উদ্ধার করেছে।

ওই নোটে সুশীল কুমার লিখেছেন, ‘আমি আর লাশ গুনতে চাই না’। স্ত্রী এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সুশীল কুমারের সংসার। তিনি কানপুরের ইন্দিরা নগরের বাসিন্দা। শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎই ওই চিকিৎসকের ভাইয়ের মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। সেখানে সুশীলকুমার লিখেছিলেন, মানসিক অবসাদের কারণে তিনি নিজের ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রীকে খুন করেছেন। এই মেসেজ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সুশীলের ভাই বিষয়টি পুলিশকে জানান পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই চিকিৎসকের বাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানের নিথর দেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহের পাশেই পড়েছিল একটি ভারী হাতুড়ি ও সুশীল কুমার এর লেখা ওই চিঠি।

চিঠিতে সুশীলকুমার লিখেছেন, তিনি নিজে এক দুরারোগ্য অসুখে ভুগছেন। তিনি তাঁর পরিবারকে কোনও রকম সমস্যায় ফেলতে চান না। ইতিমধ্যেই করোনায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের কারণে আরও বহু মানুষ মারা যাবে। তাই নতুন করে তিনি আর মৃত্যু দেখতে পারছেন না। একই সঙ্গে ওই চিকিৎসক লিখেছেন, একটি ভুলের কারণে তিনি একই জায়গায় আটকে আছেন। সেখান থেকে বের হওয়া তাঁর পক্ষে দুঃসাধ্য। স্ত্রী, এক ছেলে ও মেয়েকে খুন করার পর অবশ্য সুশীল কুমার নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। এই মুহূর্তে তিনি কোথায় আছেন তা জানতে পুলিশ তল্লাশি করছে। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর হদিশ মেলেনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ভারি হাতুড়ি দিয়ে স্ত্রীকে খুন করেছেন সুশীল কুমার। ছেলে ও মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন। সম্ভবত শুক্রবার সকালের দিকেই এই খুনগুলি করেছেন তিনি।

]]>
ভোপালের হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন, পুড়ে মৃত ৪ শিশু https://ekolkata24.com/uncategorized/4-children-burnt-to-death-in-bhopal-hospital Tue, 09 Nov 2021 10:58:48 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10816 News Desk: ভয়াবহ আগুন ভোপালের কমলা নেহরু (kamala nehru child hospital) শিশু হাসপাতালে। অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতাল চত্বরে তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। অনেক রোগীই ভয় পেয়ে ছুটোছুটি শুরু করেন। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজ্যের মন্ত্রী বিশ্বাস সরং (biswas sarang)। কী কারণে এই আগুন লাগল তা এখনও জানা যায়নি। তবে দমকলের অনুমান, খুব সম্ভবত শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।

মন্ত্রী বিশ্বাস সরং জানিয়েছেন, সোমবার রাতে ভোপালের (bhopal) কমলা নেহরু হাসপাতালের স্পেশাল নিউবর্ন ওয়ার্ডে আগুন লাগে। ওই আগুনে ৪ সদ্যজাত শিশুর পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (shibraj sing chouan)।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে ওই হাসপাতালের শিশু বিভাগের কমপক্ষে ৬০ জন শিশু ভর্তি ছিল। সোমবার রাতের ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে মৃত্যু হয়েছে চারটি শিশুর। বেশ কয়েক জন জখম হয়েছে। তবে ওই ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা অন্য শিশুদের অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গেই সরিয়ে নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এদিন বলেছেন, ভোপালের কমলা নেহরু হাসপাতালে আগুন লেগে চারটি শিশুর মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। কী কারণে এই আগুন লাগল তা জানতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হবে। একইসঙ্গে

মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারকে ৪ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে ফতেহগড় ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ জুবের খান জানান, সোমবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ প্রথম আগুন লাগে। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কী কারণে এই আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে অনুমান করা হচ্ছে শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই আমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে আগুন লেগে ১১ জন করোনা রোগী প্রাণ হারিয়েছিলেন। জখম হয়েছিলেন আরও আটজন।

