Coal crisis – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Mon, 11 Oct 2021 10:53:36 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Coal crisis – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Coal crisis: কয়লার অভাবে মহারাষ্ট্রে ১৩টি-সহ দেশে ২০টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সাময়িক বন্ধ হল https://ekolkata24.com/uncategorized/coal-crisis-13-units-shut-due-to-coal-shortage-maharashtra-govt Mon, 11 Oct 2021 10:53:36 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7304 নিউজ ডেস্ক, মুম্বই: কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী আর কে সিং আশ্বাস দিয়েছিলেন কয়লার কোনও সমস্যা হবে না। সমস্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রে অবিলম্বে পৌঁছে যাবে চাহিদামত কয়লা। কিন্তু মন্ত্রীর কথা আর বাস্তবের মধ্যে ফারাক অনেকটাই। সোমবার কয়লার অভাবে মহারাষ্ট্রে ১৩টি-সহ গোটা দেশে ২০টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সাময়িক বন্ধ হয়ে গেল।

জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি ১৩টি কেরলে চারটি এবং পাঞ্জাবে তিনটি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র কয়লার অভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি খুব খারাপ কর্ণাটকেও। সেখানেও দু-একদিনের মধ্যে কয়লা পাঠানো না হলে বেশ কয়েকটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রাখতে হবে বলে জানা গিয়েছে।

কয়লার এই সঙ্কটের জন্য পাঞ্জাব ও মহারাষ্ট্র যথারীতি কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলেছে। পাঞ্জাব সরকারের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি অভিযোগ করেছেন, মোদি সরকার নিয়মিত পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়িয়ে চলেছে। এখন তারা নেমেছে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর খেলায়। সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে নয় বরং কিভাবে বিপদে ফেলতে হয় সেটা মোদি সরকার ভালই জানে।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, কয়লার অভাবের কারণে দিল্লিতেও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি ধুঁকছে। সমস্যা সমাধানে কেন্দ্র উদ্যোগী না হলে গোটা দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। চলতি সমস্যা সমাধানের জন্য কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার জন্য অনুরোধ করেছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বলেছেন, মোদি সরকার কোনও সমস্যাকেই সমস্যা বলে মনে করে না। তারা চোখ বন্ধ করে থাকে। সে কারণেই দেশে একের পর এক সমস্যা বেড়ে উঠছে। এখন কৃষকদের আন্দোলন থেকে নজর ঘোরাতেই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতেও অচলাবস্থা তৈরির চেষ্টা চলছে।

চলতি পরিস্থিতিতে কিভাবে কয়লার জোগান বাড়ানো যায় তা নিয়ে সোমবার কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিভাবে রাজ্যগুলিতে চাহিদামত কয়লা দ্রুত সরবরাহ করা যায় সে বিষয়ে শাহর সঙ্গে কথা বলেন আরকে সিং। 

মহারাষ্ট্রের ইলেক্ট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশন সোমবার জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে রাজ্যে ১৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে মহারাষ্ট্রে ৩৩৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হল। ফলে গোটা রাজ্যে লোডশেডিং বেড়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, যত শীঘ্র সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। বিদ্যুতের জন্য জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির উপর কতটা নির্ভর করা যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মহারাষ্ট্র সরকারের আশঙ্কা, কয়লার অভাবে আগামী দিনে রাজ্যে আরও বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ রাখতে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে গোটা রাজ্য এই উৎসবের মরসুমে অন্ধকারে ডুবে যাবে। চলতি সমস্যার সমাধানে গ্রাহকদের যতটা সম্ভব কম বিদ্যুৎ খরচ করতে বলা হয়েছে। অনুরোধ করা হয়েছে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেন।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শুধু ভারত নয় গোটা দেশেই কয়লার মজুত ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। তাই অবিলম্বে বিকল্প জ্বালানির উৎসের সন্ধান করা না গেলে প্রতিটি দেশকেই বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে হবে

