chinese – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Fri, 05 Nov 2021 11:41:14 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png chinese – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 দেশের করোনা পরিস্থিতি প্রকাশ্যে আনায় মৃত্যুর মুখে বন্দি চিনা সাংবাদিক https://ekolkata24.com/uncategorized/chinese-journalist-jailed-over-covid-reports-close-to-death Fri, 05 Nov 2021 11:41:14 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10371 News Desk: ২০১৯-এর ডিসেম্বর মাসে চিনের ইউহানে প্রথম করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে ছিল। কিছুদিনের মধ্যেই গোটা ইউহানে সংক্রমণ মাত্রা ছাড়া হয়েছিল। করোনা সংক্রমণের ওই খবর প্রকাশ্যে এনেছিলেন ঝ্যাং ঝান নামে চিনের এক মহিলা সাংবাদিক। দেশের করোনা পরিস্থিতি প্রকাশ করার অভিযোগে ওই মহিলা সাংবাদিককে জেলবন্দি করে চিনের জিনপিং সরকার। শুধু বন্দি নয়, আদালত ওই মহিলা সাংবাদিককে চার বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। প্রশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে জেলের ভিতরেই আমরণ অনশন শুরু করেন ওই মহিলা সাংবাদিক। একটানা অনশনের জেরে জেলের ভিতরে ওই মহিলা সাংবাদিক মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন বলে খবর।

জানা গিয়েছে ৩৮ বছরের ঝ্যাং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে চিনের করোনা নিয়ে খবর করেছিলেন। ওই সময় চিনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছিল এই মারণ ভাইরাস। নিজের ফোনে করোনা আক্রান্তদের ছবি তুলে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। একই সঙ্গে তাঁর লেখা থেকেই জানা গিয়েছিল জিনপিং সরকার করোনার ধাক্কা সামলাতে কিভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের এই ব্যর্থতা প্রকাশ করায় ২০২০-র মে মাসে ঝ্যাংকে আটক করা হয়। প্রায় ছয় মাস বিচার চলার পর ডিসেম্বরে ঝ্যাংকে চার বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।

ঝ্যাং সাংবাদিকতা করলেও তিনি একজন আইনজীবী। তবে বর্তমানে আইনি পেশা ছেড়ে তিনি সাংবাদিকতা করছিলেন। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে আমরণ অনশন শুরু করেছেন তিনি। এক টানা কয়েকদিন অনশন করার পরই তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়। জেল কর্তৃপক্ষ জোর করে ঝ্যাংকে তরল খাবার খাওয়ালেও তাঁর শরীর একেবারে ভেঙে পড়েছে। তিনি এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছেন যে, হাঁটাচলা তো দূরের কথা হাত-পাও নাড়াতে পারছেন না।

ঝ্যাংয়ের ভাই জু বলেছেন, তাঁর দিদির সার্বিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে আসন্ন শীতে তাঁর পক্ষে বেঁচে থাকা অত্যন্ত কঠিন হতে পারে। তাঁর দিদি যদি অবিলম্বে অনশন ভঙ্গ না করেন তবে তিনি হয়তো আর বেশি দিন বাঁচবেন না।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝ্যাংয়ের শারীরিক অবস্থার খবর প্রকাশ হতেই আন্তর্জাতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ইতিমধ্যেই ওই মহিলা সাংবাদিকের মুক্তির দাবি জানিয়েছে। জু বলেছেন, তাঁর দিদি কোন খারাপ কাজ করেননি। একজন সাংবাদিকের কর্তব্য হল প্রকৃত খবর সামনে আনা। সেটাই করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে অকারণে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে বিভিন্ন সংগঠন ও আন্তর্জাতিক মহল ঝ্যাংকে মুক্তি দেওয়ার দাবি তুললেও জিনপিং সরকার বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি।

]]>
OMG! চিনা কারখানায় সপ্তাহে ২০ মিলিয়ন মশা উৎপাদন করা হচ্ছে https://ekolkata24.com/offbeat-news/chinese-factory-breeding-20-million-good-mosquito-every-week Fri, 10 Sep 2021 12:33:53 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4311 অনলাইন ডেস্ক: আজব কাণ্ডের শীর্ষে চিন৷ তার আরও একটা উদাহরণ পাওয়া গেল৷ ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুসহ নানা রোগের বাহক এই মশা মারতে বিশ্বজুড়েই নানা উপায় অবলম্বন করা হয়৷ ঠিক তার উলটো পথে হেঁটে মশা উৎপাদন করছে চিন৷

