বিতর্ক আর নুসরত, সব সময়েই যেন হাত ধরাধরি করে চলে। এই মুহূর্তে টলিপাড়ায় সবচেয়ে আলোচিত নায়িকা নুসরত জাহান। তাঁর মাতৃত্বের সিদ্ধান্তের জন্য, তাঁর বিয়ের বৈধতা সংক্রান্ত মন্তব্যের জন্য সব সময়েই তিনি উঠে এসেছেন খবরের শিরোনামে। সম্প্রতি ছিল তাঁর জন্মদিন। জন্মদিনে একটি সাক্ষাৎকারে নুসরত জানিয়েছেন, তিনি আর বেশি ফিল্মে অভিনয় করতে চান না।
টলিউডে বাংলা ফিল্ম ‘শত্রু’-তে জিতের বিপরীতে ডেবিউ করেছিলেন নুসরত। টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেত্রী হিসাবে এক দশক কাটিয়ে তিনি নতুন ইনিংস শুরু করেছেন একটি টক শোয়ে সঞ্চালিকার ভূমিকায়। ইস্ক এফ এম-এর এই টক শোয়ের নাম ‘ভালোবাসায় বোল্ড’। গত এক বছর ধরে দীর্ঘ ওঠাপড়ার পর এখন তিনি যশের প্রথম পক্ষের ছেলে ও ‘যশরৎ’ পুত্র ঈশান (Yishaan J.Dasgupta)-কে নিয়ে নতুন সংসার পেতেছেন।
কিন্তু এবার তিনি সময় দিতে চান পরিবারকে । তাই বেশি ফিল্মে অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নুসরত। চলতি মাসে সায়ন্তন ঘোষাল পরিচালিত নুসরতের আসন্ন ছবি ‘স্বস্তিক সংকেত’ মুক্তি পাওয়ার কথা। এছাড়াও যশের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘মাস্টারমশাই আপনি কিছু দেখেননি’ ফিল্মে অভিনয় করছেন নুসরত।
তবে, এই মুহূর্তে নুসরতের কাছে ‘ফার্স্ট প্রায়োরিটি’ তাঁর সন্তান ঈশান। সারাদিনে সংসার ও কাজ ব্যালান্স করে কিছুটা আলাদা সময় রাখতে চান নুসরত ঈশানের জন্য । তিনি ঈশানের প্রথম হাসি, প্রথম হাঁটা, প্রথম কথা বলা মিস করতে চান না। তার প্রতিটি মুহূর্ত রেকর্ড করে রাখেন নুসরত। এই মুহূর্তে তিনি বাছাই করা ফিল্মে অভিনয় করতে চান বলে জানিয়েছেন নুসরত।
]]>গতবছর সুশান্ত সিং রাজপুত এর মৃত্যুর পরেও ড্রাগ মামলা নিয়ে বেশ উথালপাতাল হয়েছিল বলিউড। বলিউডের বিভিন্ন ছবিতে বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে মাদকাসক্তির অন্ধকার দিকগুলি। দেখে নেওয়া যাক এমনই কিছু ছবির গল্প যা মাদকের আসক্তির অন্ধকার দিকটি তুলে ধরেছে:

১. কলাকান্দি (২০১৮)
কলাকান্দি একটি হিন্দি ভাষার ডার্ক কমেডি ছবি, যা অক্ষত ভার্মা রচনা ও পরিচালনা করেছেন। সিনেমাটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাইফ আলি খান, অক্ষয় ওবেরয়, দীপক ডোবরিয়াল, ইশা তালওয়ার এবং শোভিতা ধুলিপালা। ছবিটির প্লট রিলিনের জীবনকে ঘিরে আবর্তিত হয়, যিনি তার ক্রমবর্ধমান পাকস্থলীর ক্যান্সারের খবর পান, যা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তিনি হৃদয় ভেঙে পড়েন এবং ধূমপান করে এবং একজন বন্ধুর কাছ থেকে এলএসডি গ্রহণ করে জীবনকে পরিপূর্ণভাবে বাঁচার সিদ্ধান্ত নেন, কিন্তু তবুও অসন্তুষ্ট থাকেন।