]]>
Coal crisis: কয়লার তীব্র সঙ্কটে অন্ধকারে ডুবতে পারে দিল্লি-সহ দেশের একাধিক শহর https://ekolkata24.com/uncategorized/coal-crisis-situation-to-normalise-in-three-four-days-says-union-minister Sun, 10 Oct 2021 17:24:27 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7227 অনলাইন ডেস্ক, নয়াদিল্লি: ভারতে ১৩৫টি তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আছে। দেশের বিদ্যুতের চাহিদার ৭০ শতাংশ সরবরাহ করে এই কেন্দ্রগুলি। কিন্তু এই মুহূর্তে তাদের কাছে ৩ দিনেরও কম কয়লা মজুত আছে। ফলে উৎসবের মরসুমে তীব্র বিদ্যুৎ সঙ্কটের সম্মুখীন হতে পারে দিল্লি, পাঞ্জাব, রাজস্থান-সহ ভারতের অনেক রাজ্য । এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে মাত্র দুই-তিন দিনের জন্য কয়লা মজুত রয়েছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির মূল কাঁচামাল কয়লা।

কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশিকায় বলা আছে, কয়লা খনি থেকে ১০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে যে সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আছে তাদের কমপক্ষে ৩০ দিনের জন্য কয়লা মজুত রাখতে হবে। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে কয়লার মজুত তলানিতে এসে ঠেকেছে। রাজ্যগুলি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রকের কাছে কয়লার সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য আবেদন করেছে। কেন্দ্র কয়লার সরবরাহ অবিলম্বে স্বাভাবিক না করলে তাদের ব্ল্যাক আউটের মধ্যে পড়তে হবে। বিদ্যুৎ মন্ত্রকের দাবি সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। কয়লা মন্ত্রক প্রতি সপ্তাহে দু’বার কয়লার মজুত পর্যালোচনার জন্য দু’টি আন্তমন্ত্রক গোষ্ঠী গঠন করেছে। এই কয়লা সঙ্কটে দেশ এক বড় বিপর্যয়ে পড়তে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ টুইট করে বলেছেন, ‘হঠাৎই আমরা বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা সরবরাহের সঙ্কটের কথা শুনছি। এই সঙ্কটে একটি বিশেষ বেসরকারি সংস্থা কি আরও বেশি ধনবান হয়ে উঠবে? কিন্তু এর কে তদন্ত করবে?

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, কেন্দ্র যদি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার ঘাটতি দ্রুত সমাধান না করে তাহলে রাজধানী বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হবে। রাজধানীতে দুই দিনের মধ্যে ব্ল্যাকআউট পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। আগে দিল্লির বিদ্যুৎকেন্দ্র গুলিতে এক মাসের কয়লা মজুত থাকত। যা এখন ১ দিনে নেমে এসেছে। সমস্ত কেন্দ্রে ইতিমধ্যে ৫৫ শতাংশ ধারণ ক্ষমতায় চলছে। বাওয়ানায় দিল্লির একটি ১৩০০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। উল্লেখ্য, দিল্লির নিজস্ব কোনও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নেই।

রাজস্থান সরকারও ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, কয়লার অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় ১০ টি বড় শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহে কাটছাঁট করা হবে। কিছু এলাকায় ১০ থেকে ১৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। সেন্ট্রাল গ্রিড রেগুলেটরের তথ্য বলছে, অক্টোবরের প্রথম ৭ দিনেই বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে যে ঘাটতি হয়েছে তা সারাদেশে সারা বছরের ঘাটতির ১১.২ শতাংশ। কয়লার অভাবে বিহার ও ঝাড়খন্ডেও বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে।

অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিষয়টি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। জগনমোহন বলেছেন, অন্ধ্রে বিদ্যুতের ব্যবহার ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্ধ্রের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ২০ রেক কয়লার বরাদ্দ দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি রাজ্যে প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পাঞ্জাবেও তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে কয়লার অভাবে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পাঞ্জাব স্টেট পাওয়ার কর্পোরেশন জানিয়েছে, রাজ্যের বেশিরভাগ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মাত্র ৫ দিনের মত কয়লার মজুত আছে। রাজ্যে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে। অক্টোবরে অস্বাভাবিক গরম পড়ার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা আরও বেড়েছে। কেন্দ্র অবিলম্বে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না করলে পাঞ্জাব-সহ গোটা দেশের বেশিরভাগ শহর অন্ধকারে ডুবে যাবে।

]]>