]]>
দেশের ৩৩ লক্ষেরও বেশি শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে, স্বীকার করল মোদি সরকার https://ekolkata24.com/uncategorized/more-than-3-3-million-children-in-the-country-are-suffering-from-malnutrition-the-modi-government-has-admitted Mon, 08 Nov 2021 07:55:47 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10692 News Desk: কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের ব্যর্থতায় দেশে ৩৩ লক্ষেরও বেশি শিশু অপুষ্টিতে (malnutrition) ভুগছে। এই শিশুদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি গুরুতর অপুষ্টির শিকার। অপুষ্টির শিকার হওয়া শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশু রয়েছে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। তার পরেই রয়েছে যথাক্রমে বিহার(Bihar) ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাত (Gujrat)। কেন্দ্রের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক চাঞ্চল্যকর এই পরিসংখ্যানের কথা স্বীকার করে নিয়েছে।

দেড় ছরেরও বেশি সময় দেশ তীব্র করোনার আতঙ্কে ভুগছে। করোনা জনিত কারণে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। অনেকের রোজকার কমে অর্ধেক হয়েছে। মানুষের আয় কমলেও লাফিয়ে বেড়েছে সংসার প্রতি পালনের খরচ। কারণ প্রতিটি জিনিসের মূল্য আকাশছোঁয়া। এই পরিস্থিতির জন্যই দেশে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে বলে কেন্দ্র জানিয়েছে। তথ্য জানার অধিকার আইনে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ ( women and child development ministry) মন্ত্রকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল।

ওই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রক জানিয়েছে দেশের ৩৪ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলে ৩৩ লক্ষ ২৩ হাজার ৩৬২টি শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। এই শিশুদের মধ্যে ১৭ লক্ষ ৭৬ হাজার ৯০২টি শিশু গুরুতর অপুষ্টির শিকার। অন্যদিকে ১৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৪২০ টি শিশু মাঝরি মানের অপুষ্টিতে ভুগছে। করোনাজনিত এই সঙ্কটকালে শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি আরও বাড়তে পারে বলেই কেন্দ্রের আশঙ্কা।

দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিসংখ্যান যথেষ্টই উদ্বেগজনক। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের তুলনায় চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত গুরুতর অপুষ্টির শিকার হওয়া শিশুদের সংখ্যা প্রায় ৯১ শতাংশ বেড়েছে। ২০২০-র নভেম্বর পর্যন্ত দেশে গুরুতর অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা ছিল ৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৬০৬ জন। কিন্তু চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যেই সেটা ১৭ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে।

‘চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড ইউ’ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সিইও পূজা মারওয়াহা (Puja Marwaha) বলেছেন, করোনাজনিত মহামারী আর্থ-সামাজিক দিক থেকে প্রবল আঘাত হেনেছে। যে কারণে পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারাপতর হয়েছে। গত দেড় বছরে দেশে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। গত এক দশকে আমরা যতটা উন্নতি করতে পেরেছিলাম দেড় বছরে তার চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে। স্কুলগুলি বন্ধ থাকায় মিড ডে মিলও পাচ্ছে না দরিদ্র শিশুরা। মিড ডে মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু শিশুর আরও কষ্টে পড়েছে। অশোক জৈন (Ashok Jain) নামে দিল্লির এক চিকিৎসক বলেন, অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও কমবে। ফলে এই সমস্ত শিশুদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা আরও বাড়বে। কারণ অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কমে যাবে।

উল্লেখ্য, গত মাসেই বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারত অনেকটাই পিছনের দিকে চলে গিয়েছে। এমনকী, ভারতের চেয়ে নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তানও অনেক উপরের দিকে ঠাঁই পেয়েছে। সে সময় অবশ্য কেন্দ্র ওই তালিকা তৈরির পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। কিন্তু বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের ওই তালিকাক্রম যে ভুল নয়, কেন্দ্রের কথায় সেটাই প্রমাণ হল। কারণ এবার কেন্দ্রীয় সরকারের এক মন্ত্রকই জানাল, দেশে অপুষ্টিজনিত শিশুর সংখ্যা বেড়েছে।