২. উড়তা পাঞ্জাব (২০১৬)
উড়তা পাঞ্জাব একটি হিন্দি ভাষার ব্ল্যাক কমেডি ক্রাইম ড্রামা, যা অভিষেক চৌবে রচনা ও পরিচালনা করেছেন। মুভিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শহিদ কাপুর, আলিয়া ভাট, কারিনা কাপুর এবং দিলজিৎ দোসাঞ্জ। ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে যুবকদের মাদকের অপব্যবহার এবং তাকে ঘিরে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রকে ঘিরে।

৩. সঞ্জু (২০১৮)
সঞ্জু একটি হিন্দি ভাষার জীবনীমূলক ছবি, যা রাজকুমার হিরানি রচনা ও পরিচালনা করেছেন। মুভিটিতে রণবীর কাপুর, ভিকি কৌশল, পরেশ রাওয়াল, মনীষা কৈরালা, দিয়া মির্জা, সোনম কাপুর, আনুশকা শর্মা এবং জিম সার্ভ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রের প্লটটি বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের জীবন, মাদকের প্রতি তার আসক্তি এবং অভিনেতার জীবনে ঘটে যাওয়া অন্যান্য দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা এবং কীভাবে তিনি সবকিছুর সাথে লড়াই করতে পেরেছিলেন এবং প্রত্যাবর্তন করতে পেরেছিলেন তা নিয়ে আবর্তিত হয়েছে।

৪. দম মারো দম (২০১১)
দম মারো দম একটি হিন্দি ভাষার অ্যাকশন থ্রিলার চলচ্চিত্র, যা রোহান সিপ্পি পরিচালিত। মুভিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিষেক বচ্চন, বিপাশা বসু, রানা দাগ্গুবাতি, প্রতীক বব্বর এবং আদিত্য পাঞ্চোলি। ছবিতে গোয়া রাজ্যের মাদক সমস্যা এবং একজন পুলিশ র্যাকেট ফাঁস করার চেষ্টা করা হয়।

<
p style=”text-align: justify;”>৫. ফ্যাশন (২০০৮)
ফ্যাশন একটি হিন্দি মেনস্ট্রিম ছবি, যা পরিচালনা ও সহ-প্রযোজনা করেছেন মধুর ভান্ডারকর। ছবিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস এবং কঙ্গনা রানাউত। চলচ্চিত্রের প্লট ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির অন্ধকার আন্ডারবেলি এবং মাদকের জগতে আটকা পড়া সুপার মডেলদের জীবনকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে।
দুই বাংলার যৌথ প্রচেষ্টায় বহুবার সিনেমার পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন একাধিক অভিনব প্রচেষ্টা। দুই বাংলার প্রযোজকরাই কেবল একত্রিত হননি, বিভিন্ন শিল্পী এবং কলাকুশলীরাও বিভিন্ন সময়ে জোট বেঁধেছেন নতুন কিছু উপস্থাপন করার প্রচেষ্টায়।
১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উৎপাদন চলচ্চিত্রগুলির একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা ছিল।ফিরে দেখা যাক এমনই কিছু ছবি, যার মাধ্যমে দুই বাংলার মেলবন্ধন ফুটে উঠেছিল গোটা বিশ্বের সামনে:

১. পদ্মা নদীর মাঝি (১৯৯৩)
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র শিল্পীদের যৌথ প্রয়াসে গৌতম ঘোষের পরিচালনায় পদ্মা নদীর মাঝি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৩ সালে। এপার বাংলা থেকে ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রূপা গাঙ্গুলী, উৎপল দত্ত, রবি ঘোষের মত তারকারা। আবার রাইসুল ইসলাম আসাদ, হুমায়ূন ফরিদীর মত ওপার বাংলার শিল্পীরাও যুক্ত ছিলেন এই চলচ্চিত্রের সাথে।