চিনের একটি কারখানায় প্রতি সপ্তাহে ২০ মিলিয়ন ভালো মশা (Good Mosquito) তৈরি করে। এই মশাগুলো তারপর জঙ্গলসহ অন্যান্য জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়৷ এই মশার কাজ হল অন্যান্য মশার সঙ্গে যুদ্ধ করে রোগ প্রতিরোধ করা।

মশা সারাবিশ্বে প্রতি বছর অনেক মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে৷ মশার কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যায়। আজকাল ডেঙ্গু রোগ মশার কারণে সারা দেশে মানুষকে হত্যা করছে। চিন মশা নির্মূলে একটি চমৎকার কাজ করেছে। কিন্তু চিনের একটি কারখানায় এমন ভালো মশার উৎপাদন শুরু করেছেন, যা রোগ ছড়ানো মশাকে বিনাশ করে।

নিশ্চয় জানতে ইচ্ছে করছে, এই ভালো মশাগুলো কী? প্রকৃতপক্ষে এই ভাল মশা তাদের নিজস্ব উপায়ে রোগ বহনকারী মশার বৃদ্ধি বন্ধ করে। একটি গবেষণার পর চিন এই কাজ শুরু করেছে।

চিনের দক্ষিণাঞ্চলের গুয়াংজুতে এই কারখানা রয়েছে৷ যারা এই ভালো মশা উৎপাদন করে। প্রতি সপ্তাহে প্রায় দুই কোটি মশা উৎপন্ন হয়। এই মশাগুলি আসলে উলবাচিয়া ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত হয়৷

এর আগে চিনে সান ইয়েট সেট ইউনিভার্সিটি এবং মিশিগান ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ওলবাচিয়া ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত মশা তৈরি করা হয়, তাহলে তারা মহিলা মশাকে যথেষ্ট পরিমাণে বন্ধ্যাত্ব করে তুলতে পারে৷ কারণ এই স্ত্রী মশা রোগকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারে। এই কারণে ভালো মশার উৎপাদন শুরু হয়েছিল৷ এই ভাল মশাগুলিকে ওলবাচিয়া মশা বলা হয়।

প্রথমে তারা গুয়াংজুতে কারখানায় ভালো মশার প্রজনন করে। তারপর এটি জঙ্গলে এবং এমন জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়, যেখানে মশার আধিক্য রয়েছে। কারখানা-বংশোদ্ভূত মশা স্ত্রী মশার সঙ্গে মিশে তাদের প্রজজন ক্ষমতাকে নষ্ট করে। তারপর সেই এলাকায় মশা কমতে শুরু করে এবং এর ফলে রোগ প্রতিরোধ হয়।

এই চিনা কারখানা যা মশা উৎপাদন করে তা বিশ্বের সবচেয়ে বড়। এটি ৩৫০০ বর্গ মিটারে বিস্তৃত। এখানে ৪টি বড় কর্মশালা রয়েছে। প্রতিটি কর্মশালায় প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৫ মিলিয়ন মশা উৎপন্ন হয়।

আজ থেকে নয়, বরং চিন ২০১৫ সাল থেকে এটি করছে। আগে এই মশাগুলি শুধুমাত্র গুয়াংজু -এর জন্য প্রস্তুত করা হত৷ কারণ প্রতি বছর এখানে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ে। এখন এখানে মশা অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে৷ তাই রোগও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এখন এই কারখানা থেকে মশা উৎপাদনের পর তাদেরকে চিনের অন্যান্য এলাকায়ও পাঠানো হচ্ছে।

এই কারখানা-বংশোদ্ভূত মশাগুলি প্রচুর শব্দ করে৷ কিন্তু তারা একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে মারা যায়। তাদের থেকে কোনও ভাবেই রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা নেই।

কারখানায় জন্ম নেওয়া সমস্ত মশা পুরুষ। ল্যাবে এসব মশার জিন পরিবর্তন করা হয়৷ চিনের এই প্রকল্প এতটাই সফল হয়েছে, ব্রাজিলে একই ধরনের কারখানা খুলতে যাচ্ছে চিন৷

চিনের এই পদ্ধতিতে প্রথম পরীক্ষায় অসাধারণ সাফল্য পেয়েছে। যে এলাকায় এই মশা ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, সেখানে অল্প সময়ের মধ্যে মশাবাহিত রোগীর শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। যার পর চিন এটিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার শুরু করে।