]]>
Covaxin : দীপাবলির সকালে আরও এক সুখবর শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা https://ekolkata24.com/uncategorized/covaxin-will-soon-be-exempt-from-vaccinating-children Thu, 04 Nov 2021 08:02:48 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10233 News Desk: দীপাবলীর সকালেই আরও এক সুখবর শোনালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মাত্র ২৪ ঘন্টা আগে ভারতীয় সংস্থা ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনা টিকা কোভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে হু। বৃহস্পতিবার সকালে হু-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাচ্চাদের টিকা করণের জন্য খুব শীঘ্রই ছাড়পত্র দেওয়া হবে কোভ্যাকসিনকে।

বৃহস্পতিবার হু-র শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন বলেন, শিশুদের উপর কোভ্যাকসিনের পরীক্ষা ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। শিশুদের উপর কোভ্যাকসিনের কার্যকারিতা অত্যন্ত ভালো বলে প্রমাণ হয়েছে। এখন শুধুমাত্র ড্রাগ কন্ট্রোলারের অনুমতির অপেক্ষা। ড্রাগ কন্ট্রোলারের অনুমতি মিললে শিশুদের শরীরে কোভ্যাকসিন প্রয়োগে আর কোনও সমস্যা থাকবে না। উল্লেখ্য, দেশে শিশুদের উপর কোভ্যাকসিনের পরীক্ষা বেশ কিছুদিন আগেই শুরু করেছিল ভারত বায়োটেক।

আমেরিকার সংস্থা ফাইজারের টিকাও শিশুদের জন্য উপযুক্ত। কিন্তু ফাইজারের টিকা শুধুমাত্র ১২ বছরের উর্ধ্বে থাকা শিশুরাই পেয়ে থাকে। শেষ পর্যন্ত হু যদি ছাড়পত্র দেয় তবে ২ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্য কোভ্যাকসিন শীঘ্রই আসতে পারে দেশের বাজারে। তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে।

এদিন টিকা নির্মাতা সংস্থা ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিন ভাগে ভাগ করে তারা শিশুদের উপর কোভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালিয়েছে। প্রথম ধাপে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সি, দ্বিতীয় ধাপে ৬ থেকে ১২ এবং তৃতীয় ধাপে ২ থেকে ৬ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে যত জন শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে তাদের সকলের শরীরেই তৈরি হয়েছে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি। স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা। এ থেকেই প্রমাণ হচ্ছে যে শিশুদের উপরেও কোভ্যাকসিন যথেষ্ট কার্যকর।

এখন গোটা দেশ তথা বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে হু-র দিকে। কারণ যত তাড়াতাড়ি হু-র ছাড়পত্র মিলবে তত তাড়াতাড়ি শিশুদের টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন করানোর তৃতীয় ঢেউ শিশুদের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। সে কারণে খুব তাড়াতাড়ি শিশুদের টিকা দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ভারত বায়োটেকের দাবি, তারা যে সমস্ত শিশুদের উপর টিকা প্রয়োগ করেছিল তাদের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রায় ৭৯ শতাংশই কার্যকর হয়েছে। পাশাপাশি টিকা দেওয়ায় কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা দেয়নি।

]]>
মুর্শিদাবাদে শতাধিক শিশু অসুস্থ https://ekolkata24.com/uncategorized/murshidabad-hundreds-of-children-are-sick Mon, 11 Oct 2021 15:58:10 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7333 নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) শতাধিক শিশু অসুস্থ৷ উৎসবের মাঝে শিশুদের মধ্যে জ্বরের প্রকোপ। ১৮০ জন শিশু ভর্তি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভয়ের কিছু নেই। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ থেকে অজানা জ্বর ছড়ায় রাজ্যে। এতে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। ফের জ্বরের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। 