২. মনের মানুষ (২০১০)
লালন ফকিরের জীবন কাহিনীর ওপর নির্ভর করে তৈরি হওয়া এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন এপার বাংলার প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী, প্রিয়াংশু চ্যাটার্জি। বাংলাদেশের রাইসুল ইসলাম আসাদ আর চঞ্চল চৌধুরী কেও অভিনয় করতে দেখা যায় এই ছবিতে। মনের মানুষ পরিচালনা করেছিলেন এবার বাংলার বিখ্যাত পরিচালক গৌতম ঘোষ।

৩. আমি শুধু চেয়েছি তোমায় (২০১৪)
বাংলাদেশের দুই মেনস্ট্রিম ছবির পরিচালক অশোক পাতি আর অনন্য মামুনের উদ্যোগে এই ছবিটি তৈরি হয়েছিল। ছবির প্রযোজনা করেছিল এপার বাংলার নামকরা প্রযোজনা সংস্থা এসেকে মুভিজ। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অঙ্কুশ হাজরা ও শুভশ্রী গাঙ্গুলী।

৪. শঙ্খচিল (২০১৫)
গৌতম ঘোষ পরিচালিত শঙ্খচিল ছবিতে অভিনয় করেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কুসুম শিকদার।

<
p style=”text-align: justify;”>৫. ডুব (২০১৭)
ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন বাংলাদেশি পরিচালক মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী। ছবিতে বাংলাদেশী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন বলিউড অভিনেতা ইরফান খান।
আরও পড়ুন খেলা শুরু: তালিবানি কায়দায় পাকিস্তানে শিক্ষাকর্মীদের নিষিদ্ধ আঁটসাঁট পোশাক
মাস কয়েক আগেই টোকিওতে চতুর্থবারের জন্য অলিম্পিকে নেমেছিলেন সানিয়া। সেখানে তাঁর পার্টনার ছিল অঙ্কিতা রায়না। প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে যান তাঁরা। সাইনি উইলসনের পর ভারতের দ্বিতীয় মহিলা অ্যাথলিট হিসেবে চতুর্থ অলিম্পিক্স খেলে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। ডাবলস এবং মিক্সড-ডাবলস মিলিয়ে তাঁর কেরিয়ারে গ্র্যান্ড-স্লাম সংখ্যা ছ’টি।
আরও পড়ুন অধিনায়কোচিত মনোভাবের অভাব, বিরাটের বিরুদ্ধে নালিশ গেল শাহের কাছে
এর আগে বহু খেলোয়াড় অভিনয় জগতে নাম লিখিয়েছিলেন। সদ্য মুক্তি পেয়েছে বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার হরভজন সিংয়ের সিনেমাও। এবার সেই তালিকাতেই নতুন সংযোজন হল সানিয়ার নাম। সানিয়া অভিনীৎত পাঁচটি পর্বের সিরিজটির নাম ‘এমটিভি নিষেধ অ্যালোন টুগেদার’। লেখকের মস্তিষ্কপ্রসুত কাহিনী নয়, বাস্তবতাই তুলে ধরা হবে পর্দায়। এক নবদম্পতির কাহিনী। আচমকা লকডাউনের ফলে যাদের জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। এভাবেই এগোবে গল্প।