]]>
Jinping Plan: পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রের কাছে নতুন টানেল খুঁড়ছে চিন https://ekolkata24.com/uncategorized/new-tunnel-spotted-at-a-chinese-nuclear-test-site-in-lop-nur-after-nuclear-missile-silo-xi-jinping-plan-world-war-three Fri, 30 Jul 2021 17:29:58 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=1558 নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে চিন পশ্চিম মরুভূমিতে তার পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রকে দ্রুত সম্প্রসারণ করছে। স্যাটেলাইটে ধরা পড়া একটি নতুন ছবিতে তা স্পষ্ট হয়েছে৷ সেই ছবিতে দাবি করা হয়েছে, চিন তার পারমাণবিক পরীক্ষা স্থানের কাছে একটি নতুন টানেল খনন করছে। শুধু তাই নয়, এই সাইটটি নতুন রাস্তার সঙ্গেও যুক্ত হচ্ছে। ১৯৬৪ সালের ১৬ অক্টোবর চিন এই স্থান থেকে প্রথম 22 কিলোটনের পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করে। তারপর থেকে চিন এখন ওপর্যন্ত এই স্থানেই মোট ৪৫ টি পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে।

বড় প্রশ্ন – চিন কীভাবে এই টানেল ব্যবহার করবে?
প্রাইভেট জিওস্পেশিয়াল অ্যানালাইসিস ফার্ম অলসোর্স অ্যানালাইসিস প্রথম স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে এই টানেলটি সন্ধান পায়। পরে মার্কিন এনজিও মিডিয়া এনপিআর -এর সঙ্গে কথা বলে অ্যালসোর্স অ্যানালাইসিসের বিশ্লেষণ ও অপারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রিনি বাবিয়ার্জ বলেন, এটি এমন একটি নতুন নির্মাণ যেখানে এমন এলাকা আছে যেখানে অতীতে পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, এই টানেলগুলি কীভাবে ব্যবহার করা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

১৯৯৬ সালের পর চিন পুরোপুরি পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়নি। এই সময়ে বিশ্বের অনেক বড় পরমাণু শক্তিচালিত দেশ নিজেরাই তাদের নতুন পরীক্ষা নিষিদ্ধ করেছিল। তবে এরপরেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন ও রাশিয়া সময়ে সময়ে পরমাণু অস্ত্রের অ-পারমাণবিক অংশ পরীক্ষা করে চলেছে। অনেক সময় এই পরীক্ষাগুলি ভূগর্ভে পরিচালিত হয়েছে৷ যাতে বিশ্বের অন্যান্য কেউ জানতে না পারে।

এই টানেল সম্পর্কে এনপিআরে প্রশ্ন তোলায় ওয়াশিংটনে চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেঙ্গিউ কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেছেন যে, চিন পারমাণবিক পরীক্ষা স্থগিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি মার্কিন অভিযোগের বিরুদ্ধেও আপত্তি তুলেছেন৷ তার বক্তব্য, চিন সরকারকে যেকোনও উপায়ে কমপ্রিহেনসিভ টেস্ট নিষিদ্ধ চুক্তিকে ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷।

নতুন টানেলের খবরটি চিনের দুটি পৃথক অংশে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের ঘাঁটি নির্মাণের মাঝে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিন জিনজিয়াং প্রদেশের হামি শহরের কাছে মরুভূমিতে ১১০ টি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র সাইলো তৈরি করছে। সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হ’ল হত্যাকারী ক্ষেপণাস্ত্র সাইলো ভারত থেকে মাত্র ২০০০ কিলোমিটার দূরে। চিনের এমন অনেক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যার পরিসরে পুরো ভারত চলে আসে। একটি সাইলো হ’ল এক ধরণের স্টোরেজ ধারক যার ভিতরে দীর্ঘ দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র রাখা হয়।

এর আগে চিনের উত্তর-পশ্চিম শহর ইউমানের কাছে মরুভূমিতে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ১০০টি নতুন সাইলো তৈরির বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছিল। ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্টস সর্বশেষ চিত্রের ভিত্তিতে বলেছে যে, চিন আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র সাইলো খুঁড়তে শুরু করেছে। আমেরিকান বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই সম্প্রসারণ চিনের পারমাণবিক আক্রমণ শক্তি অনেক বাড়িয়ে দেবে। হামি এবং ইউমান উভয়ই চিনের এমন জায়গা, যেখানে আমেরিকা তার প্রচলিত ক্রুজ মিসাইল দিয়ে আক্রমণ করতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে আমেরিকা তাদের ধ্বংস করতে একচেটিয়াভাবে তার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ব্যবহার করতে হবে।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ৪০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় রাস্তার একটি নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে। এই বছর মিসাইল সাইলো নির্মাণ শুরু হয়েছে। বহু বছর চুপ থাকার পরে চিন এখন বিশ্বকে তার শক্তি প্রদর্শন করতে শুরু করেছে৷

]]>