]]>
Durga Puja 2021: দুর্গতির গ্রামে আসেন না দুর্গা, পুজোর গন্ধ নিয়ে পৌঁছে গেল ওরা https://ekolkata24.com/offbeat-news/durga-puja-2021-nayachar-island-children-got-new-puja-dress-from-purono-kolkatar-golpo Mon, 11 Oct 2021 04:46:09 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7258 বিশেষ প্রতিবেদন: ওদের জামা হয় না, মাথায় নতুন ক্লিপ দেওয়া হয় না। জীবন জুড়ে সংগ্রাম। এই পুজোর সময়ে ওদের দ্বীপে একটা দুর্গাপুজোও হয় না। কানে আসে না ঢাকের শব্দ। তবু মন মাতে শরতিয়া মেঘ দেখে। ইচ্ছা করে নতুন জামার গন্ধ নিতে। সেই সুযোগ করে দিল পুরনো কলকাতার গল্প। ফেসবুক গ্ৰুপের তৈরি স্কুলের গরীব ছাত্রছাত্রীরা পেল নতুন জামা।

এই প্রসঙ্গে পিকেজি’র অন্যতম প্রধান সদস্য জয়ন্ত সেন বলেন, “বাচ্চাগুলোর মনের উত্তেজনা আন্দাজ করতে পারছি। ছোটবেলায় আমাদেরও হতো। বাবা-মা গেছেন পুজোর বাজার করতে কোনও এক ছুটির দিন বিকেলে। সামনেই গড়িয়াহাট। বা কলেজস্ট্রীটের জুতোর মার্কেটে। উত্তেজনায় এ’ঘর ও’ঘর। কী আনবে, কেমন রঙের জামা-প্যান্ট হবে…। জুতোটা আমার নটিবয়’র মতো হবে না তো…।

nayachar

নয়াচরে আমাদের বর্ণপরিচয় স্কুলের বাচ্চাগুলোর একই অবস্থা। দিদিমণির ফোন এলে ওরাও ঝাঁপিয়ে পরে জানতে চাইছিল কবে আমরা আসবো ওদের জন্য নতুন জামাকাপড় নিয়ে এই দুর্গা পুজোয়। তা নিয়েই, আমরা কাকভোরে, পৌঁছে যাই নয়াচরে। নিয়ে যাই ছেলেদের জন্য জামা, প্যান্ট, মেয়েদের জন্য ফ্রক, স্কার্ট, দিদিমণি ও রান্নার মাসীদের জন্য শাড়ি। এছাড়া ওরা কাল দুপুরে মাংস-ভাত-পায়েস খাবে, মিড-ডে-মিল।ছেলেমেয়েদের জামা তৈরি করে আনা হয়েছিল সাগরদ্বীপ থেকে। কিছু নতুন পোশাক দিয়েছে বন্ধু পিনাকী চক্রবর্তী।”

একইসঙ্গে তিনি বলেন, “আসন্ন দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে ওঁদের উত্তেজনার পারদ ক্রমশঃ ওপরের দিকে চড়ছিল। তবে এদের চাহিদা বড্ড কম। অনেকেরই এখনও পুজোর জামাকাপড় বাবা-মায়েরা কিনে দিতে পারেন নি। নয়াচর দ্বীপে কোথাও হয় না দুর্গাপুজো। তাই বাচ্চাগুলোর মন পড়ে থাকে হুগলি নদীর ওপারে হলদিয়ায়, একটু ঠাকুর দেখার আশায়।

কেউ যায় এক বেলার জন্য, কেউ বা ২-৫ দিনের জন্য। নতুন স্কুল, অনেক বন্ধু হয়েছে এদের। বাচ্চা মেয়েরা একটু সাজগোজ করে ঠাকুর দেখতে চায়। মাথায় বাহারি ব্যান্ড, ঠোঁটে লিপস্টিক দেওয়ার খুব ইচ্ছে এদের। আবার দ্বীপের কোথাও ফুচকা পাওয়া যায় না বলে ওপারে হলদিয়ায় গিয়ে একটু ফুচকা খাওয়ার শখও রয়েছে। ছেলেগুলো একে অপরের কাঁধে হাত রেখে বন্ধু হয়ে একটু ঘুরে বেড়াতে চায়। ব্যাস, এইটুকুই ইচ্ছে ওদের। ছোট ছোট এই ইচ্ছে নিয়েই ওরা বড় হয়ে উঠুক। সেই ইচ্ছাপূরণ করার চেষ্টা করছি আমরা”।