ওয়েব সিরিজটিতে নবদম্পতির চরিত্রে অভিনয় করবেন সায়েদ রাজা আহমেদ ও প্রিয়াংকা চৌহান। যদিও সানিয়াকে কোন চরিত্রে দেখা যাবে তা এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের নভেম্বরের শেষেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাবে সিরিজটি। একদিন আগেই কেরিয়ারের ৪৩তম ডব্লিউটিএ (WTA) ডাবলস খেতাব জিতেছেন সানিয়া। চিনা পার্টনার ঝাং শুয়াইয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে ওস্ট্রাভা ওপেন (Ostrava Open 2021) চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি।
]]>Champions in the Czech Republic!
@MirzaSania & @zhangshuai121
claim the doubles title
#OstravaOpen pic.twitter.com/iMk79qrSSB
— wta (@WTA) September 26, 2021
প্রবল ক্ষতির মুখে পড়েছে টলিউডও। জনপ্রিয় প্রযোজক ও পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ” পরিচালকদের জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কা হলো চিন্তার প্রক্রিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা। স্বাভাবিক সময়ে, একটা ছন্দ থাকে। আপনি একটি চলচ্চিত্র করছেন, সেটা হলে মুক্তি পাচ্ছে, তারপরে আপনি পরবর্তী চলচ্চিত্রর ভাবনায় ঢুকছেন। কিন্তু এই সময়ে, একবার একটা চলচ্চিত্র আটকে গেলে, পুরো চিন্তার প্রক্রিয়াটা স্তব্ধ হয়ে যায়।” শুধু শিল্পীদের শৈল্পিক চিন্তাই নয়, এর ফলে আর্থিক ক্ষতিও হয়েছে ভয়াবহ। ‘মহানন্দা’-এর পরিচালক অরিন্দম শীল বলেছেন, “গত দেড় বছর ধরে জিনিসগুলো আটকে পড়েছে। শুধু ক্ষতির পরিমাণই হয়েছে হাজার কোটি টাকা। শুধু অভিনেতারাই নন। প্রযুক্তিবিদ, বিক্রেতা, সরঞ্জাম সরবরাহকারী সবাই এর ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে”।
তাঁর কথায় যদি একটি সিনেমার গড় খরচ হয় দু’কোটি টাকা, তাহলে ক্ষতি হয় একশো কোটি টাকা। রাজ্যের ৭৫০ টি সিনেমা হলের মধ্যে মাত্র ২৫০ টি কার্যত ব্যবহারের অবস্থায় রয়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে ১০০টি হল খোলা থাকলেও তা রীতিমতো আশীর্বাদ। কিন্তু ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে বাংলা চলচ্চিত্র গড় খরচটাই তুলতে পারে না। এটাও মেনে নিতে হবে যে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বাংলা বিষয়বস্তুর তেমন চাহিদা নেই। পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশে “হইচই” নামের জনপ্রিয় প্লাটফর্ম থাকলেও সেটি নির্দিষ্ট গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ। টলিউডের শিল্পী ফোরামের কার্যনির্বাহী সচিব শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “যারা দৈনিক ভিত্তিতে বা মাসিক ভিত্তিতে কাজ করেছেন তারাই সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখন হলগুলিতে ৫০ শতাংশ থাকার ব্যবস্থা থাকলেও তারমধ্যেও অর্ধেক দর্শক নেই”।
জনপ্রিয় ‘প্রিয়া’ সিনেমা হলের মালিক অরিজিৎ দত্তের কথায়, “কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কোনো হল খুলছে না, তবুও কর্মীদের বেতন দিতে হয়। পিভিআর লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গৌতম দত্তও জানান যে দেশে লকডাউনের কারণে সিনেমা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ব্যবসা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। আট মাসে (মার্চ থেকে নভেম্বর, ২০২০) চলচ্চিত্র নামক শিল্প এখন দেউলিয়া হওয়ার মুখোমুখি। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মেকআপ শিল্পী সোমনাথ কুন্ডু একটি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, “আগে আমি বছরে চার থেকে পাঁচটা ছবিতে কাজ করতাম। গত বছর আমি মাত্র দুটো ছবি করেছি। এ বছরও একই পরিস্থিতি। গত বছর আমার প্রায় পাঁচ থেকে ছ’লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।” যদিও হাল না ছেড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে টলিউড।
]]>