]]>
আতঙ্কিত বাংলার মা: ২০০০ ছাড়িয়ে গেল জ্বরাক্রান্ত শিশুর সংখ্যা https://ekolkata24.com/uncategorized/childrens-died-due-to-unknown-fever Sat, 18 Sep 2021 04:59:00 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4893 নিউজ ডেস্ক: দার্জিলিং থেকে ডায়মন্ডহারবার রাজ্যের সর্বত্র ‘অজানা জ্বর’ বা জলপাইগুড়ি জ্বর ছড়িয়েছে হু হু করে। যদিও সরকার ও স্বাস্থ্য দফতর এই জ্বরকে অজানা বলতে নারাজ। বলা হয়েছে, উদ্বেগের কারণ নেই। কিন্তু উদ্বেগ কমছে না বই বাড়ছে। জ্বর ছড়াচ্ছে হু হু করে, শিশু কোলে মায়েরা ভীত

শুক্রবার রাত পর্যন্ত রাজ্যে জ্বরাক্রান্ত ১১ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি থেকে এই জ্বর ছড়াতে শুরু করে। এখন উত্তর ছাড়িয়ে দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান কলকাতা সংলগ্ন এলাকায় জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর, পুরুলিয়াতেও জ্বরাক্রান্ত শিশুদের নিয়ে ভীত মায়েদের ভিড় বাড়ছে।

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন বিশেষ পরিদর্শকরা। যতই দিন যাচ্ছে ততই এবং তার সঙ্গে মৃত্যু হচ্ছে একের পর এক শিশুর। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শিলিগুড়ি মহকুমা হাসপাতালের বেডের অভাব। মালদহে জ্বরে আক্রান্ত এক শিশুর মৃত্যু হয়। তার বাড়ি ঝাড়খণ্ডে।

চিকিৎসকদের আশঙ্কা পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই জ্বর প্রতিবেশি রাজ্যগুলিতে ছড়াবে। কারণ এই জ্বরের অন্যতম সংক্রমণ কেন্দ্র শিলিগুড়ি। এই শহরের সঙ্গে গোটা দেশের যোগাযোগ।

]]>
রাজ্য জুড়ে জ্বরের প্রকোপ, শত শত শিশু আক্রান্ত https://ekolkata24.com/uncategorized/childrens-have-died-due-to-unknown-fever Fri, 17 Sep 2021 04:37:15 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4810 নিউজ ডেস্ক: উত্তর থেকে দক্ষিণে হু হু করে ছড়িয়েছে জ্বর (Unknown fever)। শত শত শিশু আক্রান্ত। জলপাইগুড়ি ও পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর জুড়ে আতঙ্ক। এর সঙ্গে মালদহে প্রায় দুশো শিশু এই জ্বরে আক্রান্ত। কলকাতা সহ হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনাতেও ভয় ছড়াচ্ছে।

পরিস্থিতি যে হাতের বাইরে যাচ্ছে তা প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরেও কর্মকর্তারা উদ্বেগে। কারণ, এই জ্বরের কিছু লক্ষ্ণণ করোনাভাইরাস সংক্রমণের মতো। তবে স্বাস্থ্য দফতর এখনই করোনা মানতে নারাজ। গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে এমনিতেই করোনা সংক্রমণ আসন্ন শারোদতসবের মুখে আবারও চাগাড় দিতে পারে এমন আশঙ্কা প্রবল।

জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর,মালদহ ছাড়িয়ে দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, হুগলিতে জ্বর সংক্রমিত শিশুদের নি়য়ে অভিভাবকরা বিনিদ্র রাত জাগছেন। অভিযোগ, জেলা ও মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামো নেই তেমন। একেকটি বেডে তিন চার জন শিশু ও তার মা থাকছেন।

অজানা জ্বরে কারোর মৃত্যু হয়নি বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ও আরএস ভাইরাসের জন্যই এই জ্বর হচ্ছে শিশুদের।এই জ্বরের মধ্যে অজানা কিছু নেই বলেই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন, যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের অন্য রোগ ছিল। বৃহস্পতিবার এসএসকেএম স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে বৈঠক শেষে এমনটাই দাবি করেন তিনি।

বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, সরকার উপনির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। তাঁর অভিযোগ, প্রশাসন এই জ্বর সংক্রমণ ও হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে উদাসীন।

]]>